![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে একটি মহাপরিকল্পনা হচ্ছে। পর্যটন শিল্পের অবকাঠামো উন্নয়ন, পর্যটকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববাসীর কাছে দর্শনীয় স্থানগুলো তুলে ধরা এ মহাপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। এর আওতায় ২০ বছরে বাংলাদেশকে পর্যটকদের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করা হবে। জাতিসংঘের পর্যটনবিষয়ক সংস্থা ইউএনডবিস্নওটিও মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা দিচ্ছে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। মতামতের জন্য খসড়াটি এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আগে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ খাতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও অনেক উদ্যোগের প্রয়োজন। অর্থ বিভাগের সাম্প্রতিক প্রকাশনা পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ পুস্তিকায় উঠে এসেছে এসব উদ্যোগের বিস্তারিত। বাইরে দেশ-বিদেশে অনুষ্ঠিত পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন মেলা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। ৬৩টি দেশের পর্যটকদের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল চালু করা হয়েছে। পর্যটন পরিবহনের জন্য অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের গন্তব্য বাড়ানো হয়েছে। পর্যটন মেলায় বিদেশি সংস্থাগুলোর জন্য রেয়াতি মূলে বিমানের টিকিট দেয়া হচ্ছে। গঠন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। নয়টি দেশের ট্যুর অপারেটর ও সংবাদ মাধ্যমের ৪৩ প্রতিনিধিকে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর সঙ্গে পরিচিত করানো হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ পর্যটনসংক্রান্ত জাতিসংঘের সংগঠন বিশ্ব পর্যটন সংস্থার দক্ষিণ এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে নিতে অনেক বেসরকারি ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্সি কাজ করছে। উদ্যোক্তারা গড়ে তুলেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিওএবি), অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (এটিএবি) ও বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। পর্যটন খাতে বেসরকারি খাতে গড়ে উঠছে অবকাঠামো।
©somewhere in net ltd.