নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক খোজাখোজি করে অদ্যপান্তে মনে হয় দালালের কাছেই যেতে । টানা সপ্তাহ চেষ্টা করে ই টোকেন বের করতে না পারায় বিরক্তিতে মন ভরে গেল । যেহেতু আবেদন না করতেই্ এত হেনস্থা ।
মূল সমস্যা আমরা সর্বদাই দোষ দিয়ে এসেছি ভারতীয় দূতাবাসকে । কিন্তু এই চিন্তা থেকে ১০০ হাত দূরে না গেলেও ৫০ হাত দূরে চলে এসেছি ।
০.. ব্যবহারকারী যারা কিছুই বোঝে না বা ঝামেলায় যাওয়ার সময় নাই, তারা এজেন্সি বা দালাল বা অন্য ব্যক্তি সহায়তায় করে তারা আমার লিস্টে ০ থেকে শুরু করলাম । তারা টক মিষ্টি ঝাল জনতা
১ম. এন্ড ইউজার বা আম জনতা যেভাবে আবেদন করবে সেটা কিছুটা অদ্ভুত । ইংরেজীতে বললে আরও সুবিধা হবে কমপ্লিকেটেড । অনলাইনে ফর্ম পূরন করার পর সেটাই শেষ নয় । সেটাই করতে মাঝে মাঝে লোড রি লোড রিফ্রেশ এর ঝক্কি । এরপর ২য় ধাপ আবেদন এর তারিখ বের করা । তার জন্য সিকিউরিটি মেসেজ মোবাইলে আনাতে হবে । সেটাই হয় না। হলেও, সেই মেসেজ যে পেয়েছি তার নিশ্চিত হয়ে আবার তথ্য ইনপুট করে ফাইনাল ডেইট বের করতে হয় যা আবার এস এম এস এ আসে বা পিডিএফ এ প্রিন্ট হবে । তা করতেও রিফ্রেশ , লোড রি লোড যাই বলিনা কেন, সার্ভার এর গ্যাঞ্জাম ।
২য় যারা এই নিয়ে কাজ করেন , সোজা কথায় আমরা দালাল বলি , বা থার্ড পার্টি তারা এখানে সত্যিকার অর্থে এখন সেকেন্ড পার্টি হয়ে গিয়েছে । যাই হোক, ২য় স্তরের তথ্য সম্পাদনকারীরা আম জনতা থেকে ই টোকেন নেবার কথা বলে ২০০০ থেকে ৫০০০ দাবী করে । জায়গা,সময় বোঝে কম বেশী হয় দাম । তারা একটু এডভান্সড যে, তারা মজিলা ব্যবহার করে এ্যাড বা স্ক্রীপ্ট ব্যবহার করে বা ভাল নেট ব্যবহার করে । যার মধ্যমে ১ম ধাপের সাধারন জনতা কেউ যদি নিজে ই টোকেন বের করতে চায় যে সমস্যায় পরে রিফ্রেশ, লোড, পুনরায় তথ্য ইটপুট করা, অটো ক্যাপচা বা পেইজ এর গোপন উত্তর দেওয়া, ফর্ম আগে থেকে পূরন করে রাখা ইত্যাদি ধাপে এগিয়ে থাকে । এই স্তর এক সময় জনপ্রিয় ছিল । কিন্তু তারাও অসহায় এখন ৩য় স্তরের কারনে ।
৩য় স্তরের যারা তারা আরও এডভান্সড যে কম্পু এর সফটওয়্যার প্লাস মোবাইল এপিকে এপ্যাস ইত্যাদি ব্যবহার করে হ্যাকিং ধাচের কিছু একটা করে, যেহেত আমি করি নাই বা বুঝতেও পারছি না যে তারা কিভাবে অগ্রধিকার পাচ্ছে । তবে কাজটা কিছুটা বাংলাদেশে হচ্ছে আর কিছুটা ভায়া ভারত বা কলকাতা হয়ে হচ্ছে । তেমনি ওয়েবসাইট হল aptoken.com amartoken.com আর কলকাতা ভিত্তিক হল ivas tiger software . এই ৩য় স্তরের এই সফট গুলো আবার কিনতে হবে ভায়া বিভিন্ন দালাল হয়ে । যা আপনি ফোরাম ছাড়া ফেবু গুগল প্লাস ছাড়া সার্চ করেও পাবেন না, পেলেও জিপ বা পাস প্রটেকটেড থাকবে । এগুলা ব্যবহার করতে ম্যাক এড্রেস বা আই পি এড্রেস ইত্যাদি পরিবর্তন করে করতে হয় । কারন একটা আই পি থেকে ই টোকেন আবেদন করার সীমা আছে মনে হয় । তারা আবার ২য় স্তরের সাথে যোগাযোগ করে পয়সা নেয় বা ক্ষেপ নেয় । দালালের উপর বাটপারী
এখন এই ০,১,২,৩,৪ যত গুলিই সব ই টোকেন নিয়ে কথা বলছি, ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে নয় । হয়ত ভারতীয় দূতাবাস জানে বোঝে, হয়ত তারা টাকা নেয় উপড়ি । কিন্তু এইখানে স্পষ্ট যে বাহিরের হ্যাকারেরও এর হাত আছে । ব্যাপারটা যদি এমন হত যে, ১০০০ মানুষ আবেদন করছে ৭০০ রিজেক্ট হচ্ছে । কিন্তু এখানে আবেদন করতে গেলেই ফ্যাকড়া । ১ হাতে তালি বাজে না । দূতাবাস ইনডাইরেক্টলি টাকা নেয় নাকি তারাও অসহায় । জানি না ।
আর দূতাবাসে ফোন করে জানলাম, তারা যখনই এপ্লাই নেবার জন্য সার্ভার এর আবেদন লিংক খুলে তখনই হাজার হাজার আবেদন আসে । কখন খুলে তারা তা গোপন রাখে! হয়ত সিকিউরিটি কারনে হতে পারে । ধরে নিলাম তারা জানায় না কাউকেই! তবুও সফটওয়্যার ছাড়া অজানা সময়ে এতগুলো আবেদন জমা হবার কথা না । হয়ত সফটওয়্যার চালু রাখে ঘন্টা খানেক যখনই আবেদন ঢুকার সময় হবে সব ঢুকে যায় !!! হতে পারে । আর তারা টাকার বিনিময়ে হ্যাকারদের তথ্য দিলেও দিতে পারে , সবই সম্ভব । কিন্তু হ্যাকাররাও সাধারন মানুষকে ভোগাচ্ছে এইভাবে নিজের আয়ত্বে নিয়ে, ভারতের দূতাবাসকে কি দোষ দিব।
আমি ০ স্তর থেকে ১ম স্তর থেকে ২য় স্তরে ঢোকার আপ্রান চেষ্টা করে বুঝলাম, যতই এডঅন, স্ক্রীপ্ট ব্যবহার করি না কেন ...৩য় স্তর এইটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
সুতরাং যেটা করতে হবে, ২য় স্তরের দালাল ধরতে হবে ৭ দিনের মধ্যে তারিখ দিয়ে দিবে । ৫০০০-১৫০০০ টাকা হলে ভিসাও দিতে পারে !!!
