নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঁচ সিটি কর্পোরেশানে আওয়ামী লীগের হারার প্রধান কারণসমূহ।। রেজা ঘটক

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ দলের মহাজোটের সমন্বয়ে ভোটারদের এই কথা বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, ক্ষমতায় গেলে তারা দিন বদল করবেন। যে সকল বিষয় নির্বাচনী ওয়াদার শীর্ষে ছিল সেগুলো নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের পর ধীরে ধীরে ভুলতে লাগল আওয়ামী লীগ। সঙ্গে কিছু নতুন কুখ্যাতি যুক্ত হল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে প্রায় সাড়ে চার বছর নানান তাল বাহানা করছে। আগামী নির্বাচনেও এটাকে ইস্যু বানাতে চায় আওয়ামী লীগ। ইস্যুটা কি? আওয়ামী লীগকে ভোট না দিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে না। কিন্তু আপনারা মিঞারা এই সাড়ে চার বছর কি করেছেন? এটা আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ ভুল একটা দলীয় অবস্থান। বিচারের ইচ্ছা থাকলে অনেক আগেই তা অনেকটাই সম্পন্ন করা সম্ভব হত। কেবল ভোট যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের হাতিয়ার হয়ে থাকে তাহলে জনগণ খুব ঠাণ্ডা মাথায় তাতে আমল দেয়নি। ভবিষ্যতেও এই বাহানায় ভোট চাওয়া যাবে না। কারণ, এটা ক্ষমতায় যাবার সিড়ি, আওয়ামী লীগের গোপন মনের ইচ্ছায় তার কোনো প্রতিফলন বিগত সাড়ে চার বছরে দেখা যায় নি। আইন হয়েছে। আইনের বাস্তবায়ন নেই। যে আইন হয়েছে, তাতেও একশো গণ্ডা ভুল আর ফাঁক ফোকরে ভরা। জামায়াতে ইসলাম ও শিবিরের রাজনীতি আওয়ামী লীগ বন্ধ করেনি। শাহবাগের স্বতস্ফূর্ত গণ-জাগরণ মঞ্চের আন্দোলন ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী। সেই আন্দোলনটিকে দলে টানার বা তা থেকে মধু খাওয়ার লোভ সামলাতে পারে নি আওয়ামী লীগের মত একটি পুরানো রাজনৈতিক দল। সেই মধু খাওয়ার লোভ দেখে বিরোধীরা তো আর বসে থাকবে না। তারা নানান কুৎসা রটিয়ে গুজব ছড়িয়ে একটি পাল্টা হেফাজতে ইসলাম দাঁড় করালেন। আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বের আশে পাশে যারা পরামর্শ দেবার জন্য দালালি করেন, তাদের ভুল পরামর্শেই এটি সৃষ্টি হয়েছে। শাহবাগের আন্দোলনকে পুলিশ প্রটেকশান দেওয়ায় আন্দোলনটি আর শেষ পর্যন্ত আন্দোলন থাকে নি। ওটি শেষ পর্যন্ত দলীয় পাণ্ডাদের অঙুলি নির্দেশে একটি ব্যর্থ আস্ফালন হয়ে গেছে। আন্দোলন কখনো পুলিশি প্রটেকশানে করা যায় না। আন্দোলনে কখনো দলীয় সহানভূতি প্রয়োজন পরলেই তা নস্যাৎ আস্ফালনে রূপ নেয়। পাল্টা বিরোধী পক্ষের জোড়ালো মিথ্যাচার, গুজব ছড়ানো আর সক্রিয় খবরাখবরে শেষ পর্যন্ত একটি হেফাজতে ইসলাম সৃষ্টি হল। শাহবাগের সবাই নাকি নাস্তিক? আরে দেশে এতো নাস্তিক থাকলে তো তারাই দেশ চালাতো। আওয়ামী লীগের মতো দেউলিয়া নের্তৃত্ব দিয়ে দেশ চলতো না। আওয়ামী লীগ আরেকটি বড় ভুল করলো, হেফাজতকে দলে টানার কৌশলে। হেফাজত নেতাকে গ্রেফতার না করে তাকে বিমানে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে যে নাটক করলো, এটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পড়ে। বরং গ্রেফতার করলে হেফাজত আরো চাপে থাকতো।

