![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত ব্যাস্ততা ভাল লাগেনা। ভাল লাগেনা এই যান্ত্রিক জীবন। খুব সাধারন মানের একজন মানুষ আমি, ভুল করি, ভুল স্বীকার ও করি। নিজের দুর্বলতা ঢেকে রাখতে চেস্টা করি না খুব একটা। মানুষকে পর্যবেক্ষন করতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ব্যাস্ত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মানুষ দেখি। ব্যাস্ত মানুষ, ছুটে চলা মানুষ। জীবনের কোলাহল দেখতে ভালো লাগে। নিঝুম গভীর রাত ও ভালো লাগে।ভালো লাগে সহজ ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে।
মানুষ আন্দোলন কেন করে বলতে পারেন? নিজেদের অধিকার/দাবি আদায়ের জন্যই তো? আপনার প্রাপ্য জিনিসটা যদি আপনাকে না দেয়া হয় তখন কতদিন সহ্য করবেন? ১ বছর?? ২ বছর? তারপর?? একদিন না একদিন ঠিকই চেয়ে বসবেন। তা আপনি যেই স্তরেই থাকেন না কেন।
ঐ তো ওরা তিনজনই চেয়েছিলো নিজেদের অধিকার। এই অধিকারটা শুধু ওদের একার ছিল না। ছিলো ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য।
কষ্ট লাগে যখন ভাবি এত নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পর্যাপ্ত লিফট নাই, ৩ ভাগের ১ ভাগ ক্লাস রুমে এসি থাকে, বাকি ২ ভাগে থাকে না। নতুন ক্যাম্পাস ছিলো তাই গত দুই আড়াই বছর সবাই সব সহ্য করেছে। সব ধৈর্যেরই বাধ থাকে। বাধ এবার ভেঙ্গেই গেলো।
হাসিই লাগে ভার্সিটির কাপুরষতা দেখে। ঈদের ৩-৪ দিন আগেই তাদের বহিস্কৃত করা হলো। অথচ ঐ বহিস্কৃতরা তখনও জানে না তারা বহিস্কৃত। ওরা ভাংচুর করে নি, জালাও-পোড়াও করেনি। তাও ওদের দোষ কোথায় জানেন?? ওরা মাথা উচু করেছিলো। আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাটা এমনি। মাথা উচু করে দাড়াতে দিবে না। বৃটিশরা তো এটাই শিখিয়ে দিয়ে গেছে, কিভাবে চাকরির জন্য দরখাস্ত করতে হয়। কখনো শিখায়নি কিভাবে উদ্যক্তা হতে হয়, কিভাবে সফল হতে হয়। তাদের শিখানো সফলতা হলো, চাকরির দরখাস্ত করবেন আর চাকরি হয়ে গেলেই ভেবে নিবেন সফল হয়ে গেছেন।
"স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন" এই কথাটা শুধু আমাদের জন্য না, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে সবার জন্যই সমান। ইস্ট ওয়েস্ট একদিনে হয়নি। দীর্ঘ সময় পাড়ি দেয়ার পর আজ ইস্ট ওয়েস্ট একটা ব্র্যান্ড হয়ে দাড়িয়েছে। হয়ত আর বেশি দিন থাকতে পারবে না এসব রেশারেশির কারনে। দোনানদারের কাছে কাস্টমার যেমন লক্ষী, তেমনি শিক্ষার্থীরাও।
মিডিয়ার যুগ বলে কথা। এখন সবাই জানে, ইস্ট ওয়েস্ট ছাত্রদের হক দেয় না। ওরা আন্দোলোন করছে, করেই যাবে। যতদিন না মেনে নিবে ততদিন আন্দোলোন চালিয়েই যাবে। এটাই স্বভাবিক। শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই আন্দোলোনের সাথে একমত।
আগে যখন আত্মীয়-স্বজন, এলাকার বড় ভাই-বোন বা কোরপরেট লেভেলের কেউ জিজ্ঞাস করতো কোথায় পড়াশোনা করছো? তখন গর্ব করেই বলতাম "ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়"। এখন লজ্জা লাগে যখন খোটা দিয়া বলে, "এই কি অবস্থা?? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এসি নাই, লিফট নাই? সেমেষ্টার গেলে তো ৪০-৫০হাজার টাকা দেয়া লাগে। ঠিক সময় মত না দিলে নাকি জরিমানাও নেয়। তাতেও এই অবস্থা?? স্যাইম অন ইস্ট ওয়েস্ট"
বলতে চাইলে অনেক কিছুই বলা যায়। লিখতে চাইলেও অনেক কিছুই লেখা যায়। কিন্তু আসল কথা কি জানেন?? সত্যি ওরা অধিকার চেয়েছিলো, বহিস্কার নয়।
©somewhere in net ltd.