![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.নুরুল ইসলাম ফারুকী ছিলেন বেরেলভী আকিদার আলেম এই বেরেলভী আকিদার আরেকজন আলেম হলোঃ তাহের উল কাদরী(Tahir Ul Qadri), এই আলেম খ্রিষ্টান দের বড়দিন এ খ্রিষ্টানদের সাথে বড়দিন পালন করেছে। ইউটিউব এ ভিডিও আছে। গানে নেচেছে,যারা করাচীতে থাকে তাদের জন্য সুদ দেওয়াকে হালাল বলেছে।
বেরেলভী আকিদার কিছু পণ্ডিতদের নাম,যাদেরকে বর্তমান বেরেলভীরা পীড় মানেঃ
১.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী, যে এই বেরেলভী আকিদার প্রবর্তক...।।
২.আহমাদ ইয়ার খান নইমী, যে আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এর ছাত্র...।।
৩.মুসা, যে আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এর পীড় ছিল...।।
৪.খাযা গোলাম ফরিদ, যাকে বেরেলভীরা বড় আলেম মানে...।।
৫.বাবা বুলান্দ শাহ্, যাকে বেরেলভীরা বড় বাবা মানে...।।
৬.মানছুড় হাল্লাজ, যাকে বেরেলভীরা অনেক বড় আল্লাহর অলী মানে...।।
৭.ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি, যাকে বেরেলভীরা বড় আলেম মানে...।।
৮.ইবনে আরবি, যাকে বেরেলভীরা বড় আলেম মানে...।।
৯.হামযা খোরাসানী, যাকে বেরেলভীরা অনেক বড় আল্লাহর অলী মানে...।।
আসুন এদের আকিদা সম্পর্কে কিছু জানা যাক,
১. আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ মুসা(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এর পীড়) যে সর্বদা মেয়েদের কাপড় পড়তো ও মেয়েদের মত সেজে থাকতো। একবার তাকে বৃষ্টি এর জন্য দোয়া করতে বলা হয়,তখন সে একটি পাথর নিলো এবং তার হাতের চুড়ির সাথে লাগাল এবং উপরের দিকে তাকিয়ে বলল আল্লাহ্ কে-‘হয় বৃষ্টি দে না হয় তোর বউ কে ফিরিয়ে নে’
আরেকবার একজন বলল এই মুসা কে- ‘হুজুর এবার ছেলেদের কাপড় পড়ে নিন, এবং মসজিদ এ চলেন নামাজ পড়তে’যখন মসজিদ এ গেল ইমাম ‘আল্লাহু আকবর’ বলল, তখন এই পীড়(মুসা) বলল-‘সে আমার স্বামী যার কখন মরন আসবে না’ (আহমাদ রেযা খান বেরেল্ভী -মালফুযাত;১৫২) মানে এই মুসা নিজেকে আল্লাহর স্ত্রী বলতো।(নাউযুবিল্লাহ)
২.ইবনে আরবি বলেছেঃ “যে মাখলুক ও আল্লাহ্ কে দু’রকম বলে বা আলাদা বলে, মানে পার্থক্য আছে বলে সে মুশরীক,আর যে মাখলুক অ আল্লাহ্ কে এক বলে,বলে যে কোনও পার্থক্য নেই,সে ভাল মানুষ”(ইবনে আরবি -ফাসুসুল হিকাম;৯৯)
৩.ইবনে আরবি বলেছেঃ “এই দুনিয়ায়ে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন অস্তিত্ব নেই”(ইবনে আরবি-রাসাইলে ইবনে আরবি,কিতাবুল জালালা;১২) এর মানে এই দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ্... (নাউযুবিল্লাহ)
৪.ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি বলেছেঃ “মাসআলা ‘ওয়াহাদাতুল ওয়াজুদ’ সঠিক এবং এতে কোনও সন্দেহ নেই”(ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি-শাফায়েমে ইমদাদিয়া;৩২)
*** ‘ওয়াহাদাতুল ওয়াজুদ’ এর মানেঃ এই দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ্... (নাউযুবিল্লাহ)
৫.ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি বলেছেঃ “মানুষ বাহির দিয়ে মানুষ, বাহ্যিক ভাবে মানুষ কিন্তু আসলে বিতর থেকে সে আল্লাহ্”(ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি-শাফায়েমে ইমদাদিয়া;৫৩)...(নাউযুবিল্লাহ)
