নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বাসা ঢাকা মেডিকেলের কাছে হওয়াতে সবসময়ই বিভিন্ন মানুষ ফোন দেয় তাদের রুগী আসছে একটু যাওয়ার জন্য। আমিও কখনো কাউকে না বলি নাই। ঢাকা মেডিকেলের সব কিছু সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা আছে, যার ফলে চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারতাম, কারো রক্ত লাগলে ম্যানেজ করে দিতাম। অনেক সময় রুগীর আত্মীয় স্বজন কেউ না থাকলে নিজেই এটেনডেন্ট হিসাবে থাকতাম। ১৯ জুলাই, ২০২৪ বিকেল ৪টা একজনের প্রয়োজনে ঢাকা মেডিকেলের ইমারজেন্সিতে যাই কিন্তু আজকে ইমারজেন্সির সামনের পরিস্থিতি অন্য দিনের মতো নয়। এ এক ভয়াবহ অবস্থা যা লিখে বুঝানো যাবে না। ইমারজেন্সির সামনে হাজারো মানুষ, কেউ ট্রলিতে লাশ নিয়ে দাড়িয়ে আছে, কেউ স্বজন হারানোর ফলে চিৎকার করে কান্নাকাটি করছে। স্বেচ্ছাসেবীরা রক্ত দাতা ম্যানেজ করছে। কেউ স্যালাইন পানি যোগান দিচ্ছে, কোন কোন স্বেচ্ছাসেবীরা টাকা তুলছে।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা এম্বুলেন্স থেকে গুলি খাওয়া মানুষ নামাচ্ছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী রেড ক্রিসেন্টের সাথে আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। এম্বুলেন্স ডুকলেই স্বেচ্ছাসেবী এবং আনসার মিলে মানুষের ভিড় ঠেলে দিয়ে এম্বুলেন্স ভিতরে ঢুকাচ্ছে, ১০-১৫ জন হিজলা গুলি খাওয়া এসব মানুষদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ট্রলিতে উঠাচ্ছে, তারাও স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছে। কেউ আন্তরিকতার কমতি রাখছে না৷ হিজলা গুলোকে দেখলাম ২৪ ঘন্টাই কাজ করছে। খুবই অবাক হলাম ওদের ডেডিকেশন দেখে। এম্বুলেন্স রাখার জায়গাটা স্বেচ্ছায় রক্তদানের ক্যাম্প বসিয়েছে। মানুষ গনহারে রক্ত দান করছে। হাসপাতালের ডাক্তাররা ব্যান্ডেজ আর সেলাই করতে করতে হয়রান, মেডিকেল কলেজের অনেক স্টুডেন্ট চলে আসছে, আজ কেউ দায়িত্ব অবহেলা করছে না। ডাক্তার, নার্স, আনসার, ওয়ার্ডবয়, মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্ট, ইন্টার্নি চিকিৎসক সবাই জীবনের সর্বোচ্চ দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। এই প্রথম বাংলাদেশে দেখলাম ডাক্তাররা জীবনের সর্বস্ব দিয়ে গুলি খাওয়া এসব মানুষের সেবা করছে। সিনিয়র প্রফেসর সহ সকল ডাক্তার টানা ৩ রোস্টার ডিউটি করছে৷ তাদের খাওয়া, ঘুম নাই, মানুষের জিবন বাঁচানোই তাদের এখন চ্যালেঞ্জ। অনেক ডাক্তার মানুষের ভয়াবহ অবস্থা দেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে আর চিকিৎসা দিচ্ছে। ফ্লোর রক্তে চুপ চুপ করছে। মাথার মগজ বের হওয়া কিছু বেওয়ারিশ লাশ ফ্লোরে পড়ে আছে। মর্গে লাশের স্তুপ হয়ে গেছে। কারো ফুসফুসে গুলি লাগছে, কারো গুলি লেগে হার্ট ছিদ্র হয়ে গেছে। কারো চোখে গুলি ডুকে গেছে। কারো মাথায় গুলি লাগছে, কারো পায়ে, কারো পেটে। চোখের সামনে দেখতেছি গুলি খাওয়া মানুষ হা করে নিশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে আর নীল হয়ে মরে যাচ্ছে। কেউ চটপট করতে করতে মরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এটা আরেক গাজা সিটি, চারদিকে হাহাকার অবস্থা। ঢাকা মেডিকেলে বিজিবি, পুলিশ মোতায়েন ছিলো, মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে তাদের আক্রমণ করে ফলে তারা গাড়িতে উঠে কোন মতো পলায়ন করে। প্রতি মিনিটেই এম্বুলেন্স, ভ্যান, রিক্সা, ট্রাক যে যেভাবে পারছে সেভাবেই গুলি খাওয়া আহত-নিহত মানুষ নিয়ে আসছে। যারা এসব আহত-নিহত মানুষদের নিয়ে আসছে তাদের সাথে কথা হয়। তাদের বর্ননা অনুযায়ী পুলিশ আজ কোন টিয়ার শেল, রাবার বুলেট মারছে না, শুধু সমানতালে গুলি করছে। উপর থেকে র্যাব হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করছে, নিচ থেকে পুলিশ গুলি করছে। পল্টন, নীলক্ষেত, বনশ্রী, ধানমন্ডি, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ, বাড্ডা, পুরান ঢাকা এসব এলাকায় রাস্তায় অনেক লাশ পড়ে আছে। হাসপাতালে আনা এসব লাশের বেশির ভাগ স্বজনরাই জানেনা যে তার সন্তান/স্বামী/বাবা/ভাই মারা গেছে। রাতের ১ টা পর্যন্ত আমি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। সম্পূর্ণ টায়ার্ড হয়ে গেছি, আর শরীর কুলাচ্ছে না। রাতের ১ টা বাজে বাসায় চলে আসি। তখনো সমানতালে গুলি খাওয়া মানুষ আসছে। জানিনা আর কতক্ষণ এভাবে চলবে। মিটফোর্ড, মুগদা, সোহরাওয়ার্দী, কুয়েত মেত্রী সকল হাসপাতালে নাকি একই চিত্র। মিটফোর্ডে নাকি আরো ভয়াবহ অবস্থা। বাসায় আসার সময় শুনলাম সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাস্তাঘাট থমথমে অবস্থা। এম্বুলেন্স ছাড়া কোন গাড়ি চলাচল করছে না।
এমন পরিস্থিতিতেও হাসপাতালে কোন সাংবাদিক ছিলো না। ব্লগার, ইউটিউবাররা আসেনি কারন ইন্টারনেট নাই দ্বিতীয়ত শুক্রবার তাছাড়া রাস্তায় কোন গাড়ি নাই।
শুধু প্রথম আলোর একজন সাংবাদিক দেখছিলাম। ৭১ টিভির একটা গাড়ি আসছে, ভাবলাম তাও একটা চ্যানেল আসছে। পরে দেখি ৭১ টিভির সাংবাদিক গুলি খেয়ে আসছে চিকিৎসা নিতে। সংবাদ সংগ্রহের জন্য আসে নাই।
একজন শাসক এতো হিংস্র ভাবে মানুষ মারবে এটা কেউ ধারনা করে নাই। অদ্ভুদ ব্যাপার হলো ঢাকা মেডিকেলের এই কেয়ামত পরিস্থিতি আশে পাশের গলির মানুষরা জানে না। মনে হবে সব স্বাভাবিক চলছে। কারন সরকার মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড লাইন বন্ধ করে রাখছে ফলে ফেসবুক, ইউটিউবও বন্ধ। টিভি চ্যানেল, রেডিও সহ সকল সংবাদমাধ্যম রেস্ট্রিকটেড করে এসব নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এ কেমন রাজনীতি! মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বেতন দেওয়া এসব পুলিশ কিভাবে মানুষদের পাখির মতো গুলি করছে? আপনার কাছে চাকরির চেয়ে মানুষের জীবন নেওয়া বড় হয়ে গেলো? এভাবে গুলির অর্ডার থাকলে চাকরি ছেড়ে দেন। আমি হলে এসব চাকরিতে থুথু মেরে চলে আসতাম। আপনার সন্তানকে এভাবে গুলি করে মারলে আপনার কেমন লাগবে?
