| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
rashedur rhman
অতীতে যে মানুষ আমি দেখেছি বর্তমানে তা দেখি না। আবার বর্তমানে যা দেখি আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতেও তা দেখব না। পরিবর্তন তো হবেই। কিন্তু এই পরিবর্তন আমাদের এখানে ভাল হয় না। এই আমার চরম দুঃখ।
হিটলারের একটা বাক্য আজ খুব মনে পড়ছে। এক বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, 'নো ওয়ান কেয়ারস অ্যাবাউট আওর নেশন'। হিটলারের বক্তব্য ছিল জার্মান জাতির জন্য। কিন্তু আমাদের জন্যও কি কথাগুলো সত্যি হয়ে যাচ্ছে না! আমরা আমাদের জনগণকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করি, নদীতে ডুবিয়ে দিই হাত-পা বেঁধে, বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিই, বিল্ডিং ধ্বসিয়ে দিই। আমরা খুব আনন্দের (?) সঙ্গে এসব উদযাপনও করি। শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সাভারের রানা প্লাজায়। এর জন্য রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করেছে, কিছু শোক বার্তা প্রকাশ করে ও শোক দিবস ঘোষণা করে।
রানা প্লাজার দোষ কি! সে তো আর ভারবাহী কোন যন্ত্র নয়। পাঁচতলার অনুমোদন নিয়ে আটতলা করা হলে, কিংবা ঠিকমতো পাইলিং করা না হলে, কিংবা সয়েল টেস্ট ছাড়াই অনুমোদন নেয়া হলে, রানা প্লাজার কি দোষ! আমিনবাজার দুর্ঘটনায় পঞ্চাশজন মানুষকে আমরা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছি জেনেশুনে। সেখানে কোন বিচার হয়নি। হবে কি করে! ঘুষের দুনিয়ায় এসব কোন ঘটনা নাকি! আশুলিয়ার কারখানায় বিল্ডিংয়ের ভিতর শ্রমিকদের ঢুকিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আগুন লাগিয়ে দিয়েছি। এখানেও ঘুষ দিয়ে কলঙ্কমুক্ত হয়েছি। যে দেশে মা-বোন-ভাইদের লাশ বিক্রি হয় খুব স্বস্তা দামে সেখানে এরচেয়ে বেশি আর কি আশা করা যায়! সাভারের ঘটনা নিয়ে কিছুদিন মানবাধিকার কমিশন বেশ হৈ চৈ করবে। বিবৃতি দিবেন সুশীল (?) সমাজের সভ্যরা। সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করবে। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই আরো এমন এক ট্র্যাজিক ঘটনা বাংলাদেশে ঘটবে (?)। মিডিয়া সেই ঘটনা নিয়ে মেতে উঠবে। ভুলে যাবে রানা প্লাজায় নিহত হওয়া মানুষগুলোকে। এই মানুষগুলোর অসহায় পরিবারকে। মানবাধিকার কমিশনও বিবৃতি দিবে অন্য প্রসঙ্গে। এই সব ফালতু বিষয়গুলোকে আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না! সরকার যদি তার কাজ ঠিকমতো না করে, তবে জনগণ এক সময় ফুঁসে উঠবেই। রানা প্লাজার ঘটনায় দোষী কে? এই প্রশ্নের উত্তর একজন সাধারণ মানুষও জানে। এই জানা বিষয়ের জন্য কোন তদন্ত কমিটির প্রয়োজন নেই। কোন বিবৃতিরও প্রয়োজন নেই। কেবল জনসমক্ষে শাস্তি দেয়া প্রয়োজন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
সময় টিভির লাইভ টেলিকাস্টে এক ব্যাক্তি তার ভাইকে খুঁজতে এসে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন। তিনি তার ভাইকে খুঁজে পাচ্ছেন না। তার দাবি, ভাইয়ের লাশটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দেয়া হোক। ঢাকায় তিনি আর থাকবেন না। এই অভিশপ্ত নগরীতে তিনি আর থাকতে চান না। কিছুদিন পর যদি বাংলাদেশের সকল মানুষ বলে উঠে, এই অভিশপ্ত দেশে আমি আর থাকবো না, তখন কোথায় যাবে রাজনীতি এবং ঘুষনীতি! আর সর্বংসহা অতি ভদ্র বাঙ্গালি জাতি যদি বিচার না পেতে পেতে অতীষ্ঠ হয়ে নিজের হাতেই বিচার তুলে নেয়, তবে কোথায় যাবে এই কলঙ্কিত রাজনীতি! এইসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য খুব বেশিদিন মানুষ অপেক্ষায় থাকবে না। এই উচ্চারণ খুব শীঘ্রই কোটি কোটি মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হবে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪২
rashedur rhman বলেছেন: সহমত
২|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৯
আরিফ আহমেদ বলেছেন: সময় টিভির লাইভ টেলিকাস্টে এক ব্যাক্তি তার ভাইকে খুঁজতে এসে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন। তিনি তার ভাইকে খুঁজে পাচ্ছেন না। তার দাবি, ভাইয়ের লাশটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দেয়া হোক। ঢাকায় তিনি আর থাকবেন না। এই অভিশপ্ত নগরীতে তিনি আর থাকতে চান না
৩|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬
Crazy তৌফিক বলেছেন: ভালো লিখছেন ভাই! ধন্যবাদ
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৬
rashedur rhman বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৭
অন্ধকারের আলোকিত বাসিন্দা বলেছেন: ভাল বলসেন ভাই । রবি ঠাকুরের কথাটাই মনে পড়ে যাচ্ছে সাত(শোল) কোটি বাঙ্গালীর হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙ্গাল করে মানুষ করনি