৬.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “মানছুড় হাল্লাজ কে কেউ জিজ্ঞেস করল-‘তুমি নাকি নবী হওয়ার দাবি করো?’ মানছুড় হাল্লাজ বললো-আফসোস তুমি আমার সম্মান কমিয়ে দিয়েছ,আমিতো খোদা হওয়ার দাবি করি”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৬)
৭.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “হামজা খোরাসানীর কানে এক বকরীর আওয়াজ আসলো, সে সাথে সাথে বলতে লাগলো-লাব্বাইক জাল্লাহ শানু”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৪)
৮.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ “আল্লাহর সকল হুকুম রাসুল(সাঃ) এর দরবারে যায়ে তারপর সেখান থেকে হুকুম করা হয়। মানুষ যা পায়ে সব রাসুল(সাঃ) এর কাছ থেকে পায়ে”(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী-মালফুজাত;৩৬৯)
৯.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ “গাউস(যেমন-আব্দুল কাদের জিলানী) ছাড়া আকাশ ও জমীন টিকে থাকতে পারে না”(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী-মালফুজাত;১০৬)
১০.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “এক ব্যক্তি খাযা মইনুদ্দিন চিশতী এর কাছে এসে বললো- হযরত আমাকে আপনার মুরিদ বানিয়ে নিন,চিশতী বললো-পড়,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ চিশতি রাসুলুল্লাহ”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৮৩)
১১. বাবা বুলান্দ শাহ্ বলেছেঃ “চিতা আল্লাহ,হরিনও আল্লাহ,শিকার আল্লাহ,শিকারিও আল্লাহ্”(বাবা বুলান্দ শাহ্-কালাম বাবা বুলান্দ শাহ্;৩৪৫)
১২.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “আবুল হাসান বলেছে-সকালে আল্লাহ্ আমার সাথে কুসতী করেছে এবং আমাকে হারিয়ে দিয়েছে কারন আমি আমার রব থেকে ২ বছর এর ছোট”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৪)
১৩.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এক হিন্দু সাধু কে আল্লাহর অলী বলে
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
কালো_সাদা বলেছেন: তো লোকটা খুন হলো, শান্তি পেয়েছেন ?
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
Noor ইসলাম বলেছেন:
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এরা নাকি সুদ হালাল করেছে? আমার পোস্টে আপনাকে রেফারেন্স দিতে বললাম সুদ হালালের। রেফারেন্সটা দিয়ে আসবেন। কথা আছে আপনার সাথে।
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭
নতুন বলেছেন: কোন মতভেদের কারনে খুন করতে হবে এমনটা কোথায় আছে??
খুনের সমথন করবেন না...
তিনি হাজার খারাপই থাকুকনা কেন তাকে হত্যার অধিকার কারুরই নাই..
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
নতুন বলেছেন: একজন মানুষ যতই খারাপ হওক তাকে হত্যা করতে কোন ধমে বলা আছে?
অবাক লাগে হত্যকে জায়েজ করার জন্য মৃতের দোষ প্রচারকরা হয়...
এমন মূখ যেই সমাজে আছে সেখানে কেন দুইদিন পরপর এমন হত্যা হবে না...
হত্যাকারীদোর দৃস্টান্তমুলক সাস্তির ব্যবস্হা সরকারের করা দরকার..??
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বাহ্ বাহ্...তাইলে তো মনে হয় হত্যাটা জায়েজ হয়ে গেল, যাক মনে শান্তি পাইলাম....
