নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আপনাদের কী মনে আছে পৃথিবীতে প্রথম কারা পারমানবিক বোমার পরীক্ষা করেছিল? প্রথম কারা পারমানবিক বোমা দিয়ে আঘাত করেছিল? আপনারা সবাই জানেন কিন্তু ভুলে থাকার ভান করছেন। শোনেন মশাই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালে আমেরিকা ২ বিলিয়ন ডলারের ম্যানহাটন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল। তারপর পারমানবিক বোমার সফল বিস্ফোরণ চালানোর উদ্দেশ্যে ম্যানহাটন প্রজেক্টের প্রথম পারমানবিক বোমা ‘দ্য গ্যাজেট’ তৈরি করা হলো।
১৬ জুলাই ১৯৪৫ সালে নিউ মেক্সিকোর উত্তরে জেমেজ পর্বতমালায় স্থানীয় সময় সকাল ৫:২৯:৪৫ টায় ‘দ্য গ্যাজেট’ সফলভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হলো। মুহূর্তে ত্রিশ হাজার ফুট কালো ধোয়ায় ছেয়ে যায় আকাশ। ১২০ মাইল দূরের মানুষজন সেই বিস্ফোরণে সেদিন আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। সবাই মনে করেছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু ওটা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটম বোমার সফল পরীক্ষা।
এটম বোমার ওই সফল পরীক্ষার পর কী যুক্তরাষ্ট্র থেমেছিল? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন শেষের দিকে। কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাকি। রাশিয়া ততদিনে জার্মানকে কুপোকাত করেছে। কিন্তু আমেরিকা সেই আনুষ্ঠানিকতার জন্য বসে থাকেনি। সেদিন আমেরিকা কোনো মানবিকতা দেখায়নি। ঠিক পরের মাসে ৬ আগস্ট জাপানের হিরোসিমায় এবং ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটম বোমা মেরেছিল। লিটলবয় আর ফ্যাটম্যান। দুটো মাত্র ছোট্ট এটম বোমা। আমেরিকার সেই এটম বোমার হামলা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জঘন্যতম নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড।
স্বার্থের জন্য আমেরিকা যা চায় তাই করে। আপনার কী ধারণা গোটা বিশ্বে মোড়লগিরি করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই খায়েস এখন আর নাই? চীনের কাছে তারা খুব ভদ্রভাবে সুবোধ বালকের মত আত্মসমর্পণ করতে চায়? পৃথিবীতে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের উত্থানকে আমেরিকা খুব সহজেই মেনে নেবে? পৃথিবীতে চীনকে খুব সহজেই আমেরিকা ছড়ি ঘুরাতে দেবে?
থামুন মশাই। আপনার লেকচার বন্ধ করেন। আপনার সাথে কুতর্ক করার সময় আমার একদম নাই। হ্যা, এটা তো ঠিক পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বায়োটেকনোলজিতে অনেক কিছু গবেষণা করে ফেলেছে। জীবাণু অস্ত্র বানানোর খায়েস পৃথিবীতে অনেক দেশের রয়েছে। কিন্তু জীবাণু অস্ত্রের প্রথম সফল পরীক্ষা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগে অন্য কেউ করবে, এটা আপনি মানলেও আমি মানি না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ই জীবাণু অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে চীনের উহানে। হ্যা, এটাই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। কারণ আমেরিকার মত এত কঠিন হৃদয় পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এখনো অর্জন করতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানে এটম বোমা ফেলার পর আর কী কী করেছে, সেই ইতিহাস তো আপনিও জানেন। আমিও জানি।
একে একে তারা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে পৃথিবীর জঘন্যতম নিকৃষ্টতম হামলাগুলো করেছে। ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তানের ঘটনাগুলো কী আপনারা ইতোমধ্যে ভুলে গেছেন? ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের মিশন সংক্ষিপ্ত করেছে। কারণ কী? বলুন কারণ কী? মধ্যপ্রাচ্যে তাদের যে পরিমাণ বাজেট খরচ হয়ে যায়, সেই তুলনায় রিটার্ন ইদানিং কমে গেছে। সেই সুযোগে চীন কারো ভূমি দখল না করেও অর্থনৈতিকভাবে আমেরিকাকে টেক্কা দেওয়া শুরু করেছে।
আপনার কী ধারণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে একদম বিনাযুদ্ধে ওয়াকওভার দিয়ে দেবে? চীনের হাতেও পারমানবিক বোমা আছে। সুতরাং পারমানবিক বোমার ভয় দেখিয়ে চীনকে বাগে আনা ইমপসিবল। অসম্ভব না বলে আমি ইমপসিবল কেন বললাম? কারণ হোয়াইট হাউজ জানে এটা ইমপসিবল। চীনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কাবু করা এত সহজ নয়।
তাহলে নতুন কোনো মিশন ছাড়া চীনকে দমন করা কঠিন। জীবাণু অস্ত্র যদি চীনের কাছেও থাকে, সেটা চীন পরীক্ষা করার আগে চীনকে সায়েস্তা করার জন্য সেই সুযোগ কী আমেরিকা হাতছাড়া করবে? আপনার কী মনে হয় আমেরিকা এমন সুযোগ সত্যি সত্যিই হাতছাড়া করবে? চীনের মত অর্থনৈতিক শক্তিকে দমিয়ে রাখতে আমরিকা খালিহাতে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে?
