নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগ্রত প্রজন্ম চত্বর, চলো চলো, শাহবাগ চলো।। রেজা ঘটক

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০১

শিশুর মুখে, শাহবাগ। মায়ের মুখে, শাহবাগ। বোনের মুখে, শাহবাগ। ভাইয়ের মুখে, শাহবাগ। বাংলার ঘরে ঘরে এখন কেবলই শাহবাগ। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এখন একুশ শতকের বাংলার তারুণ্য। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এখন আগুনবুকের তারুণ্যের দাবানল। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এখন নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে শপথ নেওয়া তারুণ্যের দিপ্ত শপথ। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এখন এক টুকরো লাল সবুজের সত্য প্রকাশের বাংলাদেশ। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর এখন সারা পৃথিবীর অবাক বিস্ময়। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর এখন নতুন ইতিহাস। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর এখন বাংলার বসন্ত। বিগত ৪২ বছরে রাজনীতির মিথ্যাচারে বাংলাদেশ যেভাবে পেছনের দিকে হাঁটছিল, শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে একুশ শতকের তারুণ্যের মুষ্টিবদ্ধ সত্যনিষ্ঠ হাত সেই বাংলাদেশকে কলংকমুক্ত করে সামনের দিকে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছে। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এখন প্রতিদিনই ৭ মার্চ। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর এখন দিনরাত সব সময়ই ৭ মার্চ।



শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে একটাই দাবি, একাত্তরে মানবতা বিরোধী সকল যুদ্ধাপরাধীর নিঃশর্ত ফাঁসি। বাংলার বুকে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বসবাসের কোনো অধিকার নাই। বাংলার বুকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি খেলার কোনো অধিকার নাই। বাংলার বুকে অসুস্থ রাজনীতির মিথ্যাচারের ষড়যন্ত্র খেলার আর কোনো সুযোগ নাই। বাংলাদেশ আজ রাজপথে। কলংকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আর ঘুমাবে না। বাংলার বুক থেকে সকল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। বাংলার বুক থেকে জামাত শিবির রাজাকারের সকল রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলার বুক থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং তাদের অনুচর, অনুসারী, দোসরদের আস্তানা গুড়িয়ে দিতে হবে। নতুন বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের ধর্ম নিরপেক্ষ একটি আধুনিক রাষ্ট্র। বাংলাদেশ হবে সারা বিশ্বের অনুকরণীয় উদাহারণ। জয় বাংলা।



বিগত ৪২ বছরে বাংলাদেশের ঘাড়ে অনেক ভূত চেপে বসেছিল। কেউ কেউ ধর্মের নামে রাজনীতি ব্যবসা করেছে। কেউ কেউ ইতিহাসের মিথ্যা বয়ান শুনিয়ে রাজনীতি ব্যবসা করেছে। কেউ কেউ সাধারণ মানুষের মধ্যে ষড়যন্ত্রের বিষবাষ্প ছড়িয়ে রাজনীতি ব্যবসা করেছে। কেউ কেউ নিজেদের আখের যোগানের আড়ালে রাজনীতি ব্যবসা করেছে। বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এরা সম্মিলিত ভাবে নিজেদের স্বার্থে ধ্বংসের একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন মাথা তুলে দাড়িয়েছে। এখন নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে নতুন প্রজন্ম একুশ শতকের চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু নতুন করে আবার নির্মাণ করবে। এই হার না মানা দিপ্তশপথের দাবানল নিয়ে কোনো রাজনীতি, কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো কানঘুষা, কোনো প্রলোভোন, কোনো মিথ্যাচার, কোনো নাটক নতুন প্রজন্মের তারুণ্য বরদাস্ত করবে না। শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে নতুন বাংলাদেশ শপথ নিয়েছে। এই শপথের সঙ্গে বেঈমানী করার পরিণাম হবে খুবই ভয়ংকর।



নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো বিদেশী দালাল দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো রাজনীতি ব্যবসায়ীকে দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো অসাধু ধর্ম ব্যবসায়ীকে দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো দুর্নীতিবাজকে দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো ঘুষখোরকে দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো সুদখোরকে দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো ধর্ষককে দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো বকধার্মিককে দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো ভোটচোরকে দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো মিথ্যাচার আর দেখতে চাই না। ৪২ বছর আগে বিশ্বের বুকে আমরা একটি মানচিত্র পেয়েছিলাম। এখন সেই মানচিত্র সুন্দর করে সাজানো হবে এই তারুণ্যের দায়িত্ব। একুশ শতকের নতুন প্রজন্ম নতুন বাংলাদেশ গড়বে।



নতুন বাংলাদেশে আমরা আর কোনো শকুনের ছায়া দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা আর কোনো অন্যায় অবিচার দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে আমরা আর কোনো মুখোশধারী কুলাঙ্গারকে দেখতে চাই না। সকল কলংকমুক্ত করে একুশ শতকের নতুন প্রজন্ম নতুন বাংলাদেশ গড়বে। নতুন বাংলাদেশে যার যার ধর্ম তার তার, কিন্তু নতুন বাংলাদেশ গড়তে হাতে হাত রেখে ভূমিকা রাখবে একযোগে সবাই। নতুন বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে পুঁজি করে কেউ আর আখের গোছাতে পারবে না। নতুন বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কেউ আর আখের গোছাতে পারবে না। নতুন বাংলাদেশে উন্নয়নের মূলা ঝুলিয়ে কেউ আর শাসকের ভূমিকায় থাকতে পারবে না। নতুন বাংলাদেশ হবে সকল কলংকমুক্ত এক টুকরো পূণ্যভূমি।



শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, কলংক সব নিপাত যাক। শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, রাজাকার নিপাত যাক। শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, যুদ্ধাপরাধী নিপাত যাক। শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, ধর্ম ব্যবসায়ী নিপাত যাক। শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, কুমতলব নিপাত যাক। বাংলার ঘরে ঘরে এখন একুশ শতকের নতুন বসন্ত। বাংলার ঘরে ঘরে এখন নতুন শিশুর মুখে হাসি। বাংলার ঘরে ঘরে এখন নতুন শপথের তূর্যবাণী। বাংলার ঘরে ঘরে এখন নতুন প্রজন্মের মাথা উচু বুকটান করে দাঁড়ানোর শপথ। এই শপথ জয় না ছিনিয়ে ঘরে ফিরবে না। এই তারুণ্য জয় না ছিনিয়ে ঘুমাবে না। এই দাবানল কলংকমুক্ত না হয়ে নতুন ভোর না আসা পর্যন্ত নিভবে না। চলো চলো, শাহবাগ চলো। জয় বাংলা।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.