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
মুদ্দাকির বলেছেন:
বড়ই অবিবেচকের মত কাজ করেছেন, এই পোষ্টটা দিয়ে। বড়ই নির্বোধের মত কাজ করেছেন, একজন ৃতের সমালোচনা করে, আপনিকি জানেন যে উনি কি অবস্থায় ৃত্যু বরন করেছেন? আপনি কি নিশ্চত যে উনি শহিদ হন নাই? উনার মত মানুষের কারনে অনেক অনেক মানুষ ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারছে, এমন কি অনেক মানুষ ইমান আনছে। আল্লাহ এই মর্যাদা যাদের দিয়েছেন, তারা আপনার আমার মত সাধারন মুসলমানের চেয়ে অনেক উপরে।
সূরা নিসা আয়াতঃ২৯,৩০
( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا)
(وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ عُدْوَانًا وَظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيهِ نَارًا وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللّهِ يَسِيرًا)
"হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন কিংবা জুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে খুব শীঘ্রই আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজসাধ্য।"
সূরা নিসা আয়াতঃ ৯৩
(وَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا )
"যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।"
কতটা অন্ধ আমরা ? আমাদের দল কি? আমরা কোন দলের লোক? চলেন সবাই খুনা খুনি শুরু করি !!!
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউওন।
এই ক্ষতি আল্লাহ আমাদের পুষিয়ে দিন। (আমিন)
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
Biplob Khulna বলেছেন: ফারুকী সাহেবের চিন্তাধারার গঠন ছিল ইসলাম এবং মুসলামানদের জন্য খুবই বিপদজনক। আমার কাছে মনে হয়েছে - শিরক,বিদআত এবং সঠিক ইসলাম চর্চার ক্ষেত্রে রয়েছে তার চরম দৈনতা। আল্লাহ তাকে মাফ করুন।
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই ফালতু লোকটা হল মাল্টি। ব্রেইনলেস বাস্কেট টাইপের। একমাত্র ফালতু মাল্টি ব্রেইনলেস বাস্কেট ছাড়া আর কেউ পোস্ট দিয়ে কমেন্টের জবাব দেয়া বন্ধ রাখে না আর সোয়া এক বছর কমেন্ট-পোস্ট বন্ধ রেখে হঠাৎ ফারুকী সাহেবের খুনের পর হাজির হয় না।
ব্লগভর্তি অনেক ব্লগার বিভিন্ন পোস্টে বলছিলেন, এই পোস্ট-কমেন্ট করা দুই চারজনকে ধরে ডলা দিলেই জানা যাবে কে বা কারা এই ধরনের পৈশাচিক খুনের সাথে জড়িত।
একে আমি আমার পোস্টে জিগ্যেস করলাম, 'বেরলভি'রা মানে মাসলাকে আলা হাদ্বরাত ও ড. তাহির উল ক্বাদরী সাহেবের ঘরানা কোথায় কোথায় সুদকে হালাল বলেছে। এরপর তার পোস্টে গিয়েও একই প্রশ্ন করলাম। খবরই নাই।
এইসব বেইসলেস বটমলেস পরিচিতিহীন বাস্কেটের কোন কথাই গ্রহণযোগ্য না। তার পরও, বিষয়গুলো স্পষ্ট করছি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র খাতিরে।
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: *১* নুরুল ইসলাম ফারুকী ছিলেন বেরেলভী আকিদার আলেম -সত্যি বলা চলে। বেরলভি আক্বিদা নয়, মুসলিম আক্বিদা। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্ এর আক্বিদা।
