![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত ব্যাস্ততা ভাল লাগেনা। ভাল লাগেনা এই যান্ত্রিক জীবন। খুব সাধারন মানের একজন মানুষ আমি, ভুল করি, ভুল স্বীকার ও করি। নিজের দুর্বলতা ঢেকে রাখতে চেস্টা করি না খুব একটা। মানুষকে পর্যবেক্ষন করতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ব্যাস্ত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মানুষ দেখি। ব্যাস্ত মানুষ, ছুটে চলা মানুষ। জীবনের কোলাহল দেখতে ভালো লাগে। নিঝুম গভীর রাত ও ভালো লাগে।ভালো লাগে সহজ ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে।
২০০৮ সাল। আমার এস এস সি পরীক্ষার ১ মাস আগেই আমার বাবা মারা যায়। আমাদের তিন ভাইয়ের ভিতর সবার ছোট ভাই তখন আম্মুর পেটেই ছিলো।
আব্বু যখন হাসপাতালে ছিলো তখন আমারব ছোট চাচাই দেখাশুনা করত আব্বুকে। আর মাঝে মাঝে এসে হাসপাতালের বিলের টাকা নিয়ে যেতো ১লাখ/২লাখ করে। অনেক ডাক্তার দেখিয়েও মূল রোগটা ধরা পড়েনি। পরে যানা গেছে তাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক করা হয়েছিলো তার সম্পদের জন্য।
আব্বু মারা গেলো ১৩ই ফেব্রুয়ারী। মাঝে মাঝে ছোট চাচা ফোন করে জিজ্ঞাস করত কি খেয়ছি। শুধু এতটুকু জেনেই কথা শেষ করত। ছোট চাচা একদিন বাসায় আসে। আবার বিকালের ভিতর চলেও যায়। উনি যেয়ে সবাইকে বলতে লাগলেন আমার মা তাকে দেখে ভ্রু কুচকিয়ে রেখেছেন। তাকে আপ্যায়ন করা হয় নি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ঘটনার ৪/৫ দিন আগেই আমার ছোট ভাই জন্ম নেয়। সিজারের অপারেশন ছিলো। তাই ব্যাথায় সময় কাটত বেশির ভাগ সময়।
উনি আমাদের এই অপবাদ দিয়ে সবার কাছে চোখের বালিতে পরিণত করে। শুধু তাই না। উনি আমার ছোট ভাইয়ের জন্ম নিয়েও কথা তুলেছিলেন। এরকম আরও নানা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের পরিবারকে আলাদা করে দেয়। তখন বুঝিনি কেন এমন করেছিলো। এখন বুঝতে পেরেছি কেন এমনটা করেছিলো। সব ছিলো সম্পদের লোভ।
দাদু বেচে ছিলো তাই কোনো সম্পদ তখন ভাগ হয় নি। দাদু মারা যাওয়ার পর সবাই সবার ভাগ নিয়ে গেলেও আমাদের ভাগের দলিল তারা আটকিয়ে দেয়। দিনের পর দিন মিথ্যা বলে আজও দেয়নি। এমনকি আমাদের ফোনও ধরত না।
এইভাবে চললো অনেক দিন। একবার আমার ফুপা তাদেরকে বলেছিলো আমাদের সম্পদ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। সেই থেকে উনার বাসায়ও অশান্তি শুরু হয়ে। আর, আমাদের ফুফাত ভাই বোনদের মাঝে অনেক মিল ছিলো। ঐ ঘটনার পর আমার নিজেকে আর নিজের পরিবারকেই অনেক ছোট লাগছিলো এই ভেবে যে, আমাদের জন্য তাদের পরিবারে আজ অশান্তি। আর তার ছাড়াও বয়স আর সময়ের ব্যস্ততার কারনে আমরা ভাই বোনরা সবাই বিভিন্ন জায়গায়। অবশ্য তাদের সাথে আমার কখনোই মনমালিন্য হয় নি।
এই তো বেশ কিছু দিন আগের কথা, চাচাদের অনেক অনুরধের পর তাদের বলিয়ে খুবই অল্প কিছু জমি বিক্রি করিয়েছিলাম। পরে জানতে পেরেছিলাম, জমির পরিমান অনুযায়ী আমাদের প্রাপ্য টাকার পরিমান ছিলো প্রায় ১২ লাখ টাকা। কিন্তু তখন তারা আমাকে দলিল পড়তে দেয়নি। অনেকবার বলেছিলাম একবার দলিলটা পড়ি। কিন্তু না, জোড় করে সাইন করিয়ে নেয়। অবশেষে ৩লাখ টাকা দিয়ে বলে "এইটাই হলো জমির দাম"।
তারা সব সময়ই বলে, আমি কেন তাদের সাথে যোগাযোগ করি না? অবাক লাগে আমার, তারা আমার চাচা, আমার বংশ, কই তারা কি পারে না আমাদের খোজ নিতে??? সেই ২০০৮ সালের পর আজও কোনোদিন খবর নেয়নি আমারা বেচে আছি নাকি মরে গেছি।
আমার বড় ফুপ্পিকে আম্মু বলেছিলো যেন আমাদের হোকটা আমাদের দিয়ে দেক। বেশ কিছুদিন পর উনি জানিয়েছেন, "তোমাদের টাকা/জমি দিয়ে দিলে ওরা কিভাবে চলবে?? ওদের বাচ্চারা কিভাবে চলবে???" এইটা কোনো কথা হইলো??
