নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রূপনারানের কূলে জেগে উঠিলাম ,জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয় ।

রুপ নারানের কুলে জেগে উঠিলাম, জানিলাম এ জগত স্বপ্ন নয়।

আদম_

হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।

আদম_ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এতো বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, ডুয়েট লইয়া আমরা কি করিবো?

১২ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯


একটা মশা মারার ব্যাট তার গায়েও লেখা “মেডইন চায়না”। ক্যারে গেদারা, তোরা কি একটা মশা মারার ব্যাটও বানাবার পারস না? কুনো আইডিয়াই কি তগো মাথা থিকা বাইর হয়না?
বংগদেশ একটা কৃষিপ্রধান দেশ। তোরাই ক, আইজ পন্ত তোরা কি মেশিন বানাইছস যা কৃষকদের কামে লাগছে? ওই দিন পেপারে দেকলাম এক এগ্রি-বার্সিটির টিচার ধানের চারা বপনের মেশিন কেমতে চালান লাগে তা পোলাপানগরে শিখাইতাছে। বলাই-বাহুল্য ওই সিম্পল একটা মেশিন কোরিয়ারা বানাইছে, আর তোরা সেইটা খালি চালান শিখলি। নিজেরা ওইরম মৌলিক একটা মেশিনের নকশা বানাবার পারলিনা কেনো তা আন্ধার রাইতে একলা একলা শুইয়া একটু ভাবিস বাছারা।
তোরা সবাই কি খালি পাশ কইরা চাকরির ধান্দাই করবি? নিজেরা কিছু বানায়া, আর্ন্তজাতিক পুরস্কার-টুরস্কার জিতা আমগরে একটু লাফালাফি করনের সুযোগ কইরা দিবিনা?
ছাকিব-মাশরাফিরা হাজার বার বিশ্বকাপ জিতলেও দেশের কোনো উন্নয়ন হবেনা, যদিনা দেশে ইনজিয়ার-বিগ্গানী বের না হয়। একাউন্টিং-ম্যানেজমেন্ট-ইতিহাস-ইংরেজি পড়ে হয়তো কেরানীগিরি করে নিজের দুটো ডাল-ভাত জোটানে যাবে, কিন্তু দেশের জন্য চাই আবিষ্কারক-উদ্ভাবক।
এমন কিছুই কি তোগোরে বানান শিখান হয়না যা ম্যাংগো-পিপলের কামে লাগে? বড় বড় প্রাইজ জিতনের কথা তো বাদই দিলাম। ওরা মশা মারার ব্যাট বানাইছে তোরা মিনিমাম একটা ছারপোকা মারনের ব্যাট বানাতো দেখি।

** কম্পু-সায়েস্নের পোলাপান এই লেখার আওতার বাহিরে থাকবে। কম্পু-সায়েন্সের সবাইরে আর আরেকটা পুলা কি জানি নাম, ওই যে ধান ক্ষেতে পোকা তাড়ানোর মেশিন বাইছে, ওগোরে অনেক অনেক ধন্যবাদ। লেখার ভুল বানান ইচ্ছাকৃত, সঠিক বানান লেখতে লেখতে আর ভাল্লাগেনা।**

