নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হইচই, হট্টগোল এড়িয়ে চুপচাপ, নিরিবিলিতে লুকিয়ে থাকতে ভাল লাগে।

রিম সাবরিনা জাহান সরকার

যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/

রিম সাবরিনা জাহান সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৌড়বাজি

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

এক সকালে উঠেই দেখি পায়ের পেশীতে টান ধরে গেছে। মনে মনে হাসলাম। এই আমিই নাকি মাসখানেক এর মাঝে ম্যারাথন দৌড়ানোর মতলব আঁটছি। এক দান কুতকুতও ঠিক মত খেলতে পারতাম না ছোটবেলায়। হাঁপাতে হাঁপাতে হাপুস হুপুস অবস্থা হতো। সেই চিজ কিনা দিবে একুশ কিলোমিটারের হাফ ম্যারাথন! পরিচিত কয়েকজন বাঙ্গালী ছেলেপেলে সামনে ষ্টাডলাউফ ম্যুনশেন -মানে মিউনিখ ম্যারাথনে নামছে। ওদের কাছ থেকে শুনেই একদিন ফট্ করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। ভাবলাম কি আছে দুনিয়ায়। দেই একখান দৌড়। জীবনটাই তো একটা ইঁদুর দৌড়। আর বাঙ্গালীর মেয়ে নিশাত মজুমদার, ওয়াসিফা নাজরীনরা এখন এভারেস্ট টুপটাপ ডিঙ্গিয়ে ব্যাপারটাকে প্রায় হাতের মোয়া বানিয়ে ফেলেছে; আর সেই তুলনায় আধঘন্টার একটা ঢিমে তালের কচ্ছপ দৌড় তো রীতমত ফুঃ। কিন্তু উচ্চমার্গীয় চিন্তার ফাঁদে পড়ে সিদ্ধান্ত নেয়া এক বস্তু আর সেই মত কাজ করা আরেক ব্যাপার। তাছাড়া আসল কথা, আমি চরম অলস প্রকৃতির মানুষ। আলসেমির কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থাকলে আমি চোখ বুজে দেশের জন্যে সোনা নিয়ে ফিরতাম। পত্রিকার খেলার পাতায় ছাপা হত "স্পেনের বার্সিলোনায় আয়োজিত ত্রয়োদশ আন্তর্জাতিক আলস্য প্রতিযোগিতার মাছি মারা বিভাগে বাংলাদেশের বিরল সাফল্য!!" সাথে থাকতো আমার নাতিদীর্ঘ সাক্ষাৎকার আর মেডেল কামড়ে ধরে থাকা বোকাটে অপ্রস্তুত হাসির ছবি।

