নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা ২৬ জেলায় চলমান ভয়াবহ বন্যা। অথচ আমাদের গণমাধ্যম বন্যার খবর প্রচারে এক ধরনের ভাসুরের নাম মুখে না নেবার মত দ্বিধাদ্বন্দে আছে! তাহলে কী বন্যার খবরের উপর সরকার এক ধরনের অদৃশ্য সেন্সর জারি করেছে? পত্রিকাগুলোর খবরের পাতা উল্টিয়ে তো তাই মনে হচ্ছে!
বন্যায় আক্রান্ত দুর্গত মানুষের খবর গণমাধ্যমে কম আশার কারণ কী হতে পারে? গত তিন মাস ধরে সিলেটে বন্যা হচ্ছে, যা নিয়েও গণমাধ্যম সরকারের মত একপেশে আচরণ করেছে। একটা বিষয় গণমাধ্যমের মনে রাখা উচিত যে, ডিজিটাল যুগে গণমাধ্যমের চেয়ে স্যোশাল মিডিয়া অনেক এগিয়ে। যখনই ঘটনা, তখনই নিউজ হচ্ছে স্যোশাল মিডিয়ায়। গণমাধ্যম পরে সেই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ডিটেইল খবর দিতে পারছে।
দেশ ভয়াবহ খাদ্য সংকটের দিকে যাচ্ছে। সরকারি তরফ থেকে চরম গাফিলতি আছে। চাল আমদানিতে সরকার অকারণে সময় নষ্ট করেছে। এই বন্যা রাজধানী ঢাকায় ঢুকে পড়লে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে। তখন কিন্তু আম-ছালা দুটোই যাবার সম্ভাবনা আছে। চলমান ভয়াবহ বন্যার সময় বিচারবিভাগ বা নির্বাচন কমিশনের খবর মানুষের পড়ার সময় নাই।
জনকল্যাণমুখী সরকার হলে এবারের ঈদুল আযহার ছুটি বাতিল করতে পারতো। চরম দুর্দশায় আক্রান্ত একটি দেশ কেন উৎসব বাতিল করতে পারবে না? কোরবানীর টাকা বন্যায় আক্রান্ত মানুষের মাঝে বিলি করলে কী ছোয়াব কম হবে? দেশের ২৬টি জেলা যখন বন্যায় ডুবে আছে, তখন রেলমন্ত্রী ঈদের আগাম টিকিটের ঘোষণা দিচ্ছেন দাঁত কেলিয়ে। মনে হচ্ছে দেশে খুশির বন্যা চলছে! আজব একটা দেশ। আর আজব সব চিড়িয়ায় ভরা!!!
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোরবানীর টাকা বন্যায় আক্রান্ত মানুষের মাঝে বিলি করলে কী ছোয়াব কম হবে? দেশের ২৬টি জেলা যখন বন্যায় ডুবে আছে, তখন রেলমন্ত্রী ঈদের আগাম টিকিটের ঘোষণা দিচ্ছেন দাঁত কেলিয়ে। মনে হচ্ছে দেশে খুশির বন্যা চলছে! আজব একটা দেশ। আর আজব সব চিড়িয়ায় ভরা!!!
যেখানে রেললাইন ডুবে আছে, ভেসে গেছে... পূর্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা অক্ষত নেই- অথচ ধুমসে টিকিট বিক্র করছে!
মাঝপথে গিয়ে মানুষ গুলো পড়বে ভোগান্তিতে! ট্রেন আর যাবেনা বলেইতো তারা খালাস হবে- মানুষ গুরোর কষ্ট কি কল্পনা করা যায়!!!!!
আজব সব চিড়িয়ায় ভরা!
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: গত কাল বিডি নিউসে দেখলাম একজন অভিযোগ করছেন ১৫ তারিখ শোক দিবসের ছুটি থাকায় বন্যার্তদের নির্ধারিত রিলিফের চাল উত্তলন করতে পারেন নি। বন্যাদুর্গত এলাকায় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করলে শোক দিবসের কি এমন ক্ষতি হতো?
সরকার যানে কি ভাবে কইয়ের তেলে কই ভাজতে হয়। তাই তো বর্তমান বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রান দিচ্ছেনা।
নিশ্চিত আগামি মাসে সরকারী স্টাফদের থেকে একদিনের বেতন কেটে নেবে বন্যার্তদের অসহায়ত্বের দোহাই দিয়ে।
দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রীর এখন নিরবতা পালনে ভ্রত। কিন্তু কেন এমন সময় উনার এমন নিরবতা?
দুর্যোগ কেটে গেলে নিশ্চয়ই উনি নিরবতা ভেঙ্গে বড় বড় কথা ঝুড়ি নিয়ে আসবেন মিডিয়ায় বাহ বাহ কুড়াতে।
তখন আমরা যে তাকে বাহ বাহ নয় ছিঃ ছিঃ দেব সেটা বোধ করার ক্ষমতা হয়তো উনার নাই। কেউ আবার বলেন রাননীতিবীদদের নাকী অসব থাকতে নাই।
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: অসাধারন লেখেছেন, একে বারে মনের কথা ধ্যবাদ।
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
তালপাতারপাখাই বলেছেন: বন্যায় তেমন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি যেমনটা হবে শোক দিবস বা সরকারি ছুটি বাতিল করলে তেমনটাই মনে হয় ভাবছেন সরকারি দলের
নেতাকর্মি এবং ব্লগার চাঁদগাজীদের মত গাজাখুড়ে ভাবনায় মগ্ন লোকেরা।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: নাগরিক সাংবাদিকতার এই যুগে সেন্সরশিপ থাকা বা নাথাকা সমান
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
অদৃশ্য প্রতিভা বলেছেন: ভাই, শোক ই তো ভুলতে পারছেনা ওনারা! ৪২বছরেও শোক শেষ হচ্ছেনা!
আর মিডিয়া এই তেল না বেচলে চলবে কেমনে, বলেন!
৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বন্যা এখন ডাল ভাত হয়ে গেলে। তাই হয়তো মিডিয়া আগ্রহ হারিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার কথার প্রমান হাতে কলমে দিল ছাত্র লীগ
শীর্ষনিউজ, ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জাতীয় জাদুঘরের সামনে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করছিলেন ইমরান এইচ সরকারসহ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখানে এলে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এসময় জিয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী হকিস্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে ইমরানসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।
এ প্রসঙ্গে ইমরান এইচ সরকার বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতকারী হঠাৎ আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা বলে কিসের বন্যা দেশে কোনো বন্যা নেই। এই বলে পাথর ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা শুরু করে।
http://www.sheershanews24.com/politics/details/4063/ইমরান-এইচ-সরকারকে-পিটিয়েছে-ছাত্রলীগ
১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
বিদগ্ধ বলেছেন:
সবকিছুর ওপর দিগদারি। খোদায় মানবো না!
১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৭
আখেনাটেন বলেছেন: ভয়ঙ্কর ব্যাপার!
১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮
শাহানাজ সুলতানা বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে
১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শাসক যে দলেরই হোক, অবশেষে এই হয় তাদের আচরণ। এবারেরটি তো সব রেকর্ড ভাঙবে মনে হচ্ছে।
দুর্যোগে নেতৃত্বের পরিচয় - মনে হচ্ছে এবার আসল পরিচয় বের হয়ে যাবে!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকার পার্লামেন্টে মিলাদ পড়াবে