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

একাকী সমুদ্রে বলেছেন: কম্পু বাদে বাকি সবার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি যেমন দুষ্প্রাপ্য তেমন দাম বেশি। অন্যদের কিছু করতে গেলে অনেক বেশি একাগ্রতা দরকার। তবে একেবারেই যে কিছু হয় নাই এটা ভুল কথা। তবে পাস করার পর যখন সবাই করার আসল মেধা অর্জন করে সবাই কর্পোরেটের দাস হয়ে যায়। এরপর কিছু সময় গেলে জিআরই দিয়ে আম্রিকা উড়াল মারে। তখন তাদের আবিস্কার গুলা আম্রিকা ভুগ করে। কিন্তু এই দেশ আসলে আমাদের অবকাঠামো দেয় নাই। বুয়েটের অনেক সিনিয়র ব্যাচের এক ভাই রেডিও সিগন্যাল নিয়ে গবেষণা করতে অনেক পছন্দ করতেন। অনেক যন্ত্র কিনে আনেন। কিন্তু কিছু দিন পর তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় কারণ রেডিও সিগ্ন্যাল নিয়ে গবেষণা করা নিষিদ্ধ। (এটা অনেকটা এরকম যে যখন এশিয়ান সাবমেরিন কেবলে সব দেশ যুক্ত হচ্ছিল তখন বাংলাদেশ এর সাথে যুক্ত হয় নাই কারণ তাতে নাকি দেশের তথ্য পাচার হবে)। ভাই চাইলেই হয় না কিছু জ্বালানি লাগে। যারা কিছু করতেছে তারা জানে কি কস্ট করে করা লাগে। আমার এক ক্লাসমেট রোবট বানিয়েছিল যেইটা ইন্ডিয়ার আইআইটিকে পরাজিত করে সেকেন্ড হয়। সে কত প্যাশন নিয়ে কাজ করছিল কত কস্ট করে সব কিছু সংগ্রহ করছিল তা দেখছি। :)

১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮

আদম_ বলেছেন: ব্লগে এইগুলো নিয়ে কথা হয়না কেনো? আমার মতো রাস্তার লেবার এগুলো ভাবতে পারে, ব্লগে লেখতে পারে, আর যারা এগুলো নিয়ে পড়াশোনা করছে, সমস্যা ফেস করছে তারা লেখেনা কেনো? উই মাস্ট হেভ টু রেইজ দি ভয়েস। সরকার শিক্ষা খাতকে বাজেটে সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। সিনিয়র যারা এখন পড়াশোনা শেষ করেছেন বা করছেন তাদের উচিত একটা ফোরাম গঠন করে সরকারের ঘাড়ে-গর্দানে দুইটা লাগানো। আমরা আর কত দিন অন্যদের বানানো মেশিন চালাবো।

২| ১২ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: টেকার ধান্দায় সবাই বিজি । মৌলিক জিনিস পত্তর বানানোর টাইম কই ।

১৩ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

আদম_ বলেছেন: আসলেই টাইম নাই।

৩| ১২ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: এগুলা আছে বইলায় বাইরে থেকে ইঞ্জিনিয়ার আমদানি করা লাগে না। বেতন দেওয়ার সময় তো গায়ে (কোম্পানির মালিকদের ) কাতুকাতু লাগে, হোস্টেলের ডাইল খাইয়াতো আর দেশে বইসা রকেট বানানো যায়না।

১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:০৭

আদম_ বলেছেন: তাইলে কি সারাজীবন এভাবেই চলবে?

৪| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

বনসাই বলেছেন: লেখাটির মূল অর্থ বেশ গভীর, ঠাট্টার ছলে লেখা হলেও বিষয়টি মোটেও হালকা নয়। বাংলাদেশে কোনো বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। আসলে সীমিত শব্দের বদলে 'নেই' লিখতে পারলে সত্যাশ্রয়ী বেশি হতো। উচ্চ শিক্ষায় এতো কৌটা বেঁধে দিলে মেধা কোথায় বিকাশের সুযোগ খুঁজবে? এই বাংলাদেশ থেকে স্নাতক হয়ে কত কত সন্তান বিদেশে গবেষণায়, উদ্ভাবনে সাফল্য পেয়েছে- নতুন করে কি বলতে হবে!
দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রয়োজন সর্বপ্রথম। জীবনের আসল লক্ষ্য কী- সেটাই পরিষ্কার করা হয় না আমাদের সন্তানদের কাছে। দেশপ্রেম বলতে বড় বড় বুলি আউড়ানো হয় কিন্তু শুধুমাত্র নিজ নিজ দায়িত্বটুকুই একটু মনোযোগের সাথে সময় মতো করাটাই সবচেয়ে বড় দেশপ্রেম। আমরা কেবল নিজের কাজটি খুঁজে অন্তত সেটুকু যদি সুসম্পন্ন করি তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। সবাই যদি পথে নোংরা না ফেলি তবে চারদিকে এতো আবর্জনা থাকতে পারে? পারে না।

