নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হইচই, হট্টগোল এড়িয়ে চুপচাপ, নিরিবিলিতে লুকিয়ে থাকতে ভাল লাগে।

রিম সাবরিনা জাহান সরকার

যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/

রিম সাবরিনা জাহান সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা শিক্ষা, আশা শিক্ষা ২

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭


ভাষা শিক্ষা, আশা শিক্ষা ১
৩.
সপ্তাহখানেক গড়িয়েছে। যে ভাষা শিক্ষার দীক্ষা নিতে এখানে আসা, তার প্রতি কারো খুব একটা আগ্রহ নেই। জামালকে ক্লাসের আগে করিডোরে “ধূমপান নিষেধ” সাইনের নিচে বিড়ি ফুঁকতে দেখা যায়। এরিকার হিল জুতার ঠকঠক্ শুনলে সে তাড়াহুড়োয় সিগারেট লুকিয়ে কুল পায় না। যেকোনো দিন কার্পেটে মোড়ানো মেঝেতে আগুন ধরিয়ে এই পাঁচতলা দালানটা পুড়িয়ে ফেলা এখন সময়ের ব্যাপার ।

মোস্তফা ওরফে ‘মো’ বইপত্রের ধার না ধেরে মিনার্ভা নামের আফ্রোদিতির চারপাশে ঘুরে ঘুরে তাকে অতীষ্ঠ করে তুলছে। সেদিন যেচে পড়ে বলতে গেলাম, ‘দেখো, মেয়েটা গিয়ে এরিকার কাছে নালিশ ঠুকে দিলে তোমার বিনে পয়সার জার্মান শেখা শিকেয় উঠবে কিন্তু’। জবাবে উল্টো সে আমাকে জ্যোতির্বিদ্যা শিখিয়ে দিল, ‘মিনার্ভা একটা গ্রহ আর আমি উপগ্রহ। মহাকর্ষীয় বল এড়াই কি করে?’। ফিঁচেল হেসে কাঁধ ঝাঁকিয়ে সরে যায় মো।

আমিনা আর সারাহ লাঞ্চ ব্রেকের সময়টা কাজে লাগায় নারী কল্যাণ সংস্থাগুলো অফিসে ফোন লাগিয়ে। আর কোথাও থেকে যদি কোনো সাহায্য মেলে। তাদের চাপা উৎকণ্ঠা দেখলে মায়া লাগে। তার ভেতরেও আমিনা এটা ওটা বানিয়ে নিয়ে আসে সবার জন্যে। আজকেও এনেছে। তুর্কি মশলা দেয়া ‘খুসখুস সালাদ’। বড় এক চামচ গালে নিয়ে উসখুশ বসে আছি। গলা দিয়ে নামছে না। ভালো মানুষ আমিনার কালো মানুষ জামাইটাকে এক হাত দেখে নিতে পারলে তবেই না আরাম করে সালাদ খাওয়া যেত।

হোমওয়ার্কের পাতাগুলো সাদাই রয়ে যায়। লাঞ্চের সময়টা কাজে লাগালে ঠিকই শেষ করে ফেলা যায়। সেদিকে থোরাই কেয়ার করে রাস্তার ওপাশে এশিয়ান রেস্তোরাঁ ‘ঠ্যাঙ লং’-এ চলে যাই লম্বা লম্বা পা ফেলে। ধোঁয়া ওঠা থাই রেড কারি নামিয়ে ফিরে এসে আধো ঘুমে কাটিয়ে দেই বাকিটা ক্লাস।

জার্মান খুব কঠিন ভাষা। এরিকা তো প্রথম দিনেই বলে দিয়েছে। সুতরাং, ‘সেহেনস্উর্দিকাইট’ মানে ‘দর্শনীয় স্থান’ আর ‘বুন্দেস্টাগস্ওয়াহল্’ হল গিয়ে ‘জাতীয় নির্বাচন’ - ভাষা বিদ্যা এটুকুতেই আটকে রইল।

৪.
অথচ জার্মান ‘বে আইন্স’ বা ‘বি ওয়ান’ লেভেল পাশ দেয়াটা হাতের মোয়া না। এই সার্টিফিকেট ছাড়া কাজেকর্মে ডাক পাওয়া মুশকিল। মোদ্দা কথা, বাকি জীবন ‘কর্ম খালি নাই’ শুনে যাবার বিরাট আশংকা।

দেখেশুনে এরিকার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙ্গতে বেশিদিন আর লাগলো না। একদিন ব্যাকরণ বইটা দড়াম্ বন্ধ করে গলা খাঁকরি দিল সে, ‘হোমওয়ার্ক আর করতে হবে না আজকে থেকে’। এমন ঘোষনায় চিন্তিত হবার বদলে একান ওকান খুশিতে ছেয়ে গেলাম সবাই।

খুশি মিলিয়ে যেতেও বেশি সময় লাগলো না। হোমওয়ার্ক এখন ক্লাসওয়ার্ক হয়ে গেছে। জমা না দিয়ে বাড়ি যাওয়া যায় না। আর কলম চালানোর পাশাপাশি চোয়ালটাও চালাতে হচ্ছে সমানে। এরিকা এক একটা কাগজের গোলা ছুড়ে দেয় একেকজনের দিকে। কাগজে লেখা বিষয়ে প্রত্যেককে পাঁচ মিনিট অং বং বলে যেতে হয় জার্মানে।

আজকের খেলা সামান্য ভিন্ন। একটা থিম দিয়ে দিয়েছে এরিকা। চোখ নাচিয়ে সে বললো, ‘ধরো, আজকে বিকালে বন্ধুর জন্মদিনে দাওয়াত আছে। সেখানে যেমন খুশি তেমন সাজতে হবে। তো কে কি পড়ে যাবে, দু’কথায় গুছিয়ে বলো তো’।