যদি দেশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর থাকে যে তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিবর্তে সহিংস হয়ে উঠবে। তাহলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কি করেছে? তারা এতো গাছ কাটার সুযোগ পেল কিভাবে? এতো জ্বালাও পোড়াও করলো কিভাবে? অভিযান টা তো দিনে করলেই ক্যা্চাল চুকে যেতো। রাতের আঁধারের অভিযানকে বিরোধী পক্ষ মোক্ষম মওকা বানিয়েছে। সাধারণ মানুষ যারা ফটোশপ কি বোঝে না। তাদের কাছে একটা ছবি অনেক কথা বলে। তারা সেই কথা মিথ্যা হলেও বিশ্বাস করেছে। কারণ, বিগত ৪২ বছর দেশের সাধারণ মানুষকে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ইচ্ছে করেই অশিক্ষিত রাখার ছলনা করছে। সেই অশিক্ষিত জনগণ ছবির কারসাজি বোঝার সময় পায় না। তারা সেটা বোঝেও না। ফলে ধর্মের নামে গুজবটি তারা হারে হারে বিশ্বাস করেছে। হেফাজতকে খুশি করতে কয়েকজন ব্লগারকে গ্রেফতার করার নাটক করা হল। এটি কেবল দুর্বল মস্তিস্ক থেকেই এমন বুদ্ধি বের হয়।



আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের সাংসদরা চুরি চামারি, লুটপাট, টেন্ডারবাজি, দলাদলি, খুন, গুম, দখল ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত। নিজের এলাকার সাধারণ মানুষের কথা শোনার সময় নেই তাদের। এমন কি জাতীয় সংসদে ১০ মিনিটের জন্য মাইক পেলে ৭ মিনিট ব্যয় করেন ইতিহাস আর গুনকীর্তনে। যখন মাইক বন্ধ হবে তখন এলাকার ভাঙা কালভার্টের কথা মনে পড়ে। তাদের কথায় জনগণ আবার ভোট দেবে তারা কি এতোই মুর্খ? ছাত্রলীগ কি করেছে? বিশ্বজিৎ হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এসব করে বেড়াছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়া মানে আরো কিছু ছাত্রলীগের ক্ষমতা বেড়ে যাওয়া। এটা কেন হবে? জনগণ তো ছাত্রলীগকে ভোট দেয় নি দেশ শাসনের জন্য। আওয়ামী লীগ কেন ছাত্রলীগকে কন্ট্রোল করতে পারে না? ক্যাডার তৈরি করা আর সাধারণ মানুষের মন জয় করা মোটেও এক জিনিস নয়। যা পাবি তাই খাবি। যেখানে লুট করা যায় লুট কর। যেখানে টেন্ডারবাজি করা যায় টেন্ডারবাজি কর। যেখানে চাঁদা তোলা যায় চাঁদা তোল। যেখানে সহপাঠীকে ধর্ষণ করা যায় ধর্ষণ কর। এসবের দায় দায়িত্ব কেন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে যায়? কারণ. এসব আওয়ামী লীগের কন্ট্রোলের বাইরেই ঘটছে। যা সাধারণ মানুষ ভালো চোখে নেয় নি।



পদ্মা সেতু এখন একটি তামাশার নাম। আরে এক আবুল হোসেনের কারণে আমরা একটা পদ্মা সেতু পাব না? এটা মানা যায় না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আবার সেই আবুলের পক্ষে দেশপ্রেমের ওকালতি করলেন। কি হল? পদ্মা সেতু হল না। আওয়ামী লীগের আমলে তা আর হচ্ছেও না। যদি কোনো দুর্নীতি নাও হয়, আবুলের নাম আসামাত্র তাকে কেন মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেওয়া হল না? কয়েকজন আবুল মন্ত্রী দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না। মন্ত্রীসভায় কাজীর ব্যাটা লাগে। যারা কাজ পারে, যারা কাজ জানে, যারা অভিজ্ঞ তাদের উপর গোস্যা করে এক পাল ছাগল পাগল নিয়ে মন্ত্রীসভা বানালেন প্রধানমন্ত্রী। ফলটা কি হল? সাড়ে চার বছরের মাথায়ই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের শক্তি ঝুরমুর করতে শুরু করেছে। আগামী নির্বাচনে এই হুহু যে থাকবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে?



