নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মত প্রকাশের স্বাধীনতাই বড় স্বাধীনতা।

ব্লগার রাজনুর

ব্লগার রাজনুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মজার অভিজ্ঞতা!

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

সাইকোলজির টিচার ক্লাশে ঢুকেই বললেন- আজ পড়াবো না । সবাই খুশি । টিচার ক্লাশের মাঝে গিয়ে একটা
বেঞ্চে বসলেন ।বাইরে বৃষ্টি, বেশ গল্পগুজব করার মত একটা পরিবেশ । ষ্টুডেন্ডদের মনেও পড়াশুনার কোন
প্রেশার নাই । টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই পাশের মেয়েটাকে বললেন, - জননী তোমার কি বিয়ে হইছে ?
মেয়েটা একটু লজ্জা পেয়ে বলল, জ্বী স্যার । আমার একটা দুই বছরের ছেলে আছে টিচার চট করে দাড়াইলেন । খুব হাসি
হাসি মুখ নিয়ে বললেন,- আমরা আজ আমাদেরই একজনের প্রিয় মানুষদের নাম জানবো ।
এই কথা বলেই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললেন, মা আজকে তুমিই টিচার ।
এই নাও চক, ডাষ্টার । যাও তোমার প্রিয় দশ জন মানুষের নাম লেখ ।
মেয়েটা বোর্ডে গিয়ে দশ জন মানুষের নাম লেখল । টিচার বললেন - এরা কারা ?
তাদের পরিচয় ডান পাশে লেখ । মেয়েটা এদের পরিচয় লিখল । সংসারের সবার নামের পাশে দুই একজন বন্ধু,
প্রতিবেশীর নামও আছে । টিচার এবার বললেন,লিষ্ট থেকে পাঁচ জনকে মুছে দাও ।
- মেয়েটা তার প্রতিবেশী, আর ক্লাশমেটদের নাম মুছে দিলো ।
টিচার একটু মুচকি হাসি দিয়ে বলল আরো তিন জনের নাম মুছে দাও ।
- মেয়েটা এবার একটু ভাবনায় পড়লো ।ক্লাশের অন্য ষ্টুডেন্টরা এবার সিরিয়াসলি নিলো
বিষয়টাকে । খুব মনযোগ দিয়ে দেখছে মেয়ার সাইকোলজি কিভাবে কাজ করছে । মেয়েটার
হাত কাঁপছে । সে ধীরে ধীরে তার বেষ্ট ফ্রেন্ডের নাম মুছল । এবং বাবা আর মায়ের নামও মুছে দিল ।
এখন মেয়েটা রিতিমত কাঁদছে । যে মজা দিয়ে ক্লাশটা শুরু হয়েছিলো,
সেই মজা আর নাই । ক্লাশের অন্যদের মাঝেও টানটান উত্তেজনা।
লিষ্টে আর বাকী আছে দুইজন ।মেয়েটার হাজবেন্ড আর সন্তান।
টিচার এবার বললেন, আরো একজনের নাম মুছ।
- কিন্তু মেয়েটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো ।কারো নাম মুছতে সে আর পারছেনা ।
টিচার বললেন, মাগো এইটা একটা খেলা ।
সাইকোলজিক্যাল খেলা । জাষ্ট প্রিয় মানুষদের নাম মুছতে বলছি ।মেরে
ফেলতে তো বলি নাই ! মেয়েটা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে ছেলের নামটা মুছে
দিল । টিচার এবার মেয়েটার কাছে গেলেন বোর্ডের কাছে । পকেট থেকে একটা গিফ্ট বের
করে বললেন, তোমার মনের উপর দিয়ে যে ঝড়টা গেলো তার জন্য আমি দুঃখিত । আর এই গিফ্ট
বক্সে দশটা গিফ্ট আছে । তোমার সব প্রিয়জনদের জন্য । এবার বলো, কেন তুমি কোন নামগুলো মুছলে ।
মেয়েটা বলল,- প্রথমে বন্ধু আর প্রতিবেশীদের নাম মুছে দিলাম । কারন তবু আমার কাছে বেষ্ট
ফ্রেন্ড আর পরিবারের সবাই রইলো । - পরে যখন আরো তিন জনের নাম মুছতে বললেন, তখন বেষ্ট ফ্রেন্ড
আর বাবা মায়ের নাম মুছে দিলাম। ভাবলাম,বাবা মা তো আর চিরদিন থাকবে না।আর বেষ্ট
ফ্রেন্ড না থাকলে কি হয়েছে ? আমার কাছে আমার পুত্র আর তার বাবাই বেষ্ট ফ্রেন্ড ।
- কিন্তু সবার শেষে যখন এই দুইজন থেকে একজনকে মুছতে বললেন । তখন আর
সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না । পরে ভেবে দেখলাম,ছেলেতো বড় হয়ে একদিন আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও যেতে পারে । কিন্তু ছেলের বাবাতো কোন দিনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।
-সংগৃহীত

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারন, মজার কিছু নেই

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

তারেক বলেছেন: দারুন

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার শেয়ার।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

Emon hasan বলেছেন: :-D

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৩

বালুচর্ বলেছেন: অসাধারণ! অসাধারণ!!
মেয়েটার ধৈর্যশক্তির প্রশংসা করি। এটা গল্প হলেও দারুণ একটি মনস্তাত্ত্বিক চাপ তোলপাড় করে গেলে মনের কিনারায়।
আপনাকে শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.