![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য অনুসন্ধান পছন্দ করি, ব্যাক্তিস্বার্থ ক্ষুন্ন হলেও
নিকৃষ্টতম কাজ ধর্মের মাঝে কিছু উদ্ভাবন, প্রত্যেক এরূপ উদ্ভাবন বেদাত, প্রত্যেক বেদাত পথভ্রষ্টতা, প্রত্যেক পথ ভ্রষ্ট জাহান্ণামী হাদীসের শত শত কিতাব, ইতিহাসের লক্ষ- হাজার পৃষ্ঠা কোনখানে " ঈদে -এ-মিলাদুন্নবী " নেই, এই শব্দটিই নেই!
থাকবে কি করে , " ঈদে - এ -মিলাদুন্নবী " শব্দটাই আরবী না! আর হাদীসের কিতাবগুলো তো আরবীতে লিখা । বেদাতীদের কাছে বহুবার জানতে চেয়েও এই শব্দটার আরবী কি জানতে পারবেন না ! আর যে তরজমা তারা দিবে ( যদি আদৌ দেয় ) সেটাকেও পাবেন না কোরাণ - হাদীসে কোথাও ! পাবেন না ইসলামী আইনের লোক কিতাবে, পাবেন না শখানেক তাফসীরের কিতাবে ।
রাজারবাগীর ইসলাম বিকৃতির আরেক নমুনা " পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম ৫৬ দিন ব্যাপী ঈদ-এ-মিলাদুন্ণবী" উদজাপন । নিজারাই দিচ্ছে নিজেদের সৃষ্ট বেদাতের প্রমান । পৃথিবীর ইতিহাসে আবু বকর ওমর ওসমান আলী সহ কোন সা হাবী যা পরেননি, তাই করছে রাজারবাগীরা!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
রাতুলবিডি২ বলেছেন: ঈদে মিলাদুন্নবি সা যথা যুগ্য মর্যাদায় উদযাপন ও আনন্দ প্রকাশ
ইমানদার মুমিন গনের জন্য অসংখ্য রহমত ও সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত তাই ????
তাহলে এই এবাদত থেকেই বন্চিত ছিলেন :
আবু বকর, ওমার, ওসামন ,আলী ,তলহা, জুবাইর, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, সা'দ ইবনে আবু ওক্কাস , আবু ওবায়দা ইবনুল জাররা, সঈদ বিন জাইদ ( রাদিআল্লাহু আনহুম)- এই দশজন আশারায় মুবাশশারা সাহাবীর ! দুনিয়াতে থাকতেই সুনির্দিষ্ট ভাবে জান্নাতের খবর পেয়েছিলেন যারা !!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আরো সুযোগ হয়নি আবু হানিফা, শফেয়ী, মালেক বা আহমাদ ইবনে হম্বল এমন কোন মুজতাহিদ ইমামের ! বেদাতীরাও বলে মাজহাব মানে!
তারা কোন মাজ হাবের অনুসরণ করে- তাদেরকে সামলে পেলে একটু জানতে চাবেন ! তাদের মাজ হাবের ইমামের ফতোয়া " ঈদ-এ-মিলাদুন্ণবী" এর বিষয়ে কি - সেটা জানতে পারলে দয়া করে একটু জানাবেন!
তাদের মাজ হাবের কোন কিতাবে এর ফতোয়া- মাসালা বা পদ্ধতি লিখা আছে দয়া করে সেটঅ জানতে চাইবেন!
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঈদ অর্থ খুশি আর মিলাদ অর্থ জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা
সাহাবা গন এবং পরবর্তী অনুসারি গন আদর্শের দিক দিয়ে তার মহান
শানে আলোচনা রাখতেন । এবং যথা যোগ্য মর্যাদায় দিনটি উদযাপন
করতেন ।কোরআন অয়ামা আরছালনাকা ইল্লা রাহমাতুল্লিল আলামিন
আল্লাহ বলেন আমি আপনাকে সমগ্র জগতের রহমত স্বরূপ প্রেরন
করেছি ।
আয়াত ইন্নাল্লাহা অয়ামালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান্নাবিয়ু ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলায়হে অছাল্লিমু তাছলিম
আল্লাহ বলেন আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে
দরুদ ও ছালাম ভেজি আমার হাবিবের উপর হে ইমানদার গন তোমরাও ব্রশি বেশি পড় ।
আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাজি ফাত্তাবিউনি ইবুব কুমুল্লা ইয়াগফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম
আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আমাকে লাভ করতে চাও আগে আমার হাবিবের অনুসরন কর আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব ।
হাদিস যারা একবার নবীজীর উপর দরূদ ও ছালাম ভেজে তার শরীর থেকে ১০ গোনাহ ঝরে যায় তার আমল নামায় ১০ নেকি যোগ করে দেওয়া হয় এবং তাকে ১০টি সম্মান বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় । মুসলিম ও বোখারিশরিফ
যে এবাদতে দরুদ নাই সে এবাদত আল্লাহর নিকট পউছেনা বরং
৪র্থ আকাশে ঝুলে থাকে আর যে এবাদতে দরূদ আছে সে এবাদত
বিজলির ন্যায় আল্লাহর নিকট পৌঁছে ।
হজরত উমর ফারুক রা
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
রাতুলবিডি২ বলেছেন: নিকৃষ্টতম কাজ ধর্মের মাঝে কিছু উদ্ভাবন, প্রত্যেক এরূপ উদ্ভাবন বেদাত, প্রত্যেক বেদাত পথভ্রষ্টতা, প্রত্যেক পথ ভ্রষ্ট জাহান্ণামী
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
পলপট বলেছেন: আমি অনেক বিশ্বখ্যাত কিতাবে ঈদে মিলাদুন্নবী বিষয়টি পেয়েছি। আর এটি ইসলাম সম্মত বলেই বিশ্বের ৫০ টির বেশী দেশে এটি রাষ্ট্রিয়ভাবে উদযাপন করা হয়। সৌদী আরবেও করা হতো..তবে বর্তমান মার্কিন বন্ধুবর শাসকগোষ্ঠি ক্ষমতায় আসার পর এটা নিষিদ্ধ বলে ফতোয়া দেয়া হচ্ছে। আর এটি ইসলামী ঐতিহ্য বলেই এখনও অন্য সব আরব দেশগুলোতে ঈদে মিলাদুন্নবী খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয়। এগুলো খুবই-প্রমানিত সত্য।
এটা রাজারবাগীদের বানানো কোন বিষয় নয়। তবে তারা সবচে বেশীদিন করে এটা করে থাকতে পারে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: নিকৃষ্টতম কাজ ধর্মের মাঝে কিছু উদ্ভাবন, প্রত্যেক এরূপ উদ্ভাবন বেদাত, প্রত্যেক বেদাত পথভ্রষ্টতা, প্রত্যেক পথ ভ্রষ্ট জাহান্ণামী
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: হায়রে গরু রে ।
তোর মত জানোয়ার আর মনে হয় পৃথিবীতে নেই।
যিনি নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, যাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ পাক আসমান যমিন এমনকি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেও সৃষ্টি করতেন না। আর উনার বিলাদত শরীফ অর্থাত ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাকে বিদয়াদ বললি।
তোর উপর আল্লাহ পাকের লানত পড়ুক।
তুই জাহান্নামে যা ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশী
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: গরু, গাধা, ছাগল, বালহুম আদাল
মিলাদ শব্দটি কি আরবি না??????