রেলওয়ে কেলেংকারী কি মেনে নেবার মতো কোনো ঘটনা? সুরঞ্জিত বাবু যতোই তুলশি ধোয়া হোক না কেন, তাকে কেন মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করা হবে না? জনগণ হল ভোদাই না আর আপনেরা সবাই চালাক চতুর? রেলওয়ের দুর্নীতি তো এখনো বন্ধ হয় নি। বরং ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজিতে নিরীহ কয়েকজনের প্রাণ গেল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি নের্তৃত্বাধীন চারদলীয় জোট যে সব আকাম কুমাম দুর্নীতি চুরি চামারি করেছে, তার পাল্টা রেশ ছিল আওয়ামী লীগের সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন। আওয়ামী লীগের আসল ভোটের চেয়ে তরুণ সমাজ বিএনপি'র সেই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল ভোটের সময়। দিন বদল হবে বলে নতুন আশায় বুক বেধে ছিল। কিন্তু এ তো দেখছি যে রাম সে-ই কানাই। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় হনুরে।



সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেংকারী কি কোনো ছোট ঘটনা? বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটা গরিব রাষ্ট্রে কেবল দলীয় পরিচয়ে সরকারি ব্যাংক থেকে এতো টাকা লুটপাট করা যায়? এটাও বাংলাদেশে সম্ভব? দলীয় লোকদের চামচাদের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব দেবার পরামর্শ যারা দিয়েছেন তারাই আওয়ামী লীগের ভেতরে থেকেও সবচেয়ে বেশি আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে। ভবিষ্যতেও করবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এটা তো আরো বাড়বে। কারণ, আওয়ামী লীগ এই চুরির পথের পথ প্রদর্শক। বিএনপি'র কি দলীয় লোকজন নেই? তারা কি ব্যাংক থেকে দল ক্ষমতায় থাকলে লোন নেবার চেষ্টা করবে না? যে আইডিয়া দিয়ে মানুষ রাতারাতি কোটি পতি হতে পারে সেটা তো আগামীতে আরো ফলন দেবে। দুর্নীতি বন্ধ হবে না। কারণ, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সেই সদ্দিচ্ছা নেই। সেই রকম দেশপ্রেম নেই। দেশপ্রেম কারে কয় তা তারা জানে না। উল্টো দুদককে আরো দলীয় লেজুর গিরির জি হুজুরে পরিনত করা হয়েছে।



আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল এতো বেশি কেন? কারণ লুটপাটের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কলহ। এটা চুরি চামারির ফসল। লুটপাটের ফসল। এই কোন্দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে আরো জোড়ালো হবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। দল ক্ষমতায়। চুরির টাকা দখলের ভাগাভাগি নিয়ে একটু এধার ওধার হলেই তো কলহ হবে। তাই হচ্ছে। প্রতিদিন কোন না কোন অযুহাতে বিএনপি যেখানে প্রেসক্লাবে নানান ফকিরি কেরামতি উসকানি দিচ্ছে, দল গোছানোর চেষ্টা করছে। সেখানে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ চুরি চামারে ভাগাভাগিতে ব্যস্ত। সাংগঠনিক কাজ কি বাইরে থেকে কেউ এসে করে দেবে? জাতীর উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দিয়ে সবাইকে দলে পাওয়া যাবে বা সাংগঠনিকভাবে সবাইকে একত্র করা যাবে সেই দিন আর নেই। কারণ, আপনাদের নের্তৃত্বের মধ্যে সেই প্রজ্ঞা নেই যে, এক কথায় সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। সো, যা হবার তাই হচ্ছে। যে শিল্পপতিদের দলে ভাগিয়ে নমিনেশান দিয়ে টাকা খরচ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেন, আগামী নির্বাচনে সেই সব শিল্পপতিদের অনেকেই তাদের ব্যবসা পাতি ঠিক রাখতে বিএনপি'র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেখান থেকে আবার নমিনেশান ভাগাবেন। কারণ, তারা তো আওয়ামী লীগ করেন না। তারা উড়ে এসে খই খাচ্ছে। খাওয়া শেষে আবার উড়ে যাবে যেখানে খই পাওয়া যায়।



