নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। নিকটাত্মীয় কিংবা কাছের কোন মানুষের মধ্যা দিয়ে সবাই কম বেশ জানতে পারবে আমার মৃত্যু হয়েছে।
খুব কাছের একদল মানুষ আমাকে নিয়ে হইচই ফেলে দিবে। কেউ কেউ ট্যাগ পোস্ট দিয়ে দুই চারটা কান্নার ইমোজি দিয়ে টাইমলাইন শুনশান করে রাখবে।
আমি কখনো শুনশান কোন কিছু পছন্দ করিনা।
মানুষকে কথার ফুলঝুরি দিয়ে হাসাতে পারিনা,শব্দ দিয়ে হাসাতে পারিনা। মানুষ হাসানো যেনতেন কাজ না,শব্দ দিয়ে সবাই হাসাতে পারেনা। শব্দের খেলায় আমি পারদর্শী কখনো হয়ে উঠতে পারিনি।
হুট করে নিজেকে যে কোন চরিত্রের মাঝে ডুকিয়ে ফেলা আমার অভ্যাস। মাঝ রাতে যখন বের হই তখন নিজেকে হিমু বানিয়ে ফেলি। দুই চারটা সিগারেট পকেটে রেখে হাটার সময় হিমু ভাবটা খুব জটিল ভাবেই আমাকে গ্রাস করে।
রেললাইনে বসলে অনাথ বাচ্ছাগুলোকে দেখে মায়া হয়,নিজেকে এক মুহূর্তের জন্য অনাথ ভাবতে ইচ্ছে করে,কিন্তু সহ্য হবেনা বলে ভাবা হয়না। মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হই।
আনন্দের সময় গুলো আমি সবার সাথে ভাগ করে নিতে পারিনা,কিন্তু কিভাবে যেন সবাই ভাগটা পেয়ে যায়। এই ব্যাপারটা আমার কাছে জঘন্য লাগে।
আমার মৃত্যু কখন হবে,কোথায় হবে, কিভাবে হবে তা আমি জানিনা। যেহেতু জন্মেছি সেহেতু মৃত্যুর স্বাদ অবশ্যই নিতে হবে আমাকে।
আচ্ছা একটা মানুষের মৃত্যুর পূর্বাভাস কি হতে পারে? যারা মারা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের কিভাবে চিহ্নিত করা যাবে?
এস এস সি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে গোরফান আলীর শেষ নিঃশ্বাস যাওয়াটা মাগরিবের নামাজের পর তার পাশে বসেই উপলব্ধি করেছি। দুটো খোলা চোখ নিজের হাত দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.