নাকি তোর বাপ-দাদার কোন গুষ্টি এটা অন্য ভাষায় আবিস্কার করেছে?????
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
রাতুলবিডি২ বলেছেন: " ঈদে - এ -মিলাদুন্নবী " শব্দটা আরবী ?
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
শার্ক বলেছেন: This is bidhah clearly. Even you can't show that Sahaba organized and followed this. Also, anything new innovative is bidah. You care referring one item from Quran and doing another things this is ridiculous. If this is so important then why any Sahaba didn't follow this and if they dont follow then this is alos forbidden for us.
Also, as writer mentioned that this is not an Arabic word so you can easily comprehend this.
So, if you still want to follow this then do and you will be asked in the day of judgement not me. So, prepare you answer first otherwise strong fire is waiting for you.
Allah knows best.
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
সরল পথিক বলেছেন: 1. Imam Al-Hafiz Al-Suyuti in his famous book "Al-Hawii Lil-Fatawii" allocated a special chapter on that topic and named it "The Excellence of Objective in Celebrating the Mawlid" where he said: The question under consideration is what the verdict of the Shari`ah on celebrating the Holy Birthday of the Noble Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him) during the month of Rabbi-ul-Awwal. From the point of view of Shari`ah is this a praiseworthy action or a blameworthy one? And do those who arrange such celebration receive blessings or not? He said: "The reply to this question is that in my view the Meelad Shareef (Celebration of the Birthday of the Noble Prophet Allah`s Grace & Peace be upon Him) is in fact such an occasion of happiness on which people assemble and recite the Holy Qu`ran to the extent that is easy. Then they relate the prophecies concerning the appearance of the Noble Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him) that have been transmitted in Ahadith and Athar, and the miraculous events and signs that took place on his birth. Then food is set before them and according to their desire they partake thereof to satisfaction. This festival of celebrating the birthday of the Noble Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him) is a Bid`ah Hasanah (good innovation) and those arranging it will get blessing, since in such a celebration is found the expression of joy and happiness at the greatness and eminence of the Noble Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him) and his birth". Even Ibn Tay`miah said in his book "Necessity of the Right Path", p. 266, 5th line from the bottom of that page, published by Dar Al-Hadith, the following: "As far as what people do during the Meelad, either as a rival celebration to that which the Christian do during the time of Christ`s birthday or as an expression of their love and admiration and a sign of praise for the Noble Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him), Allah Almighty will surely reward them for such Ij`tiha". He then said: "Although Meelad was not practiced by (Salaf), they should have done so since there was no objection against it from the Shari`ah point of view". And we certainly only celebrate Meelad out of love and admiration to the Prophet of all Mankind.
2. Imam Al-Hafiz Al-Qastalani, who gave commentary on Sahih Bukhari, said: "May Allah Almighty shower his Mercy upon a person who takes the days of the month of Rabbi-ul-Awwal, in which the Noble Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him) was born, as days of feast and celebration for doing so is the best cure for the heart of an ailing person."
3. Al-Hafiz Ibn Hajar was asked, same reference of Imam Suyuti, about Meelad Shareef. His reply was: "Meelad Shareef is, in fact, and innovation, which was not transmitted from any pious predecessor in the first three centuries. Nevertheless, both acts of virtue as well as acts of abomination are found in it (i.e. sometimes acts of virtue are found therein and sometimes acts of abomination). If in the Meelad Shareef only acts of virtue are done and acts of abomination are abstained from, then the Meelad Shareef is a Bid`ah Hasanah (good innovation), otherwise not." He then added "... to do any virtuous act and to observe it annually as means of recollection for any special day on which Allah Almighty has bestowed any favor or removed any calamity is a form of showing gratitude to Allah Almighty. Gratitude to Allah Almighty is expressed through different kinds of Ibaadah (worship) -prostration and standing in prayer, charity and recitation of the Holy Qu`ran. And what is a greater favour from Allah Almighty can there be than the appearance of the Prophet of Mercy (Allah`s Grace & Peace be upon Him) on this day (i.e. 12th of Rabbi-ul-Awwal)?" Some people do not limit it and celebrate the Meelad Shareef on any day of Rabbi-ul-Awwal. Nay, some people have extended it even more and increased the period to the whole year. According to the latter, the Meelad Shareef can be celebrated on any day of the year. The objective here is the same, i.e. to rejoice at and celebrate the Holy Birth of the Noble Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him).
4. Imam Abu-Bakr Abdullah Al-Demashqi compiled a number of books on the subject and called them "Collection of Traditions on the Birth of the Chosen Prophet", "The Pure Expression on the Birthday of the Best of Creations" and "The Spring for the Thirsty One on the Birth of the Rightly Guided".
5. Imam Al-Hafiz Al-Iraqi wrote a book and called it "The Pure Spring on the Sublime Birth".
6. Imam Ibn Dahyah wrote a book and called it "Enlightenment on the Birthday of the Bearer of Good News, The Warner".
7. Imam Mulla Ali Qari wrote a book and called it "The Quenching Spring on the Birthday of the Prophet". (Allah`s Grace & Peace be upon Him)
8. Imam Shams Ul-Din bin Naser Al-Dumashqi, said in his book "The Spring for the Thirsty One on the Birth of the Rightly Guided" about the story of Abu Lahab that he will receive a light punishment every Monday for expressing joy at the birth of the Noble Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon him) on that day. The Imam said the following verse of poetry, the translation is: If such Kafir was denounced in the (Qur`an) And perished are his hands, and in the Flames is his eternal abode It is narrated that every Monday His torment is made easy for his Joy at the Birth of Ahmad What is the expectation then of a servant who spent all his life Happy with the Arrival of Ahmad (Allah`s Grace & Peace be upon Him)and died on the Oneness of Allah.
9. Imam Shams Ul-Din Ibn aL-Jazri, the Imam of Reciters, wrote a book and named it "The Scent of Notification on the Blessed Birthday".
10. Imam Al-Hafiz Ibn Al-Jawzi, said in the description of Meelad: "Peace and Tranquility takes over during that year and a good glad tiding to obtain your wish and inspiration".
11. Imam Abu-Shamah, The Sheik of Al Hafiz Al Nawawi, said: "The best of the innovations of our times is what is carried out on the day of corresponding to the birthday of our Beloved Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him), where people give out donations, practice what is right, express their joy and happiness, in doing so is surely a sign of love and admiration for the Prophet (Allah`s Grace & Peace be upon Him)".
____________________________
আমি জানি এরপরো তুমি অস্বীকার করবে, কিন্তু কিছু করার নেই। পৃথিবীতে হাজার মত-পথ আছে থাকবে এটা স্বাভাবিক।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আবু বকর, ওমার, ওসামন ,আলী ,তলহা, জুবাইর, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, সা'দ ইবনে আবু ওক্কাস , আবু ওবায়দা ইবনুল জাররা, সঈদ বিন জাইদ ( রাদিআল্লাহু আনহুম)- এই দশজন আশারায় মুবাশশারা সাহাবীর কেউ পালন করেছেন?
আবু হানিফা ? আহমাদ ইবনে হাম্বল?
বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী ?