চার সিটিতে গো হারা হারার পরেও আওয়ামী লীগ গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়াচ্ছে। গাজীপুরেও সেই গো হারা হার। কারণ? অহংকার। অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে। আর দলীয় অহংকার দলকে ধ্বংস করে। মুসলিম লীগের এই অহংকার ছিল। কোথায় আজ মুসলিম লীগ? অস্তিত্ব আছে মুসলিম লীগের কোনো? এতো বিপরীত নিমিত্ত মাথায় নিয়ে আজমত খান সাহেব যে এতোগুলো ভোট পেলেন, সেটা মনে হয় ব্যক্তি আজমত সাহবের চারিত্রিক গুনাবলীর কারণে। নইলে তার ভোট আরো কম পাওয়ার কথা। আওয়ামী লীঘের যা অর্জন তা সঙ্গে নিয়ে বরং আজমত সাহেবের ভরাডুবি হয়েছে। কারণ নব নির্বাচিত মেয়র মান্নান সাহেবের তুলনায় আজমত সাহেব অনেক নিরেট ভদ্রলোক। প্রোপাগান্ডা পুঁজি করে মান্নান সাহেব আজ বিজয়ী। মান্নান সাহেবের এখন উচিত বরং আজমত সাহেবকে বুকে নিয়ে কোলাকুলি করা। নইলে বেচারার যে কোনো সময় হার্ট এ্যাটাক হতে পারে। আওয়ামী লীগের দলীয় অন্য যে প্রার্থী প্রেসের সামনে কান্নাকাটি করলেন, তার কর্মীরা নিশ্চয়ই আজমত সাহেবকে ভোট দেয়নি। এরশাদ সাহেব যে তামাশা করেছেন, তার কর্মীরাও নিশ্চয়ই কেন্দ্রের অর্ডার ফলো করেনি। কারণ, মান্নান সাহেবের সঙ্গে তাদের আগেই একটা বোঝাপড়া হয়ে গেছে। শেষ মুহূর্তে দলীয় কমান্ড মানতে তারা বাধ্য নয়। ভোট ভূতে তো আর দলীয় কমান্ডের কোনো তোয়াক্কা নেই রে ভাই। লাগাও ছিল মারা অমুক মার্কায়। এটাই সেখানে গতি।



রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুভূতি এখন সবচেয়ে বড় তকমা। এজন্য ভোটের আগে দুই নেত্রী ওমরা হজ্বে যান। মাজার জিয়ারত করেন। তজবি হাতে নেন। আর কতো তামাশা করবেন আপনারা? লোক দেখানো ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এক হেফাজত-ই দেখছি এখন আগামী সাধারণ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্চ। যারা হেফাজতকে পাশে পাবে বিজয় তাদের সুনিশ্চিত। শাহবাগের গণ-জাগরণ মঞ্চের কেউ কিন্তু ভোটের জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি যায় না। তাদের সেই কাজে কেউ কোনো দিন ব্যবহার করতে পারবেও না। কারণ তারা সমাজের একটি সচেতন অংশ মাত্র। নিজেদের কাজ কর্ম ফেলে তাদের ভোটের রাজনীতিতে অংশ্রগ্রহনের সময় কোথায়? আর উল্টো হেফাজতের সবাই কিন্তু মাঠে। ভোটের জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি যেয়ে, খেয়ে না খেয়ে পরিশ্রম করেছে। মানুষকে বুঝিয়েছে। গুজব হোক আর সত্যি হোক মানুষ তাই গিলেছে। ভোটে সেই প্রতিফলন সুস্পষ্ট।



বিএনপি'র নিজেদের ঘর এখনো গুছানো নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের পাপের ফসলের পুরষ্কার হল তাদের এই বিজয়। এখন তাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আরো জনগণের কাছে সুস্পষ্ট দাবি হিসেবে হাজির হবে। কারণ, চার সিটি প্লাস গাজীপুর মিলে তাদের সেই দাবি এখন বরং নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দাবিতে পরিনত হবে। আর সংখ্যা গরিষ্ঠ জন দাবিকে অগ্রাহ্য করে কোনো শক্তিশালী সরকারই ক্ষমতায় থাকার উদাহরণ নেই। আওয়ামী লীগ নিজেদের ভুল নিজেরাই যদি সংশোধন না করে তা দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা আরো বাড়িয়ে দেবে। বল এখন বিএনপি'র দখলে। যে কোনো সময় গোল হবে। সাধারণ মানুষ কিছু বুঝুক আর না বুঝুক গোল হলে হাততালি দেবে। অফসাইড গোল নিয়ে তর্ক করার সময় তাদের নেই।



