নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিনামূল্যে আমি মহামান্য সাংসদদের ভাষা প্রশিক্ষণ দিতে চাই।। রেজা ঘটক

২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

আমাদের জাতীয় সংসদে বর্তমানে বাজেট সেশন চলছে। সাংসদদের প্রধান কাজ ছিল বাজেটের উপর মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করা। কিন্তু তারা যেহেতু বাজেট বোঝেন না, তাই মাইক পেলেই মুখে যা আসে তাই যাবর কাটেন। চামড়ার মুখ। ঠোঁঠের ডগায় বিলেতি লিপস্টিক। মাইক পেলেই ফুসফুস দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিতে উসকে দেয়। শুরু হয় আবোল তাবোল বলা। যারা সংসদে বক্তব্য দিচ্ছেন তারা নিজেরাই জানেন না কি নিয়ে তার এই বক্তব্য। এজন্য প্রধানত দায়ী আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব। দ্বিতীয়ত দায়ী আমাদের দুই দলের দুই নেত্রী। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া।

সংসদের অধিবেশন শুরু হলে সংসদীয় দলগুলো নিজেরা বৈঠক করে কর্মকৌশল ঠিক করেন কিনা আমি জানি না। যদি তারা সংসদীয় দলের বৈঠক করে থাকে তাহলে সেখানে সাংসদদের অমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার ব্যাপারে দলের সুস্পষ্ট সায় আছে। সংসদীয় দলের বৈঠকে অমন বক্তব্য দেয়ার ব্যাপারে উসকানিও থাকতে পারে। কথা ছিল, বাজেটের উপর সবাই মূল্যবান বক্তব্য দিবেন। কিন্তু তারা বাজেট আলোচনায় সিলেবাসের বাইরের প্রসঙ্গ নিয়ে হৈ চৈ করছেন। আমরা পরীক্ষার খাতায় প্রশ্নের বাইরে কিছু লিখলেই আর নম্বর পেতাম না। স্কুল লাইফে কেউ তা করলে রেজাল্টের সময় তাকে স্যার আচ্ছামত বেতিয়ে দিতেন। কিন্তু মহামান্য সাংসদদের জন্য তেমন কোনো পণ্ডিৎমশাই নেই। যিনি ডেকে অন্তঃত বকাঝকা করবেন। আমাদের দুই নেত্রীর মধ্যে সেই নের্তৃত্বগুন আছে বলেও আমার মনে হয় না। কারণ, এরা দু'জনেই সুযোগ্য নেত্রী। একজন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা। আরেকজন প্রাক্তন সেনাশাসক জেনারেল জিয়ার সুযোগ্য পত্নী। তাদের রাজনীতি আগমন বিশেষ সুযোগ নিয়েই। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের সামলানোর মতো দক্ষতা বা মেধা বা দূরদর্শীতার তাদের অভাব থাকাটাই স্বাভাবিক। আমরা রাজনীতিতে এই রাজতন্ত্রের যে ভয়াবহ বেহাল দশার অকাল গ্রহে নিপতিত হয়েছি, তা থেকে শীঘ্র মুক্তির আশা নেই। এখানে এমপি'র ছেল এমপি হবে এটাই রাজনীতি। দক্ষতা, রাজনৈতিক নের্তৃত্বের গুনাবলী, চৌকশ সাংগঠনিক ক্ষমতা, তুখোর বক্তব্য দেওয়ায় পারদর্শীতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ব্যাপার গুলো নেতা নির্বাচনে মোটেও বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য বিষয় সুযোগ্য কন্যা কা সুযোগ্য পুত্রধন। তাদের দিয়ে বেশি দূর আগানো যায় না।

তৃতীয় অপরাধ দলের সিনিয়র লিডারদের। অন্তঃত সিনিয়র লিডারগণ তাদের জুনিয়রদের যদি একটু রাজনৈতিক ছবক দিতেন বড়োই খুশি হতাম। সময় করে তারা জুনিয়রদের পার্লামেন্ট ভবনে কোর্স করাতে পারেন। কিভাবে সংসদে কথা বলতে হয় তা শেখাতে পারেন। কিভাবে বিপক্ষের বিরোধীতা করতে হয় তা শেখাতে পারেন। কিভাবে সংসদের কোন বিধিতে কি নিয়ে কথা বলতে হয়, তা শেখাতে পারতেন। তারা তা শেখালেন না। সুতরাং যা শোনার আমরা তাই শুনছি। শিশুরা সংসদ অধিবেশন দেখে নিত্য নতুন গালি শিখছে। বাবা-মায়েরা বাচ্চারা টিভি রুমে ঢুকলে টেলিভিশনের রিমোট বাটন চেপে অন্য চ্যানেলে চলে যাচ্ছে। কারণ সংসদ অধিবেশনে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য আলোচনা হয়। শিশুরা তা থেকে দূরে থাকলেই ভালো।

