![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতজানু হয়ে বসবো বলে একজন ঈশ্বর খুঁজছি।
যিনি সোনাদানা বা প্রাণীর রক্তের উৎকোচ ঘেন্না করেন,
যাঁর প্রার্থনার কোনো তিথি , ক্ষণ, প্রকার বা দিক নেই।
বস্তুত প্রার্থনা শুনলেই যিনি ঈষৎ পাগলাটে গলায় বিরক্তিতে বলে ওঠেন,
‘মাথার ওপরে আকাশ দিয়েছি, পায়ের নিচে মাটি দিয়েছি,
বুক ভরে টানার জন্য বাতাস দিয়েছি, নদী দিয়েছি, পাহাড় সমুদ্র অরণ্য দিয়েছি,
আর দিয়েছি তোকে স্বাধীন কল্পনা, স্বপ্ন এবং ইচ্ছে।
আর কি চাই রে তোর হতভাগা?’
অথচ যেখানেই যাই, ঈশ্বর সেনানায়কের মতো ব্যুহ সাজিয়ে নিয়মের যুদ্ধে ব্যস্ত।
অমুক দিনে অমুক সময়ে জমায়েত হয়ে ডাকতে হবে,
তমুক বইয়ের শব্দগুলো তোতাপাখির মতো আওড়াতে হবে,
একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই কর্নেল ক্যাপ্টেনরা রে রে করে তেড়ে আসবেন!
যিনি নিজেই নিয়মের নাগপাশে বাঁধা, তেমন প্রতিবন্ধী ইষ্টদেবতা আমায় মুক্তির স্বাদ দেবেন কেমন করে?
আমি এক সীমাহীন ঈশ্বরকে খুঁজছি, যিনি মানুষের নিয়মের হাতে বন্দী নন,
যিনি বনসৃজনকে উপাসনা বলেন, হঠাৎ মনে গুনগুনানো গানের কলিকে মন্ত্র বলে স্বীকার করেন, এবং নিজের প্রতি সৎ থাকা সকলকেই পৌরোহিত্যের অধিকার দিয়েছেন।
যাঁর কোনো দেবালয় নেই অথচ অযুত উপসনাস্থল আছে,
যাঁর কোনো উপঢৌকন নেই, কিন্তু নিত্য অকুন্ঠ ভালোবাসার অঞ্জলি আছে অজস্র ভালো কাজে।
সেই ঈশ্বরের সন্ধানে আছি, যিনি প্রেমের অপরাধে শাস্তি দেননা,
কিন্তু নারীর অসম্মানে যাঁর তৃতীয় নয়ন জ্বলে ওঠে।
যিনি ব্যাংকব্যালেন্স এবং রাজনৈতিক পতাকার ক্ষমতাকে তাঁর চেয়েও বেশি শক্তিমান মনে করেননা,
যিনি শ্রান্ত মনের আশ্রয়, কারো বিচারক বা সংশোধনাগার নন।
সারা দুনিয়া চষে ফেলেও তাঁকে আমি খুঁজে পাচ্ছি না, তবে কি মানুষ তাঁকে পৃথিবীর বাইরে কোথাও নির্বাসন দিলো?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬
সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।