দেশের অন্যসব জরুরী কাজ ফেলে সংবিধান সংশোধন করাটা কি আওয়ামী লীগের জন্য খুব জরুরী ছিল? সংশোধন করে সেখানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম করা কি খুব জরুরী ছিল? কোনো রাষ্ট্রে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ যে ধর্মের সেই রাষ্ট্রে তাদের নামেই পরিচিতি পায়। বাংলাদেশে শতকরা ৮৮ ভাগ মানুষ মুসলমান। অতএব এটা মুসলিম রাষ্ট্র। এটা সংবিধানে উল্লেখ থাকুক আর না থাকুক। কোনো রাষ্ট্রের ধর্ম কি হবে তা সংবিধান বলে দেবার ক্ষমতা রাখে না। এই বুদ্ধি যার মাথা থেকেই আসুক না কেন, সে একটা বড় ধরনের পিচাশ। আওয়ামী লীগ সেই পিচাশের কথা গিলেছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশান দু'ভাগ করা কি কোনো জরুরী কাজ ছিল? এখন তো বিরোধী দলের কথাই সত্য মানতে হয় । ইলেকশান দিলে ঢাকায়ও গো হারা হারবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে হারার কারণ কি? হারার কারণ কিন্তু বিএনপি'র জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি নয়। নিজেদের আকাম কুকাম চুরি চামারি, লুটপাট, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি। হত্যা, খুন গুম। দলীয় কোন্দল। আর তামাশার দেশপ্রেম। শেয়ার বাজারের কথাও কি আবার বলতে হবে? গ্রামীণ ব্যাংক বা ডক্টর ইউনুসকে নিয়ে আওয়ামী লীগের এতো জ্বর ওঠে কেন? নিজেদের একটা নোবেল লাগবে? অন্যকে সম্মান না দিলে নিজেও সম্মান পাওয়া যায় না। এটাই জগতের রীতি। ডক্টর ইউনুসের সুনাম বরং আওয়ামী লীগ কাজে লাগাতে পারতো। ডক্টর ইউনুসকে বিশেষ দূত বানিয়ে বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক সুনাম দেশে আনা যেতো। শুধু হীনমন্যতার কারণেই সেটা বাদ দিয়ে উল্টো আকাম করছে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ করার প্রচেষ্টা মনে হয় একেই বলে।



এই সরকারের অধীনে এখন জাতীয় নির্বাচন বরং নিরপেক্ষতা না পাবার আশংকা রয়ে যাবে। কারণ, সরকার ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫-০ গোলে হেরে গেছে। এখন আগামী দুই টার্ম নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে আওয়ামী লীগ বাধ্য হবে। যদি বিএনপি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষ করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যায়, তাহলে বরং সেই আশংকার ভয়াবহ খেলাটি আরো জমে উঠবে। হেফাজত ফ্যাক্টর তো এখন আওয়ামী লীগ বিএনপি'র চেয়েও বড় ফ্যাক্টর। মুখে উন্নয়নের বুলি আর কাজকর্মে লুটপাট ভাগাভাগি এসব কি জনগণ দেখে না? আম জনতা তো আর অন্ধ না? মুক্তিযুদ্ধ বেচে, প্রগতির কথা বলে, নানান ভেলকি দেখিয়ে আর সাধারণ আম পাবলিকরে ধোকা দেবার দিন শেষ। মানুষ অতি সাম্প্রতিক ঘটনাবলীই সবচেয়ে বেশি মনে রাখে। সুদূর অতীতের কথা মনে রাখার তার সময় নেই। এমন কি পাঁচ বছর আগে মঈনদ্দিন-ফকরুদ্দিন সাহেবরা কি করেছিলেন বা ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি সারা দেশে সংখ্যা লঘুদের উপর যে হামলা করেছিল, তা মানুষ ভুলতে বসেছে। মানুষের তাজা স্মৃতিতে বরং রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা, বিশ্বজিৎ হত্যা, পদ্মা সেতু, রেলওয়ের কালো বিড়াল, শাহবাগের গণ-জাগরণ মঞ্চ, হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংস হয়ে ওঠা, এগুলো বেশি সক্রিয়। আগামী অক্টোবরে যদি সরকারের মেয়াদ শেষ হয়, সামনে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একটি দূর অতীতের সাফল্য। বরং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটা একটা দফা করতে পারলে সেটা একটা প্লাস পয়েন্ট হত আওয়ামী লীগের। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভেতরেই যে পরিমাণ যুদ্ধপরাধী আছে তার বিচার হবে না কেন? মানুষ তো আর একচোখা বিচার দেখতে চায় না। মানুষ সব সময় সকল যুগেই ন্যায় বিচারের পক্ষে থেকেছে। আওয়ামী লীগ মাত্র তিন মাসে কতোটুকু সংশোধন করতে পারবে তার উপর নির্ভর করবে ভোটের হিরিক। নইলে জামানত হারাবেন বড় বড় মন্ত্রী মহোদয়রা।



