নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনের রাফখাতা

পিছন ফিরে তাকানোর বদলে সামনে তাকানোই বেশি সহজ

ট্রিপল এ

নিজেকে জানার একটা মাধ্যম হচ্ছে লিখে যাওয়া।লেখালেখি করার অভ্যাস নেই বললেই চলে,মাঝে মাঝে "আউল ফাউল"লেখার চেষ্টা করি একটু.....

ট্রিপল এ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিশিকন্যার চোখ

২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

জাতি হিসেবে আমরা সবসময় সুগারকোটেট লেখা,মন্তব্য,বক্তব্য চালিয়ে খুব স্বস্তিতে থাকি।মনের কথাটা আমরা কখনো সরাসরি বলার সাহস দেখাই না।ব্যাতিক্রম যদিও আছে,তবুও এই ব্যাতিক্রমী মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা।আমি আমার এই দুই সেকেন্ডের জীবনে সবসময় তাদেরকেই সম্মান দিয়ে এসেছি,কারন তারা সত্যটা মুখে আনার সাহস দেখিয়েছেন।আমি সবসময় বিশ্বাস করি,সত্য বলে দিলে মন শুদ্ধ থাকে।বাস্তব জীবনে আমার মতো মিথ্যাবাদী খুব কম থাকলেও অন্তর থেকে কখনো মিথ্যা বলিনাই আজ পর্যন্ত,তাই আজকে আমি ঠিক করেছি নিশিকন্যাদের নিয়ে ভাববো............





নিশিকন্যা,শব্দটার মধ্যে একটা কাব্যিক ভাব থাকলেও এই শব্দটার মধ্যে কতোটা কষ্ট,কতোটা ঘৃণা,যন্ত্রণা,অসহায়ত্ব আছে,সেটা একজন নিশিকন্যা ছাড়া কেউ কল্পনা করতে পারেনা।আমি একটা ব্যাপার খুব অবাক হয়েই খেয়াল করেছি,আমি যেই মানুষগুলোর লেখাকে ভক্তির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি,তাদের প্রায় সবাই নিশিকন্যাদের নিয়ে লিখে গেছেন।আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন,মার্কেজের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস কিন্তু তাদের নিয়েই।অবশ্য মার্কেজ কিন্তু এইরকন কাব্যিক শব্দ দিয়ে তাদের ডাকেননি,তিনি সরাসরি লিখেছেন "মিয়ের্দা" ,যার সহজ বাংলা হচ্ছে বেশ্যা............







বেশ্যা,অনেক পরিচিত একটা গালি,তাইনা?কোন মেয়ের "চলন" খারাপ দেখলেই কিছু মানুষের মুখ দিয়ে এই শব্দটা এবং আরও কিছু সমার্থক শব্দ এসে পড়ে।বেশ্যা,শুনলেই চোখের সামনে ভাসতে থাকে "শরীর বেইচা খাওয়া" কিছু নারীর কথা,তাইনা?ভাবাটা অস্বাভাবিক না,আমাদেরকে ভাবতে শেখান হয়েছে এইভাবে,সমাজের পকেট ভর্তি প্রোপ্যাগান্ডাওয়ালা মানুষগুলোই আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে যদিও খেয়াল করলে তাদেরকেই দেখা যায় বেশ্যাদের সাথে দরদাম করতে,রেট একটু কমানোর চেষ্টা করতে।অথচ নিজের মনকে একবার জিগ্যেস করে দেখেন তো,বেশ্যা/নিশিকন্যা আসলে কারা?তারা কেন নিশিকন্যা নামের একটা মায়াময় শব্দ দখল করে রেখেছে?





