নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ জন্মের নিকটবর্তী অতীতে মায়ের গর্ভে থাকে প্রায় ১০ মাস ১০ দিন। এই গর্ভে সে মায়ের রক্ত খেয়ে আস্তে আস্তে বড় হয়।নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়া শেষে সে পৃথিবীর আলো দেখে। পৃথিবীতে আসার পর মা-বাবার কাজ আরো বেড়ে যায়। খাবার হিসেবে মায়ের বুকের দুধ, বিছনা হিসেবে ব্যবহৃত হয় মা-বাবার কোমল -শীতল বুক।মল-মূত্র ত্যাগ করলে পরিষ্কার করে মা-বাবা। সাধারণত যে কাজ আমরা সুইপার দিয়ে করিয়ে থাকি।
আজ আমাদের একটু টাকা পয়সা হলেই মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোটা যেন এখন ধনী পুত্রদের ট্রেডিশনাল হয়ে গেছে বটে। ভুলে যায় যে, মায়ের রক্ত খেয়ে বড় হয়েছি, মা-বাবার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়েছি সেই সোনালী দিন গুলির কথা।যে মা-বাবা আমাদের ময়লা পরিষ্কার করেছিলেন নি:সংকোচে ; সেই মা-বাবাকে আমরা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাচ্ছি উৎফুল্ল মনে।আমরা আমাদের ছেলের জন্য পোষা কুকুর ঘরে রেখে নিয়মিত খাবার দিতে পারি, অথচ মা-বাবার এক মুঠো ভাতের জন্য তাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাচ্ছি। পোষা কুকুরটাকে বৈরী আবহাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য নিজ কোলে কিংবা দামী সোফায় রাখতে পারি, অথচ মা-বাবার থাকার জায়গার অভাব বোধ করে বৃদ্ধাশ্রমে নিচ্ছি।
আগে জানতাম “অভাবে স্বভাব নষ্ট” এখন দেখি “অর্থেই নৈতিকতা ভ্রষ্ট”।
যদি কোন গরীব, অশিক্ষিত সন্তানেরা তাদের মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতো তাহলে বলতাম; “দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র” কিংবা “শিক্ষার আলোর অভাব”ই এর প্রভাব। কিন্তু না! আজ যারা তাদের মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাচ্ছে তারা শিক্ষার উচ্চ পর্যায় শেষ করেছে বটে অর্থ পরিমাপে সমাজের উচ্চ শ্রেণিও।
হায় ! কোথায় গেলো আমাদের শিক্ষার আলো? আর কোথায় গেলো আমাদের নৈতিকতা?
ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করুন, সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ুন।
প্রতিটি মা-বাবার কদমে হাজার সালাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: