নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নগুলো বৃষ্টির মত আসে।। হুগো শ্যাভেজ

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

স্বপ্নগুলো বৃষ্টির মত আসে...

একটা চিন্তা ছিল এরকম- অনেক দিন অসংখ্যবার আমি এটা চিন্তা করেছি যে, আগামী দিনগুলো পুরনো দিনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি প্রত্যাশাপূরণের স্বপ্ন নিয়ে হাজির হবে। আমি অসংখ্যবার সিমোন বলিভার-এর এই কথাটির অর্থ করার চেষ্টা করেছি; `স্বপ্নগুলো বৃষ্টির মত আসে'-এর কী অর্থ হতে পারে? আমার মনে হয়েছে, আমাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবে ফিরে আসবেই। স্বপ্নকে আসতেই হবে।

আমি জীবনে কখনোই এইখানে, এই সাবানেটা শহরে যারা আছে, তাদের হৃদয় থেকে কখনোই মুছিনি, অন্তর থেকে কখনোই হারাইনি। বারবার শিকড়ের টানে আমার সমস্ত ভালোবাসার দোহাই দিয়ে আমাকে এই সাবানেটায় আসতে হয়েছে। আমি জীবনে কখনোই এই শিকড় ভুলতে পারিনি।

আমার বাবার চেয়ে আমার কাছে আমার স্মৃতি আর পিতার টান অনেক বড়। তখন আমি খুব ছোট। ভারী সুঠাম দেহের এক তাগড়া যুবক সাইকেলে করে আসতেন। সাইকেলে করে সে সাঁই সাঁই করে ঘুরতেন পুরো শহর। সাঁই করে সাইকেলে করে এসে যখন সাইকেলটা আমাদের উঠোনের পাশে রাখতেন। অমনি আমি ওটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যেতাম। প‌্যাডেল ঘুরিয়ে সাইকেলের চাকা ঘুরিয়ে ভারী আনন্দ পেতাম। সাইকেলম্যান হলেন আমার বাবা। আফ্রিকান কালো চেহারা। আমার মা হল ক্যাটিরা। সোনালি চুলের ক্যাটিরা। বড়োরা ডাকতেন ন্যাসেন্সিয়া ইলেনেরা। আমার বাবা এসেই সাইকেল রেখে দৌড়ে ড্যাডি ড্যাডি বলে চিৎকার করতেন। আমাকে কোলে তুলে চুমা দিতেন। বুকের সঙ্গে জোড়ে জড়িয়ে ধরতেন। মাথার উপরে ছুড়ে মেরে খপ করে আমাকে বলের মত ধরতেন। আর যখনই ছেড়ে দিতেন, অমনি আমি দৌড়ে সাইকেলের কাছে যেতাম। সাইকেলের চাকা ঘুরাতে আমার খুব ভালো লাগত।

আমার ছিল তিন মা। ইলেনার মা, যিনি আমাকে দেখাশোনা করতেন। আমি ডাকতাম মম রোসা। দাদীমা আর মা সারা। সারা মারেনো। এই তিন মাকে আমি জীবনে কখনোই ভুলিনি। সাবানেটা শহরে যে বাড়িটাকে সবাই এখন এন্তোনিও মারিয়া বেয়োন নামে চেনে, ওখানে পুরানো সেই বাড়িতে সেই ভদ্রমহিলা থাকতেন। প্রায়ই সেখানে সারা মারেনো আসতেন। আমার খুব স্পষ্ট মনে আছে, তিনি ছিলেন খুব সৃন্দরী। আর আমি তাকে সবসময় মা ডাকতাম। আমার তিনজন মা। আর আমি রোজ সারা মারেনো'র জন্যে অপেক্ষা করতাম। মা সারা আমাকে এক কাপ যবের ছাতু'র দুধ গুলিয়ে দিতেন। যবের দুধ খেয়েই আমি স্কুলে রওনা হতাম। সারা মা'র কাছ থেকে যবের দুধ খাওয়া থেকে কেউ আমাকে আটকাতে পারত না। আর ওই যবের দৃধ ছিল আমার খুব প্রিয়। এখনো আমি সারা মা'র সেই যবের দুধের কথা ভুলতে পারিনি।

......চলবে....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.