নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাড্ডি খিজিরের মত ঠোঁটকাটা হইতে চাই শেষমেশ ওসমান অরফে রঞ্জু হয়াই দিন কাটে। রোগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছা কী আছিলো সেইটা অনুভব করার খুব শখ আছিলো, জীবনদা তো আর নাই। তার কথা মনে হইলেই শোভনার ব্যর্থ প্রেমিক, লাবণ্যের ব্যার্থ স্বামী মনে হয়।

রেজাউল করিম সাগর

একজন লক্ষ্যহীন পথিক, পথে নেমেই পথকে চিনি - লক্ষ্যকেও।

রেজাউল করিম সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক হিটলারগণ এবং নানান ইতং বিতং কথা

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৪


------------------------------------------------------
আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট প্রতিযোগিতার গন্ধ পাই। যেমন নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, মতামত চাপিয়ে দেয়া, সেই মত কাউকে ছাঁচে ঢেলে শেপ দিতে চাওয়াটাই হয়ে উঠেছে বিরাট অলিম্পিক প্রতিযোগিতা। এরমধ্যে সকলেই সকলের মতামত চিল্লায়ে জাহির করতে থাকে, নিজেরটাই ঠিক প্রমাণ করতে থাকে। এভাবে বারেবারে তর্কে জিতে গিয়ে, নিজের মতটাকে জিতায়ে নিয়ে কিংবা হেরে অন্যেরটা মেনে নিয়ে নিয়েই জীবনটা যাপন হয়ে যেতে থাকে আমাদের।
এরমধ্যে কিছু ব্যতিক্রম যে নাই তা না। ব্যাতিক্রম হচ্ছে সেইসব মানুষ যারা নিজের মত চাপিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে চায় না - তারা যে এই প্রতিযোগিতায় নামেই না সেটা বলবো না, নামতে হয় প্রায়ই, মেনে নিতেও হয়, তবে অনিচ্ছাটা আছে প্রবলভাবেই - তো তারা নিজের মত কারো উপর সেরকমভাবে চাপাতে চায় না, অন্যের মতও বিনা কলহে মেনে-মানিয়ে চালিয়ে দিতে চায়, জীবনটা ছাঁচে ঢালা কিংবা কিঞ্চিৎ নিজের মত করে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নিতে চায়। উদ্দেশ্য কী এদের? উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধ এড়িয়ে গিয়ে নিজের মত কমবেশি সকলের সাথে ভালো না হোক, কোনরকম একটা সম্পর্ক বজায় রাখা যা মতামতের যুদ্ধে গিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু সমস্যাটা কি, অন্যের মতকে প্রাধান্য দেয়ায় সকলেই ভুলে যায় যে এই ক্যাটাগরির উদার (কিংবা উদার সাজতে চাওয়া) মানুষেরও কোন মতামত কিংবা ইচ্ছা অনিচ্ছা আছে। এভাবে নানান পক্ষের নানান দিকের মতামত, ইচ্ছা-অনিচ্ছার চাপে পিষ্ট হয়ে বেচারা নির্বিবাদী লোকদের শান্তি তো পাওয়া হয়ইনা, চারপাশের মানুষের কাছে নিজেকে চরমভাবে ব্যাক্তিত্বহীন বলে মনে হয়। এইটা একটা বিরাট আয়রনি বলা যায়। নিজেরে বিরাট শান্তিবিধানের রেফারি মনে করে নিজেই অশান্তিতে ভোগা! এরচেয়ে বড় আয়রনি আর কী আছে এক্ষেত্রে!
এরচেয়ে স্পষ্টভাষায় নিজের মতামত জানিয়ে দিয়ে সকলের চোখে বেয়াদব সেজে গিয়ে নিজের মানসিক শান্তিটা বজায় রাখাই ভালো বোধ হয় আমার আজকাল! তাহলে কেউই আশা করবে না যে আপনি তাঁদের কথায় চলবেন, সকলেই আগাম কিছু ভেবে নিবেনা, নিজের সিদ্ধান্তও চাপাতে আসবে না। আপনার মতামতের যে মূল্য আছে আপনিও যে আলাদা একটা মানুষ যে আসলে নিজের ডিসিশন নিজেই নিতে পারেন কিংবা চাইলে অন্যদের পরামর্শ মেনে নিতে পারেন এইটা সকলের বোঝা হবে। এই ভালোমানুষি, ভদ্রতা , বেয়াদব না হতে চাওয়াটারে বিরাট একটা কপটতা মনে হয়। ভালত্বের ভন্ডামি মনে হয়।
