নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ ক'দিন ধরে অসুস্থ থাকার কারণে কোন কিছু নিয়ে তেমন লেখা হচ্ছিলোনা। কয়েকজন বলতেছিলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে লিখতে। আসলে নতুন করে এই নিয়ে লেখার কিছুই নেই,অনেকে অনেকভাবে লিখে ফেলেছে,আমি হয়ত পেছনে পড়ে গেলাম।
লিখতে বসেছি আমাদের মেরুদণ্ড নিয়ে। গোটা জাতির মেরুদণ্ড অথবা গোটা পৃথিবীর মেরুদণ্ড নিয়ে। তার আগে আমি দায়িত্ব সম্পর্কে কিছু জানাতে চাচ্ছি।
সাল ২০১৪ সম্ভবত,আমি তখন একটা ছাত্রসংগঠনের সাথে ঘোরতর ভাবে যুক্ত ছিলাম। সে সময়ে সংগঠনের ওয়ার্ড দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কয়েকজন দায়িত্বশীল ভাই আমাদের নিয়ে বসে। কে হবে ওয়ার্ড সভাপতি কে হবে সেক্রেটারি ইত্যাদি। আমাদের তিনজন কে সিলেক্ট করলেও আমরা নিতে চাচ্ছিলাম না,কারণ ততদিনে আমরা মোটামুটি বুঝে ফেলেছিলাম দায়িত্ব কি জিনিস। আমরা কেউ-ই নিতে চাচ্ছিলাম না,এর একমাত্র কারণ হল,আমরা নিজেরাই দায়িত্বের যোগ্য ছিলাম না বলে।
কোন জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে তার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দাও। আমি জানিনা,আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আর কত ধ্বংস হলে আমরা বাঙালি জাতিরা ধ্বংস হয়ে যাব। অবশ্য আমার মতে বাঙালি অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে,আমি, আপনি, আমরা!
আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থেকে এখন কোন নোটিশ আসলে আমরা হাসতে হাসতে বসে পড়ি। মিঃ বিন সিরিজ দেখার সময় আমরা যেমন হাসতাম ঠিক তেমনিভাবে হাসতে থাকি।
একজন শিক্ষামন্ত্রী যখন বলে,সহনীয় মাত্রায় ঘোষ খান তখন আর বুঝতে বাকি থাকেনা ঐ ব্যক্তি কতটুকু মানসিক রুগী। এরপর একে একে তার অবাক করা হাস্যকর বক্তব্য প্রসব হতে থাকে।
চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রায় সব প্রশ্নই ফাঁস হয়েছে। এই নিয়ে তার ভূমিকা কি ছিলো? উনি একটা প্রোগ্রামে বলেছেন,বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে,অনেক দেশ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনুসরণ করছে। আমি এবার শিউর হয়ে গেলাম উনি মানসিকভাবে অসুস্থ।
এরপর,আধাঘণ্টা নেট বন্ধ,নৈর্ব্যক্তিক বাদ,পরীক্ষার এত ঘন্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত,কেন্দ্রের এত মাইলের মধ্যা কেউ থাকতে পারবেনা,কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেনা। যাই হোক এতসব কিসের জন্য? প্রশ্নপত্র আপনাদের থেকেই ফাঁস হয়ে সাধারণ মানুষ কিংবা ছাত্রছাত্রী'দের মাঝে আসতেছে,তারা কিন্তু প্রশ্নের ছাপাখানা নিয়ে বসেনাই।
অনেক পাগলামি করেছেন,দয়া করে আর কোন পাগলামি করবেন না,এতে আমরা ধ্বংস হচ্ছি,আমাদের ভবিষ্যৎ তলিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দয়া করুন। নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্ক অবগত হোন,একটু লজ্জা রাখুন অন্যথায় বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই আপনাদের। আপনাদের একটু লজ্জা দিতেই আমরা আজ নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছি,দয়া করে আমাদের লজ্জার প্রতি সদয় হবেন। আমরা আর বলতে পারছিনা যে,উগান্ডা'র শিক্ষামন্ত্রী'র পদত্যাগ চাই।
©somewhere in net ltd.