নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লোকটার পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম,কোন কথা বললাম না। ঠিক তার পেছনে কতক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম মনে নেই। লোকটা যখন পেছনে তাকিয়ে আমাকে দেখল তখন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো মনে হয়। দ্রুত চোখে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে নিলো। আমি বুঝতে পারলাম না তার চোখে পানি আসার কারণটা। জিজ্ঞেস করলামঃ-
- চাচা কেমন আছেন?
-এইতো ভালো আছি,তোমাকে তো চিনলাম না ঠিক?
-আমিও আপনাকে চিনিনা,তবে আমি প্রায়সময় আপনার বাঁশির সুর শুনতে পাই। আমার ভালো লাগে।
-কোথায় থাকো তুমি?
-এইতো পাশেই। আপনি কোথায় থাকেন?
-থাকি এখানেই,এই স্কুলের বারান্দায় কোন রকমে কেটে যায়।
-আপনি দারুণ বাঁশির সুর তুলতে পারেন।
-হা হা হা ধন্যবাদ।
লোকটার সাথে আরো অনেক কথা হল,শোনা হল তার অদ্ভুত বাঁশির সুর। লোকটার নাম জানা হলনা,তার চোখে জল আসার কারণ টা ও জানা হলনা। হুট করে কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করে বসতে আমার কেমন জানি লাগে। জানা যাবে সময় তো আছে। লোকটা যেহেতু স্কুলের বারান্দায় থাকে তাহলে জানা যাবে।
পরেরদিন সকাল সকাল গেলাম লোকটার সাথে দেখা করতে,সারারাত লোকটার কথাই মনে হয়েছিলো। অদ্ভুত সুর আর চোখের জলের কারণ খুঁজতে সকাল সকাল তার সাথে দেখা করার জন্য বেরিয়ে পড়লাম।
নাহ দেখা হলনা!!!
স্কুলের আশেপাশে অনেক খুঁজেছি তাও পেলাম না। ঘুরেফিরে স্কুলের সামনে আসলাম।
খেলনা বিক্রেতা স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে হরেক রকমের খেলনা বিক্রি করতেছে। লোভ লেগে গেলো। বাশির সুরের মত লোভ। ইচ্ছে করতেছে কয়েকটা খেলনা কিনে বসে পড়ি মাটিতে। বয়সের ছাপ পড়ে গেছে। বাধা পড়ল। ইচ্ছে মেটাতে গেলে স্কুলের বাচ্ছাগুলোর মুখে পাগল উপাধি পেতে হবে।
অপলক তাকিয়ে থাকলাম খেলনা বিক্রেতার দিকে। কি সুন্দর করে বাচ্ছাগুলোকে কে আকর্ষণ করতেছে। বাচ্ছাগুলো ছুটে যাচ্ছে তার কাছে। খেলনা কিনে আনন্দে ছুটোছুটি করতেছে। এ দৃশ্য কখনো ভোলার মত না।
পৃথিবীতে অনেক কিছুই আছে যা কখনো ভোলার মত না। প্রেমিকার চোখের কাজল,কপালে কালো টিপ,পরনে নীল শাড়ি তে প্রেমিকা কে কাছ থেকে দেখার দৃশ্য ও কখনো ভোলার মত না।
কি সুন্দর খেলনা বিক্রেতার জীবন টা। সব খেলনা বিক্রি করে তবুও হয়ত সে ঘরে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ভাবতেই অবাক লাগে,যে মানুষটা এত্তগুলো বাচ্ছাকে খুশি করতে পারে সে কিভাবে কান্না করতে পারে? সারাবেলার সুখী মানুষটাও ঘরে ফিরে অসুখী কি করে হতে পারে?
ব্যাটা একটা বিয়ে করছে,কিন্তু বউ ছেড়ে চলে গেছে অন্য ব্যাটার সাথে। সারাদিন মানুষ খুশি রেখে সন্ধ্যাবেলায় ঘরে ফিরেই অসুখী হয়ে যায়। এটা বোধহয় জগতের নিয়ম।
এতটুকু কথা বলে অনেককিছু জেনে ফেললাম। বড্ড বেশি অবাক হয়েছি,এর আগে আমি কখনো মানুষ কে জানতে চাইনি এভাবে। আজ বাঁশিওয়ালার খোঁজে অনেক কিছুই পেয়েছি। বিকেলে আবার আসবো সুরের টানে,এখনের মত ফিরে আসার পথ ধরেছি।
২| ২৬ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
ইরফান আহমেদ ইমন বলেছেন: অসাধারন হইছে (যদিও পুরোটা পরা হয়নি)
৩| ২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪
রিয়াজ হান্নান বলেছেন: পুরো লেখা পেতে ফেসবুক টাইমলাইনে চোখ রাখুনঃ- https://www.facebook.com/Riaz.Hannan55
৪| ২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
কানিজ রিনা বলেছেন: বাঁশিওয়ালা কত গুনিরা এভাবে জীবন কাটায়
কে রাখে কার খবর। আপনি তবুও খুজতে
বেড় হয়েছেন। ভিষন ভাল লাগল আপনার
অন্তর বিশালতা। গরীব স্বামীকে ফেলে কত
মেয়েরা পয়সাওয়ালা স্বামী ধরে এমন আমার
চোখের সামনে ঘটতে দেখলাম। কত পুরুষ
তার বৌ সন্তান রেখে অন্য ঘরের বৌকে
নিজের বৌ বানায়। মনুষত্ব দিন দিন হাড়িয়ে
যাচ্ছে। ধন্যবাদ,
৫| ২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
না মানুষী জমিন বলেছেন: ভালো লাগল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
ওমর আল হাসান বলেছেন: vlo laglo....