যাইহোক, এক শনিবার সকালে সেই আমিই কিনা আমার কুখ্যাত ঘরকুনো স্বভাব গা ঝড়া দিয়ে ফেলে বেরিয়ে পড়লাম। এরপর থেকে সময় পেলেই একপাক দৌড়ে আসি। ঘরে ফেরার পথে সুপারমার্কেটটার সামনে দিয়ে আসার সময় প্রায়ই দোকানের ক্যাশিয়ার গনি মিয়া সাথে দেখা হয়। গনি মিয়া অরিজিনালি ''পম গানা"। ঠাট্টা করে বলছি না; সে আসলেই ঘানার লোক। তার দোকানে গেলেই সে খুব মজা করে চোখ টিপে একটা হাসি দিবে আর আমিও জিজ্ঞেস করি, কি গনি, আছো কেমন? উত্তরে সে জোরে জোরে মাথা ঝাঁকায় আর তার সরল মনের হাসি আরো প্রশস্ত হয়। এই হুতুমপ্যাঁচাদের দেশে এক-দুইটা হাসি মুখ দেখলে মন্দ লাগে না। কিন্তু গনি মিয়ার হাসিও আমার আলসেমির কাছে হেরে গেল। আমি দৌড়ঝাঁপ বন্ধ করে আলাব্বু দিয়ে অলস বসে থাকলাম।
হঠাৎ এক শুক্রবার সন্ধ্যা। তিন বছরের দস্যু তাফসীরকে নিয়ে ব্যস্ত বিকেল। এর মাঝে ফোনের ক্রিং ক্রিং। ফোনটা রুমির। ছেলের বাবা অফিস থেকে ফোন করে খবর দিলো যে, হাদী ভাই হাঙ্গেরী থেকে ফিরে সোজা আমাদের বাসায় আসবেন। রাতে এখানে খাবেন। হাঙ্গেরী থেকে ফিরে উনি নাকি বড়ই হাঙ্গরি। হাদী ভাই হচ্ছে গিয়ে রুমির বুয়েটের বড় ভাই। ক্ষ্যাপাটে মজার মানুষ। হাসি-ঠাট্টায় আড্ডা মাতিয়ে রাখেন। বিখ্যাত ইনফিনিয়ন কোম্পানির হয়ে বহু বছর অস্ট্রিয়ায় কাজ করেছেন। সবে বদলি হয়ে মিউনিখে এসেছেন। কাজের খাতিরে প্রায়ই আশেপাশের দেশগুলোতে যেতে হয়। যাহোক, ওনাকে নিয়ে রুমি যথাসময়ে বাসায় এসে হাজির। ওদিকে আমার প্যারাবয়েল্ড চালের খিচুড়ি তখনও হয়ে সারে নি। সময় কাটানোর জন্যে আমরা আড্ডা জুড়ে দিলাম। খেলাধুলা-সাইক্লিং এসবে আবার হাদী ভাইয়ের বিরাট উৎসাহ। এই প্রসঙ্গ আসতেই রুমিকে আর আমাকে ক্যাঁক করে ধরলেন। সামনে মিউনিখ ম্যারাথন। আমরা দুইজন দৌড়াব কিনা জিজ্ঞেস করলেন। আমি মনে মনে ফিকফিক করে হাসছি আর ভাবছি আর লোক পেলেন না, আমাদেরকেই! হাদী ভাই বলেই চলছেন, রিম, তুমি তো কারাতে-টারাতে করতে এককালে, তো এবার একটা একুশ কিলোমিটার একটা দৌড় দিয়ে দেখাও দেখি। এবার আমি সশব্দে ঢোঁক গিললাম। সেই একুশ কিলো ম্যারাথনের ভুত আবার ফিরে এসেছে। চোখের কোনা দিয়ে দেখলাম, রুমি হঠাৎ ব্যস্ত হয়ে রান্নাঘরের দিকে রওনা দিয়েছে খিচুড়ীর হাল-হকিকত দেখতে। দৌড়ানো-টৌড়ানো তার পোষায় না। মৃদু-মন্দ প্রশ্রয়ে টি-শার্ট ঠেলে হালকা উঁকি দেয়া সুখ-সুখ ভুঁড়িটাই বলে দিচ্ছে একথা। কিন্তু হাদী ভাই নাছোরবান্দা লোক। এদিকে আমিও পেশাদার আলসে। কাঁচাবাজারের আলু-পটল দরদামের সুরে বলেই চলছি যে, একুশ না, বড়জোর পাঁচ কিমি দৌড়াতে পারি। তাও পারবো কিনা ঠিক বলা যাচ্ছে না। উনি বললেন, আরে পাঁচ কিমি তো এখনই পারবে...না, না, তোমাকে দশ কিমিই পারতে হবে। মিনিটখানেক তর্কাতর্কির পর দেখা গেল আমি দশ কিমিতে একরকম নিমরাজি হয়ে গিয়েছি। এর মানে আসলে আমি পাঁচ কিমি দৌড়াবো। পরের দৃশ্য হল, সবার হাতে খিচুড়ীর থালা। তাতে বেগুন ভাজার মাঝ থেকে এশিয়ান দোকান থেকে কেনা নধর আকৃতির কমলা রঙা বাংলাদেশী বাগদা চিংড়ি ওরফে ব্ল্যাক টাইগার উঁকি দিচ্ছে। ম্যারাথন বলে কথা। অনেক পরিশ্রমের কাজ। তাই আদা-জল খেয়েই মাঠে নামা উচিত। আজকে না হয় খিচুড়ী-চিংড়িকেই আদা-জল মানলাম।

অবাক ব্যাপার হল, পরদিন থেকে আমি আবার খুব আগ্রহের সাথে দৌড়ানো শুরু করে দিলাম। সপ্তাহে তিন-চার দিন করে। কখনো তাফসীর মিয়াকে বিকালে ক্রিপে থেকে তুলতে চলে যাই এক দৌড়ে। আবার কখনো রুমি অফিস থেকে ফিরলে তাফসীরকে তার কাছে গছিয়ে বেরিয়ে যাই। দৌড়ের পোশাক আর কটকটে ম্যাজেন্টা-গোলাপি কেডস পরে আমি আগেই তৈরি থাকি। রুমি ঘরে ঢুকলেই আমি ফুরুত করে উড়ুত। আর সপ্তাহান্তে দৌড়াতে চলে যাই ঘরের কাছের ইজার নদীর পাড়ে।