বাবা মারা গেছে,কিন্তু প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকাগুলো তোলা যাচ্ছেনা।মা এখন চোখে ঠিক মতো দেখতে পারেনা,ঘরে তাই ভালো রান্নার আশা করা যাচ্ছেনা।ছোট ভাইটা প্রত্যেকদিন একজোড়া কেডস কেনার টাকা চাচ্ছে,কেডস ছাড়া তাকে পিটি ক্লাসে যেতে দেয়া হয়না।একটা মাত্র টিউশনি করে ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েটা,কিন্তু মাস শেষ সেই সামান্য টাকাটা পাওয়ার জন্য যেন যুদ্ধ করতে হয়।প্রত্যেকমাসে বাড়িওয়ালা ভাড়া নিতে আসার সময় কথা শুনিয়ে যাচ্ছে,কিন্তু যাওয়া আগে মেয়েটার পিঠে হাত বুলিয়ে যেতে ভুলছে না।অবশেষে মেয়েটা খুব ঠাণ্ডা মাথায় একটা সিদ্ধান্ত নেয়।একদিন বিকালে বিপত্নীক বাড়িওয়ালার ঘরে গিয়ে বাড়িওয়ালার সামনে দাড়ায়।তার পরের একঘণ্টা মেয়েটার চোখের প্রত্যেক ফোঁটা পানিতে লেখা ছিল,আমি নিশিকন্যা হতে চাইনি কখনোই..................







বাবা সামান্য দিনমজুর হিসেবে ক্ষেতে কাজ করে,মা গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন বাড়িতে ছুটা কাজের বুয়া।এর মধ্যে ১৪-১৫ বছরের মেয়েটার দিকে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা নজর দিচ্ছে।এই সময় দূর সম্পর্কের এক চাচা এসে বাপের কানে কথা তুললো,মেয়েকে শহরের গার্মেন্টসে দিলে কোন চিন্তা থাকবে না আর।এর এক সপ্তাহ পরে মেয়েটা ঢাকার কোন এক তৃতীয় শ্রেণীর হোটেলে বিক্রি হয়ে গেলো।প্রথম দিকে সে অনেক কাঁদতো,কিন্তু এখন যখন তার শরীর খুবলে খাওয়া হয়,তখন কেউ তার চোখের দিকে তাকায় না।তাকালে স্পষ্ট দেখা যেতো,মৃত মানুষের চোখের একজন নিশিকন্যার উপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে.....................





এইরকম কেস স্টাডির সংখ্যা অসংখ্য,আমরা হয়তো জানিও না কতো লক্ষ পতিতা/দেহপসারিণী/বেশ্যা/নিশিকন্যারা এইরকম চোখ নিয়ে বেঁচে আছেন।জগতের প্রত্যেকটা নিশিকন্যা অসহায় হয়ে এই পথে এসেছেন,তাদের জোর করে এই পথে নিয়ে আসা হয়েছে,তাদের সেক্স স্লেভ বানানো হয়েছে।খোলাখুলিই বলছি,সেক্সুয়াল স্যাটিসফেকশনের জন্য আজ পর্যন্ত কোন নারী এই পথে আসেনি,এসেছে পেটের সারভাইভাল আর স্যাটিসফেকশনের জন্য।এটাকে দেহ ব্যাবসা বলা যায়না,এটা হচ্ছে সমাজের সকল ভাদ্র মাসের কুকুরের বানানো একটা জাহান্নাম..................





অনলাইন এবং অফলাইনে "সুশীল" জিনিসটার কোনই কমতি নাই।ত্যানা পেচানি লোক সবখানেই থাকে।এইরকম কোন লেখায় যদি কেউ এসে বলে,"তাহলে আমরা এদের পুনর্বাসনের কাজ করছি না কেন/বেশ্যারা কেন অন্য পেশায় যাচ্ছে না,নিশ্চয়ই তারাও মজা পেয়ে গেছে/আপনি জানেন ক্যামনে,আপনিও কি" টাইপ মন্তব্য করে,আমি অবাক হবো না।কারন নিশিকন্যার মতো একটা যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতির নাম শুনলেই তাদের মনে টানবাজার,পুলক হোটেল,বনানি মাগিপাড়া নামের শব্দ গুলো লালার সাথে বেয়ে বেয়ে পড়তে থাকে........................