ইমাম বুখরী? তিরমিজী ? নাসাঈ ? ইবনে মাজাহ ? আবু দা্উদ ?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আবু বকর, ওমার, ওসামন ,আলী ,তলহা, জুবাইর, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, সা'দ ইবনে আবু ওক্কাস , আবু ওবায়দা ইবনুল জাররা, সঈদ বিন জাইদ ( রাদিআল্লাহু আনহুম)- এই দশজন আশারায় মুবাশশারা সাহাবীর কেউ পালন করেছেন?
আবু হানিফা ? আহমাদ ইবনে হাম্বল?
বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী ?
ইমাম বুখরী? তিরমিজী ? নাসাঈ ? ইবনে মাজাহ ? আবু দা্উদ ?
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: লেখক মূর্খটা বলেছে, আবু বকর, ওমার, ওসামন ,আলী ,তলহা, জুবাইর, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, সা'দ ইবনে আবু ওক্কাস , আবু ওবায়দা ইবনুল জাররা, সঈদ বিন জাইদ ( রাদিআল্লাহু আনহুম)- এই দশজন আশারায় মুবাশশারা সাহাবীর ! দুনিয়াতে থাকতেই সুনির্দিষ্ট ভাবে জান্নাতের খবর পেয়েছিলেন যারা !!
এই বেটারে আমি সামনে পেলে জুতা পেটা করে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতাম।
বদমাশটা কি জানেনা অসংখ্য-অগনিত হাদীছ শরীফ আছে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে।
আবু বকর সিদ্দিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, ওমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু , উসমান রদ্বিয়াল্রাহু তায়ালা আনহু , আনাস রদ্বিয়াল্রাহু তায়ালা আনহু, আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সহ অনেক ছাহাবী উনাদের।
উনারা তো পালন করেছেনই । সকল উম্মতকে পালন করতে বলেছেন। এবং এমনও বলেছেন, যারা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে তাদের সকলের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। সুবাহানাল্লাহ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: এই বেটারে আমি সামনে পেলে জুতা পেটা করে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতাম
জনাবের কি খোদাই দাবী করা হল না ?
ফিরআউনের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে বৈকি !
৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: কি রে ইহুদীর বাচ্চা রাতুলবিডি পালাইলি কেন?
উত্তর দে????????
১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: এইচ এম বিশ্বাস @ মহানবী কি সৃষ্টি না করলে আল্লাহ এই দুনিয়া কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন না এইটা যদি আপনি আমারে কোরআন আর হাদিস থেকে (সহিহ হাদিস, আপনাদের বানানো না) দেখাতে পারেন আমার আপ্নারে দিয়া দিমু।
মহানবী ক্ষমতা ছিল কারো জন্য বদ দোয়া করার কিন্তু তিনি করেন নি।তায়েফের লোক দের জন্য দোয়া করে জাহান্নামে পাঁঠাতে পারতেন তিনি করেননি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আপনার ইমানি জোর মনে হয় মহানবী (সাঃ) এর চাইতেও বেসি। এতই বেসি যে লেখকরে জাহান্নামে পাঠাইতে চান। জয় হক আপনার ইমানের। আর আমাকে হাদিস গুলো রেফ সহ দেনতো দেখি যেখানে তারা ইদ-এ-মিলাদুন্নবী পালন করছে? কুরআনে ঈদ কি ২ টা না ৩ টা? হাদিসে কয়টা ঈদ এর কথা বলা আছে ? ১ টা ৩ টা না ২ টা?
১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: আমার নিক আপ্নারে দিয়া দিমু।
১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
আলতামাশ বলেছেন: শরিফ ভাই, মহানবি (স.) কে সৃষ্টি না করলে জগত সৃ্ষ্টি করতেন না এটা সম্পুর্ণ জাল হাদিস। আমার কাছে বিস্তারিত প্রমাণ আছে
১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: The meaning of the Milad is Birth
মিলাদ অর্থ জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা এই অর্থ কি রাজারবাগ থেকে বের করা? নেট যেহেতু ইউজ করতে পারো একটু কষ্ট কর সার্চ করে নাও।
১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
আলতামাশ বলেছেন: রাজারবাগিরা ঈদে মিলাদুন্নবি প্রমাণ করার জন্য এমন কতগুলো বইয়ের নাম বলবে, যেগুলো আমার মতন সাধারণ মানুষ কেন, বিশ্বের কোন আলেম শুনেছে কিনা সন্দেহ
মনে হয়, ঐ কিতাবগুলো রাজারবাগির কারখনায় তৈরী করা হয়েছে
১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: আলতামাশ@ আমি জানি।
১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
আলতামাশ বলেছেন: কথিত ঈদে মিলাদুন্নবি নামক দিনে সরকারি ছুটি বন্ধের দাবি করছি।
কারণ, সরকারি ক্যালেন্ডারে একে মুসলমানদের জন্য ছুটি হিসাবে দেখানো হয়েছে।
অথচ ইসলামে এর কোন অস্তিত্ব নাই। ইসলাম কখনই কারো জন্ম এবং মৃত্যু দিবস পালন অনুমোদন করে না।
তাছাড়া ১২ই রবিউল আউয়াল যে দিনে বেদাতিরা ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করে ঐতিহাসিক কেউই নিশ্চিতভাবে বলেন নি যে এই দিনে নবিজি(স) জন্মগ্রহণ করেছেন। নবিজির জন্ম দিবস নিয়ে ঐতিহাসিকদের বড় ধরনের মতভিন্নতা রয়েছে
১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
আলতামাশ বলেছেন: আজকে দেখলাম বাগিরা রাস্তায় রাস্তায় ঈদে মিলাদুন্নবির পোস্টার লাগিয়ে রেখেছে। এমনকি ডাস্টবিনের কাছেও। আরেক লোক দেয়ালের মধ্যে লিখে রেখেছে যে এই খানে পোস্টার লাগানো নিষেধ। বাগিরা ঐখানেও পোস্টার লাগাইছে।
নবিজি(স.) এর নাম ডাস্টবিনের পাশে লাগানো আর আরেক জনের দেয়াল নষ্ট করা কি ইসলাম অনুমোদন করে
১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: পলপট বলেছেন: আমি অনেক বিশ্বখ্যাত কিতাবে ঈদে মিলাদুন্নবী বিষয়টি পেয়েছি। আর এটি ইসলাম সম্মত বলেই বিশ্বের ৫০ টির বেশী দেশে এটি রাষ্ট্রিয়ভাবে উদযাপন করা হয়। সৌদী আরবেও করা হতো..তবে বর্তমান মার্কিন বন্ধুবর শাসকগোষ্ঠি ক্ষমতায় আসার পর এটা নিষিদ্ধ বলে ফতোয়া দেয়া হচ্ছে। আর এটি ইসলামী ঐতিহ্য বলেই এখনও অন্য সব আরব দেশগুলোতে ঈদে মিলাদুন্নবী খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয়। এগুলো খুবই-প্রমানিত সত্য।
এটা রাজারবাগীদের বানানো কোন বিষয় নয়। তবে তারা সবচে বেশীদিন করে এটা করে থাকতে পারে।
সহমত ......................
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আমি অনেক বিশ্বখ্যাত কিতাবে ঈদে মিলাদুন্নবী বিষয়টি পেয়েছি -
শব্দটাই তো নাই! শব্দটা কি আরবী ??