সবশেষে গাজীপুরের নব নির্বাচিত মেয়র মান্নান সাহেব ও পরাজিত প্রার্থী আজমত সাহেবকে লড়াই করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। গাজীপুর বাসী সরকারকে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। এই বার্তার অর্থ আওয়ামী লীগ না বুঝলে আগামী নির্বাচনে তারা নিশ্চিত ধরাশাই হবে। এই লেখাটি সম্পূর্ণ আমার নিজের মনে হওয়া না হওয়ার ব্যাপার। দয়া করে এখানে কেউ রাজনৈতিক দুর্গন্ধ খুঁজবেন না। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের ছাত্রজীবনের চার বছর নষ্ট হয়েছে। আমার মাস্টার্স পাস করার কথা ছিল ১৯৯২ সালে। পাস করলাম ১৯৯৬ সালে। আমার জীবনের এই চার বছরের ক্ষতিপূরণ তো আওয়ামী লীগ বিএনপি দেয় নি। ১৭তম, ১৮তম ও ২০তম বিসিএস ভাইবা পর্যন্ত আমি তিনবার গিয়েছি। কোনো দলীয় পরিচয় বা আইডেনটিটি ছিল না বলে আমাকে এখনো বেকার থাকতে হল। অথচ আমার অনেক বন্ধু আমার লেখা বিসিএস লিখিত গাইড পড়ে এখন এসপি, টিএনও, এডিসি। বিগত ২৩ বছর গণতন্ত্রের চর্চার নামে হরতাল করে আপনারা অনেক ক্ষতি করেছেন বাংলাদেশের। আমার জন্মভূমিকে আপনারা লুটের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করেছেন। শুধুমাত্র হরতালের নামে আপনারা রাষ্ট্রের যে পরিমাণ ক্ষতি করেছেন, সাধারণ মানুষের জীব বদলের যে ক্ষতি করেছেন তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? বাংলাদেশের পরিবর্তন আপনারা কেউ করবেন না এটা এখন প্রমাণিত। আপনারা চুরি চামারি দখল লুটপাট করার জন্যে ৫ বছর পর পর নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে আবার চুরি করবেন। দেশের উন্নয়ন যা করার তা করবে সাধারণ মানুষ। তারা সেটি করতে পারে না আপনাদের হরতাল চ্বালঅও পোড়াও এর কারণে। দিন বদল করবে বাংলার সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষক। দিন আনে দিন খায় সেই শ্রমিকরা। আপনারা চুরি চামারি করে গাড়ি বদল করবেন। নতুন মডেল কোথায় পাওয়া যায় সেজন্য হন্যে হয়ে লাল পাসপোর্ট নিয়ে সারা বিশ্ব চষে বেড়াবেন। আপনাদের কতো টাকা হলে আপনারা আর চুরি করবেন না, সেই বাজেট টা যদি আপনারা জনগণের সামনে তুলে ধরতেন, বাংলার সাধারণ মানুষ আপনাদের সেই টাকা একসঙ্গে দিয়ে আপনাদের জুলুম থেকে রেহাই পাবার একটা উপায় খুঁজতো। বন্ধ করুন আপনাদের রাজনৈতিক ব্যবসা। নইলে এক সময় কৃষকরা হরতাল ডেকে দেবে। তখন আর কোনো বাহাদুরিতে কুলঅবে না। গার্মেন্টস মালিকদের জিএসপি সুবিধা নিয়ে আপনারা সারা বিশ্বে ঝগড়া করতেছেন, আর শ্রমিকদের প্রাপ‌্য নিয়ে তো আপনারা কেউ টু শব্দটি করেন না। বরং শ্রমিকরা পাওনা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামলে শিল্প পুলিশ দিয়ে ধাওয়া করান! বিগত ৪২ বছরে আপনারা অনেক ভেলকি দেখিয়েছেন। এবার দয়া করে থামুন। নইলে আম জনতা এক সময় এই সব ভণ্ডামি থামিয়ে দেবে। জয় হোক মেহনতি মানুষের। রাজনৈতিক ব্যবসা নিপাত যাক।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