আমাদের এই সমাজে আমরা কখনো নিশিকন্যাদের কষ্ট বুঝতে পারিনি,কারন যাদের বোঝার দায়িত্ব,তারা কোনদিন নিশিকন্যাদের চোখ দেখেনাই।বরং তারা দেখেছে নিশিকন্যাদের ব্লাউজের বোতাম কোনটা ছেঁড়া আছে কিনা,বাসায় মা-বোন- বউদের সাথে এদের দেহের বিশেষ বিশেষ বাঁকের কোন পার্থক্য আছে কিনা।তারা শুধু নিশিকন্যাদের সেক্স মেশিন ভেবেছে,কখনো প্রেমিকা অথবা ভালোবাসার মানুষের নজরে দেখেনি।তারা কখনো তারা কখনো কলেজ পড়ুয়া কাজল দেয়া চোখের সেই মেয়েটির মনে ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দর ছেলেটির জন্য অব্যাক্ত ভালোবাসাটা দেখেনি।তারা কখনো বিক্রি হয়ে যাওয়া সেই কিশোরী মেয়েটির বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার আকুলতাটুকু দেখেনি।দেখবেই বা কি করে,তাদের চোখ তো নিশিকন্যাদের খুবলে খাওয়ার নেশায় ইতিমধ্যেই আয়েশের চোটে বন্ধ হয়ে আসছে............







দুই নাম্বার কেসের মেয়েদের কথা আমি শুধু শুনেছি,কিন্তু এক নাম্বার ঘটনাটা মিথ্যা না-এটা আমার নিজের চোখে দেখা।একটা সময় ছিল যখন আমি মাগিদের মাগির নজরে দেখতাম,কিন্তু যেই মুহূর্তে আমি সেই চোখজোড়ার দিকে তাকিয়েছিলাম,আমার অস্তিত্ব পর্যন্ত কেঁপে উঠেছিল।এতোটা আবেগ কোন মানুষের চোখে থাকতে পারে?এতোটা আবেগ থাকার পরেও সেই চোখের ভাষা শুন্য হয় কিভাবে?শুধুমাত্র নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য রাতের অন্ধকারে একটা পরী নিজের দেহকে বিলিয়ে দিতো নরখাদকদের মাঝখানে,শুধু কয়েকটা কাগজের টুকরোর জন্য।অথচ আমি আমার সমস্তটুকু জ্ঞান দিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি,এইরকম একটা পরীর মনে একটু জায়গা করে নেয়ার জন্য একিলিস এক হাজার ট্রয় ধ্বংস করতে পারতো,হেলেনের সৌন্দর্যটুকু ধুয়ে যেতো এইরকম একটা পরীর একফোঁটা চোখের পানিতে.....................







দিন শেষে দেহের তৃষ্ণাটাই বড় হয়ে যায় সেই নরখাদকের দলের কাছে।মামা চল লাগাইয়া আসি বলে তারা কিছু পরীর দেহ ভোগের নেশায় ছুটে।কিন্তু মনের তৃষ্ণা মিটাতে শুকনো মন নিয়ে আমরা কখনো এই পরীদের খোঁজে যাই না।যাবোই বা কেন?তারা যে বেশ্যা.........







জগতের সমস্ত নিশিকন্যাদের উৎসর্গ করলাম এই লেখা।আপনারা আমাকে কখনো সামনাসামনি দেখেননি,কিন্তু আপনাদের মধ্যে কারও একজোড়া চোখ দেখেছিলাম আমি।সেই নাম না জানা চোখ জোড়ার অধিকারী এক পরী আমাকে দিয়ে আজ লেখাটা লিখিয়ে গেছে.....................

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৮

তোজি বলেছেন: একিলিস এক হাজার ট্রয় ধ্বংষ করতে পারতো , হেলেনের সৌন্দর্যটুকু ধুয়ে যেত এইরকম একটা পরীর চোখের পানিতে............