*২* এই বেরেলভী আকিদার আরেকজন আলেম তাহের উল কাদরী(Tahir Ul Qadri) - মোটামুটি ঠিকই বলেছে। যদিও ড. তাহির উল ক্বাদরী, ৮০০+ বইয়ের লেখক, ইংরেজি, আরবি, ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি ছাড়াও আরো ভাষায় তিনি ৬০০০+ ইউনিক বক্তব্য দিয়েছেন আরবীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ক্যামব্রিজ বা নিউইযর্ক থেকে শুরু করে ভারতে। ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদের উপরে তাঁর লেখা ৮০০+ পাতার বই একই সাথে সারা বিশ্বে সুলভ। ড. ক্বাদরী যে কথাই বলেন বা যে বইই লেখেন, সেটাই ৬০ টি হাদীস গ্রন্থ, ৪ টি ফিক্বাহ, কমবেশি ১০ টি তাফসীর গ্রন্থ থেকে নেবার পর বলেন। সম্পূর্ণ আরব বিশ্বে তাঁর শাইখুল ইসলাম সিন্ধ ও শাইখুল হিন্দ নামে পরিচিতি রয়েছে। শিয়া-সুন্নি দূরত্ব এবং দেওবন্দী-সুন্নি দূরত্ব ও মতভেদ দূর করার কাজে তিনি বহু আলোচনা ও সমন্বয় করেছেন। এমনকি সালাফি-সুন্নি দূরত্ব কমানোর জন্য তিনি নিয়মিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য কনফারেন্সে অংশ নেন। তিনি হানাফী হলেও শাফিয়ি, মালিকি ও হাম্বলি মাজহাবের অসংখ্য আলিম তাঁকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানান। ড. ক্বাদরী ইসলামের সম্প্রসারণে বিশ্বাস করেন, বিভক্তিতে নয়। ফলত: তিনি নিয়মিত অন্যান্য ধর্মের মানুষের সাথেও আলাপ করেন। কেননা, দাওয়াহ'র দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। ড. ক্বাদরী সম্পূর্ণরূপে মাসলাকে আ'লা হাদ্বরাতের তথা আহলুস সুন্নাহর কথিত 'বেরলভি' নন। তিনি মাসলাকে আ'লা হাদ্বরাতের সহগামী।
*৩* এই আলেম খ্রিষ্টান দের বড়দিন এ খ্রিষ্টানদের সাথে বড়দিন পালন করেছে। - খ্রিস্টানদের সাথে খ্রিস্টানদের বড়দিন পালন করেনি বরং ওয়া সালামুন আলাইকা ইয়াওমা উলিত্তু ওয়া ইয়াওমা ইয়ামুতু ওয়া ইয়াওমা ইউবআতু হাইয়্যা- এই আয়াত যে বিশেষ করে ঈসা আ.'র বিষয়ে এসেছিল, সেই আয়াতের বাস্তবতা করেছেন। কুরআনের এই আয়াতের অর্থ জেনে নেয়া ঈমানের বিষয়। রাসূল দ. খ্রিস্টান ও ইহুদিদের মসজিদে বসবাস করতে দিয়েছেন, নিজের চাদর বিছিয়ে দিয়েছেন, নিজের খাবার দিয়েছেন, তাদের খাবার খেয়েছেন এমনকি বিষাক্ত খাবার খেয়ে অসুস্থও হয়েছেন- শত শত শত সহিহ হাদিস। আজকালকার মোল্লারা নিজেদের মধ্যে মারপিটে ব্যস্ত। ইহুদি খ্রিস্টানদের সাথে ওঠাবসা করে ইসলাম প্রচারের সুন্নাহ পালনের সময় তাদের কই? তাহিরুল কাদরি করেছেন, বিরাট পাপ করে ফেলেছেন?? ইহুদিরা নবী মুসা আ.'র জন্য একদিন রোজা রাখলে রাসূল দ. তিনদিন রোজা রাখান! ঈসা আ.'র আগমনের খুশিতে কেক কাটলে দুনিয়া উল্টে যাবে!
*৪* গানে নেচেছে, - ভিডিও লিংক দেন যে গানে নেচেছে! তাহির উল ক্বাদরী বুখারী মুসলিম অনুসারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র ভালবাসার গান, এমনকি বাদ্যকেও অনুমোদন করেন। পারলে বোখারি মুসলিম কেটে ফেলেন, না হলে স্বীকার করেন যে রাসূল দ.'র ইসলাম ও সুন্নাহকে গোপন করছেন। রাসূল দ.'র প্রকাশ্য ইসলাম ও সুন্নাহকে গোপন করা মানে কী? ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলা।
*৫* যারা করাচীতে থাকে তাদের জন্য সুদ দেওয়াকে হালাল বলেছে। - রেফারেন্স কৈ!