স্বপ্ন বাংলা বলেছেন: ঘটক ভাই, অত কিছু বুঝিনা। আমার বাসায় বিদ্যুত থাকেনা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ ঘন্টা। যার কারনে সদ্য বিবাহিতা বউ'র সাথে গন্ডগোল লেগেই থাকে :-& :-& :-& :-& শুধু এই কারনে আমি হাসিনাকে ভোট'টা দেবনা, যদিও আমি আওয়ামিলীগ করি। কিন্তু তাই বলে খালেদাকেও দেবনা.....

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ভাই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান আগামী ৫০ বছরেও হবে না। বরং রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের পায়তারা চলছে...ধন্যবাদ

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গাজীপুর বাসী সরকারকে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। এই বার্তার অর্থ আওয়ামী লীগ না বুঝলে আগামী নির্বাচনে তারা নিশ্চিতক ধরাশাই হবে।

চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী!!!!

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

রেজা ঘটক বলেছেন: চোরে চোরে কিন্তু মাশতুত ভাই। এরা রাতে এক টেবিলে হুইস্কি খায়। দিনের বেলায় লোক দেখানো বিরোধিতার তামাশা করে। আমরা আম-জনতা আসলেই ভোদাই। ধন্যবাদ

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

শিক্ষানবিস বলেছেন: জনগন তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিল, তারা দেশ ও জনগণের সেবা করবে। তাদের নিরাপত্তা দেবে। কিন্তু ক্ষমতায় যেয়ে তারা বলল, ফাসী দাও! খুন করো! গুম করো! গণহত্যা চালাও! আলেমদের হত্যা করো! দেখা মাত্র গুলি করো! গুলি করার উতসব করো! সংবিধান থেকে আল্লাহকে বাদ দাও!
তাই জনতা এখন কাফফারা আদায় করছে।
মানুষ চোর, দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করে কিন্তু খুনীদের ক্ষমা করে না। ধর্মের শত্রুদের ক্ষমা করে না।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রেজা ঘটক বলেছেন: ধর্ম মানুষের অন্তরের বিষয়। ধর্মের লেবাসে রাষ্ট্রীয় হানাহানি আমি পছন্দ করি না। মানুষের ঈমান থাকে তার হৃদয়ে। কেউ রাজনীতির নামে সেই ঈমান ধ্বংস করতে চাইলে বুছবেন শয়তানের আছোর হইছে। চোর, দুর্নীতিবাজদের ক্ষমকা করেই আমরা দেশটাকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে এসেছি। আর খুনিকে তো ক্ষমা করার মালিক জনগণ নহে। শ্রষ্ঠাই তার বিচার করবেন। ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০০

রাইডার্স বলেছেন: ভাই আমরাই খারাপ, কারণ ঘুরে ফিরে আমরা সেই একি জায়গায় বার বার ফেরত যাচ্ছি!!! ৫ বছর আ'লীগ এর আবার ৫ বছর বিনপি এর!! :| :( :|