অসাধারন লিখেছেন ।
সত্যি সমাজের সভ্য অসভ্য মুখোশধারী বেশিরভাগ মানুষগুলোই ভোগবিলাশী । নিশিকন্যদের নিয়ে কেউ ভাবে না । ভাবে ভোগে , হিস্র হায়েনারদের মত ।

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২১

ট্রিপল এ বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম....

আসলে আমাদের ভাবার সময় কই?

২| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আমি কোন জাজমেন্টাল মন্তব্য করব না। তবে এ ব্যাপারে, আমার মত হচ্ছে,

পৃথিবীর প্রতিটা সমাজের ক্ষমতাশালীরা তাদের প্রয়োজনেই সমাজে শ্রেণীভাগ বজায় রাখবে। যুবক বয়সের ছেলে মেয়ে তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহে তার কাছে থাকা জিনিসটাই বিলিয়ে দিতে বাধ্য হবে।

আপনি নারীর কথা বলেছেন। আমি সে দিকে না যাই। যদি একটা ছেলে র কথা ধরেন, তাহলে তার কাছ থেকে তার দেহটাও দরকার ক্ষমতাশালীদের । নিশিকন্যার মত করে নয়, তার দরকার জানোয়ার, যে তার হয়ে পেশীশক্তির সাহায্যে করবে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, খুন। অর্থের প্রয়োজনে তাকে ব্যবহার করবে। মূল জিনিসটা একি। একজন ছেলে বা মেয়ে যার অর্থের খুব প্রয়োজন, তার জন্য অর্থোপার্জনের সম্ভাবনাকে একেবারে ছোট করে না ফেললে তো তার শক্তি বা তার রূপ কে কাজে লাগানো যাবে না।

তবে এই সাথে এটাও ঠিক, যতদিন পৃথিবীতে মানুষ থাকবে, ততদিন থাকবে এই সিস্টেম। যেদিন থাকবে না, সেদিন সম্ভবত পৃথিবীতে যারা থাকবে তারা আর যাই হোক মানুষ হবে না।

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

ট্রিপল এ বলেছেন: ভাই,আপনার কমেন্টটা ধরতেই আমার অনেক টাইম লেগেছে!!!!!!!!!!!!!

মূলত ছেলে হোক আর মেয়ে হোক,তারা অন্যায়ের পথে নামে দেয়ালে পিঠ থেকে যাওয়ার পর,আমি সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছিলাম আরকি

৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি বলতে পারে ক'জন।

মূখোশর আড়ারের ভনিতার আরেক নাম সুশীলতা।

একবার এক রমণীকে জানতে চেয়েছিলাম। সরাসরি বলেছিল খাজুরা আলাপে কাম নাই... লাভ কি? ঘন্টা প্রতি চার্জ ধরে কথা শুরু করলাম।
একসময় আবেগ এসে গেল.. কষ্টের কথা বলল-.... কিন্তু তা যেন ক্ষনিকের।

বলল-ভাই এইসব বইলা লাভ নাই। সবই মিঠা মিঠা কথা, কাজের সময় কেউ নাই।
তাকে আবারও আশ্বাস, আশার কথা বলতে গেলে একদম সরাসরি প্রস্তাব দিল- ঠিকাছে আমি স্বাভাবিক জীবনে যামু। আপনি দিবেন এই সুযোগ। ইতস্তত ভাব দেখে বলল চিন্তা নাই-সাভারে আমার ৩ কাঠা জমি আছে ব্যাংকেও লাখ ২ টাকা আছে। করবেন বিয়া? দিবেন আমারে সুুযোগ!!!!
বাকরুদ্ধ সেই তরুন ছাত্রকে বাকরুদ্ধ রেখেই তির্যক করুনা চাহনি দিয়ে চলে গেল!!!!
এরপর থেকে তাদের কাউকে আর কিছূ জিজ্ঞেসও করিনা। জানতেও চাইনা।

কি হবে জেনে? কষ্ট বাড়ানো ছাড়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪১