দৌড়ে টৌড়ে শরীরটা বেশ ঝরররে হয়ে গিয়েছিল। বাধ সাধল কয়েকটা ছুটির দিন। টানা তিন দিন ছুটি, তাই ঘুড়তে যাওয়া হল ফ্রাঙ্কফুর্টে, রুমির বন্ধু পিন্টু ভাইয়ের বাসায়। আমাদের আসা উপলক্ষ্যে তিনি হুলুস্থুল খাবারের আয়োজন করেছেন। পরের দিন পিন্টু ভাই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেলেন জার্মান বর্ডারের সাথে লাগোয়া ফ্রান্সের শহর Metz-এ। উচ্চারণটা নাকি হবে ''মেস''। সেখানে আরেক বন্ধুর বাড়ি। সেখানে আরেক দফা ভুড়িভোজ হল। কব্জি ডুবিয়ে গরুর মাংস ভুনা আর খাসির রেজালা খেলাম। কোপাকুপি খাওয়া বোধহয় একেই বলে। কোথায় ভিনদেশী এক নতুন শহরে এসেছি, আগ্রহ নিয়ে ঘুরে টুরে দেখবো, তা না করে আমরা মাংসের ডেকচি উজার করে দিয়ে তৃপ্তির একটা ঘাউক ঢেঁকুর তুলে বন্ধুর বৈঠকখানার নরম সোফায় আধবোজা চোখে গা ডুবিয়ে বসে থাকলাম। আর জানালার বাইরে উপেক্ষার বিস্ময় নিয়ে পড়ে থাকলো অনিন্দ্যসুন্দর ফরাসী শহরতলী।

ফরাসী শহরতলীর অভিশাপেই হোক আর মাত্রাতিরিক্ত খাসির রেজালার কল্যাণেই হোক রুমি আর আমি মিউনিখ ফিরলাম যথাক্রমে হাঁটু ব্যাথা আর কয়েক কিলো বাড়তি ওজন নিয়ে। রুমির হাঁটুর ইউরিক এ্যাসিডের ক্রিস্টালটা আবার বাড়ল বোধহয় । ওদিকে আমারও একদম হাঁসফাঁস অবস্থা। দৌড়ঝাঁপ না করলেই নয়। তাছাড়া, রুমির জন্যে পেইনকিলার ইবুপ্রুফেন আনতে হবে। ভাবলাম, নাহ যাই ওষুধটা নিয়ে আসি আর ইজারের পাড় দিয়ে একটু দৌড়ে আসি। এক ঢিলে দুই পাখি। তথাস্তু বলে বেড়িয়ে পড়লাম। এক পকেটে ঘরের চাবি আর আরেক পকেটে আকবরী আমলের মুদ্রা সাইজের দুই ইউরোর কয়েকটা বিশালাকার কয়েন পুরে রীতিমত ঝনঝন শব্দ তুলে দৌড়ানো শুরু করলাম। বাইরে মন ভালো করা ঝকঝকে রোদ। দৌড়ে চলে এলাম নদীর ধারে। এই ভর দুপুরে এখানে লোকজনের আনাগোনা কম। বিকালবেলা আসলে দেখা যেত মানুষ পিলপিল করছে। নদীর পাড়ে যে যার মত চিত-কাত হয়ে শুয়ে-বসে আছে আর বুভুক্ষের মত কপ্কপ্ করে রোদ গিলছে। শীতের দেশের দুর্ভাগা মানুষ বলে কথা। তবে আপাতত নিরিবিলি পরিবেশটা ভালোই লাগছে। ইজারের একটা অংশ বেশ প্রশস্ত। কিন্তু পানির গভীরতা কম। বরজোর হাঁটু অবধি হবে। এর মাঝেও একদিকে যেখানে পানি একটু বেশি, সেখানে কৃত্রিমভাবে স্রোত তৈরি করা হয়েছে। স্রোতের ঢেউয়ে লোকজন কেউ কেউ সার্ফিং বোর্ড নিয়ে নেমে পড়ে। বেশ লাগে তখন নদীর ওপরের সেতু থেকে দেখতে।