থামুন মশাই। আপনি বিশ্বরাজনীতি এবং সাম্রাজ্যবাদের মার্কিন পলিসি কিছুই বোঝেন না। মার্কিন পলিসিতে স্বেচ্ছায় হেরে যাবার কোনো নজির নাই। হ্যা যুদ্ধে তারা ভিয়েতনামে হেরেছে। সেই ক্ষত তারা এখনো বয়ে বেড়ায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দিতে পেরে আমেরিকা তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে তছনছ করতে পেরেছে। কিন্তু রাশিয়ায় আবার পুতিনের মত নেতার উত্থান ঘটেছে। রাশিয়া আবার কামব্যাক করেছে। কিন্তু অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে রাশিয়ার চেয়ে চীন এখন আমেরিকার প্রধান শত্রু।
আপনার কী ধারণা আমরিকা শত্রুকে আগে আক্রমণ করার সুযোগ দেয়? আপনার কী ধারণা আমেরিকা চীনকে আগে জীবাণু অস্ত্র মারার সুযোগ দেবে? চীন অর্থনৈতিকভাবে যে কৌশলে সারা পৃথিবীতে উত্থান ঘটিয়েছে, সেখানে এসব পারমানবিক বোমার হামলা বা জীবাণু অস্ত্রের হামলা মোটেও মুখ্য ছিল না। চীন নিজেদের দৃঢ় অর্থনৈতিক কৌশলের কারণেই বাণিজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো সেই কৌশলে নেই। তারা শক্তি প্রয়োগ করে নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে চায়। যে কারণে চীন নিজের দেশেই জীবাণু অস্ত্রের সফল পরীক্ষা করবে, এটা যারা বিশ্বাস করেন, তারা সম্পূর্ণ বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। যারা এখনো বিশ্বাস করেন যে করোনা হলো চীনের জীবাণু অস্ত্রের পরীক্ষা, তারা আসলে ভুল ক্যালকুলেশনে আছেন। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এখনো ঠিক বুঝতে অক্ষম।
ইরাকে সাদ্দাম হোসেন রাসায়নিক বোমা বানিয়েছে, এই দোহাই দিয়েই তো আমেরিকা তাদের সায়েস্থা করার কথা বললো, নাকি অন্য কোনো কথা দিয়ে তারা সাদ্দাম হোসেনকে ঘায়েল করতে চেয়েছিল? তো ইরাক ধ্বংস করার পর ইরাকের কোথাও কী সেই বুশের কথিত রাসায়নিক বোমা পাওয়া গেছে? কী কথা কন না কেন? আপনি বলুন তো ইসলামিক এস্টেট বা আইএস কাদের তৈরি? কী আপনার প্রশ্নগুলো একটু খটকা লাগছে? তাই না? প্রশ্ন খটকা লাগলে আপনি একটা নির্বোধ। আপনার সাথে এত উঁচুমাত্রার টোপিক নিয়ে আলোচনা করা বা কুতর্ক করার খায়েস আমার নাই।
আপনি বিশ্বাস করতে থাকেন যে চীন নিজের দেশে সফলভাবে জীবাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। আপনার বিশ্বাস আপনার থাকুক। হোয়াইট হাউজ থেকে যা বলা হয়, তা কিন্তু আপনার অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করা ফরজ। কারণ আমেরিকার প্রপাগাণ্ডা আপনি অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করেন। আমেরিকা যে জীবাণু অস্ত্রের সফল পরীক্ষা করতে পারে, আর এটা যে চীনের উপরেই করতে পারে, এটা আপনার বিশ্বাস হয় না। তো আপনি মার্কিন পক্ষ নিয়ে তর্ক করতে থাকুন।
আপনার মার্কিন কৌশল সম্পর্কে বোধবুদ্ধির কোনোদিন উন্নতি ঘটবে না। কারণ আপনি মার্কিন প্রপাগাণ্ডা বিশ্বাস করেন। আপনার কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব ভদ্র একটি রাষ্ট্র। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো ধরনের খারাপ কাজ করার তাদের কোনো পূর্ব-রেকর্ড নাই! তাই না? এটা কী বুকে হাত দিয়ে দাবি করতে পারবেন? নাই? তার আগে একটি কথার জবাব দেন। চীন কেন জীবাণু অস্ত্রের পরীক্ষা নিজের দেশেই করবে? নিজের দেশের জনগণের উপর করবে? চীনের বড় শত্রু আমেরিকার কোনো স্টেটে করবে না কেন?