১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
আলতামাশ বলেছেন: তারা পোস্টারে লিখেছে ইতিহাসে এই প্রথম ৫৬ দিন ব্যাপি ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হবে রাজারবাগ দরবার। অর্থাৎ নিজেরাই ঘোষনা দিচ্ছে তারা নিজেরা এই কালচার সৃষ্টি করছে।
অথচ প্রিয়নবী(স.) বলেন, (ধর্মের বিষয়ে ধর্ম মনে করে) প্রত্যেক নবসৃষ্টি বিষয় হল পথভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক পথভ্রষ্টার স্হান জাহান্নাম
২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
আলতামাশ বলেছেন: পটপট@ একটা বিশ্বখ্যাত কিতাবের নাম বল যেটার মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবির কথা বলা আছে?
রাসুলের নামে যে মিথ্যা হাদিস বর্ণনা করে তার স্হান নিশ্চই জাহান্নামে
২১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
আলতামাশ বলেছেন: রাজারবাগিরা আমাকে বহসের আহবানের জানাইছে
কিন্তু কমেন্ট মডারেট করা, যেগুলো মডারেট করে নাই সেগুলো সাথে ডিলেট কইরা দেয়।
এখন দেখি কয়েকটা বাদে বাকী সব নিক আমারে কমেন্ট ব্যান করছে
বুঝলাম আমার মতন এক জন সাধারণ ব্লগারের সাথে বিতর্ক করার যোগ্যতা কিংবা সৎ সাহস রাজারবাগিদের নাই
২২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
আলতামাশ বলেছেন: রাজারবাগিরা গালাগালি ছাড়া কিছু পারব না কারণ দরবারের শিক্ষার বাহিরে তাদের মাথায় তো আর কিছুই নাই,
নৈতিকতা শিখবে কোথা থেকে?
২৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
নীড় ~ বলেছেন: ইসলামের প্রফেট ঠিক কবে কত তারিখ জন্মে ছিলেন তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে মতভেদ আছে ।
তবে যে তারিখে ঈদে মিলদুন্নবী পালন করা হয় সেদিন প্রফেটের মৃতু্য দিন বলে ঐতিহাসিক ভাবে স্বীকৃত।
২৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা মুসলমান তো অবশ্যই বরং জ্বীন-ইনসানসহ সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরযে আইন। এ প্রসঙ্গে তাত্বিক বিশ্লেষন।
মুকাদ্দিমা
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক তাশরীফ আনয়নে একমাত্র কাট্টা মালউন ইবলিশ ও তার চেলারা ব্যতীত খালিক্ব মালিক রব তায়ালা এবং মাখলুকাতের সকলেই মহাখুশি মহা আনন্দিত। জিন-ইনসান এই খুশি বিভিন্নভাবে উদযাপন করে। কেউবা দুরূদ শরীফ ও সালাম-এর মাহফিল মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ করেন, উনার যথাযথ তা’যীম-তাকরীম আনুগত্য করার শপথ নেন, নাত শরীফ-এর মাহফিল করেন, উনার মহান সীরত-ছুরত মুবারক আলোচনার মজলিস মাহফিল করেন, উনার বেমেছাল শান সম্পর্কে জেনে আনন্দ অনুভব করেন, গরিব দুঃখীদেরকে দান খয়রাত করেন, খালিছ তওবা ইস্তিগফারের মাধ্যমে হক্ব মত পথে চলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এছাড়া উনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিশেষ বরকতময় দিন ও রজনী ইবাদত বন্দেগী দান-খয়রাতের মাধ্যমে উদযাপন করেন।
বিশেষ করে শাহরুল আ’যম মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ-এর ১২ তারিখ যেহেতু সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন ও একই তারিখে ইলাহী দীদারে তাশরীফ নিয়েছেন। তাই মুসলিম উম্মাহ আজ প্রায় ১৪০০ শত বৎসর যাবৎ এই বারই রবীউল আউয়াল শরীফকে কেন্দ্র করে বিশেষ ঈদ তথা খুশি উদযাপন করেন। উল্লিখিত বিভিন্নভাবে এই খুশি প্রকাশ করা হয়। পবিত্র হারামাইন শরীফাঈন-এও এই উপলক্ষে ঈদ তথা খুশি বিশেষ জাঁকজমকের সাথেই উদযাপন করা হতো। কিন্তু বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অনুসারী গং সউদী আরবে রাজতন্ত্র চালু করার পর অনেক হারাম কুফরী বিদয়াত জারির পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঈমানী মুহব্বতের অন্যতম শেয়ার বা নিদর্শন শাহরুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন বন্ধ করে দেয়। শুধু এতোটুকুই নয় ওহাবীরা সারা দুনিয়া থেকে এই ঈদ বা খুশি উৎখাতের লক্ষ্যে উলামায়ে ছূ তথা ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা অনেক তাফসীর বির রায়, হাদীছ শরীফ-এর অপব্যাখ্যা, ইমাম-মুজতাহিদগণের বক্তব্য কাট-ছাঁট করে বিভিন্ন কিতাব, বিদয়াত চটি রেসালা, পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশ করতে থাকে। ইদানীং তারা ইন্টারনেটে ওয়েব সাইট খুলে, ব্লগ লিখে, বিভিন্ন হারাম টিভি চ্যানেল খুলে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের বিরুদ্ধে কুফরীমূলক বিষোদগার চালিয়ে যাচ্ছে ।
এর বিপরীতে ওহাবী-বিদয়াতীদের যাবতীয় বিষোদগার আর অপপ্রচারের দলীলভিত্তিক দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন ও দিচ্ছেন যামানার একমাত্র ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা যিল্লুহুল আলী। সেগুলো থেকে অতি সংক্ষিপ্তভাবে এখানে কিছু দলীল-প্রমাণ সঙ্কলিত করে এই পুস্তিকাটি প্রকাশ করা হলো। যাতে গোটা মুসলিম উম্মাহ নিশ্চিন্তে ওহাবী-বিদয়াতীদের বদ তাছীর থেকে মুক্ত হয়ে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ফরযে আইন আমলটি পালন তথা উদযাপন করে নিজেদের ঈমান-আমল রক্ষা করতে পারেন। আর এতেই উম্মাহ অতি সহজে হাছিল করতে পারবে খালিক্ব মালিক আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের চিরস্থায়ী রিযামন্দী, সন্তুষ্টি। বান্দা তথা উম্মাহর প্রতিটি আক্বীদা ও আমলের মকছুদ মূলত এটিই।
পবিত্র কুরআন শরীফ-এর দলীল দ্বারা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা ফরযে আইন প্রমাণিত
মূলত পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মাঝেই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান, মর্যাদা বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে। উনাকে সর্বোচ্চ উপায়ে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম করার জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ-এই বার বার তাগিদ এসেছে। এ কারণেই ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ উনার সুমহান বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ হওয়ার কারণে উম্মাহর প্রতিটি মু’মিন-মুসলমান আনন্দে উদ্বেলিত হয়, খুশি প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেননা এ দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা প্রত্যেকের জন্যই ফরযে আইন। আর এর থেকে গাফিল ও বিরত থাকে একমাত্র ইবলিস শয়তান! যারা এই মহান ঈদ তথা খুশি প্রকাশে নিষেধ করে বা বিরত থাকে তারা কি পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে একটি দলীলও পেশ করতে পারবে যে, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে বা উনার স্মরণে খুশি প্রকাশ করা যাবেনা? অথচ আনন্দ, খুশি ও শুকরিয়া আদায় করার জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ-এর অসংখ্য আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে। যেমন-
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ সূরা মারইয়াম-এর ১৫ নম্বর আয়াত পাক-এ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ ফরমান-
وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا
অর্থ: “উনার প্রতি শান্তি সালাম অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক যেদিন তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন অর্থাৎ বিলাদত শরীফ লাভ করেন ও যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন আবার যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুথিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!