চিন্তায় ছেদ পড়লো। কারণ, একটানা দৌড়ে হাঁফ ধরে গেছে। ভাবলাম, একটু জিরিয়ে নেয়া যাক। শান বাঁধানো পরিচ্ছন্ন একটা ঘাটে বসে পড়লাম। চোখের সামনে স্বচ্ছ পানিতে নুড়ি-পাথরের ঝিকমিক। ঠিক যেনো মনি-মুক্তা। কয়েকটা রঙবেরঙ্গের হাঁস অলস ভেসে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে টুপ্ করে ডুব দিয়ে প্লাঙ্কটন জাতীয় কি যেন খাচ্ছে। আমাকে বসতে দেখে একটা হাঁস আগ্রহ করে এগিয়ে এল। ঝিরিঝিরি বাতাসে লেজের পালক ফুলে হাঁসটাকে কেমন ময়ূর ময়ূর দেখাচ্ছে। ময়ূরবেশী হাঁস আমার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে আর পিকপিক করে ডাকছে। উত্তরে আমিও এক-আধটা পুকপাক শব্দ করছি। হংস সঙ্গ পেয়ে আমার খারাপ লাগছে না। টুকটাক কথা তো বলা যাচ্ছে। হোক না সেটা হঙসীয় ভাষায়। নির্জন নদীর ধারে তা-ই বা কে কার সাথে বলে। কি ভেবে জুতা খুলে পা ডুবিয়ে দিলাম নদীর ঠান্ডা স্রোতে। মাত্র গোঁড়ালি পর্যন্ত ডুবল। তাতেই হিম শীতল একটা ঝাঁকুনি লাগলো। যদিও পাঁচ সেকেন্ডেই সয়ে গেল। পানিতে পা জোড়া আর জুতার উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম। দৃষ্টিসীমা আকাশে। আর সেই আকাশি রঙের সমুদ্রে ভাসছে পাল তোলা মেঘের নৌকা। কি বিশাল আকাশ! আর তার নিচের পৃথিবীতে আমরা শত কোটি পিঁপড়ামানব। মহাকাশের বিশালতার কাছে একেবারে ক্ষুদ্র, তুচ্ছ। আকাশ বাতাস ভাবছি, এমন সময়ে আবার চিন্তার সূতায় টান পড়লো। পানির ঝাঁপটা এসে লাগলো মুখে। হাঁসময়ূরটা উড়ে যাবার সময়ে কায়দা করে পানির ঝাঁপটায় আমাকে বিদায় জানিয়েছে। সম্বিত ফিরে পেয়ে উঠে বসলাম। লাটাই ঘুড়িয়ে চিন্তার ঘুড়ি মাটিতে এনে পকেটে পুরে ফেললাম। হাঁসের কাজ উড়ে যাওয়া। আর আমার কাজ দৌড়ে যাওয়া। যে যার কাজে মন দেয়া যাক। পায়ের পাতা থেকে বালু ঝেড়ে দ্রুত জুতা পরে উঠে দাঁড়ালাম। নিজেকে বললাম, এবার দে দৌড়। এই দৌড়টাই বোধহয় আসল। আর থেমে থাকাটাই হয়তো নকল। তাই দে দৌড়। দিলাম দৌড়। পেছনে পড়ে থাকলো ভরদুপুরের নিঃসঙ্গ নদী। আর উড়ে যাওয়া হাঁসটার রেশ।

- ড. রিম সাবরিনা জাহান সরকার; মিউনিখ, জার্মানী

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার লেখনি। আপনার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়নি। শুভেচ্ছা সহ শুভ কামনা রইলো।

১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আগ্রহের সাথে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবা।

২| ১৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮

জাতির বোঝা বলেছেন: জীবন সংগ্রাম। এগিয়ে যেতে হবে আরো সামনে।

১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: একেবারে সঠিক। অনেক ধন্যবাদ

৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: বোন সাবরিনা খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপনার অনুপ্রেরণা জন্য ধন্যবাদ ।

৪| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ২:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: একেবারে ৫ বছরের লম্বা বিরতি দিয়ে আবার লিখেছেন এই লেখা । এই সময়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে দেখা যাচ্ছে । শেষ পর্যন্ত আসলে কী হয়েছিলো ? কয় কিলোমিটার দৌড়াতে পেরেছিলেন ?

১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:০৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: শেষ পর্যন্ত যা হয়। বাঙ্গালী তার লক্ষ্যে পৌঁছানো বাদ দিয়ে বাঁকাচোঁকা হয়ে শুয়ে বসে থাকে। আমারো তেমনি আর ম্যারাথন দেয়া হয় নি। তবে এখনো দৌড়াই সপ্তাহে দুয়েক বার। নদীর পাড় ঘেঁষে। তা-ই বা মন্দ কি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.