![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
বাংলাদেশের ঠিকানা পাওয়ার আগে ছিটমহলের বাসিন্দরা অন্ধকারের বাসিন্দা ছিলেন। মদ-গাঁজা ছিল তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। ছিটমহলের বাসিন্দারা মাদক ব্যবসা, গরু পাচার, চিনি-মসলা চোরাচালান ও নারী-শিশু পাচারকে পেশা হিসেবেই বিবেচনা করতেন। এ ছাড়া বড় বড় সন্ত্রাসীদের শেল্টার দেওয়া, দুর্ধর্ষ আসামিদের অবস্থান করতে দেওয়া, গাঁজা চাষ, পতিতাবৃত্তি ছিল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। ছিটমহলের বিভিন্ন হাট-বাজারে পণ্যের সঙ্গে বেচাকেনা হতো ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মদক দ্রব্য। অনেক ছিটমহলে সপ্তাহে দুই দিন ফেনসিডিলের হাটও বসত। ছিটমহলগুলো অনেকটাই অপরাধীদের অভয়াশ্রম ছিল। দুদেশের সন্ত্রাসীরা বিপদে পড়লেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ছিটমহল এলাকাকে বেছে নিত। আইন প্রয়োগের দুর্বলতার কারণে ভয়ে ছিটমহলের স্থায়ী বাসিন্দারাও কোনো কিছুতে প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতেন না। এখন তারা বাংলাদেশের ঠিকানা পাওয়ার পর সব অন্ধকারের পথ ছাড়তে চান। নতুন জীবনে দাঁড়াতে চান তারা। অন্ধকার জীবন ছেড়ে আলোর পথে আসতে চান ছিটমহলের বাসিন্দরা। বদলাতে চান জীবনযাপনের রুটিন। বাংলাদেশের অন্য বাসিন্দাদের মতোই জীবনযাপন করতে চান তারা।
©somewhere in net ltd.