![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত ব্যাস্ততা ভাল লাগেনা। ভাল লাগেনা এই যান্ত্রিক জীবন। খুব সাধারন মানের একজন মানুষ আমি, ভুল করি, ভুল স্বীকার ও করি। নিজের দুর্বলতা ঢেকে রাখতে চেস্টা করি না খুব একটা। মানুষকে পর্যবেক্ষন করতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ব্যাস্ত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মানুষ দেখি। ব্যাস্ত মানুষ, ছুটে চলা মানুষ। জীবনের কোলাহল দেখতে ভালো লাগে। নিঝুম গভীর রাত ও ভালো লাগে।ভালো লাগে সহজ ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে।
"রুপা" এই নামটার উপর অনেক অনেক আগে থেকেই আমার এক প্রকার দূর্বলতা কাজ করতো। দূর্বলতার পেছনে অবদান বা দায়ী হুমায়ুন আহমেদ স্যার। উনার বই পড়েই নিজেকে হিমু ভাবতাম। আর রুপার উপর দূর্বলতা অনুভব করতাম। রাস্তা-ঘাটে চলতি পথে 'রুপা' নামটা শুনলেই আমার চোখ আর কান রাডারের মত সার্চিং করতে শুরু করত। কিন্তু কখনই কোনো রুপার স্পর্শে যাওয়া হয় নি।
তবে হ্যা, রুপাও আমাকে দেখত। কিন্তু কখনো ও ভাবেনি আমরা দুজন এক হতে যাচ্ছি। ওত গভীরে যাবনা। তবে এক পর্যায়ে আমাদের কাছে আসা হয়। একসাথে চলা শুরু হয়। তবে আমরা মৌখিক ভাবে কখন কমিটমেন্ট করিনি। আমাদের কমিটমেন্ট আমাদের ভালোবাসা, আমাদের আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা, সম্মান, কেয়ারিং, শেয়ারিং ইত্যাদির মাধ্যমে বুঝে নেই।
সত্যি বলতে আমি রুপাকে নিয়ে সব সময় গর্ব করি। নিজের ভালোবাসার মানুষ বলে বলছি তা না। আমি ছাড়াও যদি অন্য কেউ থাকত তাহলে আমার মতই গর্ব করত। একজন ছেলে হিসেবে আমি বা আপনি কোন ধরনের মনের মানুষ আশা করেন?? ঠিক তেমনি রুপা।
রুপা অনেকটাই চঞ্চল, ছটফটে, হাসি-ঠাট্টা করা একজন। তবে ওর সকল প্রকার চঞ্চলামী, দুষ্টামি, ছটফটানি সব কিছুই আমাকে ঘিড়েই। আমার এই জিনিসটা খুবই অবাক লাগে। রুপার বন্ধু, বান্ধবী, শত্রু, বয়ফ্রেন্ড, হাজবেন্ড ইত্যাদি ইত্যাদি সবই আমি। আর তাই হয়ত ওর সব কর্মকান্ড গুলা আমাকে নিয়েই করে। হুমায়ুন আহমেদ স্যারের ভাষায় বলতে গেলে " বালিকার প্রথম প্রেমের মত সর্বগ্রাসী প্রেম আর হয় না।"
কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের অনেক ওমিল। আমি উত্তর মেরু হলে রুপা দক্ষিণ মেরু। তাই মাঝে মাঝেই মনে হয় আমাদের ভালোবাসাটা অনেকটাই বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। ঐযে নাইন টেনে থাকতে পড়ছিলাম, "চুম্বকের বিপরীত মেরু পরষ্পরকে আকর্ষণ করে।" তবে ওমিল থাকাটা ভালো। ভালোবাসায় একপ্রকার টুইষ্ট কাজ করে। সবকিছু মিলে গেলে একঘেয়ামিতা এসে যেতে পারে।
আমি একটা জিনিস খেয়াল করি সব সময় যে, সকালে যদি রুপার ফোন পাওয়া ছাড়া ঘুম ভাঙ্গে তাহলে আমার পুরা দিনটাই মাটি যায়। কোনো না কোনো বিপদ, ঝামেলা, আসহনীয় প্যারা লাগেই থাকে। হতে পারে এটা আমার চেতন/অবচেতন মনের বিশ্বাস।
আমরা একসাথে ঘুড়তে গেলে অনেক মজা করি। হা হা, হি হি, হো হো লেগেই থাকে। রাস্তার এপার-ওপার থাকা, বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকা, ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো কিছুক্ষণের জন্য স্তম্ভিত হয়ে যায়। একদিন রিকশা পাচ্ছিলাম না, অনেকক্ষন পর একটা পাওয়ার পর জিজ্ঞাস করলাম "মামা যাবা?? মামা বলল, হো যামু। আর আমরা বললাম, তাইলে যান।" আরো ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমাদের মাঝে ঝগড়া যে হয় না তা না। আর ঝগড়া না থাকলে ভালোবাসা জমে উঠে না। মাঝে মাঝে এমনটা করি আমরা যে, আন্তাজে একটা কথা বানায়া ঝগড়া করি। হঠাত করেই ঐটা সিরিয়াস অবস্থায় চলে যায়। আর সেটা চলে অনেকক্ষন। হতে থাকে কিছু মান আভিমানের মেসেজ। একটু পর ফোন করে স্যরি বলা। আস্তে আস্তে আবার সব আগের মতই ঠিক।
আমাদের একটা বড় মিল হলো, আমরা দুজনই অনেক স্বপ্ন বিলাসী। তবে সেই স্বপ্নটা জেগে জেগেই দেখি। কেউ একজন বলেছিল, "স্বপ্ন সেটাই যা তুমি জেগে জেগে দেখো।" আমরা আমাদের ভবিষ্যত সাজাই মনের রঙ নিয়ে। পরিবার-পরিজন নিয়ে, ঘড় সাজানো নিয়ে, বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে, ঘুড়তে যাওয়া নিয়ে আরো ইত্যাদি ইত্যাদি কতই না কি।
আর আমাদের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হলো আমাদের পরিবার। আনন্দ লাগে খুব যখন ভাবি, তারা আমাদের সাথেই আছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আর কয়েক মাসের মাঝেই গ্র্যাযুয়েশন শেষ করে বের হবো। আর, আল্লাহ যদি চান, যদি বেচে থাকি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমাদের এই ভালোবাসাকে স্বার্থকতা দিতে পারবো। দোয়া করবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৪
রায়হান শুভ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
মামুন ইসলাম বলেছেন: দোয়া করি ভালবাসার স্বার্থকতা হোক ।
ভালবাসা জিন্দাবাদ