ট্রিপল এ বলেছেন: আসলেই,কষ্ট সহ্য করতে করতে এখন তাদের আবেগটাই মরে গেছে।তারা এখন আর কাঁদতে পারে না

৪| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০২

ফা হিম বলেছেন:
কেউ ইচ্ছে করে বেশ্যা হয় না, সমাজ-ই তাদের বেশ্যা হতে বাধ্য করে। এবং যত অসামাজিক হিসেবেই ধরি না কেন, তারা সমাজের প্রয়োজনই আসলে মিটিয়ে যাচ্ছে। জীবনবাবু'র এদের নিয়ে একটা কবিতা আছে,

আগার তাহার বিভীষিকাভরা, জীবন মরণময়!
সমাজের বুকে অভিশাপ সে যে – সে যে ব্যাধি, সে যে ক্ষয়;
... প্রেমের পসরা ভেঙে ফেলে দিয়ে ছলনার কারাগারে
রচিয়াছে সে যে, দিনের আলোয় রুদ্ধ ক’রেছে দ্বার!
সূর্যকিরণ চকিতে নিভায়ে সাজিয়াছে নিশাচর,
কালনাগিনীর ফনার মতন নাচে সে বুকের পর!
চক্ষে তাহার কালকুট ঝরে, বিষপঙ্কিল শ্বাস,
সারাটি জীবন মরীচিকা তার প্রহসন-পরিহাস!
ছোঁয়াচে তাহার ম্লান হয়ে যায় শশীতারকার শিখা,
আলোকের পারে নেমে আসে তার আঁধারের যবনিকা!
সে যে মন্বন্তর, মৃত্যুর দূত, অপঘাত, মহামারী-
মানুষ তবু সে, তার চেয়ে বড় – সে যে নারী, সে যে নারী!

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৭

ট্রিপল এ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন,সমাজের চাপেই পরীরা নিশিকন্যার মতো একটা শব্দ দখল করে ফেলে........

কবিতাটা আগে পড়িনাই,মন্তব্যের সাথে মানানসই কবিতাটা দিয়ে আমার জ্ঞান আরেকটু বাড়িয়ে দিলেন....

৫| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৩

জাতির বোঝা বলেছেন:

+++++++++++++++

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৮

ট্রিপল এ বলেছেন: আমার পাওয়া প্রথম প্লাস!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৬| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: সহজ কথা যায় না বলা যে সহজে। :(

পর্ণ মুভির অনেক বড় সমালোচক কে দেখবেন তার নিজের চাহিদাকে অন্যভাবে পূরণ করতে।

বা ধরুন, এই ধরণের পল্লীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলা ব্যক্তিটির ই হয়ত আরেকটা রূপ আছে। থাকতেই হবে।

যাই হোক, নেটফ্লিক্স এ একটা ডকুমেন্টারী ছিল। নাম ভুলে গেছি। যদি আপনার নেটফ্লিক্সে একাউন্ট থাকে তো খুঁজে দেখতে পারেন। তিনটা দেশের সেক্সুয়াল ওয়ার্কারদের নিয়ে করা ডকুমেন্টারী টা। সেই তিনদেশের একটা হলো বাংলাদেশ। সেখানকার মেয়েদের কথা, এবং সেখানে যাওয়া ব্যক্তি যারা অকপটে স্বীকার করেছে যে সেখানে যায়, সবার কথা শুনলে একটা অমোঘ সত্য সামনে চলে আসে, এটাই আমাদের মানব জীবনের অন্যতম সীমাবদ্ধতা। যা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে চলবে সম্ভবত আজীবন।

আগেকার যুগে চলছে দাসপ্রথা, কোথাও চলছে উপপত্নী নামে, কোথাও সামাজিকতা নামে বিয়ে আর ডিভোর্স, কোথাও চলেছে পর্ণ ব্যবসা, যারা অতি উচ্চবিত্ত, তারা স্ট্রিপ ক্লাব, বা নিজস্ব প্রমোদতরীতে বিভিন্ন কর্মকান্ডে মেতে উঠে। প্রশ্ন আসে এত নারী (বা পুরুষ) কিভাবে জড়িয়ে পড়ে এধরণের কাজে ? সমাজ তার নিজের প্রয়োজনেই এরকম ব্যবস্থা জিইয়ে রাখে।

