নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশান্ত বাশিওলা

raselabe

তাই মনে হয় আমি বড় স্বার্থপর।

raselabe › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব খাদ্য দিবস ও বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা !! আমার কিছু প্রশ্ন ৳৳৳৳

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

বিশ্ব খাদ্য দিবস ও বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা !!!!!!
গতকাল সারা বিশ্ববাপী পালিত হয়ে গেল বিশ্ব খাদ্য দিবস আর এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষায় কৃষি”। এ দিবসের এক আলোচনা সভায় মাননীয় কৃক্ষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেঃ দেশে এখন ভাত পেতে আর বেশি কষ্ট করতে হয় না। আবশ্যই এটা আমি অকপটে শিকার করি যে বর্তমান সরকারের কৃষি ও কৃষক পৃতির ফল। আমরা আজ আমাদের খাদ্য ঘাততি কাটিয়ে উঠে, চাল বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। আর আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। আজ আমাদের দেশে আর খাদ্য ঘারতি নেই, এক কথায় খাদ্যে সয়ংসর্ম্পন্ন। জিডিপিতেও কৃষির অবদান প্রায় ১৬ শতাংশ। যা অবশ্যই আশা বাঞ্জ্য।সামগ্রিকভাবেই খাদ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে আমাদের অর্জন দৃষ্টান্তমূলক।
তবে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়, যার উত্তর আমার অজানাই রয়ে গেল..................।
খাদ্য নিরাপত্তা কি??
FAO (১৯৯৬) মতে, খাদ্য নিরাপত্তা হচ্ছে, সব মানুষের কর্মক্ষম ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য চাহিদার বিপরীতে পছন্দ মতো পর্যাপ্ত নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির বাস্তব ও আর্থিক ক্ষমতা থাকা। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে কিনা বোঝার উপায় হচ্ছেÑ জাতীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ থাকবে, সময় ও অঞ্চলভেদে সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে, সবাই খাদ্য ক্রয় বা সংগ্রহ করতে পারবে, পুষ্টিকর ও নিরাপদ স্বাস্থ্যকর খাদ্য সহজলভ্য থাকবে। অর্থাৎ খাদ্য নিরাপত্তার মূল বিষয় তিনটি এক - খাদ্যের সহজ লভ্যতা, দুই- সহনশীল খাদ্য-দব্য মূল্য আর তিন হলো – দারিদ্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা।

FAO এর সংজ্ঞা মতে আমরা কি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি??

এবার আসি বাংলাদেশের বাস্তবতার চিত্রে যা দেখায় যে, দেশের ৫ বছরের নিচে ৪১ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির, ৩৬ শতাংশ শিশু নিম্ন ওজন ও ৫১ শতাংশ শিশু রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে। ৪১ শতাংশ মানুষ খাদ্য গ্রহণ করছে ২ হাজার ১২২ কিলো ক্যালরির নিচে এবং সব মিলিয়ে ৫৭ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী পুষ্টিকর খাবার পায় না (তথ্য সূত্র AFO)। এক বিশ্নেশকের মতে বাংলাদেশের মানুষের ৪৯ শতাংশ আমিষের চাহিদা পুরন হয় শুধু মাত্র ভাত থেকে। কারন গ্রামীন ও শ্রমজীবী মানুষদের মাছ, মাংস, দুধ, ডিম কেনার ক্ষমতা খুবই কম। তাদের খাদ্য তালিকাইয় থাকে ভাত ও আলু জাতীয় খাবার। তাহলে ধরেনিতে হবে “” খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বা দারিদ্য মানুষের খাদ্য তালিকায় যোগ করতেই হয় শাক-সব্জি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম। এটা করবে কে ?? কার দায়িত্য এটা করা ?? FAO এর সংজ্ঞা মতে আমরা কি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি??
যে দেশে প্রাইভেট কার শ্যল্কমুক্ত আমদানি হয় সেদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ভ্যাট কেন? আর যে যন্ত্র আমরা স্থানীয় ভাবে প্রস্তুত করতে পারি তা কেনই বা আমদানি করবো ? কেন আমরা পারি না নিজেদের টেকনলজি ব্যবহার করতে? কৃষি ব্যবহার্য্য যন্ত্রপাতিতে যা আমাদের দেশের বেশীর ভাগিই আসে চীন অথবা জাপান থেকে। কিন্তু সে একই যন্ত্র আমাদের দেশের কৃষি প্রকৌশলীরা বা কোন স্থানীয় কোন ওয়ার্কশপে বানানো হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর কোন ব্যাবহার বা ব্যবহারে কৃষকদের উতসাহীত করার কোন কাজ আমাদের দেশে নেই। আর সেটা করতে গেলে কে করবে ??
খাদ্য নিরাপত্তা অত্ররজিত হ্যিওছে সেটা ভাল তার আগে সকল যোগ্যতা সম্পূন্ন ব্যক্তির ক্রয় ক্ষমতা বারাতে হবে । আর সে লক্ষ্যে দেহের বেকার সমাজকে কাজে লাগাতে হবে । আর সেটা করতে হবে অবশ্যই স্বচ্চতা ও যোগ্যতার ভিত্তিত্র ( কোন প্রকার মামা, চাচা, খালু, ব্লা ব্লা এর সুপারিশ ছাড়াই)। তবেই না দেশ যাবে এগিয়ে , গড়বে দেশরত্ন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের স্বপ্ন্বের সোনার ডিজটাল বাংলা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.