নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিতান্তই শখের বশে দু\'এক চরণ লিখি।লিখাটা আমার নেশা বা পেশাও না।তবে মাঝে মাঝে মনের কোণে প্রস্ফুটিত হওয়া কথাগুলো প্রকাশ করি।এই প্রকাশ ই আমার কবিতা কিংবা গল্প।

হাসান_রাকিব

হাসান রাকিব

হাসান_রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ডাস্টবিনের আত্মকাহিনী

২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০



১)
রাত ১ টা,ভরা চাঁদ জ্যোৎস্না রাত।স্নিগ্ধা ছাদে বসে আছে। চাঁদ আলো ছড়াচ্ছে তার আপন মহিমায়।শীতল বাতাস এসে গায়ে দোল খাচ্ছে।চুলগুলো উড়ছে হাল্কা শীতল বাতাসে।কোনো কিছুই আজ মন ভালো করার উপকরণ হতে পারে না স্নিগ্ধার।তার চোখ দু'টো বেয়ে অশ্রু ঝড়ছে।যেনো কোনো ঝর্ণা হতে প্রবাহমান ঝর্ণাধারা।মনে ঘোর অমানিশা।তদ্রাচ্ছন্ন চোখ দু'টো জেগে আছে আজ সীমাহীন কষ্ট নিয়ে।

২)
আজকের চাঁদের আলোটা আর আগের মতো আনন্দের দ্যুতি ছড়ায় না।শীতল বাতাস মনে দোল খায় না।আজ মনে স্বপ্ন নেই।তার রঙ্গিন ক্যানভাস আজ ধূসর। কবিতাগুচ্ছ আজ মনে শিহরণ জাগায় না।স্মৃতিপটে আজ ভেসে উঠছে সেই দিনগুলো যা যবনিকা টেনে এনেছে এক নতুন ভোরের।কঠিন সময়ে এই স্মৃতিগুলোই জ্বালাতন করে,ভীষণ জ্বালাতন। তার মনে হয় এই তো সেদিন পরিচয় হলো সাবিদের সাথে।সম্পর্কটাও ছিলো সুন্দর আর আনন্দের।অথচ কেটে গেলো দু-দুটি বছর।সবই আজ স্মৃটিপটে রঙহীন।

৩)
ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানো।চায়ের কাপে ধুমিয়ে আড্ডা।গিটারের তারে সুর তুলে গান গেয়ে যাওয়া।ফুচকার দোকানে আর টঙের নিচের জম্পেশ আড্ডা।কত দিন একসাথে ভোর দেখা!গোধূলিলগ্নে পিচ ঢালা পথে হেঁটে হেঁটে পার করে দেয়া।ডালমুট খেতে খেতে সবুজ ঘাসে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটানো।আহা! কী সুন্দর স্মৃতি!আজ এই পূর্ণিমা রাতে যা হওয়ার কথা ছিলো।সুখ স্মৃতি।ভাগ্যের ফেরে তা আজ দুঃস্বপ্ন।

৪)
দিন দিন জমে উঠলো তাদের প্রেম।তাদের পদচিহ্ন পড়তে লাগলো ক্যাম্পাসে শহরের আনাচেকানাচে,অলিতেগলিতে।
হঠাৎ কি হতে যেনো কি হয়ে গেলো!
স্নিগ্ধা আজও ভেবে পায় না।একটা অমার্জনীয় ভুল।সেই ভুলের মাশুল আজ দিতে হচ্ছে কড়ায়গণ্ডায়।

৫)
সুন্দর দিনগুলো দিন দিন পরিণত হতে লাগলো দুঃসময়ে।চেক আপে গ্রিন সিগনাল।বৃত্তের ভেতর বিন্দুর জন্ম।স্নিগ্ধা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।সে সাবিদকে সব খুলে বলে।সাবিদকে সেদিন বড় স্বার্থপর মনে হচ্ছিলো।তার এ ব্যপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।তাকে বিয়ে করার জন্য বলা হলেও সে মুখ ফিরিয়ে নেয়।তার ভবিষ্যৎ, ক্যারিয়ারের অজুহাতে সে এই অবেলায় স্নিগ্ধাকে দূরে ঠেলে দেয়।

৬)
নতুন মুখ আর আলো দেখেনি এই সুন্দর পৃথিবীর।আগামী দিনের সুন্দর সম্ভাবনাগুলোকে এভাবেই ছুঁড়ে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।একেকটা ফুলের কলিকে এভাবেই আমরা খুঁজে পাই শহরের অলিগলির বিভিন্ন ডাস্টবিনে।জীবন এখন জীবন নয়,হয়ে গেলো নোংরা আবর্জনা।যা ডাস্টবিনেই মানায়।

৭)
একটু একটু আধুনিকতার নামে নোংরামি, আবর্জনার ডাস্টবিনগুলোকে ভরিয়ে দিচ্ছে ভ্রুন আর পরিচয়হীন মৃত শিশুদের দ্বারা।
এভাবেই সমাপ্তি ঘটে কিছু মানুষের সুন্দর স্বপ্নের, কিছু লোলোপের আত্মতৃপ্তিতে।

৮)
বাঙালীর ভালোবাসা বেঁচে থাকুক লাজুকতায়।নোংরামিতে নয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

জিসান অাহমেদ বলেছেন: এগিয়ে যান।খুব সুন্দর রচনাশৈলী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.