![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত ব্যাস্ততা ভাল লাগেনা। ভাল লাগেনা এই যান্ত্রিক জীবন। খুব সাধারন মানের একজন মানুষ আমি, ভুল করি, ভুল স্বীকার ও করি। নিজের দুর্বলতা ঢেকে রাখতে চেস্টা করি না খুব একটা। মানুষকে পর্যবেক্ষন করতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ব্যাস্ত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মানুষ দেখি। ব্যাস্ত মানুষ, ছুটে চলা মানুষ। জীবনের কোলাহল দেখতে ভালো লাগে। নিঝুম গভীর রাত ও ভালো লাগে।ভালো লাগে সহজ ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে।
সেই স্কুল থেকেই একসাথে ওরা। একসাথেই চলছে, ঘুরছে, হাসা-হাসি করছে, মজা করছে। নিঝুম তেমনি এক চঞ্চল ধরনের মেয়ে। ছেলেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের চঞ্চলতা দেখেই প্রথমে এক প্রকার ছটফটানি অনুভব করে। ধীরে ধীরে ভালো লাগা। আর ভালো লাগা থেকে ভালোবাসতে শুরু করে দেয়। রাফসানের মধ্যেও এক প্রকার ছটফটানি শুরু হয়েছিলো।
ক্লাসের লাষ্ট বেঞ্চে গিয়ে বসত রাফসান। একটু পর পর ঘাড় ঘুড়িয়ে, মাথা ঘুড়িয়ে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখত নিঝুমকে। কি ভাবতো কে জানে?? হয়ত কোনো গভীর স্বপ্নে বিভড় হয়ে যেতো। কোচিং, প্রাইভেট ফাকি দিয়ে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকে একবার দেখা, আর কতই না পাগলামি করা। কিন্তু বলতে পারছিলো না তার ছটফটানিটা আস্তে আস্তে ভাল লাগা থেকে ভালোবাসায় পরিণত হওয়াটা।
ঈশ্বর মেয়েদের মাঝে এক অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। তারা ছেলেদের হাব-ভাব দেখেই আচ করে ফেলে। হয়ত এই সুবাধে ওদের মিলনটা বিধাতা করিয়েই দিলেন।
প্রথম অবস্থায় মেয়েদের মনটা ততটা জমজমাট থাকে না। একটু সময় নেয়। দিন যায় প্রেম বাড়ে, ভালোবাসা বাড়ে। রাতের পর রাত জেগে কথা, দুজনের কলেজ ভিন্ন ছিলো বলে কলেজ ফাকি দিয়ে ঘুড়তে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের কাছে খুব বেশি টাকা থাকে না। টিফিনের বাচানো টাকাটা যথেষ্ট নয় সে সময়ের জন্য। প্রাইভেটের স্যারদের টাকা মারাটা তখন যেনো ফরজ কাজ ছিলো।
রাগ ঝগড়া ছাড়া প্রেম ভালোবাসা জমে উঠে না। ওদের প্রেম ভালোবাসা তখন চরম ফর্মে। এমন অবস্থা ছিলো যে, রাফসান বলতেই নিঝুম। আর নিঝুম বলতেই রাফসান।
ওদের সম্পর্কে একটা কিন্তু ছিলো। ওরা কেউই জানে না ওদের সম্পর্কের ভবিষ্যত কি। শুধুই অজানা পথে ছুটে চলা। তাদের নিয়তি কি তারা আজও জানে না। শুধু ভয় পায় এই বলে "আমরা থাকতে পারবো তো একসাথে??"
আজ তারা ভার্সিটির শেষ পর্যায়। ওদের ভালোবাসা এখন ম্যাচিয়ুর্ড। ক্লাসের লাষ্ট বেঞ্চে বসে দেখা সেই স্বপ্নটা রাফসান আজও দেখে। তাদের একসাথে চলাটা আজও থামেনি। তবুও দিন শেষে একটাই ভয়, একটাই প্রশ্ন "আমরা থাকতে পারবো তো একসাথে??"
©somewhere in net ltd.