ছাত্রদের ছোট একটা দাবী কোটা সংস্কার। ক্ষমতায় দীর্ঘদিন থাকার ফলে আপনার দম্ভ অহমিকা পাহাড় সম হয়ে গেছে। দাবী না মেনে গোয়ার্তমি করে ছাত্রদের রাজাকারের বাচ্চা গালি দিয়ে কোটা সংস্কার করবেন না বল্লেন। অথচ দুইদিন পর সব দাবী মানা হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রীর মাধ্যমে ঘোষণা দিলেন। এখন শুধু কোটা সংস্কার না পারলে আরো বেশি কিছু থাকলে সেটাও দিতে রাজি।
এখন ছাত্রদের সাথে স্বাক্ষাত করতে যেকোনো মূহুর্তে রাজি।
প্রশ্ন হলো একটা রাষ্ট্র নিয়ে, রাষ্ট্রের জনগণ নিয়ে আপনার এসব গোয়ার্তমি করার অধিকার আছে? প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণকালে শপথ পড়তে হয়— "অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করবেন"
অথচ উনি নিজেই বলছেন ২০১৮ সালে রাগ করে সংসদে দাড়িয়ে কোটা বাতিল বলেছেন, মানে আপনি আইন ভঙ্গ করেছেন। সেই চিত্র আবার দেখালো গোয়ার্তমি করে ছাত্রদের রাজাকারের বাচ্চা বলে।
এর আগেও দেখছি আপনার বক্তব্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব কান্ডজ্ঞান হীন। আপনি ড. ইউনুস, খালেদা জিয়া কে পদ্মা সেতু থেকে টুপ করে ফেলে দিতে বলেন। এটা কোন ভদ্র শাসকের ভাষা হতে পারে?
গতবছর (২০২৩) সংসদে দাড়িয়ে বল্লেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি কোথায় দুর্নীতি? প্রমান দেন। এখন বলছেন আমার পিওন দুর্নীতি করে ৪০০ কোটি টাকার মালিক। অথচ খালেদা জিয়ার ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলার কারনে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন না।
এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিচ্ছেন। আপনার প্রত্যেকটা এম পি, মন্ত্রীর গত ১৫ বছরের আমলনামা নেন। দেখেন কি পরিমাণ দুর্নীতি করছে এরা। বছরে ৭৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে এরাই। আমলাদের কথা আর কি বলবো? শত শত বেনজির আছে যারা দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে।
ইজরায়েল ফিলিস্তিনের উপর হামলা করার আগে ঘোষণা দেয় এবং জায়গা খালি করতে বলে। অথচ আপনি পূর্ব হুশিয়ারী বা কোনরূপ ঘোষণা ছাড়াই নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারলেন। আমি ফেরাউন, নমরুদ, আবু জাহেলের ইতিহাস পড়ছি। কাউকেই এতো বর্বর শাসক হিসাবে দেখিনি।
আপনি পূর্বে ইশতেহার দিয়েছিলেন প্রতি ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন। এখন চাকরির বদলে বুলেট দিচ্ছেন, বাহ্। বাংলাদেশে ৩ কোটি মানুষ বেকার করে রাখছেন, কোন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তো নাই, বরং দেশকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত করে রাখছেন। ব্যাংক একটার পর একটা দেউলিয়া হচ্ছে, অন্য ব্যাংকের সাথে একীভূত করার কথা বলে পাবলিককে শান্ত রাখছেন। খাদ্য ভেজাল তীব্র আকার ধারন করছে, পরিবেশ দূষণে সারাবিশ্বে প্রথম দিকে বাংলাদেশ। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে নাকাল মানুষ। মুদ্রাস্ফীতি ভয়াবহ ভাবে বাড়ছে। দেশের আইন, বিচার, শাসন কাঠামো সহ সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে, সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা উঠে গেছে। মানুষ এখন পারিবারিক সমস্যায়ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চায়।
