নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জগৎ মুগ্ধ বাস্তবের বস্তুপুঞ্জে ঠাসা,

রংপুর

rangpur

বলবো না... শুনবো না.... করবো না... মানবো না...

rangpur › বিস্তারিত পোস্টঃ

লালন দর্শনের ভাষ্য ''শহরে ষোলজন বোম্বেটে'

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১





লালন দর্শনের ভাষ্য ''শহরে ষোলজন

বোম্বেটে''-

ফকির লালন সাঁইজি তার

দেহতত্ত্ব মুলক একটি গানে বলেন-

শহরে ষোলজন বোম্বেটে

করিয়া পাগলপারা, তারাই

নিলো সব লুটে ।

রাজ্যেশ্বর রাজা যিনি, চোরের

ও শিরোমণি

নাশিল করিব আমি, কোন সময় কার

নিকটে ।

ছয় জনা ধনী ছিল, তারা সব ফতুর

হলো

কারবারে ভঙ্গ দিলো, কখন যেন

যায় উঠে ।

ছিল ধন-মাল পোরা, খালি ঘর

জমা করা

লালন কয় খাজনারই দায়, কখন যেন

যায় লাটে ।

এই ষোলজন বোম্বেটে হলো মানব

নফসের ছয় রিপু এবং দশ ইন্দ্রিয় ।

আমাদের নফস বা মন

বা জীবনীশক্তি বা জীব

আত্মা স্বভাবতই ভোগবাদী । মন

তার ষড়রিপুর কারণে বিষয়

থেকে বিষয়ান্তে সর্বদা ছুটে চল

মানবদেহে ষড়রিপু কাজ

করে মনের দশটি ইন্দ্রিয়ের

মাধ্যমে । যথা:-

ষড়রিপু- কাম(আসক্তি/যৌনতা),

ক্রোধ (রাগ), লোভ, মোহ (মায়া),

মদ(অহংকার, আত্মগর্ব) এবং মাতসর্য

(হিংসা, ঈর্শা) ।

মনের ইন্দ্রিয় দু'প্রকার-

পঞ্চ জ্ঞান ইন্দ্রিয়- চক্ষু, কর্ণ,

নাসিকা , জিহ্বা ও ত্বক ।

পঞ্চ কর্ম ইন্দ্রিয় - বাক (মুখ), হস্ত

(হাত), পাদ (পা), পায়ূ(গূহ্যদ্বার

বা মলদ্বার) এবং উপস্থ

(জননেন্দ্রিয় বা যৌনদ্বার) ।

মন আবার জ্ঞান ইন্দ্রিয় ও কর্ম

ইন্দ্রিয় এই উভয় ইন্দ্রিয়ের অন্তর

ইন্দ্রিয় । মন, বুদ্ধি, আমিত্ব ও চিত্ত

(আত্ম প্রকৃতি) এই

চারটিকে মিলিয়ে অন্ত:করণ

বা ক্বালব বলা হয় ।কালবে সদায় তিনটি ভাব

বা গুণের উদয় হয়। যথা:-

সতভাব (সত্ত্বগুণ) : বিশ্বাস, ভক্তি,

প্রেম, মনের বিশুদ্ধতা,

সত্যবাদিতা ইত্যাদি উতপত্তি হয়

কালবের সতভাব হতে ।

রাজসিক ভাব (রজ:গুণ) : লোভ-

লালসা, ইন্দ্রিয়শক্তি,

ভোগবিলাস, আরাম-প্রিয়তা,

অহংকার ও

হিংসা ইত্যাদি উতপত্তি হয়

কালবের রাজসিকভাব হতে ।

তামসিক ভাব (তমগুণ) : নিদ্রা,

আলস্য, লাঞ্চনা-বঞ্চনা, খুন-

খারাবি, জালিয়াতি, লুন্ঠন,

চোর্য্যবৃত্তি, সতীত্বহরণ

ইত্যাদি উতপত্তি হয় কালবের

তামসিক ভাব হতে ।

আত্মার (রুহের) স্বভাব

হতে সতভাবের (সত্ত্বগুণ) উদয় হয় ।

মাতৃরজ: হতে রাজসিক ভাবের

(রজ:গুণ) উদয় হয় । পিতৃবীজ (বীর্য)

হতে তামসিক ভাবের (তমগুণ) উদয়

হয় । এই মাতৃরজ: এর চারবস্তু

এবং পিতৃবীজের চারবস্তু

হতে দেহ ও দেহের শক্তি (নফস, মন,

জীবআত্মা) তৈরি হয় । আল্লাহর দশ

আসে রুহ(আত্মা) হতে । এজন্য

বলা হয়, ১৮ চিজে মানব তৈরি । ১৮

চিজ দিয়ে তৈরি মানবের

মধ্যে উপরোক্ত তিনভাব সদায়

কালবে উদয় হচ্ছে ।

ষোলজন বোম্বেটে (ষড়রিপু ও দশ

ইন্দ্রিয় ) মিলে-মিশে সদায়

কালবে এই তিন ভাবের(সত্ত্ব, রজ:,

তম) মধ্যে আঘাত হানে । কিন্তু

রুহের দুটি গুণ জ্ঞান ও বিবেক

(সাধকরা অনেক সময় এ

দুটিকে সুমতি নারী বলে )

দ্বারা নফস (মন, জীবনীশক্তি)

পরিচালিত

হলে কালবে সতভাবের উদয় হয়

এবং মন

সর্বদা ভালো কাজে ধাবিত হয় ।

অপরদিকে নফসের ষড়রিপু

(সাধকরা অনেক সময় এই ছয়

কুরিপুকে কুমতি নারী বলে ) তার

দশ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে রুহের জ্ঞান

ও বিবেক কে (সুমতি নারী)

পরাজিত করতে পারলে মানব

মনে সর্বদা রাজসিক ভাব (রজ:গুণ)

এবং তামসিক ভাব (তমগুণ) বিরাজ

করে । ফলে মানুষ খারাপ চিন্তা,

খারাপ কাজ করতে দ্বিধাবোধ

করে না এবং মন

সর্বদা দুনিয়া রঙ্গিন আবেদনের

দিকে ছুটে চলে । ফলে এই মানবই

আস্তে আস্তে পশুত্ব স্বভাব গ্রহণ

করে । ফলে আকৃতিতে মানুষ

থাকলেও প্রকৃতিতে (স্বভাবে) পশু

বা পশুর চেয়ে খারাপ হয়ে যায়

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শহরে ষোলজন বোম্বেটে
করিয়া পাগলপারা, তারাই
নিলো সব লুটে ।


ধন্যবাদ দিলেও কম হয়। কৃতজ্ঞতা অনেক অনেক।

সুন্দর সাবলীল ব্যাখ্যার জন্য।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

এম মশিউর বলেছেন: ভাই, স্পেসটা ঠিকমত দিলে পড়তে বেশি ভালো লাগতো।।

ভালো লেগেছে।।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯

বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: এই লেখাটা যেখান থেকে সংগ্রহ করেছেন সেটা উল্লেখ করা খুব দরকার ছিলো কিন্তু তা না করে লেখকের কাছে ধরা রইলেন। দয়া করে সূত্রটা লেখার শেষে বা শুরুতে উল্লেখ করুন। কথাগুলো যে সঠিক তা অবশ্যই বলতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.