নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোল্লারহাটের সোবহান মোল্লাকে আইনের আওতায় আনুন!!!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬

বাংলাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত হাজার হাজার গণমাধ্যম থাকলেও এসব গণমাধ্যমের কোনো নিজস্ব কণ্ঠস্বর টের পাওয়া যায় না। এরা ক্ষমতার সঙ্গে এক ধরনের ব্যালান্স গেম খেলে চলতেই অভ্যাস করেছে। তার তুলনায় বরং জুকারবার্গের ফেসবুক এখন অনেক জোড়ালো গণমাধ্যমের কাজ করছে বাংলাদেশে।

বাগেরহাটের মোল্লারহাটের সোবহান মোল্লা এক সংখ্যালঘু মহিলাকে ধর্ষন করার পরেও বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় সেই খবরটি রহস্যময় কারণে নেই। মোল্লারহাটের পুলিশ প্রশাসনও সেই সুযোগে নিস্ক্রিয়। মোল্লারহাটের সোবহান মোল্লা কী স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কানে কী এই খবরটি পৌঁছায়নি? নাকি এই খবরটি স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী'র কানে পৌঁছালে তখন খবর হবে!

অথচ ঘটনার যে বর্ণনা শুনলাম, এতক্ষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, মোল্লারহাটের সাংসদসহ দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সোবহান মোল্লা'র নারীনক্ষত্র জেনে তাকে পাকরাও করার কথা ছিল! কথা ছিল ওই দুর্ভাগা মহিলাকে দেশের সবচেয়ে উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার। কথা ছিল ওই মহিলার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। কথা ছিল এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করার।

কিন্তু ঘটনার প্রায় সপ্তাহ পার হতে চললো, দেশের গোটা প্রশাসন আমাদের মিডিয়ার মত বোবা রয়ে গেল। এ কোন অসভ্য দেশে আছি আমরা!

ওই পরিবারটি এখন নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছাড়লেই ওদের বাড়িঘর, জমি, সম্পত্তি সব হাতিয়ে নেওয়া যাবে, তাইতো? কী সহজ সমীকরণ! একটি দেশে এ ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা যখন সকল স্তর থেকেই এভাবে অকাতরে প্রশ্রয় পায়, তখন বুঝতে হবে, এই ঘটনার পেছনে কোনো সুদূরপ্রসারী রাজনীতি আছে। এমন রাজনীতিতে কোনো সুবাতাস বয়ে আনে না। বরং এসব ঘটনা বাতাসের কানে কানে এ ধরনের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যানের আহবান জানায়। যা আমাদের শাসকরা ক্ষমতায় থাকাকালীন একদম টের পায় না।

মাননীয় শাসকবৃন্দ, হয় মোল্লারহাটের এই সংখ্যালঘু ভিকটিম পরিবারটির পাশে দাঁড়ান, নতুবা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বেতারে একযোগে ঘোষণা করুন, বাংলাদেশ থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন সকল সংখ্যালঘু পরিবারগুলো দেশ ত্যাগ করে চলে যায়। তাহলে তারা অন্তত জন্মভূমি এই বাপদাদা চৌদ্দ গুষ্ঠির দেশ হারালেও ইজ্জত বাঁচাতে সক্ষম হবে!

.............................
১৯ অক্টোবর ২০১৬

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:১৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অাশির দশকে অল্পো কিছু সংবাদ মাধ্যম ছিলো। তখনকার সাংবাদিকরা পুরাদেশ টাইট করে রাখত। অার এখন পত্রিকা রেডিও টেলিভিশন অনলাইন +অন্যান্য মিলিয়ে প্রায় ২০০০ মিডিয়া

সত্য ঘটনা অাড়ালেই রয়ে গেলো।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

অেসন বলেছেন: একজন সংখ্যালঘু মহিলার ইজ্জত নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নাই। সরকার, মিডিয়া সহ সকলে চিন্তিত অসাম্প্রদায়িক ! বাংলাদেশের ইজ্জত নিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.