অনুরূপ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার নিজের বক্তব্য উল্লেখ করে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدتُّ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا
অর্থ: “আমার প্রতি সালাম (অবারিত শান্তি) যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যেদিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করবো এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবো।” সুবহানাল্লাহ! (সূরা মারইয়াম : আয়াত শরীফ ৩৩)
এই আয়াত শরীফ থেকে প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই জানা জরুরী যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ উভয়টিই উম্মাহ তথা কায়িনাতের জন্য শান্তি ইতমিনান ও রহমত হাছিল এবং খুশির কারণ। যেহেতু এতে স্বয়ং আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত তিনি খুশি থাকেন। আল্লাহ পাক উনার খুশিতে নারাজী প্রকাশ করার চিন্তা কোনো ঈমানদার মুসলমান কস্মিনকালেও করতে পারে না।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা ইবরাহীম-এর ৫ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللّهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ
অর্থ: “আমি হযরত মুসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে আমার নিদর্শনাবলীসহ উনার ক্বওমের নিকট প্রেরণ করেছিলাম যে, আপনি আপনার ক্বওমকে অন্ধকার তথা গোমরাহী থেকে আলো বা হিদায়েতের পথে আনয়ন করেন এবং তাদেরকে আল্লাহ পাক উনার (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার) দিনসমূহ স্মরণ করান। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল শোকরগোযার বান্দাদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।”
এই আয়াত শরীফ থেকেও সকলের বুঝা উচিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও তামাম আলমের জন্য সমস্ত নাজ, নিয়ামত, রহমত, বরকত এবং দ্বীন ইসলাম নিয়ে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ এনেছেন। অতএব এটা আর বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, সেই মহান বিলাদত শরীফ-এর দিন-তারিখ আল্লাহ পাক উনারই পছন্দনীয় মনোনীত একটি বিশেষ দিন। আর বিশেষ হওয়ার কারণেই উম্মাহর ধৈর্যশীল শোকরগোযারগণ এই দিনকে বিশেষ খুশির সাথে স্মরণ করেন।
সূরা ইবরাহীম-এর ৫-৭ নম্বর আয়াত শরীফ-এর ভাষ্য দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত- উম্মতগণের জন্য তাদের নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষ নিয়ামত, ঘটনা, দিনসমূহের স্মরণে শোকরগোযারী করত বিশেষভাবে খুশি প্রকাশ করা অপরিহার্য দায়িত্ব-কর্তব্য।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা আ’রাফ-এর ৭৪ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
فَاذْكُرُواْ آلاء اللّهِ وَلاَ تَعْثَوْا فِي الأَرْضِ مُفْسِدِينَ
অর্থ: “অতএব, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ-নিয়ামতকে তোমরা স্মরণ করো এবং পৃথিবীতে অনর্থক ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি করো না।”
উম্মত দাবিদার প্রত্যেকের জন্য একথা জানা ফরয-ওয়াজিব যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে বড় কোনো নিয়ামত, বড় কোনো অনুগ্রহ তামাম মাখলুকাতের জন্য আর কিছুই হতে পারে না। তাই উনার স্মরণে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ গোটা উম্মাহ খুশি তথা ঈদ উদযাপন করবে এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই ঈমানের দাবি। এতে খুশি প্রকাশ করতে আল্লাহ পাক তিনি কোথাও নিষেধ করেননি। এতে বাধা দিয়ে, নিষেধ করে পৃথিবীতে অনর্থক ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি করা কোনো ঈমানদার মুসলমানের কাজ হতে পারে না।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা আলে ইমরান-এর ১৬৪ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
لَقَدْ مَنَّ اللّهُ عَلَى الْمُؤمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولاً مِّنْ أَنفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُواْ مِن قَبْلُ لَفِي ضَلالٍ مُّبِينٍ
অর্থ: “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক মু’মিনদের প্রতি ইহসান করেছেন যে, তিনি তাদের মাঝে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন যিনি তাদেরকে আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফসমূহ তিলাওয়াত করে শোনান এবং তাদের অন্তরসমূহকে পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। যদিও পূর্বে তারা প্রকাশ্য গোমরাহীর মধ্যে ছিলো।”
অতএব, হে কায়িনাতবাসী! আপনারা সকলেই জেনে রাখুন যে, যিনি আমাদের মাঝে বিশেষ অনুগ্রহ-দয়া ও রহমতস্বরূপ তাশরীফ এনেছেন উনার আগমন উপলক্ষে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ আমরা ঈমানদার বান্দারা কেনো ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করবো না? যারা বেঈমান নাফরমান গোমরাহ ইবলিসের অনুসারী তারাই কেবল এতে খুশি প্রকাশ করে না।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা আদ্ব দ্বুহা-এর ১১ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ
অর্থ: “আপনার রব উনার নিয়ামতের কথা প্রকাশ করুন।”
হে কায়িনাতবাসী ঈমানদার মু’মিন-মুসলমান! আবারো বলছি, তামাম মাখলুকাতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নাজ-নিয়ামত হলেন সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনার সুমহান শান প্রকাশ করতে বান্দা উম্মাহ এমনকি সারা কায়িনাত সর্বাবস্থায় ব্যতিব্যস্ত থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। আর এজন্যই উনার উম্মাহ ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ বিশেষ ঈদ তথা খুশি উপলক্ষে উনার আজিমুশ শান নাজ-নিয়ামত বর্ণনা করে মজলিস-মাহফিলের আয়োজন করেন।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা আল আম্বিয়া-এর ১০৭ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।”
হে কায়িনাতবাসী! ঈমানদার বান্দা-উম্মাহ তো ইবলিসের মতো রহমতশূন্য গযবপ্রাপ্ত বিভ্রান্ত হতে পারে না। তাই রহমতুিল্লল আলামীন হিসেবে যিনি প্রেরিত হয়েছেন তথা তাশরীফ এনেছেন উনার আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে তারা সদা উন্মুখ। কারণ দুনিয়ার যেকোনো মানুষই কোনো বিষয়ে রহমতপ্রাপ্ত হলেই সেটাতে ইচ্ছা-অনিচ্ছাই খুশি প্রকাশ করে। তাহলে যিনি সারা আলমের জন্য রহমত উনাকে পেয়ে, উনার মুবারক তাশরীফ-এ আমরা ঈমানদার বান্দা-উম্মাহ হিসেবে কেনো ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করবো না?