ছাত্রলীগ একটা ছাত্র সংগঠন, এরা ছাত্রদের প্রিয় হবার কথা, ছাত্রদের নিয়ে কাজ করার কথা অথচ সাধারণ ছাত্ররা ছাত্রলীগকে কুকুরের চাইতে বেশি ঘৃনা করে। ছাত্ররা দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ছাত্রলীগকে পিটিয়ে বের করে দিছে। আহ কি লজ্জা! ছাত্রলীগের শিক্ষা কখনোই হবে না। বিশ্বজিৎ হত্যার পরও এদের শিক্ষা হয়নি, আবরার হত্যার পরও হয়নি। এরা জানোয়ারের মতো আন্দোলনরত ছাত্রীদের পর্যন্ত পিটাইলো, ভাবা যায় কতটুকু বিবেকহীন নরপশু হতে পারে এরা? কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম মানুষ হত্যা শুরু করছে ছাত্রলীগই। একটু চিন্তা করুন ছাত্রলীগের কেউ মারা গেলে মানুষ আলহামদুলিল্লাহ বলে ঘৃনা প্রকাশ করে। ব্যাপারটা অনেক ভয়ানক কারন বোখারী শরীফের—১৩৬৭ নাম্বার হাদিসে বলা হয়েছে— কারো মৃত্যুতে সবাই (নিন্দাসূচক মন্তব্য করলে) “আলহামদুলিল্লাহ” পড়লে মৃত ব্যক্তির উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যায়।
বি:দ্র: আমি বিএনপি অথবা জামাত শিবির করিনা৷ বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করেছিলাম, এই সংগঠনের সাথে সকল সম্পর্কের ইতি টেনেছি আরো আগেই
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
আমি রাছেল খান বলেছেন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যেই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেটা একবার ভেবে দেখেছেন? তখন দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে আবার ১০ বছর লাগবে। ১০ বছরের মধ্যে যদি আবার নতুন সরকার আসে তাহলে দেশ হয়ে যাবে পাকিস্তান
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি রাছেল খান বলেছেন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যেই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেটা একবার ভেবে দেখেছেন?
তাইলে আওয়ামী লীগই থাকুক, কি বলেন!!!!!
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
আমি রাছেল খান বলেছেন: একদল আপদ আরেকদল বিপদ, আপদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আনবো বিপদ। কি জ্বালা!!!
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
নতুন বলেছেন: জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
তারপরে জনগন যেই নেতা ঠিক করবে সেই ভাবেই দেশ চলবে।
কোন নিবাচিত সরকার ২০০ মানুষ হত্যার মতন সাহস পায় না। দূনিতি করতে সাহস পায় না।
বিএনপি জামাতের জুজুর ভয় আয়ামীলীগ দেখাবেই। তারা যদি ঠিক মতন চলতো তবে পরিবর্তন চাইতো না।
যারা মানুষ খুন করে, মিথ্যা বলে, দূনিতি করে, তাদের থেকে কোয়ালিসন সরকার খারাপ হবেনা।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমরা অতিশয় অনুন্নত জাতি।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন বলেছেন: জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তারপরে জনগন যেই নেতা ঠিক করবে সেই ভাবেই দেশ চলবে। এটাই হইলো আসল কথা। যেই আসুক, গনহত্যাকারী, ভোটচোর থেকে ভালো হবে।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিলে এবং নিজেরাই নিজেদের শাসক নির্ধারন করে নিবে।
আর ভালো কি খারাপ তা ভবিষ্যতই বলে দিবে।
