নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ভাইরাস নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!

০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

খেয়াল করুন- করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ডক্টর রালফ এস ব্যারিক যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (চ্যাপেল হিল) একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। ২০১৫ সালে তিনি ঘোড়া বাদুরের লালা নিয়ে গবেষণা করে প্রথম আবিস্কার করেন করোনা ভাইরাস। তখন তিনি এটির একটি বৈজ্ঞানিক নাম দিলেন- এসএইচসি-০১৪। এই কথা তিনি ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে 'নেচার মেডিসিন' জার্নালে একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশ করলেন।

তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই গবেষণায় প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করলো। মজার ব্যাপার হলো- ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে 'দ্য সায়েন্টিস্ট'কে অণুজীব বিশেষজ্ঞ রিচার্ড এডব্রাইট এক সাক্ষাৎকারে এটি নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তখন এই গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভয়ংকর বিপজ্জনক গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ প্রত্যাহারের পরেও ডক্টর রালফ ব্যারিক কিন্তু থেমে থাকেননি। তিনি তাঁর গবেষণার নমুনা নিয়ে চীনের উহানে ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে চলে যান আরো গবেষণা করার জন্য। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অণুজীব গবেষণাগারের একটি। আর এই চীনের উহান থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরে। এই হলো ঘটনা।

এবার আসুন একটু অন্যভাবে চিন্তা করা যাক। করোনা ভাইরাস যদি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর একটি প্রজেক্ট হয় এবং চীনের অর্থনীতিতে ধ্বস নামানোর জন্য একটি মিশন হয়, তাহলে ডক্টর রালফ ব্যারিকের গবেষণায় প্রথমে অর্থ বরাদ্দ করে পরে বাতিল করাটা ছিল একটি মার্কিনী কৌশল। সেই কৌশলে টোপ গিলেছে চীন। ডক্টর রালফ ব্যারিককে স্বাগত জানিয়ে উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে গবেষণা করার সুযোগ দেয় চীন।

পাঁচ বছর পর চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাস কে ছড়ালো? ডক্টর রালফ ব্যারিক যদি সিআইএ-র এজেন্ট হয়ে থাকেন, তাহলে চীন সরাসরি ধরা খেয়েছে। ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করার পর ডক্টর রালফ ব্যারিকের সর্বশেষ অবস্থান কোথায় তা কিন্তু চীন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেউ স্বীকার করছে না! তবে নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষে তিনি নর্থ ক্যারোলিনা ইনস্টিটিউটের চ্যাপেল হিলে ফেরত যাবার কথা। ঘাপলাটা এখানেই।

করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বের ১০৬টি দেশে ছড়িয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস ধরা পরেছে। প্রশ্ন হলো- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য কী সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী বা নৌবাহিনী ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে? সিআইএ-র হিসাব হচ্ছে, যদি করোনা ভাইরাসের মত মারাত্মক ভাইরাস একবার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে কোনো বাহিনী লাগবে না এই যুদ্ধে। যুদ্ধের কাজটি এই ভাইরাস করে দেবে।

তাহলে চীনের অর্থনীতির পতন ঘটবে কীভাবে? চীনের বিভিন্ন সমুদ্র বন্দর থেকে ইতোমধ্যে কয়েকশো জাহাজ বন্দর ছেড়ে গেছে। চীনের সাথে ধীরে ধীরে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেবে বিভিন্ন দেশ! অনেক দেশ চীনের পণ্য আমদানী বন্ধ করে দেবে। চীনে পণ্য রপ্তানী বন্ধ করে দেবে অনেকে। এসব বিষয় খুব দ্রুতই চীনের অর্থনীতির বারোটা বাজাবে।

তাহলে অন্যান্য দেশে বিশেষ করে ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে এত মানুষ মারা গেল কেন? খুবই স্বাভাবিক। চীনের সাথে যাদের ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে, শুরুতে তারাই প্রথম শিকার হবে। হয়েছেও তাই। এবার চীনের ঘনিষ্ট এসব মিত্ররা চীনের সাথে পণ্য লেনদেন বন্ধ করে দেবে। ক্ষতিটি শেষ পর্যন্ত অন্য দেশের তুলনায় চীনের বেশি হবে। যা চীনের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেবে।

সিআইএ কী কেবল চীনের অর্থনীতি দুর্বল করার জন্য এই মিশন নিল? মোটেও না। চীন প্রধান টার্গেট হলেও বিশ্বের অন্যান্য বড় শক্তিগুলো দিনদিন মার্কিন অর্থনীতির প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠছে। যে কারণে তারাও একটা ধরা খেলে খেলাটা খুব জমে যায়। অনেকটা এক ঢিলে কয়েক পাখি মারার মত ব্যাপার।

করোনা ভাইরাস নিয়ে সবচেয়ে সোচ্চার কে? ডব্লিউএইচও। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন। তারা কারা? তারা জাতিসংঘের একটি সংগঠন। জাতিসংঘ কে নিয়ন্ত্রণ করে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে করোনা ভাইরাস ছড়াতে সবচেয়ে কে বেশি ভূমিকা রাখার কথা? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সমীকরণ কী বলে? করোনা ভাইরাস কে ছড়াতে পারে? সিআইএ!