*৬* ১.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী, যে এই বেরেলভী আকিদার প্রবর্তক...।। - এই আক্বিদা সব সময়েই ছিল, আহমাদ রেযা খান রা. হলেন গত শতকের মুজাদ্দিদ, যিঁনি ১৪-৩২ হাজার ফাতওয়া দিয়েছেন, সহস্রাধিক বই লিখেছেন, ১২ দিনে কুরআন হিফজ করেছেন, আজীবন ফরজ ওয়াজিব সুন্নাহ এমনকি নফল পালন করেছেন। ২৩ টির উপর সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়ে বই লিখেছেন। রসায়ন, গণিত, অ্যাস্ট্রোনমি, সমাজতত্ত্ব সহ ইসলামের সকল শাখায়। তাঁর কবিতার সংখ্যাই সহস্রাধিক, যদি কয়েক হাজার না হয়ে থাকে। তাঁর একেকটা ফতোয়ায় তৎকালীন আরবের মক্কা, মদীনা, জেদ্দা সহ বৃহত্তর আরবের একেক কেন্ত্রের ডজন ডজন নীতিনির্ধারক মুফতি সর্ব্বোচ্চ আলিম স্বীকৃতি দিয়েছেন। আজো ১,১০০+ বছরের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় এবং পৃথিবীর প্রাচীণতম বিশ্ববিদ্যালয় আল আযহারে তাঁর বই পাঠ্য।
*৭* ২.আহমাদ ইয়ার খান নইমী, যে আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এর ছাত্র...।। - ভুল। হাকিমুল উম্মাহ্ আহমাদ ইয়ার খান নঈমী র. আ'লা হাদ্বরাত ইমাম আহমাদ রেযা খান রা.'র ছাত্র নন। তিনি মাত্র একবার এক সন্ধ্যায় তাঁকে দূর থেকে দেখেছিলেন। হাকিমুল উম্মাহ্ নঈমী সাহেব ছিলেন নঈমউদ্দিন মুরাদাবাদি র.'র ছাত্র। তিনি ছিলেন ইমাম আলা হাদ্বরাত রা.'র ছাত্র।
"১. আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ মুসা(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এর পীড়) যে সর্বদা মেয়েদের কাপড় পড়তো ও মেয়েদের মত সেজে থাকতো। একবার তাকে বৃষ্টি এর জন্য দোয়া করতে বলা হয়,তখন সে একটি পাথর নিলো এবং তার হাতের চুড়ির সাথে লাগাল এবং উপরের দিকে তাকিয়ে বলল আল্লাহ্ কে-‘হয় বৃষ্টি দে না হয় তোর বউ কে ফিরিয়ে নে’
আরেকবার একজন বলল এই মুসা কে- ‘হুজুর এবার ছেলেদের কাপড় পড়ে নিন, এবং মসজিদ এ চলেন নামাজ পড়তে’যখন মসজিদ এ গেল ইমাম ‘আল্লাহু আকবর’ বলল, তখন এই পীড়(মুসা) বলল-‘সে আমার স্বামী যার কখন মরন আসবে না’ (আহমাদ রেযা খান বেরেল্ভী -মালফুযাত;১৫২) মানে এই মুসা নিজেকে আল্লাহর স্ত্রী বলতো।(নাউযুবিল্লাহ)" - এইসব কথা ১৯ বছরেও কিছুই জানলাম না! আর মাজনূনের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এইসব কথা আক্বিদা হতে যাবে কেন! পাগল নাকি!
"২.ইবনে আরবি বলেছেঃ “যে মাখলুক ও আল্লাহ্ কে দু’রকম বলে বা আলাদা বলে, মানে পার্থক্য আছে বলে সে মুশরীক,আর যে মাখলুক অ আল্লাহ্ কে এক বলে,বলে যে কোনও পার্থক্য নেই,সে ভাল মানুষ”(ইবনে আরবি -ফাসুসুল হিকাম;৯৯)"- দেখা যাচ্ছে জগতের যত বড় আলিম, জগতের যত বড় ইমাম, জগতের যত বড় আল্লামা, এঁদের সবার সাথেই রয়াজ সাহেবের ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে! উল্টাপাল্টা আধখানা কোট করে বারোটা বাজানোর মতলব!
শাইখুল আকবার ইবনুল আরাবী র. ৪৫০ টির উপর বই লিখেছেন। তিনি ২৩ বছর ধরে বৃহত্তর আরবের বর্তমানের ২০ টিরও অধিক দেশে ভ্রমণ করেছেন শুধু হাদিস সংগ্রহ, কুরআনের তাফসির সংগ্রহ এবং মুহাদ্দিস-মুফাসসির-ইমাম ও আলিমদের কাছ থেকে সরাসরি শেখার জন্য। রয়াজদের মত অর্বাচীণরা যা করার কথা চিন্তাও করবে না। কে করে কার সমালোচনা! সব যুগের সব বড় বড় রথী মহারথীদের নিয়েই তাদের তাবৎ সমস্যা দেখা যাচ্ছে!