আপনি আরো ভাবুন। ভাবা প্রাকটিস করুন। বিশ্বরাজনীতির কৌশলগুলো না জেনেই আপনি খামাখা কুতর্ক করতে আসবেন না। এখানে মোটেও পাড়ার বা মহল্লার বিষয় নিয়ে আলাপ হচ্ছে না। আলাপ হচ্ছে দুই সুপার পাওয়ারের প্রতিযোগিতা নিয়ে। আগে বিশ্ব অর্থনীতি এবং ভৌগলিক রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেন। নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করেন। তারপর আপনার যুক্তি বলুন। আর সেই যুক্তি প্রমাণ করুন।
আপনি জানেন তো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বছর পরপর তাদের আগের শাসকদের কিছু কুকর্ম ডিক্লাসিফাইড করে। চীনের উহানে জীবাণু অস্ত্রের সফল পরীক্ষার কুকীর্তি জানার জন্য আপনাকে সেই ডিক্লাসিফাইড ফাইলগুলো আগে হাতে পাওয়া লাগবে। ততদিন আপনি পশ্চিমা জোটের প্রপাগাণ্ডা বিশ্বাস করতে থাকুন। বিশ্বাস করতে থাকুন চীন নিজের দেশের জনগণের উপর জীবাণু অস্ত্রের সফল পরীক্ষায় পাশ করেছে। বিশ্বাস করতে থাকুন করোনা ভাইরাসের জন্য চীন দায়ী।
সেই সুযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার নতুন কূটকৌশল নিয়ে আপনাকে, হ্যা আপনাদের মত বোকাদের আবাবো আরো বোকা বানাবে। তারআগে জাতিসংঘ এবং তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো'র কৌশলগুলো নিয়ে একটু পড়াশুনা করুন। বিশ্বে জাতিসংঘ চীনের কৌশল অনুসরণ করে নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল অনুসরণ করে? তা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করুন। নিজের বুদ্ধিমতা নিজেই যাচাই করুন। নিজেই এই প্রশ্নের জবাব আবিস্কার করতে পারবেন।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৩
কূকরা বলেছেন: আম্রিকা নিজেরট তৈরী ভাইরাসে এখন নিজেই ধরা খাইছে
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
নতুন বলেছেন: আপনার ধারনা ঠিক হতেও পারে।
কিন্তু সাধারন ভাবেও এই রকমের ভাইরাস মানুষের মাঝে ছড়াতে পারে, বত`মানে মানুষ বিমানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে যায় এবং সোসাল মিডিয়া প্যানিক ছড়ায় ।
আকাশে ভ্রমনের সহজল্যভ্যতা এবং সোসাল মিডিয়ার অতিমাত্রায় প্যানিক ছড়ানোই এই করোনা পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
আমেরিকার সমাজ্র ধরে রাখতে তারা চেস্টা করবেই কিন্তু চাইনিজ সম্রাজ্য আমাদের জন্য মনে হয় আরো বেশি খারাপ হবে।
আমেরিকার সম্রাজের পতন আর চাইনিজ সম্রাজের উত্থান আমাদের জীবদ্বশায় দেখে যেতে পারবো কি না জানিনা।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: গরম যত বাড়বে করোণা তত কমবে।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: সব দেশের মানুষ অ্যামেরিকায় বাস । ভিসা পেলে আপনেও যাবেন
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বিয়ে টিয়ে করে ফেলেন, না হয়, এধরণের ম্যাঁওপ্যাঁও ধারণা দিয়ে ব্লগটাকে ভরে ফেলবেন।