![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি করলে রাজনীতি এখন সচল থাকবে? জনগন কিংবা জনগনের সাথে দলের একটা ভারসাম্য আসবে সেসব নিয়ে আমাদের দীর্ঘ আলাপ ছিলো। যদি কয়েকটা উল্লেখযোগ্য ঘটনার আলোকে আমি বলে তবে,২০১৩ সাল থেকে এটার উৎপত্তি। এই আলাপ আমি একা তুলিনাই,সেসময় থেকে অল্প অল্প করে সেটা আসে ২০২৪ জুলাইয়ের আগ মহূর্ত অব্দি। যদিওবা শিবির বিভিন্ন নামে বেনামি ব্যানারে কাজ করেছে যার ফলস্বরূপ শিবির এখন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে একচ্ছত্র পপুলারিটি নিয়ে জয়ী হচ্ছে।
একটু ফিরে যাই পেছনে...
মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে চালানো মিথ্যা ট্রাইব্যুনাল ও শাহবাগের তুমুল ইসলাম বিদ্বেষ যখন চারদিকে শুরু হয় তখন আলাপ উঠে একটা সমঝোতায় যাওয়া দরকার। দলীয় স্ট্যান্ড এবং আদর্শবাদী রাজনীতি থেকে সরে আসার। এইটা আবার ইন্টারন্যাশনাল একটা আলাপ ছিলো,জামায়াতের ততকালীন নেতারা কেউই এইসবের তোয়াক্কা করেনি,নির্ভয়ে লড়ে গেছেন,সত্যর হাতিয়ার কে আকড়ে ধরে শাহাদাত কে আপন করে নিয়েছিলেন।
এরপর কিছু সময় বিএনপিকে ভেঙে দেয়,এরপর যখন সাধারণ নাগরিকদের পালা আসলো তখন সাধারণ নাগরিকরা আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করলো বিএনপির ছায়ায়,কিন্তু একের পর এক আন্দোলনের নামে বানচাল কর্মসূচি মানুষকে বিএনপি থেকে বিমোহিত করে তোলে। তখনো আমরা দাবি তুলেছি একটা যে জামায়াতের মধ্যে একটা প্র্যাগম্যাটিক পলিটিকাল সিচুয়েশন ক্রিয়েট করতে। আমরা সমালোচনা করেছি,ভালোভাবে খারাপ ভাবে। আমরা বলেছি এই দেশের লক্ষকোটি শিবির জামায়াত ছাড়াও সাধারণ মানুষের একাত্বতার একটা জায়গার বড্ড বেশি প্রয়োজন। আমরা জমায়াতকে বলেছি,আপনারা জামায়াতের নাম পরিবর্তন করুন দরকার হলে। কারণ জামায়াত একটা আদর্শবাদী রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দল,অতএব যে নামেই তারা আসবে নাম নিয়ে তাদের কোন কর্মীগত সমস্যা থাকবেনা। সাধারণ মানুষের দরকার ছিলো শুধু ট্যাগবিহীন একটা শক্ত দাড়ানোর প্ল্যাটফর্ম।
এই ছিল্প অতীতে আমাদের আশ্রয় খোজার নানা পন্থা,ঐক্যবদ্ধ না হলে কখনোই ফ্যাসিজম নির্মূল সম্ভব নয় বলেই কোন একটা শক্তিশালী ঐক্যমত গড়ে তোলাই ছিলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
আপনি যখন স্বৈরশাসক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তখন আপনাকে বাস্তবাদী হতে হবে। সময়ের সঙ্গে,পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি শুধুমাত্র নিজের আদর্শিক কিংবা নিজের দলীয় এজেন্ডার মধ্যে একটা অবকাঠামো তৈরী করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাতারে দাড়াতে পারবেন না। আপনি যদি জুলাই গনঅভ্যুত্থান কে লক্ষ্য করেন তখন কেউ কোন কিছু তোয়াক্কা করেনি,কেউ দ্বিধা করেনি নিজেকে রাজাকার বলতে,কেউ আপোষ করেনি বুলেটের সাথে। কারণ কি? কারণ একটাই,রাজনীতি পরে দেখা যাবে,আগে আমাদের এই পিশাচকে টেনেহিঁচড়ে নামাতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্যে একটা শক্তিশালী শেইল্ডে পরিণত হওয়া,যার ফলাফল পিশাচ খুনি এখন দিল্লিতে।
