নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বইমেলা শেষে ভূতে ধরে।। রেজা ঘটক
বইমেলা আসলেই আড্ডা, মেলাশেষে সোজা ধ্রুব'দার বাসায়।
ফেব্রুয়ারি মাস কতোদিনে ভাই? অন্য কোনো মাসের এমন ফেলুকাস নাই!
চারতলায় উঠতে গোটা পূর্ব-পশ্চিম মুখোমুখি
সিড়ি ঘরের টোঙে উত্তম দা আর জুবেরী ভাই
অন্ধকারে ঠাকুর আর আমাকে দেখে ধ্রুব'দা বললেন-
রেজা, নীচ থেকে দুইটা গ্লাস নিয়া আসো; টোকন, এইপাশে বসো...
তারপর, বিস্তীর্ণ কুয়াশারাত্রী, নিঝুমপুরে চন্দ্রিমার ছড়াছড়ি।
একবার, ওই সিড়িতে আমায় ভূতে ধরলো।
এই ভূত নাকি হিমু'র মাসতুত ভাই!
ঠাকুর বললো, কী চাই? কী চাই? আমাদের কী অপরাধ, ভাই?
ধ্রুব'দার মুখে আর কোনো কথা নাই...
উৎপাত শুনে ভিতর থেকে জয়িতা এসে দিল এক চিৎকার-
শপাং করে আমাকে উল্টে দিয়ে পেছনের সিড়ি মারিয়ে ভূত পালালো...
অন্ধকার থেকে বললো, এরপর একা থাকলে তখন বুঝবি শালা।
ভূতে ধরলে মানুষের শরীর নাকি নীল হয়ে যায়!
সেবা-শুশ্রুষায় চল্লিশ মিনিট পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
হায়! এতো রাতে ঝাড়-ফুঁক দেবার ওঝাঁ কোথায়?
সারাদিন পেটে দানাপানি নাই, গোধূলীর কালী সন্ধ্যায়
হলুদ বড়ির মূর্ছণার পর তরলের মাত্রাতিরিক্ত চাপে এমন তাণ্ডব ঘটা বিচিত্র নয়
ভূত-পেত্নী কিচ্ছু নয়, অথৈ জল তৃষ্ণায় চোখ খুলে বলি আমি। শুনে ধ্রুব'দা বললেন-
ভারী ভয় দিছিলা আমায়।
©somewhere in net ltd.