এসব ছাড়াও আরো হাজার হাজার কাহিনী বলে/লিখে শেষ করা যাবে না। তবে এটা বুঝলাম, আজ আমাদের টাকা পয়সা নেই বলে আমাদের এত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। তারা হয়ত ভুলে গেছে সবার একভাবে দিন যায় না। দিন বদলায়। আল্লাহ চাইলে অবশ্যই একদিন প্রতিষ্ঠিত হবো। তখন হয়ত এতো অভাব/কষ্ট থাকবে না। মানুষ অভ্যাসের দাস হওয়ার কারণেই তারা আবার আমার দিকে মুখ তুলে তাকাবে। তখন আমার তাদের আর দরকার হবে না। আমার দুখের দিনে যারা আমার পাশে ছিলো না; আমার সুখের দিনে আমি তাদের পাশে রাখব না। কারন তারা তখন আমাকে চিনবে না, চিনবে আমার টাকাকে।
আমার পড়ালেখা প্রায় শেষের দিকে। আর কয়েক মাসের মাঝেই চাকরি/ব্যাবসা শুরু করবো ইনশা_আল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন যেনো মাথা তুলে দাড়াতে পাড়ি। পায়ের মাটিটা যেন শক্ত করতে পারি।
আল্লাহ হাফেজ।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো ।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নুর মোহাম বলেছেন: শুভকামনা রইল|
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৫
রিয়াদ হাকিম বলেছেন: ভাই, আপনার জীবনের মতো অনেক গুলো Similar ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমাকেও যেতে হয়েছে; কিছু কিছু ঘটনা হয়তো আপনার চেয়েও করুণ। তাই মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলামনা। পড়াশুনা শেষ করে চাকরি/ব্যবসা যাই করেন না কেন, যারা আপনার ধন/সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেন, আপনি চাইলেই তাদের রাতের ঘুম হারাম করে দিতে পারবেন। অনেকে মনে করে মামলা করতে কাড়ি কাড়ি টাকা প্রয়োজন, তাই মামলা করতে ভয় পায়। কিন্তু মামলা করতে কাড়ি কাড়ি টাকা লাগেনা, আর যেটুকু লাগে সেটাও একসাথে খরচ করা লাগেনা। একজন ভালো উকিল এর সাথে আলাপ করুন।
আমি যখন পড়াশুনা করতাম, আমারো ঠিক আপনার মতো মনে হতো। এখন চাকরি করি। কারো উপর নির্ভর করিনা, নিজের মতো চলি, কাঊকে পরোয়া করিনা; যদিও অনেক সময় ই নিজেকে অনেক একা লাগে। আশা করি, আপনিও শীঘ্রই স্বাবলম্বী হবেন আর ওই বজ্জাত গুলোর রাতের ঘুম হারাম করতে ভুলবেন না। চেষ্টা চালিয়ে যান, অবশ্যই একদিন সফলতা আসবে, আপানার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা...
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২২
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩০
রায়হান শুভ বলেছেন: আজ পর্যন্ত আমার এতটুকুও উপদেশ, শুচ কামনা কেউ করেনি। আপনারা থাকবেন সব সময় আমার সাথে ভাই হিসেবে, বন্ধু হিসেবে। এতটুকুই চাই। আল্লাহ আপনাদের ভালো করুক।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শয়তান শাহীন বলেছেন: শুধু মাত্র মন্তব্য করার জন্য লগিন করলাম......ইনশাআল্লাহ কোন একদিন আপনি আরেকটি পোষ্ট লিখবেন যেখানে শুধু থাকবে আপনার সাফল্যের আর অর্জনের কথা গুলো....যা অন্যকে অণুপ্রাণিত করবে....কষ্ট গুলো লুকানো থাকবে...এত টুকু যখন চলে এসেছেন আর কয়েকটা বছর ধৈর্য ধরুন....লেগে থাকুন...এগিয়ে যান..তখন আপনার সময় আসবে দাঁত কেলিয়ে হাসার....খোদা আপনার সহায় হবেন।