নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কৃষ্ণচূড়ার ডালে বসে কিচির মিচির

হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ

মো রেজাউল করিম

যুক্তি আর পাল্টা যুক্তির কাটাকুটিতে জন্ম হোক বিশুদ্ধ স্বপ্নের !

মো রেজাউল করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশাখী ঝড়

২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:০৮

দূরে অগণিত উঁচু নিচু বিল্ডিং আর কারেন্টের তারের আড়ালে

আকাশটা ঘনঘোর কালো হয়ে আছে । বোঝা যায়

কিছুক্ষণের মাঝেই ঝড় হবে । ঝড়ের আগমনী বার্তা

বয়ে আনলো কিছু বাতাস,

প্রবল প্রতাপশালী ঝড়ের দূতকে বরণ করে নিলো

শহর মরুতে অ্যান্টিকের মত টিকে থাকা কিছু বৃক্ষ

আর টবের সৌখিন সবুজ – দুলে দুলে নেচে নিয়ে,

সাথে পতপত করে উড়লো ছেড়া কিছু ব্যানার, ফ্যাস্টুন ।

কালো মেঘটা পানিতে কালি গোলার মত ছড়াতে

ছড়াতে পুরো আকাশ ছেড়ে গেলো,

বাতাস পরে গেলো হঠাৎ । চারদিক অন্ধকার হয়ে

এলো, ভর দুপুরকে মনে হল প্রাক-সন্ধ্যা,

শহরের ভাঁজে ভাঁজে সারা পড়ে গেলো – অদৃশ্য কারও

নির্দেশে যেন সারা শহরে জানালা-দরজাগুলো বন্ধ হচ্ছে টপাটপ, ছাদ আর

বারান্দায় কাপড়গুলো উঠছে দ্রুত হাতে, রাস্তাময় স্পন্দনগুলো

তাড়া দিয়ে যাচ্ছে, যা হোক বৃষ্টিকে হারাতেই হবে –

ফেরীওয়ালা ক্ষিপ্ত গতিতে গাঁটছাট করছে, দোকানগুলোর শটাশট

শাটার নামছে ।

রিক্ত সবুজ এখন জবুথবু বোকার মতন

স্থির, মাথা হেড করে আছে, প্রভুর

প্রবল প্রতাপে যেন থরথর,

টুক করে কারেন্ট চলে গেলো (লোডশেডিং ভাল ইস্যু পেয়েছে !)

মাথার উপর ফ্যানটা বনবন বন্ধ হয়ে এলো, ঘিঞ্জি ঘরে

গুমোট গরম । আশেপাশের ছাদে কাচ্চাবাচ্চা আর

তরুনীদের ঘনত্ব বাড়ছে - বাতাসের সাথে পাল্লা

দিয়ে ছোটরা জুড়েছে আনন্দ চিৎকার ।

ঝিরিঝিরি হাওয়ার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হতেই

ছাদ খালি হতে লাগলো । এবার শুরু হল ঝুম বৃষ্টি ।

চিৎকার করতে করতে কাচ্চা বাচ্চাদের দে ছুট,

ছাদ একদম ফাঁকা ।

আকাশটা ঝাঝরি হয়ে সারা শহরে জল গড়াচ্ছে । গ্রিলঘেরা

সামনের বারান্দায় সদ্য ফোটা রক্তজবা দুটো ভিজে

একদম চুপচুপ । পাতায় বৃষ্টির ফোটা পরতেই ভেজা পাতা

নড়ে উঠছে, আর মাঝে মাঝে ঝোড়ো ঝাপটায়

গাছটি ঠান্ডায় কেঁপে কেঁপে উঠছে । জানালার ফাঁক গলে চুড়িপরা

বাড়ানো হাতের মায়াবী তালুতে বৃষ্টির ফোঁটাগুলোর

সে কী উদ্দাম নৃত্য ! ছাদে ঝাপসা বৃষ্টিতে একা

হেঁটে বেড়ানো অশীরিরী তরুণ, খেলার মাঠে তরল কাঁদায়

ফুটবলের দখল নিয়ে সদ্য কিশোরদের হুটোপুটি । ছাদে জমা পানি

পাইপ গলে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত তৈরী করেছে

অসংখ্য, সুদৃশ্য অট্টালিকার পাশে বীভৎস বস্তির

টিনের চালে পাইপ গলা সেই পানি পড়ামাত্র মিহি

হয়ে যাচ্ছে, মনে চলে আসে নায়াগ্রার ধোঁয়াটে কুয়াশা;

নগর সেতো বস্তি নয় শুধু বসতিও বটে, তাই তার

গতি ঘনঘোর বর্ষাতেও রোধ হয় না পুরোপুরি,

বর্ষাতি মুগ্ধভরা লেডিস ছাতি হুড তোলা রিকশা

সিক্ত পেশী, হেডলাইট জ্বালিয়ে হুশ করে ছুটন্ত

গাড়ি ভেজা চকচকে কালো পিচ

মাঝে মাঝে জমাট পানি সাগর অথৈ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো হয়েছে। মনে হল মুক্ত গদ্য হিসেবে লিখলেও ভালো হত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.