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা আল আহযাব-এর ৫৬ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এবং উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে দুরূদ শরীফ তথা ছানা-ছিফত পাঠ করেন। হে ঈমানদার বান্দাগণ! তোমরাও উনার শান মুবারক-এ দুরূদ শরীফ ও ছানা-ছিফত করো এবং সালামের মতো সালাম দাও অর্থাৎ পরিপূর্ণ আদবসহকারে উনার প্রতি সালাম পেশ করো।”
হে জিন-ইনসান! এই আয়াত শরীফ-এর তাফসীর বির রায় করতে গিয়ে একথা বলা বা লিখা কখনোই জায়িয হবেনা যে, ফেরেশতারা নবীর জন্য রহমত পাঠায় আর মু’মিনরা যাতে নবীর জন্য রহমতের তরে দোয়া করে। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! মূলত যিনি সারা আলমের জন্যই রহমত বলে স্বয়ং আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত ঘোষণা করেছেন উনার জন্য ফেরেশতারা আবার কিসের রহমত পাঠাবে? বান্দা তথা উম্মাহরা দোয়া করে উনাকে আবার কিসের রহমত দিবে? তাহলে কি তিনি ফেরেশতা বা উম্মতের মুহতাজ? নাঊযুবিল্লাহ! বরং ফেরেশতা হোক আর উম্মত হোক কুল-কায়িনাতই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি তামাম আলমের রহমত উনার দয়া, দোয়া, ক্ষমা, শাফায়াত ইত্যাদি পাওয়ার জন্য সর্বাবস্থায় মুহতাজ তথা মুখাপেক্ষী। আর এ কারণেই উম্মাহ তথা সারা কায়িনাত উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ বিশেষ ছানা-ছিফত, দুরূদ ও সালাম-এর মাহফিল আয়োজন করে।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা হুদ-এর ১২০ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
وَكُـلاًّ نَّقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنبَاء الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهِ فُؤَادَكَ
অর্থ: “আমি সমস্ত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সবকিছুই আপনাকে অবহিত করেছি; যাতে ঈমানদার বান্দাগণের ঈমান আরো মজবুত তথা দৃঢ় হয়।”
হে মু’মিন মুসলমানগণ! এই আয়াত শরীফ থেকে কি একথা প্রমাণিত হয়না যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সীরত-ছূরত জীবনী মুবারক আলোচনা করার মাঝে, শুনার মাঝে ঈমানদার বান্দাগণের ঈমান আরো মজবুত-দৃঢ় হয়। তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান সীরত-ছূরত মুবারক অজুদ পাক নিয়ে আনন্দ খুশি প্রকাশ করে উম্মাহ কিংবা সারা কায়িনাতবাসী ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল করলে সেটা কেনো ঈমান মজবুতির কারণ হবেনা? মূলত যারা বেঈমান ও যাদের ঈমান যায় যায় অবস্থা তারাই এ উপলক্ষে খুশি তথা ঈদ উদযাপন করেনা।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা সাবা-এর ২৮ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
“হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না বা বুঝে না।”
হে জিন-ইনসান! কারো নিকট যদি কেউ কোনো সুসংবাদ নিয়ে আগমন করেন এতে কি সে খুশি হয়, না নারাজ হয়? অবশ্যই খুশি হয়। তাহলে যিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদের বার্তা নিয়ে যাবতীয় খারাবী থেকে সতর্ক করতে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন সেই মহান দিন-তারিখ স্মরণে কেনো মানবজাতি ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করবে না?
আয়াতে পাক-এ এরপর আল্লাহ পাক তিনি বলেন যে, “অধিকাংশ মানুষই তা জানে না বা বুঝে না।” সত্যিই সুস্পষ্ট কিতাবে আল্লাহ পাক তিনি সুস্পষ্টভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান সম্পর্কে জানানোর পরও অধিকাংশ মানুষ তা বুঝে না। তাহলে জানার পরও তারা কেনো বুঝেনা? নাকি বুঝার চেষ্টা করেনা? নাকি তাদের দিলে মহর পড়ে গেছে? ইবলিস যেমন সবকিছু জেনে-শুনেও অবাধ্য হয়ে গেছে তদ্রƒপ এরাও কি পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ে জেনেও এর আমল থেকে বিরত রয়েছে এবং উম্মাহকে-বান্দাকে বিরত রাখার জন্য যাবতীয় অপচেষ্টা করে যাচ্ছে? জাররা পরিমাণ ঈমানও যার মধ্যে রয়েছে সে তো অবশ্যই উপরোক্ত দলীল থেকে একটি মাত্র দলীল পেলেও সন্তুষ্টি আনন্দচিত্তে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ আগমন উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করবে নিঃসন্দেহে।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা ইউনূস-এর ৫৮ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون .
অর্র্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন। সে কারণে তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।”
উপরোক্ত আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত হিদায়েত, রহমত. ফজল, করম, মেহেরবানী এবং দ্বীন ইসলাম সবকিছুই বান্দা তথা উম্মাহর তরে নিয়ে এসেছেন সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাহলে বুঝা গেলো আল্লাহ পাক প্রদত্ত সমস্ত নাজ-নিয়ামতের জামে বা মূল হলেন সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তাহলে উনাকে যে আমরা পেলাম, উনি যে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ আনলেন সেদিন কেনো আমরা কায়িনাতবাসী সন্তুষ্টিচিত্তে শোকরগোযার করে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করবো না? বরং সেদিন ঈদ পালন তথা খুশি প্রকাশ করাই হবে সমস্ত আমলের মধ্যে সর্বোত্তম। যারা বিদয়াতী ফিতনাবাজ নেক আমল থেকে সর্বাবস্থায় গাফিল তাদের দ্বারা কস্মিনকালেও কোনো সর্বোত্তম আমল কায়িম হতে পারে না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা ফাতহ-এর ৮-৯ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا , لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয়প্রদর্শনকারীরূপে। অতএব, তোমরা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনো এবং উনার খিদমত করো, তা’যীম-তাকরীম করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে উনার ছানা-ছিফত প্রশংসা করতে থাকো।”
হে ঈমানদার বান্দা-উম্মাহ! বর্ণিত আয়াত শরীফ-এ পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে আমরা যাতে উনার যথাযথ তা’যীম-তাকরীম, সম্মানসহ সদা-সর্বদা উনারই ছানা-ছিফত বর্ণনা করতে থাকি। এখন এই আয়াত শরীফ-এর আদেশ মুতাবিক যদি উম্মাহরা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে-সম্মানে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করতঃ তা’লীমী মাহফিল মজলিসের আয়োজন করে, সেটা কোন দলীলের ভিত্তিতে নাজায়িয প্রমাণ করা যাবে? আল্লাহ পাক তিনি যা হালাল করেছেন সেটাকে হারাম-বিদয়াত বলে কোনো ঈমানদার কি কখনো খোদাদ্রোহী ফিরআউনের ক্বায়িম-মাক্বাম হতে চায়?