তবে - সেই শাসক কোটা প্রথার সুফলভোগী ও পীর পরিবারের থেকে খারাপ ও জাহিল হবেনা,এটা আশা করা যায়।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেশে একটা নির্বাচিত সরকারের দরকার, সেটা যে-দলই হোক না কেন। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনেই জয়লাভ করুক, ক্ষতি নাই, কিন্তু ৭ জানুয়ারি ২০২৪ এর নির্বাচনের মতো ইতিহাসের ঘৃণ্যতম ও জঘন্যতম নির্বাচন নয়, এটা অন্তত ১৯৯১, নিদেনপক্ষে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো একটা কিছু হতে হবে।
দেশের ক্ষমতা যখন জনগণের হাতে থাকে, তখন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে যে, তিনি জনগণের সেবক ও রক্ষক, কিন্তু জনগণের ভক্ষক নন, তার পারফরমেন্স ভালো না হলে তিনি পরের বার নির্বাচিত হবেন না। কিন্তু বন্দুকের নলের মুখে যখন আপনি ক্ষমতায় আসেন ও ক্ষমতায় থাকেন, তখন আপনার সেই ভয় আর থাকবে না, তখন জনগণকে শত্রু মনে করা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে, জনগণকে বকা দেয়া, জনগণের সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করা আপনার নিত্যনৈমিত্তিক আচরণ হয়ে দাঁড়াবে। তখন জনগণকে পাখির মতো গুলি করতে আপনার দ্বিধা হবে না। একজন দেশনায়ক হয়ে আপনি আপনার দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মাচারিদের সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন, দেশসেবায় তাদের অবহেলার জন্য, আপনার দলীয় লোকদের সাথেও রাগারাগি করতে পারেন দলীয় কাজকর্ম ঠিকমতো না চালানোর জন্য, কিন্তু জনগণকে 'রাজাকার' বলতে পারেন না, তার অর্থ এখন আপনি যেভাবেই ব্যাখ্যা করেন না কেন। জনগণের উদ্দেশ্যে এও বলতে পারেন না, মেট্রোরেলে কি আমি চড়বো? এগুলো হলো ঔদ্ধত্য।
দেশের এ ভয়াবহ পরিণতির জন্য মূলত একজনই দায়ী, সাথে তার দুই/তিনজন মন্ত্রী।
আমরা সত্যিই এমন বাংলাদেশ চাই না। আমরা সুখী সমৃদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশটাকেই চাই।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ নতুন, দেশের অনেক মানুষ এখনো ভাবছে যে আয়ামীলীগ মন্দের ভালো তাই এরাই থেকে যাক।
কারা তারা ? ব্লগে একটা পোস্ট এসেছিল যে আওয়ামিলীগের পতন হলে নাকি রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে !! একমাত্র এই ভয়ে যারা তুমুল ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে , একমাত্র তারাই চাইতে পারে আওয়ামিলীগ থেকে যাক। কারন বিরুদ্ধপক্ষকে তারা তাদের মতই কসাই ভাবে। প্রচন্ড ভয়ে তারা এটা ভুলে গেছে যে বিরুদ্ধ পক্ষ এখন আর বিএনপি/জামাত নয়, বিরুদ্ধপক্ষ এখন জনগন।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: সরকার ব্যাবস্থায় পরিবর্তন আনা মাস্ট । প্রেসিডেন্টকে বেশ কিছু ক্ষমতা অর্পণ করতে হবে । বেনজির এবং আজিজ যে জড়িত নয় কিভাবে প্রমান করবেন ।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৭
নতুন বলেছেন: @মেঠোপথ২৩ :-
কিছু মানুষ আছে যারা ইংরেজীতে যাদের gullible বলে। তাদের মাথায় সহজেই বীজ বপন করা যায়।
তেমনি আয়ামীলীগ চেতনা বিক্রি করে যাচ্ছে।
যারা কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানায় ক্ষমতায় থেকে তারা আর যাই হোক দেশপ্রেমিক না।
যারা দেশপ্রেমিক না তারা চেতনা বিক্রি করবে আর আপনি আমি সেটা বিশ্বাস করে নেবো?