কম্পিউটার সায়েন্সে কী কী সাফল্যের কথা বলছেন? আমার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে একটি কথা সুযোগ পেলে আমরাও যে পারি তা আপনার "কম্পু-সায়েস্নের পোলাপান এই লেখার আওতার বাহিরে থাকবে।" কথাতে ঊঠে এসেছে। আমরা অধিকাংশ অরিজিনাল ওএস, সফটওয়্যার ব্যবহারের ধার ধারি না। সেগুলো কিনে ব্যবহার করতে হলে কম্পিউটারের প্রসার কতটুকু হতো সন্দেহ আছে। অন্যান্য গবেষণায় পাইরেটেড কিছু নিয়ে কাজ করার সুবিধা আমার জানামতে নেই।

কেন আমাদের বিজ্ঞানের ছাত্ররা পারছে না- সেটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা যেতে পারে। সীমিত সম্পদ দিয়েও অনেক কিছু করা যায়, তারা চেয়ে আছে গরীবের অর্থে পড়ে বিদেশে যেয়ে টাকা কামানোর ধান্ধায়। দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক না হলে চায়না তো অনেক ভালো ভুটান বার্মার জিনিস কয়দিন পর আমাদের ঘরে ঘরে দেখতে পাবেন।

কথাগুলো আরো গুছিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম, হলো না।

১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:১১

আদম_ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুযোগ সুবিধা না পেলে কি করবে বলেন।

১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

আদম_ বলেছেন: এভাবেতো আজীবন চলতে পারেনা।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনে যদি আমারে একখান কাগজ দিয়া কন, রকেট বানাইবার...আমি ক্যান আমার বাপেও পারবো না...।
ফ্যাসিলিটি দিবেন, সুযোগ দিবেন, সম্মানজনক বেতন দিবেন তবেই হবে...তখন মশা মারার ব্যাট না...স্যাটেলাইটও বানায়া দিমু...

যেই দেশে নরমাল ডিগ্রীপাশ পোলা আর ইঞ্জিনিয়ারের বেতন সমান সেই দেশে আর কী করতে বলেন??!?

৩১ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

আদম_ বলেছেন: তাইলে কি সারাজীবন এভাবেই চলবে?

৭| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

জনাব মাহাবুব বলেছেন: বাংলাদেশের পোলাপানরা, মুরুব্বীরা এই পর্যন্ত অনেক কিছুই আবিস্কার করছে, যা মাঝে মধ্যে আমরা বিভিন্ন পত্রিকার ভিতরের পেইজে দেখতে পাই। তাদের এই আবিস্কার যেমন মিডিয়া গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে না, তেমনি সরকারও কোন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় না। :|

আপনি যদি জিঞ্জিরা বা ধোলাইখাল যান, তাহলে দেখবেন বাংলাদেশে এখনও কত মেধাবীরা খেয়ে না খেয়ে অর্ধহারে জীবন কাটাচ্ছে। গবেষণা করে বড় বা ছোট জিনিস আবিস্কার করার মত তাদের কোন এবিলিটি নেই।

সরকারের যদি টনক না নড়ে তাহলে ঢাবি, বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, ডুয়েট দিয়ে কিচ্ছু হবে না। :D

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

আদম_ বলেছেন: দশ কথার এক কথা বলেছেন।

৮| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কে শিখানো হয়- 'Inventing a job is better than finding a job'. আর আমাদেরকে শিখানো হয় ভাল মুখস্ত করে ভাল রেজাল্ট কর। ভাল চাকরী(চাকর)) পাবে। Inventing হবে কোত্থেকে? পদ্বতি চেঞ্জ করা দরকার।


০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৬

আদম_ বলেছেন: চেঞ্জ চেঞ্জ চেঞ্জ চেঞ্জ চেঞ্জ চেঞ্জ চেঞ্জ, উই মাস্ট হেভ টু বি চেঞ্জ

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১০

অবিবাহিত জাহিদ বলেছেন: Vai kotha khati hoilao apner poreceti na thakay kotha gulo khub kom lokee sunbe...
Valo kichu bolta galo moncho lagea a desh a tachara kau kotha sonea na

২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

আদম_ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.