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা মায়িদা-এর ১১৪ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-
قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ
অর্থ: “হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালাম দোয়া করেন, হে বারে ইলাহী! আপনি আসমান হতে আমার উম্মতের প্রতি খাদ্যভর্তি খাঞ্চা নাযিল করুন। তা আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ বা খুশির কারণ হবে এবং তা আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হয়ে থাকবে।”
হে জিন-ইনসান! পেঁচার মতো আন্দা আর বোবা শয়তান থাকা কি কভু জায়িয হবে? আল্লাহ পাক তিনি আসমান হতে একটি খাদ্যভর্তি খাঞ্চা নাযিল করার মতো একটি নিয়ামত দিলে সেটি যদি পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকলের জন্যই ঈদ তথা খুশির কারণ হতে পারে। তাহলে যিনি আল্লাহ পাক উনার সবচাইতে মাহবুব, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি উম্মতের শাফায়াতের কা-ারী, তামাম নিয়ামতের জামে তিনি যেদিন তাশরীফ আনলেন সেদিনটা, সেই তারিখটা, সেই বারটাকে কেনো উম্মাহ-বান্দা তথা সারা কায়িনাতবাসী ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে না? বরং এতে যদি ঈদ খুশি আনন্দ শোকরগোযার করা না হয় তবে কি পরিণতি হবে সেটাও খুব সুন্দর ভাষায় আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন।
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা মায়িদা-এর ১১৫ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ ফরমান-
قَالَ اللّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَن يَكْفُرْ بَعْدُ مِنكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لاَّ أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِّنَ الْعَالَمِينَ
অর্থ: “আল্লাহ পাক তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতি খাদ্যসহ খাঞ্চা নাযিল করবো। অতঃপর যে ব্যক্তি সে খাদ্যসহ খাঞ্চা নাযিলের দিনকে ঈদ বা খুশির দিন হিসেবে পালন করবে না বরং অস্বীকার করবে তাকে এমন কঠিন শাস্তি দিবো যে শাস্তি বিশ্বজগতের আর কাউকে দিবো না।”
এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় আর কিছু লিখার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
পবিত্র হাদীছ শরীফ-এর দলীল দ্বারা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা ফরযে আইন প্রমাণিত
যারা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করার বিরোধিতা করে তারা অনেক এলোমেলো প্রলাপের মধ্যে এটাও বকে থাকে যে, ইসলামে তথা শরীয়তে দুই ঈদ (কুরবানীর ঈদ ও রোযার ঈদ) ছাড়া তৃতীয় কোনো ঈদের অস্তিত্ব নেই। নাঊযুবিল্লাহ! একথা যদি না জেনে, না শুনে, না বুঝে বলা হয় তাহলে কাট্টা মিথ্যাবাদী জাহিল হবে এবং এর জন্য কঠিন জবাবদিহি করতে হবে। আর যদি জেনে-শুনে-বুঝেই বলা হয় তবে কাট্টা কাফির-মুরতাদ বলে গণ্য হবে। সঙ্গতকারণেই আমরা মুসলিম উম্মাহর ঈমান-আমল-হিফাযতের লক্ষ্যে এখন হাদীছ শরীফ থেকে দেখবো যে, ইসলামে তথা শরীয়তে দুই ঈদ ছাড়া অন্য কোনো ঈদের কথা বলা হয়েছে কি-না।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “একদা হযরত জিবরীল আমিন আলাইহিস সালাম তিনি আমার নিকট আসলেন এমন অবস্থায় যখন উনার হাতে ছিলো একটি সাদা আয়না এবং তাতে ছিলো একটি কালো দাগ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটি কি? উত্তরে তিনি বললেন, এটি হলো জুমুয়ার দিন তথা শুক্রবার। আপনার রব তা আপনার নিকট পেশ করেছেন যাতে আপনি এবং আপনার উম্মত এ দিনটিকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করেন।” (দলীল : মাজমাউদ যাওয়ায়িদ ২য় খ- ১৬৪ পৃষ্ঠা)
অন্য হাদীছ শরীফ-এ মুরসাল সনদে হযরত উবাঈদ বিন সাব্বাক রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং মুত্তাসিল সনদে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু উনারা বর্ণনা করেন, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক জুমুয়ার খুতবাতে ইরশাদ করলেন: হে মুসলমানরা! তোমরা জেনে রেখো, নিশ্চয়ই এই দিনকে অর্থাৎ শুক্রবারকে আল্লাহ পাক তিনি ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন।” (দলীল : ইবনে মাযাহ, মুয়াত্তা মালিক)
ফারূকে আ’যম হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি সূরা মায়িদা-এর ৩ নম্বর আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে “ইয়াওমি ঈদাইন” শব্দ দিয়ে জুমুয়ার দিন ও আরাফার দিনকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে বর্ণনা করেন। (দলীল : বুখারী শরীফ, তিরমিযী শরীফ)
অন্য হাদীছ শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “দেখ; প্রত্যেক মু’মিন মুসলমানের জন্য প্রতিমাসে ৪টা অথবা ৫টা ঈদ রয়েছে। এই ৪টা বা ৫টা ঈদ হচ্ছে প্রতি সোমবার দিন।”
হে জিন-ইনসান কায়িনাতবাসী! এরপরও কি বলা যাবে ইসলামে তথা শরীয়তে দুই ঈদ ছাড়া অন্য কোনো ঈদ নেই? আমরা তো দেখলাম আরো ঈদ আছে। এখন কয়টা ঈদ ইসলামী শরীয়তে মুসলমানদের জন্য রয়েছে তা একটু গুণে দেখি। জুমুয়ার দিন যদি বৎসরে কম করে হলেও ৫০ বার আসে, সোমবার দিনও যদি বৎসরে ৫০ বার আসে, আরাফার দিন ১ বার আসে, কুরবানীর ঈদ যদি ৩ দিন হয়, রোযার ঈদ ১ বার তাহলে ৫০+৫০+১+৩+১=১০৫ দিন। সুবহানাল্লাহ! ইসলামী শরীয়তে দেখি কম করে হলেও ১০৫ দিন হচ্ছে ঈদের দিন। যদিও অন্য হাদীছ শরীফ দ্বারা আরো ঈদ প্রমাণ করা যাবে। তাহলে দুই ঈদ ছাড়া শরীয়তে তৃতীয় কোনো ঈদের অস্তিত্ব নেই এমন কাট্টা মিথ্যা কথা বলে কেনো উম্মাহর মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে? ইহুদী-মুশরিকরা কি এ জঘন্য মিথ্যার উপর মুসলিম উম্মাহকে ডুবিয়ে রেখে ঈমান-আমল বিনষ্ট করতে চায়?
দুই ঈদের দিনের চেয়ে জুমুয়ার দিনের মর্যাদা কতোই না মহান!
