![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে Bangladesh Islami Chhatrashibir এর সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বিএনপির অনলাইন অফলাইন ব্যাক্তিবর্গ বেশ জোরেসোরেই আওয়াজ তুলতেছে। ছাত্রদলের প্রিয় ভাই নাসির ও রাকিব কে আমি স্পস্টতই বলব সব তার আগে আমরা ফিরে যাই 'ফিরে দেখা ১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ' এর ঘটনায়।
ততকালীন ক্ষমতাশীন দল ছিলেন বিএনপি,সেদিন পড়ন্ত বিকেলে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল তাদের কলম দিয়ে একে অন্যর উপর মেধার বিকাশ ঘটাচ্ছিলো টিএসসি প্রাঙ্গনে। এরমধ্যে জিম্মি হয়ে পড়ে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ছাত্র ইউনিয়নের শত শত শিক্ষার্থী। প্রভাবশালী পেটুয়াবাহীনি দিয়ে ইচ্ছামত মহাকাশ যাত্রার খায়েশ মেটানো হয় ছাত্র ইউনিয়নের যাত্রীদের ও বাম রাম সাপ কুইচ্চা ব্যাঙ দলের লোকদের। এরমধ্যে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন মইন হোসেন রাজু(রাজু ভাস্কর্য যার নামে গড়া)
এর একটু পরেই রাজুর নেতৃত্বে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল,মিছিলের স্লোগান ছিলো,'অস্ত্র শিক্ষা একসাথে চলবেনা' ও 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ এক হও'। মিছিলটিকে লক্ষ্য করে হাকিম চত্বর থেকে ছাত্রদলের চিহ্নিত কলম যোদ্ধারা রাজুকে লক্ষ্য করে মুহু মূহু জাতীয়তাবাদী আদর্শ ছুড়তে থাকে,রাজু অপরিপক্ক হওয়ায় ছাত্রদলের জাতীয়তাবাদ বহন করতে না পেরে দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নেন। যার কপাল খারাপ তার কপালে জাতীয়তাবাদ কিভাবে সইবে,ঠিক কপালে বুলেট লেগেই দুনিয়া ত্যাগ করেন রাজু। এভাবেই আমরা রাজু ভাস্কর্য তৈরী হল এবং আমরা বছরের পর বছর রাজু দিবস পালন করে আসছি।
তো এবার ছাত্রদলের আজকের ঘটনায় আসি,মধুর ক্যান্টিনের মধু দাদাকে নাকি শিবির হত্যা করেছে। আমি আজ অব্দি মধুসূদন বা মধুর ক্যান্টিনের মধুর ব্যাপারে কখনো শুনতে পাইনি বা ভ্যালিড কিছু পাইনি যে জামায়াতের কেউ বা ছাত্রসংঘের কেউ এই হ/ত্যা/কা/ণ্ডে/র সঙ্গে জড়িত ছিলো,বরং আমি আমার জীবদ্দশায় কতিপয় কিছু রাজনৈতিক স্বার্থহাসিলকারী ফ্যাসিস্ট বর্বররাই কেবল মুখে মুখে একটা ন্যারেটিভ দাড় করিয়ে দিয়েছিলো। মধুর ব্যাপারে আজ অব্দি পড়া যত নিউজ ডকুমেন্টারি (নিউট্রাল) পড়েছি সবগুলোতে উল্লেখ করা হয় সরাসরি পাকিস্তানি সেনা দ্বারা হত্যা হয় এবং তার স্ত্রী ও,এবং সন্তান ও পূত্র বধু ও।
যুদ্ধ চলাকালীন মানচিত্র কতটুকু ছিলো? সলিড রাজাকার কত হাজার ছিলো? পূর্ব বাংলার জনসংখ্যা কত ছিলো? আই রিপিট সলিড রাজাকার। এখন আপনি জানেন না কে রাজাকার কে রাজাকার নন,এইটা জানে যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন,সলিড মুক্তিযোদ্ধা তারাই,এবং তারাই বলতে পারবেন যে তার এলাকায় কে কার জন্য কাজ করেছিলো। আর কথায় কথায় যে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবির ট্যাগিং ফিরিয়ে আনলেন আচ্ছা হুম্মাম কাদেরের কাছে আমার প্রশ্ন যে,সাকা ভাই ও কি সত্যি সত্যি রাজাকার ছিলেন? যদিও আমরা শহীদ মনে করছি উনাকে(আপনার থেকে স্পষ্ট বার্তা আসা উচিৎ) জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজাকার যে তকমা তার কোনটাই হাসিনা তার ষোলো বছরে প্রপারলি প্রমাণ করতে পারেনাই,প্রতিটা বিচার কার্যই হয়েছে ট্রাইব্যুনাল বহির্ভূত ও কথিত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ফাসি দিয়ে দেও নীতিতে। এইটা অস্বীকার করলে তো আপনারা মানুষের বাচ্চাই নারে ভাই,দল,টাকা ও পদপদবির জন্য অন্ধ হইয়া যায় মানুষ।
যাই হোক,এই হচ্ছে জামায়াত ও স্বাধীনতার বুলিং করে যে ট্যাগিং এর রাজনীতি শুরু করেছেন এটার খেসারত খুব একটা ভালোভাবে আসবেনা,ফিডব্যাক খুবই বাজেভাবে পাবেন আপনারা। যে ছাত্রলীগের নীতি অনুসরণ করে ছাত্রদল তথা বিএনপির সিনিয়র নেতা ও তারেক রহমান সাহেব হাটছেন উনারা হয়ত ভুলে গেছেন যে,যে ছাত্রলীগ নিয়ে হাসিনার আধিপত্য সেই ছাত্রলীগই কিন্তু হাসিনার আগে পালাইছে(ঢাবি থেইকা পালানো মানে ঠুস) অতএব আপনারা নিজেদের সীমা লঙ্ঘন করবেন না,আমরা বিশ্বাস করি হাসিনার চেয়ে বড় মাপের ফ্যাসিস্ট এই এশিয়া উপমহাদেশে কখনো আসেন নি,আসবেন ও না,হাসিনার মত বড় সন্ত্রাসী বা ফ্যাসিজম ও কেউ ক্রিয়েট করতে পারবেনা,হাসিনা ছিলো ষোলো বছর,আপনারা? দশ বছর তাইতো?
আপনাদের আরো সহনশীল হওয়া উচিৎ,অন্য ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে কথা না বলে ছাত্রসমাজকে নিয়ে কিছু করার চেষ্টা করুন,যদি না পারেন তবে যারা করছে বা করার চেষ্টা করছে তাদের জন্য হার্মফুল হইয়েন না,টিকতে পারবেন না।
ছাত্ররাজনীতি হোক ছাত্রদের জন্য
ছাত্রত্বহীন কোন গুন্ডা বাহীনির জন্য নয়
ছাত্র নামের সন্ত্রাসীদের রুখে দেও
জেগে উঠো ছাত্রসমাজ
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
অধীতি বলেছেন: হঠকারিতার যুগে বাস করি আমরা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৬
এ পথের পথিক বলেছেন: ততকালীন ক্ষমতাশীন দল ছিলেন বিএনপি,সেদিন পড়ন্ত বিকেলে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল তাদের কলম দিয়ে একে অন্যর উপর মেধার বিকাশ ঘটাচ্ছিলো টিএসসি প্রাঙ্গনে। -
ছাত্রলীগের মতই ছাত্রদল সন্ত্রাসী দল এবং গুজব লটায় ।