দূনিবাজেরা এখন মেট্রেরেলের ক্ষতি নিয়ে কান্নাকাটি করছে। কিন্তু লাভ কাদের জানেন? আয়ামীলীগের ঠিকাদারের। এই কাজগুলি জনগনের টাকায় করানো হবে। ঠিকাদারের লাভ হবে, নেতার কমিসন পাবে, আমলা ঘুষ পাবে।
তেমনি জামাত/শিবিরের জুজুতে আক্রান্ত আছে অনেকেই।
চেতনার ফেরীওয়ালা জামাজ/শিবিরের জুজুও বিক্রি করে ফ্রী কারন এই ভয় তাদের ক্ষমতায় থাকতে সাহাজ্য করবে।
এইযে ২০০ মানুষ মেরে ফেললো এখন জামাত/শিবিরের নামে অপরাধ হালাল করে নিবে।
দেশের গড় আইকিউ ৭৪ যেখানে জাপানের ১০৬ তাই বুঝতেই পারছেন সাধারন জনগনের মাঝে খুব বেশি মানুষ চিন্তাকরেনা বেশির ভাগই অন্যকে অনুসরন করে।
১৮ কোটি জনগনের দেশকে আয়ামীলীগের মতন একটা দল দখল করে লুটে পুটে খাচ্ছে, এতো দিন তো দুনিতি করেছে এবার ২০০ এর বেশি মানুষ হত্যাও করতো।
আমরা আসলেই জটিল জাতী।
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪
অপলক বলেছেন: লেখাটা পড়তে অনেক সময় লাগল। চোখ ভিজে উঠছে, বুকের ভেতরে মোচড় দিচ্ছে। থেমে থেমে কয়েক বারের চেষ্টায় পড়লাম। দেখবেন, মডারেটর হয়ত লেখাটা সরিয়ে ফেলছে বা সামহয়্যারইন বাংলাদেশের জন্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে... সময়ের সাক্ষী হয়ে লেখাটা রয়ে যাক যুগ যুগ ধরে...
১২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪
অপলক বলেছেন: লেখাটা পড়তে অনেক সময় লাগল। চোখ ভিজে উঠছে, বুকের ভেতরে মোচড় দিচ্ছে। থেমে থেমে কয়েক বারের চেষ্টায় পড়লাম। দেখবেন, মডারেটর হয়ত লেখাটা সরিয়ে ফেলছে বা সামহয়্যারইন বাংলাদেশের জন্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে... সময়ের সাক্ষী হয়ে লেখাটা রয়ে যাক যুগ যুগ ধরে...
১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮
এক্সম্যান বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যেই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেটা একবার ভেবে দেখেছেন?
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ঠিক কি কি অরাজকতা হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? যেটা এখন হচ্ছেনা।
আমি বিএনপিকে ঘৃনা করতাম ৩ টা কারনে,
এক, রাজাকারকে মন্ত্রী বানানোয়,
দুই, ২১ আগষ্টের সঠিক বিচার না করা
তিন, তারেকের দুর্নিতি
শেষ কয়েকদিন চিন্তা করে দেখলাম বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমার এই তিনটা কারনই ইনভ্যালিড।
জনগনের ক্ষমতা জনগনকে ফিরিয়ে দেয়া দরকার।
১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৫২
পাইকার ১.১.২ বলেছেন: এটা ফিলিস্তিনের কোনো দৃশ্য নয়। ফেসবুক লিংক ভিপিএন ইউজ কইরেন।
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:২৯
নতুন বলেছেন: পুলিশ পুরাই কিলিং মিশনে ছিলো। উপরে পাইকার ভাই যে ভিডিও দিয়েছে সেটা বিশ্ব দেখছে।
এটা দেখার পরেও যারা যারা এই সরকারের পরিবর্তন চায় না তাদের চেহারা দেখতে ইচ্ছা করে।
https://x.com/pinakitweetsbd/status/1817286924404736229?s=46
১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪
রাসেল বলেছেন: আমি জানি না, এটা কতদূর সত্য বা মিথ্যা এবং কারা দোষী । কিন্তু তারা জানে, যারা এই অরাজকতা করেছে। মনে প্রশ্ন জাগে, যারা এই অন্যায় করে তারা কি পৃথিবীর ইতিহাস জানে না, প্রকৃতি একদিন অবশ্যই অবশ্যই বিচার করবে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে একদিন আমাদের মারা যেতে হবে, অর্থ সম্পদ কিছুই তখন কাজে লাগবে না। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনার লিখাটি বাস্তবতা উঠে এসেছে অনেক। আপনাকে একটু জানাতে চাই। হাসপাতালে যেদিন হামলা হলো অসুস্থদের উপর আপনি তখন ছিলেন কি না একটু জানাবেন।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
