নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রায়হান শুভ

কিছু মুহূর্ত, কিছু অনুভূতি

রায়হান শুভ

এত ব্যাস্ততা ভাল লাগেনা। ভাল লাগেনা এই যান্ত্রিক জীবন। খুব সাধারন মানের একজন মানুষ আমি, ভুল করি, ভুল স্বীকার ও করি। নিজের দুর্বলতা ঢেকে রাখতে চেস্টা করি না খুব একটা। মানুষকে পর্যবেক্ষন করতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ব্যাস্ত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মানুষ দেখি। ব্যাস্ত মানুষ, ছুটে চলা মানুষ। জীবনের কোলাহল দেখতে ভালো লাগে। নিঝুম গভীর রাত ও ভালো লাগে।ভালো লাগে সহজ ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে।

রায়হান শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কাছে আসা

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৪

তখন সোমবার আর বুধবার স্লটের ক্লাস ছিলো ১১.৫০ থেকে। ক্লাসে প্রায় ১০ মিনিট আগে যেয়েই বসে থাকতাম। আর দরজার দিকে তাকিয়ে থাকতাম ফ্যাল ফ্যাল করে।

সে একটা হাসি দিয়ে ক্লাসে ঢুকতো। আমি হা করে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে সেই হাসিটা দেখতাম। বুঝতাম, আমার চোখের খিদেটা আজকের মত মিটে গেলো। একটা মানুষ এতটা সুন্দর করে কিভাবে হাসে তাই ভাবতাম। আজও সেই হাসিটা একই রকম আছে। কোনো পরিবর্তণ নেই। আর, আমার ভাবনারও কোনো কুল নেই।

আমার এই ফ্যাল ফ্যাল করে তাকানোটা সে মোটেই সহ্য করতে পারতো না। কিঞ্চিত বিরক্তও হতো বটে। তাতে কি?? আমি শান্তি পেয়েছি তাতেই অনেক।

ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভের কাছে ইমেল আর ফোন নাম্বার দেয়া লাগতো সবারই। সেখান থেকেই চুরি করেছিলাম নাম্বারটা। ফোন করে কথা বলার সাহস হতো না। তাই প্রথম প্রথম টুক-টাক মিসকল দিতাম। তারপর একদিন ফোন দিয়ে কোনো কথা বলিনি। একদম চুপ করে ছিলাম। দুই/তিনদিন যাওয়ার পর একটা কড়ড়া ইংলিশ ঝাড়ি খাইছিলাম। কিন্তু কি ঝাড়ি দিছিলো তা সঠিকটা বুঝি নাই। সে আবার ইংলিশ মিডিয়ামের তো তাই ভালো করে আচ করতে পারিনি।

সম্ভবত সে বুঝেই ফেলেছিলো এই শয়তানটা আমি। তাই হয়তো আমাকে দেখলেই চোখ গরম করে তাকাতো। কলিজায় পানি পেতাম না। এই বুঝি এসে একটা থাপ্পড় মারবে। সব সময় আতংকে ডুবে থাকা হতো।।

প্রেজেন্টেশনের সময় টিচারকে বলে কয়ে ওর গ্রুপে জয়েন করি। খালি ঝাড়ির উপর রাখতো। গ্রুপ লিডার ছিলো সে। একদিন তো সেই আকাড়ে ঝাড়ি। বাংলা, ইংলিশ, আরবী, ফারসী যেই ভাষা পাড়ছে তাই চালাইছে। পুরাই অফিসের বস। খুউব খারাপ লেগেছিলো।

মন খারাপ করে বাসায় চলে আসছিলাম। ওর নাম্বারটাও ডিলিট করে দিয়েছিলাম তখন। মোবাইল থেকে পারলেও মন থেকে পারিনি। "স্যরি, রাগ করে থেকো না" আমাকে পাঠানো এটা তার মেসেজ ছিলো। আমার তখন উরকিস-দুরকিশ অবস্থা।

সেই থেকে শুরু। আল্লাহর রহমতে আজও চলছে।

এখন তো সকালের ঘুমটা ভাঙ্গে তার কন্ঠে। ঘুমতে যাওয়াটাও হয় তার কন্ঠে।

তবে তার সেই বাংলা, ইংলিশ, আরবী, ফারসী বা ইন্দোচিং ভাষায় বলা বাক্যগুলা আজও বুঝি নাই। তবে এটা বুঝি যে, তখনকার ঐ ইন্দোচিং ভাষা থেকে এখনকার ইন্দোচিং ভাষাগুলা আরো মধুর। হাসতে হাসতে তো আর বকা দিবে না, তাই না?? আবশ্য এখন আর বুঝতেও চাই না। থাকুক না কিছু ভাষা এমন অপরিচিত হয়ে।

নিজের মত করে সেই শব্দগুলোর অর্থ কখনো কখনো বানাই, "ভালোবাসি তোমায়" কখনো বানাই "তুমি একটা দুষ্ট" আবার কখনো কখনো বানাই "এই তো, আমি তুমি আর আমরা"।

ক্ষতি তো নেই আর। চলুক না এভাবেই যুগ-যুগান্তর। আছি তো; ছিলাম তো; আর, থাকবোও তো। (এই তিনটা জিনিস সে অবশ্য শুনলেই রেগে যায়।) তাই আরো বেশি করেই বলি। রাগিয়েও নাহয় একটু ভালোইবাসলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.