![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকাল থেকে মেয়েটি একটি বেঞ্চিতে বসে আছে, যার সঙ্গে, সে এখনে এসেছে সে তাকে বসিয়ে রেখে কোথায় যেন উধাও হয়ে গেছে। চারদিকের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। বড় বড় নাম না জানা গাছের পাতার ফাঁক গলে পড়ন্ত বিকেলের সোনালী রোদ নানান নকশা বানাচ্ছে, ঝির ঝির শান্ত বাতাস, পাখির কলকাকলি, সব মিলিয়ে অদ্ভুত শান্ত আর মনোরম একটা পরিবেশ।
যেকোনো সময় লোকটি তার মোবাইলে কল দিতে পারে, আর কল আসার সাথে সাথে তাকে এগিয়ে যেতে হবে অনেক উঁচু প্রাচীরে ঘেরা একটি দালানের দিকে।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। কাঙ্ক্ষিত কলটি আসার সাথে সাথে সে উঠে দাঁড়াল , মেয়েটি জানে যে, এই পথ তাকে একাই পাড়ি দিতে হবে, চারিদিকে অসংখ্য প্রহরীর কৌতুহলী আর সতর্ক দৃষ্টি উপেক্ষা করে , নরম ঘাসের উপর দিয়ে , ছোটো ছোটো পা ফেলে মেয়েটি এগিয়ে যাচ্ছে। পড়ন্ত বিকেলের সোনালী রোদ এসে পরেছে তার ক্লান্ত আর উদ্বিগ্ন মুখে, পথ যেন আর শেষ হয় না, এক একটি মুহূর্ত শত কোটি বছরের মত মনে হতে লাগলো। পাখির কল কাকলি, ঝির ঝির শান্ত বাতাস, কোনো দিকেই তার কোনো কৌতূহল নেই…..মেয়েটির সমস্ত দৃষ্টি কিছু দূরের উঁচু প্রাচীরে ঘেরা ওই অন্ধকার কালো দালানটির দিকে। আকাশ স্পর্শী একটা লোহার গেইট, যার আশেপাশে দাড়িয়ে আছে অনেকগুলো অস্ত্রধারী প্রহরী। যাদের সকলের দৃষ্টি তার দিকে।
এই সবকিছু উপেক্ষা করে সে এগিয়ে যাচ্ছে। তার অনেক ভয় করার কথা, কিন্ত কেন জানি কোন ভয়ই লাগছে না।
একসময় সে দালানের ভেতরে ঢুকে গেল, সেখানে দীর্ঘ সরু পথ আর অস্ত্রধারী প্রহরী ছাড়া আর কিছুই নেই। সে একাই হেঁটে যাচ্ছে, তাকে কেউ পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না। কিছু দূর হাঁটার পর একজন হাত উঁচু করে কক্ষটি দেখিয়ে দিলো।
যেখানে অনেক আগ্রহ নিয়ে তার জন্যে অপেক্ষা করছে, একজন বন্দী।…. দীর্ঘদিন কালো কাপড়ে যার চোখ বেঁধে রাখা, যার সারা শরীর জুড়ে রয়েছে অসংখ্য অত্যাচারের চিহ্ন, যার সুন্দর স্নিগ্ধ হাসি আর পবিত্র চাহনিতে বিলীন হয়ে যায় অনন্যার পৃথিবী…* এইখান থেকে সংগৃহীত
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
টুম্পা মনি বলেছেন: ভাল লাগল।