![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথ চলতে চলতে হঠাৎ একটা আবাসন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে চোখ আটকে গেলো, সেখানে লিখা রয়েছে, ‘শেষ কবে খোলা ছাদে বৃষ্টিতে ভিজেছেন?’। থমকে দাঁড়াতে হলো। আরে তাইতো। শেষ কবে সেই স্মৃতিমাখা খোলা ছাদটিতে ভিজেছি। আনন্দময়, হাসিমাখা সেই দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।
এমন একটা দিন ছিলো, যখন বর্ষা এলেই হলো, কি’যে সুন্দর একটা দৃশ্য দেখা যেতো। বৃষ্টি নামলে তো কথাই নেই। বাবা-মা’র শত নিষেধ উপো করে চলে যেতাম ছাদে। আজ সেই দিনগুলো আর নেই। এখন রাস্তায় হাঁটার সময় হঠাৎ কখনো বৃষ্টি নামলে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় খুঁজি। বৃষ্টি থামলে আবার ছুটতে হয়, নিজের কাজে। বৃষ্টিতে ভেজা তো দূরে থাক, দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখার সময়ই নেই।
জীবনের টানে প্রতিদিনই আমার মত এমন হাজার-হাজার মানুষ ছুটে আসছে ইট-পাথরের এই ধুসর নগরীতে। কিন্তু জীবনের নির্মম বাস্তবতার মাঝে দাঁড়িয়েও মাঝে মাঝে কি সোনালী অতীতের দিনগুলো তাদের মনে পড়েনা? অবশ্যই পড়ে, আমার মনে পড়লে তাদের মনে পড়বে না কেন? কাজের চাপে হয়তো মুহূর্তেই চিন্তায় ছেদ পড়ে তাদের। ভাষমান জীবনে নিজের অতীত নিয়ে দু’দণ্ড ভাবার সময় কোথায়?
তবে আমি ভাবি, শুধু ভাবিই না, মন চায়, আবার ছুটে যাই শান্তি আর ভালোবাসার সেই শহড়ে। যেখানে ছোট্ট একটা ঘরে স্বপ্ন বুনতাম বড় হওয়ার। এখন মনে হচ্ছে বড় হতে চাওয়াটাই ভূল হয়েছে। বৃষ্টিতে আর ভেজা হয়না, চাঁদের আলোয় খোলা ছাদে বসে থাকার অবসরটুকুও আর পাওয়া যায়না। কোকিলের ডাকে ঘুম ভাঙেনা, ভাঙে যানবাহন আর মানুষের সম্মিলিত সরগোলে।
হায়রে জীবন, ইট-পাথরের ধূসর এই নগরী যে কত মানুষের অতীত ভূলে চাপা দ্বীর্ঘশ্বাসের সাক্ষী। আমিও মাঝে মাঝে নিজেকে হারায়ে ফেলি। বুকের গভীর থেকে বেরিয়ে আসে চাপা দ্বীর্ঘশ্বাস। মিশে যায়, কোটি মানুষের এই শহড়ের বিষাক্ত বাতাশে।
২| ৩১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০০
দস্যুরাজা বলেছেন: যেই হারে ঠাডা পরতাছে ছাদে কেমনে যাই
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
শঙ্খচিল_শঙ্খচিল বলেছেন: যান্ত্রিকতার জীবনে বৃষ্টি খালি বিরক্তি-ই বয়ে আনে। রিকশা পাওয়া যায় না, ভাড়া বেশী! বাসে-তো উঠা অকল্পনীয়!
ভাললাগার স্মৃতি সব ওই শৈশবেই!