![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাসেল আহমেদ মাসুম
বিশ্বপ্রেমিক আলাল আবার পড়েছে প্রেমের প্যাঁচে
আলালের মতো হাজার প্রেমিক রয়েছে অনেক দেশে।
জিন্সের প্যান্ট, চোখে চশমা, কানেতে ইয়ার ফোন
বিজ্ঞের মতো রাস্তায় হাটে, যেন এক সুধীজন।
সিগারেট মুখে টান দেয় সুখে, মনে করে খানদানি
স্বাভাবের দোষে বোঝে নাকো সে, এতে হলো মানহানি।
রাস্তাতে যদি, দ্যাখে যুবতী, ভাব বাড়ে যেন নায়ক
গান গায় যেন শিল্পীর বেটা, আসোলে বাথরুম গায়ক।
ডজন ডজন ফোন নম্বর থাকে তার মানিব্যাগে
রমণী পটানো কথা বলে সদা গহীন রজনী জেগে।
শুধু মেয়ে নয়, মেয়ের মা পটে যায়, আলার মিয়ার কথায়
যেমন কুকুর তেমন মুগুর, কাজ নেই নীরবতায়।
প্রেমিক আলাল ফোনে কথা বলে ঘুমায় ভোরের বেলায়
প্রেমিক বেশে বোঝে নাকো সে, দিন যায় অবহেলায়।
ডজন ডজন রমণী পটিয়ে বিশ্বপ্রেকিম আলাল
কথার প্যাঁচে করেছে আলাল, হারাম জিনিস হালাল।
একদিন এক অচেনা রমণী আলাল মিয়ার বাড়ি
এসে বলে ওগো আলাল আমার, কাজি ডাকো তাড়াতাড়ি।
বলল আলাল ওরে মুখপুড়ী বারারে বাড়িত থেকে
চিনিনা জানিনা বললেই হলো বিয়ে করতে হবে তোকে!
লোকজন এসে জেনে নিল শেষে এই সেই রমণী
যার সাথে আলা কথা বলে রোজ জেগে জেগে রজনী।
বিশ্বপ্রেমিক আলাল শেষে পড়ল প্রেমের প্যাঁচে
মানসম্মান কিছু বাকি নেই, সব তার চলে গেছে।
এই সেই আলা মজুরি খাটে, নেইকো পোষাকি বাহার
হারাম জিনিস হালাল করায়, করুণ দশা তাহার।
বিশ্বপ্রেমিক হয়ে আলা বুঝলো প্রেমের জ্বালা
সব খোয়া গেল খানদানি ভাব, জীবনটা ফালা ফালা।
©somewhere in net ltd.