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৯

রেজা ঘটক বলেছেন: মানুষ যতো শিক্ষিত হবে ততোই ওদের ভোট কমবে ভাই। ধন্যবাদ

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসিন সরকারের বাইরের কোন লোককেই চাইবে, সে যোগ্য না হলেও!
কারন সরকার ও মেয়র একই দলের হলে দুর্নিতী ধরবে কে?
মানুষ এই কারনেই মনস্তাত্তিক ভাবে চাইবে তাদের নগর পিতা হউক ক্ষমতাসিন সরকারের বলয়ের বাইরের কোন লোক।
যে দুর্নিতি করলে সরকার নিজেই চেপে ধরবে।
Click This Link

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১১

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

গেস্টাপো বলেছেন: ঘটক সাহেব
আওয়ামী লীগের কান্ধে চড়ে আপনাদের কমিউনিস্ট বিপ্লবের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন।আমার মতে আওয়ামী লীগের হারার প্রধান কারন হচ্ছেন আপনাদের মতন বামপন্থীরা।আওয়ামী বাম লীগের বাম আদর্শ যদি দেশের সব মানুষ বুঝতে পারে তাহলে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের ১ টা তেও জিতবে না।বাংলাদেশে কমিউনিস্ট প্রধান এলাকা বা হিন্দু প্রধান কোন এলাকাই নাই।বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম।আপনারা সম্ভবত কথাটা ভুলে গেসিলেন।তালেবানরা কখনও আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসতো না যদি না সোভিয়েত সমর্থিত কমিউনিস্ট সরকার সেখানে না আসলো।ঠিক তেমনি হেফাজতে ইসলামের জন্মও কখনও হত না যদি না শা ভাগ জন্ম না নিতো।সো দায় নিজেদের ঘাড়ে নেবার চেষ্টা করেন আগে।এখন আওয়ামী লীগের বিপদের সময়ে আপনারা চুদুর-বুদুর করবেনই।আম্লিগের মোটা মাথাওয়ালা দলকানারা না বুঝলেও আপনারা নিশ্চয় বুঝে গেসেন দেশের ক্ষমতায় কারা আসতে যাচ্ছে।

আমি আশাকরি পরবর্তী সরকার যেন তাদের আসল শত্রুদের চিনতে পারে।আওয়ামী লীগ যেমন তাদের আমলে বিএনপির উপরে বেশী অত্যাচার না করে সবচেয়ে বেশী অত্যাচার জামাতিদের করেছে ঠিক তেমনি বিএনপিরও উচিৎ হবে তাদের সময়ে বামদের সবচেয়ে বেশী প্যাঁদানি দেওয়া।যাদের কারনে দেশ দু-ভাগে বিভক্ত হয়েছে,স্বাধীন দেশের ইতিহাসে প্রথম এবং সবচেয়ে বড় গণহত্যা হয়েছে তাদের মূল হোতাদের খুজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১২

রেজা ঘটক বলেছেন: আমি তো ভাই কোনো রাজনৈতিক দল করি না। আপনি কি ভাবে আমাকে কমিউনিস্ট বানিয়ে দিলেন!!!! ভুল থেকে শিক্ষা না নিলে তাদের কোনো দিনই শিক্ষা হয় না, হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৩

আলাপচারী বলেছেন: কি বলবো?
যাই বলিনা কেন প্রসঙ্গ ঘুরে যাবে। কারন পাঠকের বলার আছে অনেক কিছু। প্রসঙ্গ যদি আমরা কেন্দ্রিভূত রাখি এভাবে যে - কেন আওয়ামী লীগ হারছে ?
তাহলে মনে হয় একটি স্পষ্ট ছবি ফুটে উঠবে। নয় তো কথার ত্যানা পেচাতেই থাকবে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৬

রেজা ঘটক বলেছেন: আমি সেই কারণগুলোই বলার চেষ্টা করেছি মাত্র। অলরেডি একজন আমাকে কমিউনিস্ট বানিয়ে দিলেন। নিজেদের দোষ আড়াল করলেও সত্য কখনোই চাপা থাকে না। ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আম্লীগের কাঁধে জাপা আর বিম্পির কাঁধে ছাগু -- এই দুই ভূত তাদের নিজে হাতে সরাতে হবে। না হলে রাজনীতির ভেতরে পলিটিক্স থেকেই যাবে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

রেজা ঘটক বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.