চতুর্থতঃ আমাদের সংসদ হুইপদের কাজটা কি আমি বুঝি না। তারা কি ওইসব তথাকথিত সাংসদদের একটু ভাষার উপর পড়াশনা করে সংসদে আসার জন্য বলতে পারেন না? হুইপদের কাজের সিলেবাসে এটাও নতুন করে সংযোজন করা হোক। দল থেকে কে কে বক্তব্য দেবেন তা ঠিক করা হোক। কোন বিষয়ে কি বলবেন তাও ঠিক করা হোক। আর প্রয়োজনে তাদের লিখিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য আইন করা হোক।

সংসদে যারা সুন্দরেভাবে কথা বলতে পারেন না, তারা দয়া করে মাইক নেবেন না। মাননীয় স্পিকারকে অনুরোধ করব, যারা এমন আচরণ করেন তাদের শুধু মাইক বন্ধ করলেই ব্যাপারটা সমাধান হবে না। তাদের লিখিত বক্তব্য ছাড়া মাইক দেওয়া বন্ধ করুন। সংসদের পবিত্রতা রক্ষার নামেই আপনি শপথ করেছেন। আপনাকে আমরা আরো কঠোর দেখতে চাই। সংসদে যেহেতু বেতানোর নিয়ম নেই। হাই বেঞ্চের উপর দাঁড় করিয়ে রাখার নিয়ম নেই। কিন্তু আপনি একটা ছোট্ট নিয়ম চালু করতে পারেন। যারাই সংসদে অসংসদীয় ভাষায় কথা বলবেন, তাদের সংসদে দাঁড় করিয়ে রাখুন। যতোক্ষণ অধিবেশন চলবে ততোক্ষণ তারা দাঁড়িয়ে থাকুক। একদিন দাঁড়িয়ে থাকলে দেখবেন পরদিন একটু ভদ্র আচরণ করবে।

সংসদ তর্ক করার জায়গা। কিন্তু সংসদ গালাগালি করার জায়গা নয়। হুমকি ধমকি দেবার জায়গাও নয়। সংসদে যুক্তি দিয়ে বিপক্ষের সদস্যদের ঘায়েল করাই হল একজন ঝানু সাংসদের কাজ। তার বক্তব্য উপস্থাপনা, বাক্য গঠন, বাক্য ছুড়ে মারার ভঙ্গি, শারীরিক এটিচুড, দৃঢ়তা, যুক্তির সঙ্গে যুক্তির চৌকশ সমাহার, এবং সর্বপরি তাদের টোটাল আচরণ এমন হবে যে একটা শিশু টেলিভিশনে তাকে দেখলে বড় হয়ে তার মত হতে চাইবে। শিশুর মানসপটে সেই সাংসদ হয়ে যান হিরো। তার আদর্শ। সংসদে সাংসদদের বক্তব্য দেখেই যেনো একটা শিশু তার আদর্শ ঠিক করতে পারে। নইলে তারা কোন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি? আমি তো ভোট দিয়ে কোনো অভদ্র, মাস্তান, বাটপার, খুনি, ধর্ষক, ঋণখেলাপি, বা দুর্নীতিবাজকে সংসদে পাঠাইনি। আমার ভোটে তো তাদের নির্বাচিত হবার কথা নয়। তাহলে এসব বেহায়া করুণার দল জাতির মহান সংসদে কোনপথে ঢুকে পরলো? সেজন্য শেখ হাসিনা খালেদা জিয়া দায়ী। তাদের আশকারা, স্পর্ধা আর লাই পেয়েই ওইসব ভূষণ্ডের দল সংসদে ঢুকে যা খুশি তাই বলছে। দয়া করে তাদের সময় থাকে থামান। নইলে জনতা সংসদ থেকে বের হবার পর তাদের ধাওয়া করতে পারে।

যারা সংসদীয় ভাষায় কথা বলতে পারেন না তাদের আমি বিনামূল্যে ভাষা প্রশিক্ষণ দিতে চাই। শর্ত একটাই। আমার শেখানো ভাষায় সংসদে কথা বলতে হবে। উল্টা পাল্টা হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবো। আমার ক্লাশে সবকিছু রেকর্ড করে রাখা হবে। যাতে আমি কি শেখালাম তা আপনি যথাযথ প্রয়োগ করছেন নাকি সিলেবাসের বাইরে গেছেন, সেই প্রমাণ রাখার জন্যই রেকর্ডের ব্যবস্থা। আমার ক্লাশে সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ানরা অতিথি লেকচার দিতে পারবেন। কিন্তু তাদের সিলেকট করব আমি। যাদের ভাষা শুনলে শিশুদের ভালো লাগবে, শিশুদের কিছু শেখার থাকবে, কেবল তাদেরই আমি অতিথি ক্লাশে ডাকব।

দয়া করে জাতি হিসেবে আমাদের আর এগো নিচে নামাবেন না। একজন সাধারণ বাঙালি কখনো অমন ভাষায় কথা বলে না। এবার দয়া করে আপনারা থামুন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: উক্ত অনুশীলনীতে বেতের ব্যাবহার অন্তর্ভুক্ত করা অত্যাবশ্যকীয় +++

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৭

রেজা ঘটক বলেছেন: দেখি আমজনতা কি বলে!!!

