| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আদম_
হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।
১. গেলো কয়েক বছরে রিকশা এবং রিকশা চালকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। যে দিন থেকে রিকশা হাইস্পিডে চলা শুরু করেছে, সেদিন থেকে রিকশা চালকেরা পাবলিকের সহানুভূতি হারাতে শুরু করেছে। চোখ কানা করে দেয়া ধারালো প্রজেকশন লাইট, কান ফুটো করে দেয়া চিকনসুরের হাইর্ডলিক হর্ণ আর তিন চাকার টালমাটাল পায়ের দুরন্ত বেপরোয়া গতি এখন পাবলিকের চরম আতংক আর বিরক্তির কারণ। তার মধ্যে আবার রিকশায় এখন আর শক-এবজরভার স্প্রিং লাগানো হচ্ছেনা, ফলে, সামান্যে ঝাকুনিতেই হাড্ডি-গুড্ডি ভেঙ্গে যাবার অবস্থা্। রিকশা অটোমেশন হয়েছে, ভালো হয়েছে, তবে তা জন্ম দিয়েছে নিরাপত্তাহীনতার এক বিরাট ”কিন্তু”। পাবলিক আছে এক ফাপরে…রিকশা ভালো লাগেনা আবার রিকশা ছাড়াও চলেনা।
২. পিতা-মাতাকে ভালোবাসেনা এমন সন্তানের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। সমাজ কখনো সন্তানদের এই বিরুপ মনোভাবের কারণ জানতে চায়না, জানতে চাইবেনা। সন্তানের প্রতি করা পিতা-মাতার অন্যায় আচরণই তার প্রধান কারণ। তবে, সমাজের ন্যায়-দন্ডের পাল্লা বাই-ডিফল্ট পিতা-মাতার দিকেই কেনো জেনো ঝুকে থাকে- পিতা-মাতার অন্যায় যেনো কোনো অন্যায় নয় বরং তাদের অধিকার। দরিদ্র-মধ্যবিত্ত পরিবারে এই সম্যসার প্রার্দুভাব বেশি। মন ভরা ঘৃণা নিয়ে, গলায় আটকে থাকা কাটার মতো সোশাল ট্যাবু নিয়ে অনেক সন্তানেরা তাদের পিতা-মাতাকে ভালোবাসার অভিনয় করে যায় সারাজীবন।
৩. বাংগালীর বিনিয়গ ভাবনা খুব সহজ। রাস্তার পাশে জায়গা আছে, তো, তোলো দোকান দাও ভাড়া। এ ছাড়া অবশ্য কোনো বিকল্পও নেই। হাতে জমানো কিছু পয়সা দিয়ে বাই-পাস ইনকামের বিকল্প নিরাপদ রাস্তাগুলোকে আমাদের সাধু-বড়লোক-দরবেশ বাবারা হত্যা করে গেছে। সব ব্যাংক গুলো ইসলামী ব্যাংকের লেবাস ধরতে যেনো উঠে পড়ে লেগেছে, কারণ ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা এদেশে সহজ, আর লোক ঠকানো ইসলামী ব্যাংক গুলোর একটা ধান্ধা। সুদ খেতে না চাইলে যে কোনো ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট খুললেই চলে।
©somewhere in net ltd.