মন ভেঙ্গে গেল, ইচ্ছা ছিল দালাল ছাড়াই একজনের ভিসা আবেদন এর কাজটা করে দিব । ঘুষ খাওয়া যেমন অপরাধ আর দেওয়াও । তেমনি দালালকে পয়সা দিয়ে নিজেকেও দালাল মনে হল । জনাব গান্ধীর মত অসহযোগ আন্দোলন পারলাম না।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১
কালীদাস বলেছেন: শুধু বাংলাদেশে না, আরও কয়েকটা দেশে নাকি ইন্ডিয়ার ভিসা পেতে সেইম কেরফা পার করতে হয়, ৫/৬ মাস আগে এক ইন্ডিয়ানই বলেছিল কথাটা। এই যন্ত্রণা তো আছেই, এর সাথে ভিএফএসের সামনে যে হয়রানিটা হয় বলার মত না। ভাই, দোয়া রাইখেন আর জীবনে যেন এই দেশে যাওয়া না লাগে
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০
রিফাত হোসেন বলেছেন: জনাব আমাদের দেশে যদি পড়াশুনার মান উন্নত, ব্যবসা খাত, স্বাস্থ্য সেবা, ভিন্ন দেশের সব দূতাবাস থাকত তাহলে ভারত এ যাওয়ার প্রয়োজন হতনা আর তাজমহলটা বিশেষ কিছু?
তাজমহলটা দেখতে হবে তাও কথা নাই ।
নিজের দেশটা যদি একটু উন্নত হত টেক্কা দেবার মতন, তাহলে...
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২
বাকি বিল্লাহ বলেছেন: সিস্টেমের উপরে সিস্টেম। অন-এরাইভ্যাল ভিসা না করা পর্যন্ত আমাদের শান্তি নাই। আর এটা তারা করবে বলেও মনে হয়না। ডেট নেয়ার পরেও যে ভিসা দিবে তার গ্যারান্টি কি? আজকাল তো ডেট নেয়ার দালালও খুজে পাচ্ছিনা। ফেবুকে একটা গ্রুপ আছে দেখলাম উনারা পোস্ট করে রাজশাহী/খুলনা/ঢাকার ফাইল আছে কারো লাগলে ইনবক্স করু্ন.. এই ফাইল বলতে তারা কি বুঝায় বুঝলাম না। একজনকে মেসেজ করলাম সে বললো ফাইল লাগ্লে বলবেন ডেট দিতে পারবো না। ব্যাপার কি আসলে কি...!! যদি সেটা ওয়েব ফাইল হয়ে থাকে তাতো আমি নিজেই করতে পারি। কিন্তু ডেট নেয়া অসম্ভব। বেশ কয়েকদিন যাবত খুজছি কিভাবে কি করবো। আগে তো বিক্রয়ে ডেট নিয়ে দিবে এমন অসংখ্য পোস্ট ছিল, এখন তাও নাই। ভিসা নেয়ার আমারও খুব দরকার হয়ে পড়েছে । ডেট নিয়ে দিতে পারবে এমন থাকলে জানাবেন প্লিজ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: পারবে এমন নাম্বার আছে। নিজ দায়িত্ব এ যোগাযোগ করবেন ভুয়া হয়, কাজের পর চেক করে টাকা দিবেন। আমি কাজ চট্টগ্রাম এর পরিচিত একজনকে দিয়ে। তারা আবার আরেক সফট পার্টির উপর নির্ভর করে।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভাই, দালাল শ্রেণী তৈরী হওয়ার পেছনে আমরা, বাংলাদেশীদের প্রচেষ্টাবিমুখতা একটা বড় কারণ। কিছু একটা করতে গেলেই আমরা আগে অন্যের সাহায্য নিতে লাফ দিয়ে পড়ি....
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ১০০০*৫০০০*২০*১২
+_ প্রায় ১২০ কোটি টাকার ধান্ধা কি গান্ধিজীর নীতিকথা মানতে গিয়া ছাড়বে নাকি???
বরং সুভাষ বোসের ডায়ালগ নতুন আঙ্গিকে বলবে-
তুম দালালকো পাকরো,
হাম তুমকো ভিসা দেঙ্গে !!!!!