প্র্যাগম্যাটিক পলিটিক্স খারাপ নয়,বরং আপনি যদি প্র্যাগম্যাটিক পলিটিক্স না করেন তবে ধরে নিতে হবে আপনি সময় উপযোগী কিংবা রাষ্ট্রের মানুষের জন্য রাজনীতিটা ঠিক ভাবে করছেন না। যদি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখি তবে,আল্লাহ একই কাজ করেছেন। মদকে হারাম করেছেন কয়েক স্তরে,রাসূল সাল্লাহি আসসালাম যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন শক্তিশালী হয়ে,প্রজ্ঞার সঙ্গে চুক্তি করেছেন,নিজেদের উন্নতি করেছেন ফের তরবারি হাতে নিয়েছেন। একদিনে জাহেলিয়াত নির্মূল করতে পারেন নি,আল্লাহ ও একদিনে সকল হারাম হালাল ঘোষণা দেন নি।
জামায়াতের অফিশিয়াল লগো পরিবর্তন হয়েছে কিনা জানিনা তবে যদি হয়েও থাকে তবে দোষের কিছু নেই,যদি হয়েও থাকে বরং প্র্যাগম্যাটিক পলিটিক্সে জামায়াতকে সাধুবাদ।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: আল্লার উপর বিশ্বাস কি কোন বাস্তববাদী ধারণা।এইগুলি সব অন্ধ বিশ্বাসী।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
রগ কাটলে রাজনীতি সচল থাকবে।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:১৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
জামাতের রাজনীতির ফলাফল: সব আমিরের ফাঁসী হবে।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: জামাতকে যে বা যারা সাধুবাদ দিবে, তারা বরবাদ হয়ে যাবে।
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
নতুন বলেছেন: ক্ষমতায় আসতে জামাত সব কিছুই করবে।
ভন্ডদের আবার কোন নীতি আছে?
জামাতে ইসলাম বাংলাদেশের হিন্দু শাখাও গঠন হবে সকল জেলায়।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
শ্রাবণধারা বলেছেন: বাস্তববাদী রাজনীতি নয়, জামাত আমেরিকার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হচ্ছে মাত্র।
সিরিয়ায় আমেরিকা আইএস জঙ্গিদের সামরিক সাহায্য দিয়ে স্বৈরাচারী বাশার আল আসাদকে উৎখাত করেছে, তারপর আল-কায়েদা জঙ্গি আল-শরাকে ক্ষমতায় এনেছে। জামাত ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে সিরিয়ার মতই অবস্থা হবে। রাজাকারদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেশে কেয়ামত হাসিলের জন্য আমেরিকা এখন বদ্ধপরিকর বলেই আমার কাছে মনে হচ্ছে।
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শ্রাবণধারা@সিরিয়ার ঘটনা বাংলাদেশে হবে না । মিশরের ২০১১ সালের ঘটনা রিপিট হতে পারে। এখানে লিগ কে ফেরানোর পলিটিক্স আছে, ভারতের পলিটিক্স আছে। জামাত পাওয়ারে আসলে ভারতের মোদির লাভ ।
তবে জামাত পাওয়ারে আসবে না । জাতিসংঘে গিয়ে জামাতের নায়েবে আমির যে চদু মারকা কথা বলেছেন আমেরিকার নজর এড়াবে না । তারা পাওয়ারে আসলে গাজওয়াতুল হিনদ করবে । ।
মোলবাদিরা নিজেদের বেশিদিন লুকিয়ে রাখতে পারে না ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আশা করি এবার অন্যান্য ধর্মের লোক নোমিনেশন পাবে। সংরক্ষিত আসনে নারী এমপি দিবে।