বিষয়টা লা মাওজুদা ইল্লাল্লাহ'র, একজন আরিফ সর্বত্র আল্লাহর স্পর্শ পাবেন ও আল্লাহর বিষয় দেখবেন।। এটা সম্পূর্ণই আল্লাহর প্রতি ফানা'র দৃষ্টিভঙ্গি। জাতের অংশ অনংশের দৃষ্টিভঙ্গি নয়।
এর মানে এমন নয় যে, সবই আল্লাহ। আল্লাহর ইচ্ছা ও সক্রিয় অনুমোদন এবং তাঁর সম্পূর্ণ চাওয়া ছাড়া কিছুই থাকতে পারে না, বিষয়টা এমন। আল্লাহর জাত তো অংশী থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। যে কোন বাচ্চাও জানে, নূনতম মস্তিষ্কসম্পণ্ন জানে, ইসলামের মৌলিক কথাই এটা। ইসলাম শুরুই হয়েছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং লা শারিক আল্লাহ থেকে।
৮.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ “আল্লাহর সকল হুকুম রাসুল(সাঃ) এর দরবারে যায়ে তারপর সেখান থেকে হুকুম করা হয়। মানুষ যা পায়ে সব রাসুল(সাঃ) এর কাছ থেকে পায়ে”(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী-মালফুজাত;৩৬৯)- অবশ্যই। এমন অকাট্য বিষয়, যা বলার অবকাশ নেই। বলবেন ও বলেছেন এবং বলছেন ইমাম ও আলিমরা।
৯.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ “গাউস(যেমন-আব্দুল কাদের জিলানী) ছাড়া আকাশ ও জমীন টিকে থাকতে পারে না”(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী-মালফুজাত;১০৬)- স্বাভাবিক, যেমন ইসরাফিল আ.'র শিঙার ফুক ছাড়া কিয়ামাত হবে না, রাসূল দ. ছাড়া রাহমাতাল্লিল আলামিন কেউ নয়, যেমন হাসান ও হুসাইন রা. ছাড়া বেহেস্তের সম্রাট কোন পুরুষ নয় এবং তাঁদের মাতা ছাড়া বেহেস্তের সম্রাজ্ঞী কেউ নয় এবং আজরাঈল আ. ছাড়া কেউ জান কবচ করে না ও জিব্রাঈল আ. ছাড়া কেউ ওয়াহি নিয়ে আসে না। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। যেমন, আল্লাহ কোন জাতি প্রেরণ করেন না, তাদের জন্য রাসূল নির্ধারিত না করে।
১০.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “এক ব্যক্তি খাযা মইনুদ্দিন চিশতী এর কাছে এসে বললো- হযরত আমাকে আপনার মুরিদ বানিয়ে নিন,চিশতী বললো-পড়,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ চিশতি রাসুলুল্লাহ”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৮৩) - ফালতু কথা।
১১. বাবা বুলান্দ শাহ্ বলেছেঃ “চিতা আল্লাহ,হরিনও আল্লাহ,শিকার আল্লাহ,শিকারিও আল্লাহ্”(বাবা বুলান্দ শাহ্-কালাম বাবা বুলান্দ শাহ্;৩৪৫) -যদি বলে থাকেন তা ফানাফিল্লাহর মাযনূন বাণী। মাযণূনের উপর কলম উঠে গেছে।
১২.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “আবুল হাসান বলেছে-সকালে আল্লাহ্ আমার সাথে কুসতী করেছে এবং আমাকে হারিয়ে দিয়েছে কারন আমি আমার রব থেকে ২ বছর এর ছোট”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৪) -ফালতু আলাপ। ছোটলোকি কথাবার্তা।
১৩.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এক হিন্দু সাধু কে আল্লাহর অলী বলে।- মুমিন না হলে কেউ আল্লাহর ওয়ালি হবে কীভাবে? এই চরম ননসেন্স। আর এইসব ননসেন্স যেসব আগামাথা ছাড়া কথা বলে, হয়ত কোন মুমিন মুসলিমকেই অন্য ধর্মের সাধু বানিয়ে দিচ্ছে।