২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন সব সাংসদ সদস্য বেশ্যা :/ রাস্তা মধ্যে যেইগুলা নাচানাচি ফালাফালি বেশি করতে পারে তাদের এনে সরকারি দল এবং বিরোধী দল সংরক্ষিত নারী আসন সাংসদ সদস্য বানাইয়া দেয় । এই বেশ্যা গুলায় কোন দিন নির্বাচন করে নির্বাচিত হইতে পারবেনা ।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ভাই, ভাষা প্রশিক্ষণে ভাষাটা একটু রুচিশীল হওয়া উচিত!!!

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ভাইজান....!!!
নেতা দের শুধু ভাষা কি তে চলে......? চাই উপযুক্ত ঝাটা পিটা ও, দয়া করে আমার টা ও আপনেরা দিয়া দিয়েন.....
তাতেও যদি ওনাদের চোখ সরম টা আপডেট হয়ে থাকে....

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৯

রেজা ঘটক বলেছেন: সরম আপডেট হবে কি?

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

মোহাম্মদ হারুন বলেছেন:

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৯

রেজা ঘটক বলেছেন: ওনারা কারা ভাই?

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

বাধা মানিনা বলেছেন: এরা জন প্রতিনিধি। যেমন, আমাদের এলাকার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি আমাদের জনপ্রতিনিধি হয়ে সংসদে গিয়েছে। তিনি বাংলায় কথা বলেন। পাহাড়ী-পার্বত্য অঞ্চল থেকে জিনি জজন প্রতনিধি হয়ে সংসদে গিয়েছেন, তার ভাষা কিন্তু পার্বত্য/উপজাতিদের মতই। তার অনেক আঞ্চলিক কথাই কিন্তু আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।

ঠিক তেমনি.....

সাবেক ইংলিশ রোড অথবা টান বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের স্থানীয় জন প্রতিনিধি হিসাবে সংসদে গিয়ে নিজেদের ভাষায় কথা বলবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে বুঝলাম না।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২০

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

যাদব সূত্রধর বলেছেন: বেতের বারি যেন একটাও মাটিতে নাপরে।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২০

রেজা ঘটক বলেছেন: হা হা হা

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

আবু শরীফ মাহমুদ খান বলেছেন: ভাই যে আছেন ভাল আছেন ভাই অন্য দিকে মন দেয়ার কাম কি?

শেষমেশ হবে আপনি ওদের টা শিখে আসবেন?

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২১

রেজা ঘটক বলেছেন: না ভাই....প্রশিক্ষিত লোক রাখা হবে...

৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনি জানেন না? যে কাজটা ভাল পারেন সেটা বিনামূল্যে দিতে নাই। হেগ তো টেকা পয়সার অভাব নাই! জনগনের টাকা মেরে ফুলে ফেপে উঠেছেন! আপনার ফিস দিতে সমস্যা হইবে না বলেই আমার ধারনা!

আমাদের আর এগো নিচে নামাবেন না :P

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২১

রেজা ঘটক বলেছেন: দেশের স্বার্থে কিছু বিনামূল্যে ছাড় দিলাম...

১০| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হুম আলতু ফালতু পোষ্ট লিখেই যদি অনেক টাকা পাওয়া যায় তবে সাংসদদের বিনা বেতনে পড়াতেই পারেন, সে যাই হোক , যাক সে কথা, হাসিনা রে ভালো কইরা পড়ায়েন, আর সুরঞ্জিত আর মৌদুদরে ভালো কইরে পিটায়েন, আর খালেদারে পড়ানোর চেষ্টাও কইরেন না!!!!!

আর ভালো কথা আপনার অঙ্ক পড়া কেমন হচ্ছে?? সামনে হজ্জ কিনা, কুরবানী আর হজ্জ নিয়া সমালোচনা পোষ্ট দিতে হবে কিন্তু, গত বারের মত কেলেঙ্কারি করলে চলবে না। ভালো করে পঞ্চম শ্রেনীর কাউকে দিয়ে হিসাব মিলিয়ে নিবেন। :) :)

১১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার উদ্যোগ ;) তবেআপনার দেশ ছাড়ার সময় হইছে বোধ হয়। তবে গুম প্রক্রিয়ায়ও পড়তে পারেন।ভাষা শিক্ষার চেয়ে ভদ্রতা শিক্ষা বেশি জরুরী...নতুন নতুন গালি কিন্তু ভাষায় তাদের বিরাট দখল প্রমাণ করে । তবে শিষ্টাচার ব্যাপারটা বোধ করি ভেতর থেকে আসে।

১২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মচেৎকার উদ্যোগ! আপনারে আমি যতলাগে বেত সাপ্লাই দিমু ডেইলি কথা দিলাম খালি বেতগুলান পিঠে ভাইঙ্গা সাফা কইরা দিবেন প্রত্যেকদিন!!

১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

তুহিন সরকার বলেছেন: পাশে কাউকে না পেলে খবর দিয়েন............

শুভকামনা সতত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.