![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে কুড়িগ্রামের ছিটমহলগুলো। ঘড়ির কাঁটা সকাল ৭টা ছোঁয়ার আগে মিনা খাতুন ও নাজমুল ইসলামের মতো চার থেকে ছয় বছরের শিশুরা দলবেঁধে হৈচৈ করতে করতে নিজ এলাকার মসজিদ কিংবা কারও বাড়ির আঙিনায় স্থাপিত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে জড়ো হচ্ছে। সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে শিক্ষকের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে গাইছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এর পর সবাই সমস্বরে জোরে জোরে শিখছে বর্ণমালা। এভাবে সকাল ১০টা পর্যন্ত পাঠদানকালীন শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত চিৎকারে মুখরিত হয়ে থাকছে ছিটমহলের পাড়াগুলো। অথচ এই দৃশ্য কয়েকদিন আগেও ছিল না। শুধু কয়েক দিন আগে কেন, দীর্ঘ ৬৮ বছর অপেক্ষার পর ছিটমহলে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো। ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। বাড়ির আঙিনায়, ছোট কামরাতে মসজিদে এবং মসজিদসহ ২৩টি শিক্ষাকেন্দ্রে চলছে পাঠদান। ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে এই প্রথম লেখাপড়ার করার সুযোগ পেল ছিটমহলবাসীরা।
©somewhere in net ltd.