![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাল পুরোটা দিন অনেক খুজেছি তোকে তোর শহরে (আমার স্মৃতির শহর)।
স্মৃত্বি ঘেরা দুলি কণা ছাড়া কিছুই পেলামনা।
সুরঞ্জনা তোমার মনে আছে আমি এক সময় লম্বা চুল হাতে ব্রেস লাইট,
কানে রিং, গলায় চেইন ও চোখে রঙ্গিন চশমা পড়তাম।
আমার সেই উগ্র চলাফেরা তুমি মোটেও পছন্দ করতে না বলে
আমায় দিনে দিনে পরিবর্তন করে চলছিলে।
মানে তোমার মতো আমাকে তৈরি করছিলে।
ব্রেস লাইট, গলার চেইন, রঙ্গিন চশমা থেকে ঠিকি আমায় পরিবর্তন করেছিলে।
শুধু পারনি কানের রিং থেকে আমায় মুক্ত করতে।
তোমার মনে আছে সেদিন, আমরা আহসান মঞ্জিলের সিড়ির একটু বাম পাশে বসে ছিলাম
ঠিক রক্ত জবা গাছটার নিচে।
তুমি আমার কানে রিং দেখে তা নিয়ে খুব ঝগরা করছিলে আমার সাথে।
এক সময় তুমি খুব রেগে গিয়ে হাত দিয়ে ঠান দিয়ে আমার কান থেকে
রিংটি খুলতে গিয়ে ঘাসের মধ্যে পরে গিয়েছিল।
আমি অনেক খুজে খুজে যখন আর এই দুলটি না পেয়ে কাদো কাদো
হয়ে গিয়েছিলাম তুমি তখন নিজেকে অপরাধী অপরাধী ভাব নিয়ে আমার সাথে
সেই সবুজ ঘাসের ভিতরে রিংটি খুজছিলে।
সুরঞ্জনা তোমার মনে আছে কি আমরা দুই জন যখন রিংটি খুজে পেতে ব্যর্থ হলাম তখন তুমি
আমার কাদো কাদো চেহারা দেখে সত্যি সত্যি তুমি কেদে দিয়ে বলেছিলে
আসেন আপনাকে নতুন একটা কানের রিং কিনে দেই।
আমি তোমার কান্না দেখে চক্ষু লজ্জা ভুলে গিয়ে
তোমায় বুকে জরিয়ে বলেছিলাম আমি আর কোন দিন কানে রিং পরবোনা।
তুমি সাথে সাথে কান্না ভুলে মুচকি হাসি দিয়ে বলেছিলে ছাড়ুন,
দেখেননা সবাই ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে।
আমি ডানে বামে ও পিছনে তাকিয়ে দেখি সব মানুষ গুলি আমার কান্ড দেখে হাসছে।
আমিও তোমার মতোই লজ্জা পেয়ে গেলাম।
সেই থেকেই আর কভু কানের রিং পরা হয়নি আমার।
এখনো আমি তোমার শহরে, তোমার স্মৃত্বি কুড়াতে গেলে আহসান মঞ্জিলে
গিয়ে সেই কানের রিংটা কুড়াতে ভুল করিনা।
কোন বারই পাইনি।
জানী পাবনা তবুও মিছেমিছি খুজে বেড়াই।
জানো আহসান মঞ্জিলে উপস্থিত দর্শকরা আমার কান্ড দেখে মুচকি হাসে।
সম্ভবত উনারা আমায় ভাবেন পাগল।
ঠিক যেমন তুমিও একদিন ভাবতে।
জানো এবারো, না মানে গত কালও আমি আহসান মঞ্জিল গিয়ে ছিলাম।
আশ্চর্য কি জানো?
রক্ত জবা গাছটার নিচে, ঠিক আমাদের মত সেই বয়সি দুইটা ছেলে মেয়ে বসে আছে।
জানো ওদেরকে ওখানে বসা দেখে আমার অনেক হিংসা লাগছি।
যদিও তুমিও আমার মায়ের মতো বলতে আমি মোটেও হিংসুটে না।
কিন্তু আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম আমি হিংসেতে জ্বলে যাচ্ছিলাম।
আরো আশ্চর্য কি জানো ওই ছেলে মেয়ের জন্যই কাল আর কানের রিংটা খুজা হলোনা।
মনে মনে অনেক বকা দিয়ে ত্যাগ করতে হলো আহসান মঞ্জিল।
জানী আমার লেখা কথা গুলি দেখলে তুমি ও ওদের মতো হাসবে
না মানে এখন যারা এই লেখাটা পড়ছেন তাদের কথা বলছি।
জানো ওরা ওনা আমায় তোমার মতো করেই পাগল বলে।
কিন্তু তোমার মতো...............থাক বলবো না।
তোমার শহরটা তোমার মতোই বদলে যাচ্ছে দিন দিন।
তোমার মতোই হচ্ছে আরো পাশান।
তুমি যেই জায়গায় দাড়িয়ে ঈদের সালাম করতে আমায়
কাল দেখলাম সেই যায়গাতে ফ্লাই অভারের মস্ত বড় একটা খাম্বা দিয়ে
আমার স্মৃত্বি গুলির কবর দেওয়া হয়েছে।
দিন দিন এভাবেই স্মৃত্বির শহরটা স্মৃত্বি শূণ্য হয়ে পরবে
ঠিক সেই ভাবেই শূণ্য হয়ে পরবে তোর প্রেমিক মাতালের আয়ু রেখা।
তখন তুই কি করবিরে পাগলি (সুরঞ্জনা)?
২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: জি ভাইয়া আমি জানী আমার অনেক বানান ভুল হয়।
অনেকের পরামর্শ নিয়েছি বানান শুদ্ধ করার জন্য।
আশা করি খানিকক্ষণ সময় ব্যয় করে,এবং আপনাদের পেরনাতে ধীরে ধীরে শুদ্ধতায় পৌছাতে পারবো।
ক্ষমা করবেন আপনি "তুমি" করে বলার একটাও কারণ খুজে পাইনি।
তবে এটা কি আমার ব্যর্থতা নাকী .....................?
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
শায়মা বলেছেন: কবিতার ইমোশনের জন্য আর অরগানাইজড ওয়েটার জন্য + দিলাম ১০০টা।
২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা আপুরা বাস্তবতা কে খুব এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তা আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকেই জানী।
আবেগ কে উনারা গল্প কবিতা নাটক সিনেমার মাঝেই আবদ্ধ রাখেন।বাস্তবের সাথে আবেগকে কভু ও এক করেন না।
ক্ষমা করবেন এভাবে বলার জন্য।
এটা আমার বাস্তব জীবনের শেষ গল্প।
মনে রাখবেন আপু গল্প কবিতা নাটক সিনেমার বাহিরেও মানুষের বাস্তব জীবনেও আবেগ আছে।
আবেগ মানুষকে পরাজয় মেনে নিতে শেখায়, প্রতিহিংসা ভুলে।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
শায়মা বলেছেন: জানি ভাইয়ু!!!!!!!!!!
বাট সব আপুরা বাস্তব এড়িয়ে চলেনা। আমার মত কিছু আপুরা বাস্তবের ধার ধারেনা!!!!!!!! শুধু শুধু এত কষ্ট পেয়ে কি হবে??
২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩২
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: যার আবেগ নেই, তার বিবেক থাকার প্রশ্নই উঠেনা।
তবে কি .....................?
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
শায়মা বলেছেন: বলছে না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আবেগ কি বিবেকের ভাই ভাইয়ু????????????
মোটেও না কখনও না!!!!!!!!!!!!!!!
২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আবেগ বিবেকের ভাই নয় বটে, কিন্তু জন্মদাতা বলতে পারেন।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: ভাল লাগছে। মন্তব্য করার জন্যই লগ ইন করলাম।
আর এটা কি কবিতা? বুঝতেই পারিনি।
২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আপনি কষ্ট করে লগ ইন করে মন্তব্য করার জন্য অশংখ ধন্যবাদ।
যদিও এর চেয়ে বেশী কিছুর পাপ্য আপনি।
আপনার পাপ্যে কমতি হয়ার জন্য আমি দুঃখিত।
এটা আমার বাস্তব জীবনের শেষ গল্প।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো ভাই
২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: কিসের শুভেচ্ছা ঠিক বুঝতে পারলামনা।
অহে বুঝতে পারলাম বটে,
হ্যা বলছি তো এতো হাই উতাস করছেন কেন?
এটা দায় সাড়া শুভেচ্ছে কি ঠিক বললাম না কি?
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
লিংকন১১৫ বলেছেন: বাহ আপনি অনেক সুন্দর লিখেন তো
অনেক ভালো লাগলো
২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০১
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ভাই এটা কোন গল্প, কবিতা,উপন্যাস নয়।
আমার বাস্তব জীবনের শেষ গল্পের সমাপ্তি।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৮
লিংকন১১৫ বলেছেন: বলেন কি ! আমিতো ভেবে ছিলাম ....... আমি আসলে দুঃখিত । এখানে আসলে কিছু বলার নাই । বাস্তব কে সুন্দর ভাবে লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল
২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি খুব আবেগি মানুষ।
বাস্তবতা আমার চির শত্রু।
বাস্তবতাই আমাকে ধংষ করেছে।
কেরে নিয়েছে আমার আপন জন।
তাই বলে আমি বাস্তবতার কাছে মাথা নত করিনি।
এখনো আবেগের প্লাবনে ভাসছি।
যানিনা এ প্লাবন আমায় কোথায় নিয়ে যাবে?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া!!!!!!!!!!!
![:(](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_15.gif)
![:)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_03.gif)
অনেক অনেক সুন্দর আর কেমন কেমন কষ্ট লাগা কবিতা।
কিন্তু একটা কথা, তুমি অনেক বানান ভুল করো।
এখন থেকে অনেক সাবধানে বানান লিখবে ভাইয়ু।