তবে সবচেয়ে দু;খজনক পরিস্থিতি হলো বর্তমান সময় যখন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থাই এমন যে এখানে কিছুদিন আগেও একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর বক্তব্য নেয়া হয়েছে যে বলেছে, উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে তাকে টিউশন ফি যোগাড় করতে হতো। এবং এজন্য তার হাতে খুব বেশি অপশন ছিল না। পার্ট টাইম কাজ করে টিউশন ফি যোগাড় করা তার পক্ষে সম্ভব হত না। সে নিজের কাজের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা করে না। বরং সে নিজের অর্থ নিজে উপার্জন করে নিজের পা এ দাঁঁড়াতে পারছে এই কঠিন পৃথিবীতে একারণে সে নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট।

আমাদের দেশের মেয়েদের অনেক কথা আমরা জানতে পারি না। আমাদের মেয়েরাও অনেক কঠিনতম যুদ্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। খুব বেশিদূর যাওয়া লাগবে না, আমাদের চারিদিকে দেখা বাসাগুলার অনেক ফ্লাট, বা আবাসিক হোটেল বা এমনকি কোন কোন হোস্টেল এও অনেক চক্র তাদের জাল বিস্তার করেছে। কিভাবে তাদের জালে ধরা পড়ছে, আসলে বাধ্য হচ্ছে। সে জালে আটকে পড়া শিকার আর তার শিকারী ও কিন্তু আমাদের সমাজেই। আমার বা আপনার পরিচিত । হয়ত বা আমরা নিজেরাই। কিন্তু সেরূপ টা আমরা গোপন করে রাখি।

আমি জানি না, আমাদের সীমাবদ্ধতাকে জয় করার ক্ষমতা আমাদের আছে কিনা।

৭| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫০

চাদের আলোয় বলেছেন: অসাধারন লেখা

৯| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ২:১৬

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: এইরকম একটা পরীর মনে একটু জায়গা করে নেয়ার জন্য একিলিস এক হাজার ট্রয় ধ্বংস করতে পারতো,হেলেনের সৌন্দর্যটুকু ধুয়ে যেতো এইরকম একটা পরীর একফোঁটা চোখের পানিতে.....................

চমৎকার একটি লেখা। পড়তে যতটা ভালো লেগেছে, ঠিক ততটাই মনের ভেতরটা অশ্রুসিক্ত হয়েছে! নিশিকন্যাদের কেউ কখনো মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে নি, তাদের যোগ্য সম্মানটুকু তারা কখনো পায় নি। তারা ভদ্রপাড়ার মানুষের কাছে শুধুই সেক্স মেশিন। ভদ্রপাড়ার গালিতে তারা শুধুই 'বেশ্যা', 'পতিতা', 'মাগি'।
অনেক আগে 'প্রথম আলো'র অন্য আলো-তে সম্ভবতঃ একজন নিশিকন্যার নতুন জীবন ফিরে পাবার গল্প পড়েছিলাম। কোন একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় 'ভদ্র'পাড়ার সমাজে নতুন পরিচয়ে সে ফিরে আসতে পেরেছিলো। মেয়েটি একটি ছোট্ট স্কুলে শিক্ষকতা করছে। সেটি পড়ে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিলো। আনন্দে। আবেগে।
আমরা কবে সত্যি সত্যিই নিশিকন্যাদের কষ্ট বুঝবো? সত্যিই বুঝতে শিখবো তো?

১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

আইএমট্রিনিটি বলেছেন: লেখালিখি চলতেছে তাইলে ভাই?? :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২১

ট্রিপল এ বলেছেন: না রে ভাই, দৌড়ের উপ্রে আছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.