এখন চীন যদি করোনা ভাইরাসের প্রথম টিকা আবিস্কার করতে সক্ষম হয়, তাহলে সিআইএ-র এই কৌশল সরাসরি বুমেরাং হবে। তবে সিআইএ-র কৌশল সফল হবে যদি আগেভাগেই মার্কিন কোনো গবেষক দিয়ে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিস্কার করে রাখে। তখন করোনা ভাইরাসের টিকা বিক্রি করে প্রথম ব্যবসা ঘরে তোলার সুযোগ তারাই পাবে।

কিন্তু এ অবস্থায় চীন কী বসে থাকবে? মোটেও না। চীনও ব্যাপক চেষ্টা করবে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিস্কার করার। কারণ এটা নিয়ে তাদের অর্থনীতির ইতোমধ্যে যে বারোটা বাজলো, সেটা পুষিয়ে নিতে তারা এর টিকা আবিস্কার করে গোটা বিশ্ব থেকে টাকা কামানোর একটা মওকা প্রস্তুত করতে চেষ্টা করবে।

অন্যান্য বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তিগুলো কী বসে থাকবে? মোটেও না। যে কেউ প্রথম করোনা ভাইরাসের কার্যকর টিকা বানিয়ে প্রথম ব্যবসা ঘরে তোলার চেষ্টা করবে। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্বে আতংক ছড়িয়েছে। যা অনেকটা অস্ত্রহীন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত।

করোনা ভাইরাস সবচেয়ে কীসে বেশি প্রভাব বিস্তার করবে? বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করবে। আপনি আপনার বন্ধু'র করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা তা বিশ্বাস করতে পারবেন না। তার সাথে করমর্দন, কোলাকুলি এসব এড়িয়ে চলতে শুরু করবেন। আপনার বিশ্বাসে চিড় ধরবে। মানুষ থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য করোনা ভাইরাস দীর্ঘদিন সংক্রামকের মত কাজ করবে।

এবার আপনি নিজেই ভেবে বলুন তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য কোনো প্রশিক্ষিত বাহিনীর কী দরকার হবে? মোটেও না। করোনা ভাইরাস তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত একটা ভয়ংকর ব্যাপার হতে পারে। এখন দেখার বিষয় করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে কত মানুষকে মেরে ফেলতে পারে! যদি মানুষ কম মারা যায় তাহলে করোনা ভাইরাস ব্যর্থ হবে। কিন্তু যদি এটা বড় ধরনের প্রাণহানী ঘটাতে সক্ষম হয় তাহলে কিন্তু এটাকে আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না বলে আর থাকতে পারবেন না।

ভাবুন। ভাবা প্রকটিস করুন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫১

জাহিদ হাসান বলেছেন: বলির পাঠা আমরাই :(

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১২

নীলসাধু বলেছেন: করোনা নিয়ে ভেবে মাথা নষ্ট কইরা লাভ নাই।
বিকালে কই থাকবেন?
আলাপ আছে। আসতাসি।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভুল। সার্স, মার্স, সহ প্রায় আট-দশটা ফ্লু ভাইরাস জীবানুর নাম করনা।
আলোচিত করনা জীবানুটির নাম (COVID-19) এটি নতুন আবির্ভুত।
এই টিকা চীন আবিষ্কার করতে পারবে না, আমেরিকা বাদে কেউ পারবে না। টিকা উদ্ভাবনের অবকাঠামো একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আছে। চীন অলরেডি ভাসরাসটির স্যাম্পল ও উপাত্ত দিয়েছে আমেরিকান CDC কে। CDC থেকে একদল গবেষক অলরেডি চীনে অবস্থান করছে। বড় ফান্ডও বরাদ্দ হয়েছে। WHO সহ সবাই সমন্নিত ভাবে কাজ করছে।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নিউইয়র্ক এ জরুরী অবস্থা, ওয়াশিংটন সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশ আক্রান্ত। এতে আমেরিকা নিজেও তো ক্ষতিগ্রস্ত।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: এখন কারো সাথে আগে দেখা হলে আমি হাত বাড়াই না। হে হে

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজ দুইদিন করোনা নিয়ে লেখার মহামারী শুরু হয়েছে যেন।
আল্লাহ রহমত করো।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ মূলক একটি লেখা। আমি পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। ১০০% আপনার সংগে আমি একমত। সেই সংগে ভাবলাম ও ভাবার প্রাকটিস করলাম।

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ভাবনার অনেক কিছুই মিলে গেছে। :)

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

নতুন বলেছেন: ট্রিলিওন ডলার ক্ষতি হচ্ছে এই ভাইরাসের গুজবে। সাধারন ফ্লুর মতন ভাইরাসেই এর চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় সারা বিশ্বে প্রতিবছর।

সোসাল মিডিয়া এই করোনাকে হাইলাইট করার ফলে সবাই এটা নিয়ে আতংকিত হয়েছে এবং বাকীরা সত`কতা দেখাতে গিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটা দেখে আরো মানুষ আতংকিত হচ্ছে।

আমাদের দেশে প্রতিদিন ১০/২০ জন মানুষ সড়ক দূঘটনায় মারা যায়, মানুষ আত্নহত্যা করে,

করোনায় যেই পরিমান মানুষ মারা গেছে তারচেয়ে বেশি মানুষ প্রতিবছর ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

এটা আমেরিকার পরিকল্পনা কিনা সেটা জানিনা। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ গোলাবারুদ দিয়ে হবেনা, হবে অথ`নৈতিক ভাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.