আমি রাছেল খান বলেছেন: ওইদিন এইদিকে প্রচন্ড ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছিলো। আমি যখন বের হলাম তখন দেখি, কে কাকে ধাওয়া দিচ্ছে তার ঠিক নাই। আন্দোলনকারীরা এবং ছাত্রলীগ যুবলীগ উভয় পক্ষই সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই পিটাচ্ছে। অনেক গুলো গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। পরে বাসায় ফেরত আসি। তবে জানছি যে ছাত্রলীগ ঢাকা মেডিকেলে জরুরী বিভাগে হামলা করেছিলো
১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @নতুন আপনার টুইটার লিংকে আরো অসংখ্য ভিডিও রয়েছে। সেগুলি ছাড়াও আরো ভিডিও নেটের নানা মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। যা দেখলে যেকোনো মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যাবে। শুধু মাত্র কিছু বিবেকহীনরা ছাড়া।
১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮
নতুন বলেছেন: আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @নতুন আপনার টুইটার লিংকে আরো অসংখ্য ভিডিও রয়েছে। সেগুলি ছাড়াও আরো ভিডিও নেটের নানা মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। যা দেখলে যেকোনো মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যাবে। শুধু মাত্র কিছু বিবেকহীনরা ছাড়া।
এবার বুঝুন কেন ইন্টারনেট নেই দেশে।
কয়েকটা দিন এই ভিডিও গুলি দেখে কাজে মন দিতে পারছিলাম না।
বর্বরাতার একটা সীমা থাকা উচিত।
আয়ামীলীগ আর পুলিশে সাইকোপ্যাথের দল হয়ে গেছে বর্তমানে।
২০| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে কি ভাবে।অন্য কে ক্ষমতায় আসতে পারে বলে আপনার ধারণা।
২১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @নতুন বলেছেন : আয়ামীলীগ আর পুলিশে সাইকোপ্যাথের দল হয়ে গেছে বর্তমানে।
পুলিশের যারা এই অপরাধগুলো করছে ,এদের বেশির ভাগই প্রাক্তন ছাত্রলীগের বা যুবলীগের কর্মী।
২২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
নতুন বলেছেন: গত ১৫ বছরে বৃহত্তর ফরিদপুর থেকে ১৫০০০০+ পুলিশে নিয়োগ দিয়েছে।
পুরহিত ডেকে পুরো বংসের কুল্লি চেক করেই নিয়োগ দিসে।
তারজন্যই পুলিশ সরাসরি গুলি করছে,
২৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৪
নয়া পাঠক বলেছেন: নলের মুখে আর কতদিন আমরা এভাবে পড়ে থাকব? ততদিন যতদিন না আমরা প্রতিবাদ করতে শিখবো।
২৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০১
শাওন আহমাদ বলেছেন: নিউজফীডে তাকাতে পারি না; দম বন্ধ হয়ে আসে। অজান্তেই চোখের পাতা বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অসহায় অশ্রু। তারা কিভাবে খাবার খাচ্ছে, ঘুমিয়ে যাচ্ছে, যারা নিজ হাতে এত এত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে?
২৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: কী ভয়ানক অবস্থা! এমন নারকীয় পরিস্থিতির কথা জানা ছিল না।
ছবিটা আপনার তোলা?
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৫
আমি রাছেল খান বলেছেন: না। এটা উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল (আধুনিক মেডিকেল) হাসপাতালের ওইদিনের একটা ছবি। ঢাকা মেডিকেলে এমন বিভৎস পরিস্থিতি ছিলো মানুষের তখন ছবি তোলা, ভিডিও করার প্রতি মনযোগ ছিলো না। হাজার হাজার মানুষ ছিলো। ২/১ একজন ছবি তুলতে পারে হয়তো। আমি দায়িত্ব পালন করছি অবজারভেশন রুমের রুগী নিয়ে। ক্যাম্প থেকে রক্ত আনা, জরুরী ওষুধ আনা, নার্সদের সহযোগিতা করা, জরুরী থেকে রুগী অবজারভেশনে আনা। ভর্তি কাগজ ঠিক করে দেয়া ইত্যাদি
২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:২৬
আলামিন১০৪ বলেছেন: আহ এরা কি এদেশেরই মানুষ যারা গুলি করে মেরেছে আর আদেশ দিয়েছে? ধ্বংশ হোক এরা..
