নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিল্লী দূর অস্ত - ২

০৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৩

দিল্লী দূর অস্ত - ১ পাবেন এই লিংকে

Click This Link



দিল্লী দূর অস্ত - ২



প্রত্যহ যোজন পথ অতিক্রম করছেন সুলতান। নিকট হতে নিকটতর হচ্ছেন রাজধানীর পথে। প্রত্যহ ভক্তরা অনুনয় করে ফকিরকে। প্রত্যহ একই উত্তর দেন ফকির নিজামউদ্দিন আউলিয়া - দিল্লী দূর অস্ত।



সুলতানের নগর প্রবেশ হলো আসন্ন, আর মাত্র একদিনের পথ বাকি। ব্যাকুল হয়ে শিষ্য প্রশিষ্যরা অনুনয় করল সন্যাসীকে, এখনও সময় আছে এইবেলা পালান। গিয়াসউদ্দিনের ক্রোধ এবং নিষ্ঠুরতা অবিদিত ছিলনা কারো কাছে, ফকিরকে হাতে পেলে কি দশা হবে তার কথা কল্পনা করে সবাই ভয়ে শিউরে উঠলো বারংবার। স্মিতহাস্যে সেদিনও উত্তর দেন বিগতভয় সর্বত্যাগি ফকির - দিল্লী হনুজ দূর অস্ত।

দিল্লী এখনও অনেক দূর । বলে হাতের তসবীহ ঘোরাতে লাগলেন নিশ্চিন্ত ঔদাসিন্যে।



নগরপ্রান্তে পিতার অভ্যর্থনার জন্য পুত্র মোহম্মদ তৈরী করেছে মহার্ঘ মন্ডপ। কিংখাবের শামিয়ানা। জরিতে, জহরতে, ঝলমল। বাদ্যভান্ড, লোকলষ্কর, আমীর-ওমরাহ মিলে সমারোহের চরমতম আয়োজন। বিশাল ভোজের ব্যবস্হা, ভোজের পরে হস্তিযুথের প্রদর্শনি প্যারেড।



মন্ডপের কেন্দ্রস্হলে ঈষৎ উন্নত ভূমিতে সুলতানের আসন, তার ঠিক পাশেই তার উত্তরাধিকারীর। পরদিন গোধুলি বেলায় সুলতান প্রবেশ করলেন অভ্যর্থনা মন্ডপে। প্রবল আনন্দোচ্ছাসের মধ্যে আসন গ্রহন করলেন সুলতান । সিংহাসনের পাশে বসালো নিজ প্রিয়তম পুত্রকে। কিন্তু সে মোহম্মদ নয়, তার অনুজ।



ভোজনান্তে অতি বিনয়াবনত কন্ঠে মোহম্মদ অনুমতি প্রার্থনা করলেন সম্রাটের। জাহাঁপনার হুকুম হলে এবার হাতীর কুচকাওয়াজ শুরু হয়, হস্তিযুথ নিয়ন্ত্রন করবে মোহম্মদ নিজে। গিয়াসউদ্দিন অনুমোদন করলেন স্মিতহাস্যে।



মোহম্মদ মন্ডপ থেকে নিষ্ক্রান্ত হলো ধীর শান্ত পদক্ষেপে।

কড়্‌ কড়্‌ কড়র কড়াৎ।

একটি হাতীর শিরসন্চালনে স্হানচ্যুত হলো একটি স্তম্ভ। মুহূর্ত মধ্যে সশব্দে ভূপতিত হলো সমগ্র মন্ডপ ।



(চলবে)

(যাযাবরের দৃষ্টিপাত থেকে নেয়া)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৭:৫৯

মাহবুব সুমন বলেছেন: বাহ


সুমনের খেরোখাতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.