মানুষ তো আর সেন্ট পার্সেন্ট ভালো হয় না, সকলেরই দোষ-গুণ, ভুল-ত্রুটি,খারাপ-কুৎসিত দিক আছে। এসব দিক আড়াল করে ফেলে অল্প কিছুদিনই সমাজে ভালো থাকা যায়। এসব ভালত্বের ভন্ডামির সুযোগে সকলেই আপনার ঘাড়ে চড়ে বসবে আর এই অবস্থায় পরে অতীষ্ঠ হয়ে কিছু বলে ফেললে, কিছু করে ফেললেই আপনার ভালত্বের ব্যাপারটা বয়ান করে আপনেরে ট্রায়ালে নিয়া যাওয়া হবে। এই ট্রায়াল হইলো এমন মানুষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ট্রায়াল। স্পষ্টভাষায় নিজের মনের সত্যিকার কথাগুলা বলতে পারা, নিজের রাস্তায় নিজের মত চইলা যাইতে পারাটা অনেক বড় একটা যোগ্যতা যা এইসব ভালোত্বের প্যানপ্যানে লেবাস জড়ানো ভন্ড মেরুদন্ডহীন লোকদের থাকে না।
প্রকৃত মানুষ হইতে গিয়ে কোমলতা, ভালত্ব, মাথা নিচু করে রাখা, মেনে নেয়ার অভ্যাস করা, মানিয়ে নেয়া, চাপানো জিনিসও ঢেকি গেলা এইসব করতে করতে এইসব ভন্ড লোকেরা আধামানুষ, ঊনমানুষই হয়া থাকে। মানুষের সস্তা হাত্তালি আর বাহবার আশায় জীবনের মঞ্চের উপ্রে উঠে ভালত্বের মেকি নাচ নেচে যায় আজীবন! এইখানে জীবনটা যাপন হয় না, জীবনের বন্য পাখিটারে খাচায় বন্দি করে রাইখা ভালোত্বের বুলি শেখানো হয়, ভালো খাবারের নামে মগজরে দাসত্ব গেলানো হয়। এই দাসত্বটাই হয়তো বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিয়া গেলে আপনেরা রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিজমের সাথে মিলায় ফেলে অনেক বিস্তৃত আলাপ নিয়া আসতে পারেন। তবে ওইসব কঠিন জ্ঞানী কথায় না গিয়েও ঘটনাটা যে আমাদের সামাজিক জীবনেও ঘটতেছে সেইটারে একনোলেজ করা যায়। করা উচিত। নাহলে রাষ্ট্রীয় অন্যায়ের বিপক্ষে যতই কথা বলেন, অনিয়ম নিয়ে সমালোচনা করেন না কেন, আপনি নিজেই নিজের ফ্যামিলিতে, সমাজে বিরাট একটা ফ্যাসিজম চালাইতেছেন। নিজের ছাঁচে আর সবাইরে ঢাইলা ফেলতে চাইতেছেন, সে মানতে না চাইলে তারে যা ইচ্ছা করতেছেন, কইতেছেন। এইটা যে চূড়ান্ত লেভেলের ফ্যাসিস্ট আচরণ সেইটা আপনে বুঝতেছেনইনা। হিটলারকে গালি যতই দেননা কেন, আপনে নিজেই বিরাট একটা হিটলার হয়া উঠছেন সেইটা নিজেও জানেন না, এইটা একটা আয়রনিই আসলে !
০৭-০৫-২০২১ ------------------------------------------------------
আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট প্রতিযোগিতার গন্ধ পাই। যেমন নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, মতামত চাপিয়ে দেয়া, সেই মত কাউকে ছাঁচে ঢেলে শেপ দিতে চাওয়াটাই হয়ে উঠেছে বিরাট অলিম্পিক প্রতিযোগিতা। এরমধ্যে সকলেই সকলের মতামত চিল্লায়ে জাহির করতে থাকে, নিজেরটাই ঠিক প্রমাণ করতে থাকে। এভাবে বারেবারে তর্কে জিতে গিয়ে, নিজের মতটাকে জিতায়ে নিয়ে কিংবা হেরে অন্যেরটা মেনে নিয়ে নিয়েই জীবনটা যাপন হয়ে যেতে থাকে আমাদের।
এরমধ্যে কিছু ব্যতিক্রম যে নাই তা না। ব্যাতিক্রম হচ্ছে সেইসব মানুষ যারা নিজের মত চাপিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে চায় না - তারা যে এই প্রতিযোগিতায় নামেই না সেটা বলবো না, নামতে হয় প্রায়ই, মেনে নিতেও হয়, তবে অনিচ্ছাটা আছে প্রবলভাবেই - তো তারা নিজের মত কারো উপর সেরকমভাবে চাপাতে চায় না, অন্যের মতও বিনা কলহে মেনে-মানিয়ে চালিয়ে দিতে চায়, জীবনটা ছাঁচে ঢালা কিংবা কিঞ্চিৎ নিজের মত করে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নিতে চায়। উদ্দেশ্য কী এদের? উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধ এড়িয়ে গিয়ে নিজের মত কমবেশি সকলের সাথে ভালো না হোক, কোনরকম একটা সম্পর্ক বজায় রাখা যা মতামতের যুদ্ধে গিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু সমস্যাটা কি, অন্যের মতকে প্রাধান্য দেয়ায় সকলেই ভুলে যায় যে এই ক্যাটাগরির উদার (কিংবা উদার সাজতে চাওয়া) মানুষেরও কোন মতামত কিংবা ইচ্ছা অনিচ্ছা আছে। এভাবে নানান পক্ষের নানান দিকের মতামত, ইচ্ছা-অনিচ্ছার চাপে পিষ্ট হয়ে বেচারা নির্বিবাদী লোকদের শান্তি তো পাওয়া হয়ইনা, চারপাশের মানুষের কাছে নিজেকে চরমভাবে ব্যাক্তিত্বহীন বলে মনে হয়। এইটা একটা বিরাট আয়রনি বলা যায়। নিজেরে বিরাট শান্তিবিধানের রেফারি মনে করে নিজেই অশান্তিতে ভোগা! এরচেয়ে বড় আয়রনি আর কী আছে এক্ষেত্রে!
এরচেয়ে স্পষ্টভাষায় নিজের মতামত জানিয়ে দিয়ে সকলের চোখে বেয়াদব সেজে গিয়ে নিজের মানসিক শান্তিটা বজায় রাখাই ভালো বোধ হয় আমার আজকাল! তাহলে কেউই আশা করবে না যে আপনি তাঁদের কথায় চলবেন, সকলেই আগাম কিছু ভেবে নিবেনা, নিজের সিদ্ধান্তও চাপাতে আসবে না। আপনার মতামতের যে মূল্য আছে আপনিও যে আলাদা একটা মানুষ যে আসলে নিজের ডিসিশন নিজেই নিতে পারেন কিংবা চাইলে অন্যদের পরামর্শ মেনে নিতে পারেন এইটা সকলের বোঝা হবে। এই ভালোমানুষি, ভদ্রতা , বেয়াদব না হতে চাওয়াটারে বিরাট একটা কপটতা মনে হয়। ভালত্বের ভন্ডামি মনে হয়।
মানুষ তো আর সেন্ট পার্সেন্ট ভালো হয় না, সকলেরই দোষ-গুণ, ভুল-ত্রুটি,খারাপ-কুৎসিত দিক আছে। এসব দিক আড়াল করে ফেলে অল্প কিছুদিনই সমাজে ভালো থাকা যায়। এসব ভালত্বের ভন্ডামির সুযোগে সকলেই আপনার ঘাড়ে চড়ে বসবে আর এই অবস্থায় পরে অতীষ্ঠ হয়ে কিছু বলে ফেললে, কিছু করে ফেললেই আপনার ভালত্বের ব্যাপারটা বয়ান করে আপনেরে ট্রায়ালে নিয়া যাওয়া হবে। এই ট্রায়াল হইলো এমন মানুষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ট্রায়াল। স্পষ্টভাষায় নিজের মনের সত্যিকার কথাগুলা বলতে পারা, নিজের রাস্তায় নিজের মত চইলা যাইতে পারাটা অনেক বড় একটা যোগ্যতা যা এইসব ভালোত্বের প্যানপ্যানে লেবাস জড়ানো ভন্ড মেরুদন্ডহীন লোকদের থাকে না।
প্রকৃত মানুষ হইতে গিয়ে কোমলতা, ভালত্ব, মাথা নিচু করে রাখা, মেনে নেয়ার অভ্যাস করা, মানিয়ে নেয়া, চাপানো জিনিসও ঢেকি গেলা এইসব করতে করতে এইসব ভন্ড লোকেরা আধামানুষ, ঊনমানুষই হয়া থাকে। মানুষের সস্তা হাত্তালি আর বাহবার আশায় জীবনের মঞ্চের উপ্রে উঠে ভালত্বের মেকি নাচ নেচে যায় আজীবন! এইখানে জীবনটা যাপন হয় না, জীবনের বন্য পাখিটারে খাচায় বন্দি করে রাইখা ভালোত্বের বুলি শেখানো হয়, ভালো খাবারের নামে মগজরে দাসত্ব গেলানো হয়। এই দাসত্বটাই হয়তো বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিয়া গেলে আপনেরা রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিজমের সাথে মিলায় ফেলে অনেক বিস্তৃত আলাপ নিয়া আসতে পারেন। তবে ওইসব কঠিন জ্ঞানী কথায় না গিয়েও ঘটনাটা যে আমাদের সামাজিক জীবনেও ঘটতেছে সেইটারে একনোলেজ করা যায়। করা উচিত। নাহলে রাষ্ট্রীয় অন্যায়ের বিপক্ষে যতই কথা বলেন, অনিয়ম নিয়ে সমালোচনা করেন না কেন, আপনি নিজেই নিজের ফ্যামিলিতে, সমাজে বিরাট একটা ফ্যাসিজম চালাইতেছেন। নিজের ছাঁচে আর সবাইরে ঢাইলা ফেলতে চাইতেছেন, সে মানতে না চাইলে তারে যা ইচ্ছা করতেছেন, কইতেছেন। এইটা যে চূড়ান্ত লেভেলের ফ্যাসিস্ট আচরণ সেইটা আপনে বুঝতেছেনইনা। হিটলারকে গালি যতই দেননা কেন, আপনে নিজেই বিরাট একটা হিটলার হয়া উঠছেন সেইটা নিজেও জানেন না, এইটা একটা আয়রনিই আসলে !
০৭-০৫-২০২১

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.