২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:৩৮
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ওইদিন এইদিকে প্রচন্ড ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছিলো। আমি যখন বের হলাম তখন দেখি, কে কাকে ধাওয়া দিচ্ছে তার ঠিক নাই। আন্দোলনকারীরা এবং ছাত্রলীগ যুবলীগ উভয় পক্ষই সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই পিটাচ্ছে। অনেক গুলো গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। পরে বাসায় ফেরত আসি। তবে জানছি যে ছাত্রলীগ ঢাকা মেডিকেলে জরুরী বিভাগে হামলা করেছিলো[/sb
অসুস্থের উপর হামলাকারীদের আবার পিরিত দেখানো লোক আছে। বিবেক কত নীচে।
২৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:১৩
রবিন_২০২০ বলেছেন: কি ভয়াবহ অবস্থা। ধন্যবাদ লিখার জন্য। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান থাকুক এখানে প্রমান হিসাবে।
২৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
জলন্ত প্রমাণ পাওয়া গেল লেখায়। কি ভয়াবহ বিপদ জাতির ভাগ্যে এসেছে। ভাল থাকুন। ভাল থাকুক দেশ।
৩০| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
ধুলো মেঘ বলেছেন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে নামার সাথে সাথে এর নিরীহ কর্মীদেরকে ছিঁড়ে খুরে খেয়ে ফেলবে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। নেতারা অবশ্য পালিয়ে যাবে, কিন্তু বিশ্বের কোথাও গিয়েই তারা শান্তি পাবেনা।
এই ভয়ঙ্কর বিপদ আঁচ করে আওয়ামী লীগ দরকার হলে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক, কামান, বিমান বাহিনীর বিমান ব্যবহার করে ঢাকাকে গাজা বানিয়ে ফেলবে - প্রয়োজনে মোদীজীর হাতে পায়ে ধরবে - কিন্তু ক্ষমতা ছাড়বেনা।
৩১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
প্রহররাজা বলেছেন: বিশ্বাস করতে পারছি না বলে দুঃখিত। আপনার নিজের বানানো গল্প হতে পারে। যাই হোক, আইন ভংগ করা ছাত্রদের উচিত হয় নি।
২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
আমি রাছেল খান বলেছেন: চেতনা বাজদের বিশ্বাস হবে না, স্বাভাবিক।
পুলিশ কোন গুলি করে নাই, RAB হেলিকপ্টার থেকে পানি দিছে, সেনাবাহিনী বিজিবি রাস্তায় রাস্তায় ফুল দিছে। এবার খুশি?
৩২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫১
আমি রাছেল খান বলেছেন:
কত মারা গেছে এটা জানা যেতো এখান থেকে। পুলিশ এটা নিয়ে গেছে। আমার মতে হত্যা ১০০০+ হবে। প্রথম আলো বলছে মাত্র ২০০+
সরকার বলছে ১৫০+
৩৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫৩
আমি রাছেল খান বলেছেন: ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত হইছে ৯৫ জনের মতো। কিন্তু আমি দেখছি অনেক লাশ মানুষ গেইট থেকেই ফেরত নিছে। কিছু ময়নাতদন্ত হয়নি।
৩৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
হাসিব শান্ত বলেছেন: কি ভয়ংকর রে!
এরপরেও ব্লগে দেখবেন কিছু লোক সরকার, আইনরক্ষাবাহিনির পক্ষে সাফাই দিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
নতুন বলেছেন: দেশের মানুষ সবাই মিথ্যা বলছে, শুধু আয়ামীলীগের প্রচারনাই সত্য।
দেশের অনেক মানুষ এখনো ভাবছে যে আয়ামীলীগ মন্দের ভালো তাই এরাই থেকে যাক।
আমিও তাই ভাবতাম। কিন্তু যেই সরকার ক্ষমতায় থাকতে ২০০ মানুষ হত্যা করতে পারে তাদের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই।
এরা গেলে কে আসবে, কি হবে, সেটা ভেবেও অনেকে পরিবর্তন চাইছেনা।
কিন্তু সামনের পরিস্থিতি সামনে দেখা যাবে। সবাই মিলে চেস্টা করতে হবে ভালো কিছু করার।
কিন্তু এই দানবকে সাজা দিতে হবে।