নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা লেখি মনের সুখে আর জীবনের কথা বলি। বলি দ্রোহের কথা। ভালোবাসা আমার জীবনের গল্প।

রিয়েল আবদুল্লাহ আল মামুন

রিয়েল আবদুল্লাহ, সম্পাদক, লিটল ম্যাগ রূপান্তর ময়মনসিংহ

রিয়েল আবদুল্লাহ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঁকাচোখেঃ ত্রিশালের সমাজ ও সাংবাদিকতা

০১ লা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

ত্রিশালে আমরা সেই সাংবাদিক কবে পাবে যাঁরা চোখের সামনে দেখা সত্যটাকে সত্য বলবে। ধ্রুব সত্যটাকে সবার সামনে তুলে ধরবে।

দিনকে দিন ত্রিশালের মিডিয়ার অবস্থা এতটাই খারাপের দিকে যাচ্ছে যে কেউ আর সৎ ও সত্যিকারের সাংবাদিক বা সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকতা করছেন না।

দলীয়করন গ্রুপিং কিংবা আত্ম-অহংকারে নিমগ্ন হয়ে আছেন। সমাজের ভালোমন্দ যে কোনক্রমে এড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে সমাজ দিনকে দিন অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। মাদক জুয়া এসব প্রকাশ্যে চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে ধরতে গেলে ঘরের পেছনে জুয়াড়িরা তাঁদের বিষদাঁত বের করে হাসছে।

যেমনঃ ত্রিশালের নজরুল একাডেমী মাঠে তিনদিন ব্যাপী চলমান কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯ তম জন্মজয়ন্তীর মেলার (যা ৪ দিন অনুমোদিত থানা প্রশাসন কর্তৃক) ৯ টি স্টলে বিগত ত্রিশ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে চলমান প্রকাশ্য জুয়াখেলা (যা ৪র্থ দিনের মতো চলেছে বলে গভীর অনুসন্ধানের দাবী রাখে) যেখানে সারাদেশে মাদক নির্মূলের কাজ করে যাচ্ছে সরকার সেখানে প্রশাসন রয়ে যাচ্ছে নিষ্ক্রিয়-নিস্তব্ধ। অথচ একজন সাংবাদিকের কলমের লেখনীর জোরে একমূহুর্তে বন্ধ হতে পারে এসব অপকর্ম। কিন্তু কোন একজন সাংবাদিক এর প্রতিবাদ পর্যন্ত করেননি।

প্রশ্ন হলোঃ মাদক ও জুয়া কি সমতুল্য নয় সমাজ ধ্বংস করে না?

জনগণের অসহায়ত্ব আজ চরম পর্যায়ে দু একজন প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের কাছে পুরো সমাজ আজ জিম্মি। দেখার মতো কেউ নেই।

ফলে দিনকে দিন চোখের সামনেই বড় বড় অপরাধ সংঘটিত হয়ে যাচ্ছে। আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে যাওয়া সর্ষের মতো অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সর্ষের ভূত আরোও বেশি ভয়ংকর দানব হয়ে যাচ্ছে।

অতিবেশি অরাজকতা বিরাজ করছে। কিন্তু কোথায় করছে তা দেখার সাথে জড়িত সংবাদ কর্মী বা শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকবৃন্দের হাত যেন কেউ বেঁধে রেখেছে—চোখে ঠুলি দিয়ে রেখেছে—মুখে কুলুপ এটে রেখেছে।

বেশিরভাগ রিপোর্টার থানা প্রশাসনের আশেপাশে দৌড়াদৌড়ি করে ক্লায়েন্ট-সুপারিশ ইত্যাদির মাধ্যমে পকেট ভারী করে নিচ্ছে। থানা প্রশাসনও ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত। আবার কিছু সাংবাদিক ইউএনও অফিসের আশে পাশে ভালোবাসা বিলিয়েই সময় কাটিয়ে দেন বা দিচ্ছেন।

অসহায় ত্রিশালবাসী আজ মুক্তি চায়। চায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাসের সুস্থ পরিবেশ। চায় যুবসমাজ ভাল থাকুক। (কে করবে তদন্ত —তদন্তের দাবী রাখছি)

হোক না সে প্রভাবশালী আমলা বা হোক না প্রভাবশালী নেতা সাংবাদিকের কলমের কাছে সে নতজানু যদি সে অপরাধী কেউ হয় বা অপরাধের পৃষ্ঠপোষক হয় আর সাংবাদিক যদি ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়।

সাংবাদিকবৃন্দ সমাজের বিবেক-সে বিবেক নষ্ট হয়ে গেলে দেশ ও জাতি ধ্বংস হতে বাধ্য। অত্র ত্রিশালে চাই বসবাসের সুস্থ সমাজ-চাই প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দের দল ও মত নির্বিশেষে সাহসী সাংবাদিকতা।




মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সাংবাদিকরাই তো অপকর্ম করে। তাই তারা প্রতিবাদ করে না।

২| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:০৯

আলআমিন১২৩ বলেছেন: রতমানে রজনীতির পরেই সাংবাদিকতা লুক্রেটিভ প্রফেশন। অনেক সাংবাদিক বিনা বেতনে কাজ করে। অথচ এক্রিডিটেশন কার্ডের বদৌলতে খুব অল্প সময়ে বাড়ি গাড়ির মালিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.