৬.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “মানছুড় হাল্লাজ কে কেউ জিজ্ঞেস করল-‘তুমি নাকি নবী হওয়ার দাবি করো?’ মানছুড় হাল্লাজ বললো-আফসোস তুমি আমার সম্মান কমিয়ে দিয়েছ,আমিতো খোদা হওয়ার দাবি করি”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৬) - মাযনূন। যার উপর থেকে হুকুমের কলম উঠে গেছে। মাযনূন অবস্থা ছাড়া এসব কথা বলার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
৪.ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি বলেছেঃ “মাসআলা ‘ওয়াহাদাতুল ওয়াজুদ’ সঠিক এবং এতে কোনও সন্দেহ নেই”(ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি-শাফায়েমে ইমদাদিয়া;৩২)
*** ‘ওয়াহাদাতুল ওয়াজুদ’ এর মানেঃ এই দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ্... (নাউযুবিল্লাহ)
৫.ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি বলেছেঃ “মানুষ বাহির দিয়ে মানুষ, বাহ্যিক ভাবে মানুষ কিন্তু আসলে বিতর থেকে সে আল্লাহ্”(ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি-শাফায়েমে ইমদাদিয়া;৫৩)...(নাউযুবিল্লাহ) - নিশ্চই অর্থ চেঞ্জ করা হয়েছে। হয়ত শাইখ ইমদাদুল্লাহ মুহাজির আল মাক্কী র. বলেছেন, তার রুহ আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। আর ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ তত্ত্ব সম্পূর্ণই ফানাফিল্লাহর উপলব্ধির তত্ত্ব। কোন বাস্তব তত্ত্ব নয়। মজনু যেমন সর্বত্র লাইলীর মুখচ্ছবি দেখে, যদিও সেখানে লাইলী নেই, তেমনি আল্লাহর মুখচ্ছবি তো নেই, কিন্তু ফানাফিল্লাহ সবকিছুতে আল্লাহর ভালবাসা অনুভব করেন। কমনসেন্সের ব্যাপার। আনকমনসেন্সও বুঝতে পারবে। ল্যাবড়া পাকাবে না।
৭.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “হামজা খোরাসানীর কানে এক বকরীর আওয়াজ আসলো, সে সাথে সাথে বলতে লাগলো-লাব্বাইক জাল্লাহ শানু”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৪) - একমাত্র বলদের বাচ্চার পক্ষে সম্ভব এই ধরনের কথাকে মুসলিমের আক্বিদা বলা! ছাগল কোথাকার।
১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: যা বলার তা @লিসানী ভাই চমৎকার ভাবে বলে গিয়েছেন । এই ছাগলটাকে ধরে ডলা দিলেই হয়তো এই ঘটনার পেছনের কাহিনী কিছুটা হলেও বেড়িয়ে এসবে । দেওয়ানবাগী দেখি কতসব ফালতু আর ঘোরতর ইসলাম পরিপন্থী কথাবার্তা বলে ভণ্ডামি করছে , তা এই ছাগলরা চোখে দেখে না । উনি পীর না ! ( এরা পীর শব্দটাকেই কলুষিত করে ফেলেছে ) হায় হতাশা ! মরবি না তোরা ?
১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০১
হাসানস০০৭ বলেছেন: এখানের বেশ কিছু মতবাদের মধ্যে আমার অমত রয়েছে। তবে মানুষ তখনি ধ্বংশ হয় যখন কোন ব্যপারে অত্যাধিক বাড়াবাড়ি করে।
যেমনঃ ইহুদীরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মানে।
খৃষ্টানরা ইসা (আঃ) কে আল্লাহর পুত্র মানে।
আর মুসলমানরা যাকে-তাকে নিজেদের গুরু মানে। হোক সে ভন্ড অথবা বিজাতীদের দালাল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২১
Sun Islam বলেছেন: ফানাফিল্লাহ হয়ে গেলে নাকি নামাজ রোজা লাগে না বললেন -নুরুল ইসলাম ফারুকী