নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা হলাম নাচের পুতুল,আমাদের যে যেভাবে নাচাচ্ছে আমরাও ঠিক সেভাবেই নাচতেছি। অবশ্য এটা আমাদের দোষ না। যে নাচাচ্ছে তারই দোষ। তবুও আমরা তাকে অগ্রাহ্য করতে পারছিনা। একে অন্যার দোহাই দিয়ে এমন এক অবস্থায় আসছি যেখানে হাতকড়ি পরে বসে আছি।
আমাদের ভালো কেউ কখনো চায়নি। একাত্তোরে পাকিদের সাথে যুদ্ধের কোন কারণ ছিলনা। তাও যুদ্ধ করতে হয়েছে। আমরা যুদ্ধ করতে চাইনি আমাদের যুদ্ধে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
পাক ভারত লাঠালাঠি কয়েক বছর ধরে না শুধু। একাত্তোরের আগ থেকেই তাদের লাঠালাঠি ছিলো। আর চিপায় পড়লাম আমরা। আমাদের তিনপাশ ভারতে ঘেরা। এটা ভারতের জন্য খুব সেফ,ব্যবসা বলেন বা শক্তপোক্ত অবস্থান বলেন। পাকিদের তুলিয়ে দিতেই ভারতের কষা অংকে আমরা আটকে গেছি। এই সুযোগে সৈন্য অস্ত্র ও আর্থিক সাহায্য করে মহান ভূমিকা রেখেছে ভারত। উদ্দেশ্য শুধু একটা অবস্থানের জন্য।
বাংলাদেশ স্বাধীন হল,পাকিরা তাদের সকল অস্ত্রসস্ত্র রেখে বিদায় নিলো। তখনো ভারতে প্রায় হাজার হাজার সৈন্য ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে রয়ে গেলো বাংলাদেশে। এর জন্য শেখ মুজিবের সাথে কথা কাটাকাটি হয়ে সকল, পাকিদের অস্ত্র,প্রতিটা ক্যান্টনমেন্ট এর দরজা জানালা সহ সব নিয়ে চলে যায় ভারত। এতে ইন্দিরা গান্ধীর কি লাভ টা হল? লাভ এটাই হয়েছে যে পাকিদের পূর্ব বাংলা থেকে বিদায় করে নিজেরা সেফ হয়েছে। এখন কিছুটা হলেও শান্তি আসবে।
সব ঠিকঠাক চলতেছে। এরপর আবার শুরু হল জঙ্গি জঙ্গি নাটক। আজ এর বাড়ি পুলিশে ঘেরাও কাল ওর বাড়ি পুলিশে ঘেরাও,এখানে হামলা ওখানে হামলা ইত্যাদি করা হচ্ছে। এরপর বলা হল সামরিক চুক্তির খুব বেশি প্রয়োজন। অবশেষে ইন্দিরা গান্ধী যা পারলোনা বঙ্গবন্ধুর কারণে তা এবার হবে তার প্রিয় কন্যার হাত ধরে। এখানে অভিযান ওখানে অভিযান চালিয়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে পারবে।
আমরা আবারো পিষে যাচ্ছি। আজ আপনার বাড়ি তো কাল আমার বাড়ি। পাক ভারত খেলা চলবেই,এর ফাঁকে আমরা পিষে চ্যাপটা হয়ে যাবো। বাংলাদেশে ভারত ডুকে পড়বে,ঐদিকে চিন আর পাকিস্তান ভারতে হামলা চালাবে। খেলা চলতেই থাকবে!! আমরা হাতকড়ি পরে অত্যাচারিত হব।
©somewhere in net ltd.