জুমুয়ার দিনকে (যা বৎসরে কমপক্ষে ৫০ বার আসে) হাদীছ শরীফ-এ তথা ইসলামী শরীয়তে কোন মর্যাদায় অভিষিক্ত করা হয়েছে একবার দেখুন-
হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দিল মুনজির রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই জুমুয়ার দিন হচ্ছে দিনের সাইয়্যিদ। আল্লাহ পাক উনার নিকট এটি একটি মহান দিন। উনার কাছে এই দিনটি কুরবানীর ঈদ ও রোযার ঈদের চেয়েও বেশি মূল্যবান মহান দিন।” সুবহানাল্লাহ! (দলীল : ইবনে মাযাহ, মিশকাত শরীফ)
উক্ত হাদীছ শরীফ-এই নি¤েœাক্ত এই ৫টি কারণে জুমুয়ার দিনকে দিনের সাইয়্যিদ ও ইয়াওমুল আ’যীম এমনকি কুরবানীর ঈদ ও রোযার ঈদের চেয়েও বেশি মূল্যবান ও মহান বলা হয়েছে। কারণগুলো হলো-
১. জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২. জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি জান্নাত হতে যমীনে তাশরীফ আনেন।
৩. জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি ইলাহী দীদারে গমন করেন তথা বিছাল শরীফ লাভ করেন।
৪. জুমুয়ার দিন আসর হতে মাগরিবের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন খাছভাবে দোয়া কবুল করা হয়।
৫. জুমুয়ার দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।
উপরোক্ত ৫টি কারণে যদি জুমুয়ার দিনকে দিনের সাইয়্যিদ, ইয়াওমুল আযীম, ঈদের দিন এমনকি দুই ঈদের চেয়েও মহান-মূল্যবান হিসেবে বর্ণনা করা হয় এবং যেখানে অন্যতম দুটি কারণ হলো- হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ। তাহলে যে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ সোমবার শরীফ-এর সাথে স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফসহ ইসলামের অসংখ্য-অগণিত ঐতিহাসিক স্মরণীয় ঘটনা জড়িত সেই দিনকে কি বলতে হবে এবং কোন মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে? এটার উত্তরেই পবিত্র কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “এটাই হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের ফরয আদায়ে অগ্রগামী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আজমাঈন
মূলত একারণেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহুম উনারাই হর-হামেশা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ-এর শানে বিভিন্নভাবে খুশি প্রকাশ করতেন তথা ঈদ উদযাপন করতেন।
যেমন, এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে নিজ গৃহে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে সমবেত করে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশিতে তাসবীহ-তাহলীল ও দুরূদ শরীফ পাঠ করতেছিলেন। ঠিক এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত মজলিসে তাশরীফ আনলেন। তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এমন মীলাদ শরীফ পাঠের মজলিস দেখে সন্তুষ্ট হয়ে উনাদের উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করলেন- আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেলো।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)
অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لابنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: “হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন- একদা আমি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমের আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাড়িতে গেলাম। সেখানে দেখলাম তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে নিজ সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে সমবেত করে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সেখানে তাশরীফ আনতে দেখে উপস্থিত সকলেই দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করতঃ আহলান সাহলান জানিয়ে আসন মুবারক-এ বসালেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মীলাদুন নবী উদযাপনের এমন মজলিস দেখে সবাইকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ ফরমান, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উনার রহমতের দরজা আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ আপনাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। যে কেউ আপনাদের মতো মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের এমন আয়োজন করবে তারাও অনুরূপভাবে নাজাত লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)
হে মানবজাতি! পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ এমন সুস্পষ্ট প্রকাশ্য প্রামাণ্য আদেশ-নির্দেশ থাকার পরও তা পালন না করে যদি উল্টো হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চু-চেরা, কিল-কাল করা হয়, নানা প্রকার মিথ্যা-তোহমত দেয়া হয়, হালালকে হারাম, হারামকে হালাল, সুন্নতকে বিদয়াত, বিদয়াতকে সুন্নত বলে চিৎকার চেচামেচি করা হয় তাহলে তার পরিণতি কি ইহকাল-পরকালে অত্যন্ত ভয়াবহ হবে না? অবশ্যই হবে।
এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে একটি হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। “একজন অন্ধ লোকের এক উম্মু ওয়ালাদ ছিলো। মহিলাটি অন্ধ ব্যক্তির খুবই অনুগতা ছিলো। অথচ সে মহিলা প্রায় সময় শুধুমাত্র হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানের খিলাফ এলোমেলো কথাবার্তা বলতো। অন্ধ লোকটি এমন জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকার জ
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
রাতুলবিডি২ বলেছেন: যে রসুলের বইষ্যে মিথ্যা বলে তার ষ্হান জাহান্নাম!
২৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
জামিল হাসান বলেছেন: উৎসব বা অন্যান্য আনন্দ দিবসে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় টাকা খরচ আসলে হয়ে যায় । আল্লাহ্র রসূল সল্লালহআলাইহিসসালাম এর মৃত্যু দিবসে ঈদ ঘোষণা করা এটা পেট পূজারী ভণ্ড পীরদের টাকা ইনকাম করার একটা উপায় কেননা এটা ত ঈদ ।আর ঈদের দিন বকশিস হাদিয়া দেয়া ত বাংলাদেশে কালচার । ভক্তরা ত ভণ্ড পীরের পায়ে অনেক বকশিশ দিবে আর পীর মাল কামাবে তাই না কি বলেন?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আল্লাহ্র রসূল সল্লালহআলাইহিসসালাম এর মৃত্যু দিবসে ঈদ ঘোষণা করা : কত বড় ধৃষ্টতা!
ভণ্ড পীরদের টাকা ইনকাম করার একটা উপায়!
২৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
নীড় ~ বলেছেন: পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম ৫৬ দিন ব্যাপী ঈদ-এ-মিলাদুন্ণবী
কস কি কি মমিন! ৫৬ দিন!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
রাতুলবিডি২ বলেছেন: কস কি কি মমিন!
নিকৃষ্টতম কাজ ধর্মের মাঝে কিছু উদ্ভাবন, প্রত্যেক এরূপ উদ্ভাবন বেদাত, প্রত্যেক বেদাত পথভ্রষ্টতা, প্রত্যেক পথ ভ্রষ্ট জাহান্ণামী
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দৃষ্টি
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
লেখক বলেছেন: নবীজীর বেলাদত শরিফ ১২ই রবিউল আওয়াল উদযাপন
ঈদে মিলাদুন্নবি সা যথা যুগ্য মর্যাদায় উদযাপন ও আনন্দ প্রকাশ
ইমানদার মুমিন গনের জন্য অসংখ্য রহমত ও সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত ।
তার জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আল্লাহর আরশ মহল্লা সম্মানিত
তিনি যে আমাদের জন্য দুনিয়ায় রহমত স্বরূপ প্রেরন হইয়াছেন
তার জন্য আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা সর্ব শ্রেষ্ঠ নেয়ামত । বিখ্যাত
সাহাবা কেরাম গন তাবেয়িন তাবে তাবেয়িন গন এবং অলি আউলিয়া পির মাশায়েখ কামেল আলেম গন দিনটি মর্যাদার সহিত উদযাপন করতেন ।
আমরা রহমত হইতে বঞ্ছিত হইব কেন ?
রিবেশ বন্ধু বলেছেন: ফরজের চাইতেও বেশি বললে ভুল হবেনা
আল্লাহ যার নামের সাথে নাম মিশিয়ে দিয়েছেন এবং যার খাতিরে সৃষ্টি
সমুদয় পয়দা করেছেন , হেদায়েতের ভার দিয়েছেন , শাফায়াতের কাণ্ডারি বানিয়েছেন এবং সদা সর্বদা দরুদ ছালাম ভেজে থাকেন
অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে সেই দয়াল নবীজীর প্রতি বেলাদত ও
তাজিম ঈমানের শক্ত আকিদা
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সব ঈদের সেরা
তার রহমত আদায় কর পড় দরুদ জানাও ছালাম মদিনা মনোয়ারা ।