এই কয় দিনে কম বেশি সবার মুখ খুলে গেছে অল্পবিস্তর। সংকোচও বিদায় নিয়েছে কিছুটা। অদ্ভূত ব্যাকরণ আর কিম্ভূত উচ্চারনে গড়গড়িয়ে বলে গেল মিনার্ভা, সে কারুকাজ করা লাল-সাদা ঘেরওয়ালা ঐতিহ্যবাহী বলকান গাউন পরে সবাইকে ভড়কে দেবে। গলায় আর হাতে থাকবে রূপার ভারী গয়না। মিনার্ভাকে সে পোশাকে কল্পনা করে কয়েক মুহূর্তের জন্যে কারো মুখে যেন কথা সরলো না।

এবার কাগজের গোলা ছোড়া হল মো-কে তাক করে। গোলাটা ক্রিকেটের ক্যাচে চটজলদি লুফে নিলেও হাতড়ে হাতড়ে শব্দ খুঁজে জোড়া দিয়ে বাক্য গড়তে বেশ বেগ পেতে হল তাকে। বার কয়েক ঢোক গিলে বহুকষ্টে বলে গেল, সে উন্টারহোজে আর ক্রাভাটে পরে বন্ধুর পার্টিতে যাবে।

আর সাথে সাথে ক্লাসের সবাই হো হো হাসিতে ফেটে পড়লাম টেবিল চাপড়ে। উন্টারহোজে-ক্রাভাটের ‘বঙ্গানুবাদ’ যথাক্রমে আন্ডারওয়্যার আর নেক-টাই। ভোকাব্যুলারিতে দুর্বল মো ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে থাকলো। শব্দার্থটা বোঝাতে এরিকা বোর্ডে গিয়ে রাজার নতুন পোশাকের একটা ক্যারিকেচার আঁকল একটানে। ভুল ধরতে পেরে মো বেচারা লজ্জায় দেয়ালে মিলিয়ে যেতে চাইলো। বিনোদনের কমতি নেই আমাদের এই হ-য-ব-র-ল জার্মান ইশকুলে।

৫.
আনন্দ-বেদনা হাত যে ধরাধরি করে চলে, তার প্রমান মিললো দিনয়েক পরেই। পেঁজা তুলোর মত তুষার পড়ছিল সেদিন।

লাঞ্চের বিরতি চলছে। বেজার মুখে জামাল বসে আছে গাছের ছায়ায়। তার পাশে পেদ্রো, মো আর আরো জনাদুয়েক। কফি হাতে ফিরছিলাম। জবর শীতে জবুথবু দশা। গরম কফি ঠান্ডা মেরে শরবত হতে এক মিনিটও নেয় না। তাও কি ভেবে এগিয়ে গেলাম ঘোট পাকিয়ে বসে থাকা দলটার দিকে।

পেদ্রোর মুখে ঘটনা শুনে দমে গেলাম। জামালের ফিটনেস স্টুডিওর চাকরিটা আর নেই। ম্যানেজার জবাব দিয়ে দিয়েছে। তিন মাস অপেক্ষার ধার ধারে নি সে। খামোখা ভাঙ্গা জার্মান জানা সিরিয়ার এক রিফিউজি যুবককে কাজে রেখে কাস্টমার খোয়ানোর মানে নেই। নতুন বিজ্ঞাপন দিলে নাইট শিফটে কাজ করার লোক জুটে যাবে অগুনতি। ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না।

দিন শেষে জামাল, পেদ্রো, মো-আমরা সবাই যে এক ঝাঁক কাক এদেশে আর চাকরির বিজ্ঞাপন যে এক থালা সাদা ভাত-এই তেতো সত্য জেনে মনটা বিস্বাদে ভরে গেল।

সেদিন জামালকে হাজার জোর করেও আর ক্লাসে নেয়া গেল না। সে কানে বাখ-মোজার্ট গুঁজে গুঁড়িগুঁড়ি তুষারের ভেতর ঠায় বসে থাকলো।

৬.
দেখতে দেখতে বি-ওয়ান পরীক্ষার দিনক্ষন ঘনিয়ে আসছে দশ নম্বর বিপদ সংকেত হয়ে। আসল পরীক্ষার আদলে নকল ‘মক্-টেস্ট’ নেয়া শুরু করলো এরিকা। শোনা, বলা আর লেখা, এই তিন কাজে পাঁচ ইন্দ্রিয় বিক্রি করে দিলাম আমরা।

সবচেয়ে নড়বড়ে ছাত্র মো। সেও কোমর বেঁধে লাগলো। আর জামালের উন্নতি চোখে পড়ার মত। খসখস কলম চালিয়ে নির্ভুল জার্মানে দরকারী চিঠি লেখায় সে রীতিমত ওস্তাদ বনে গেল। যেমন, সে এক সপ্তাহের জন্যে বার্লিন যাচ্ছে অফিসের কাজে। এ কয়দিন যেন প্রতিবেশী হের্ রিখটার দয়া করে বাগানের গোলাপ গাছে পানি দিয়ে যায়। আর পোস্ট বাক্সে কাগজপত্র আসলে সেগুলো নিজের কাছে রেখে দেয়। বাক্সের চাবি পাপোশের নিচে রাখা আছে...ইত্যাদি। এরিকা সেই চিঠিগুলো আমাদের পড়ে শোনায় আর দরাজ হেসে বলে, ‘জামাল, তু তো কামাল কার্ দিয়া!’।

আমিনা আর সারাহও সরকারী অফিসের নম্বর টেপা বাদ দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মন দিল। ভালমন্দ মিলিয়ে তাদের এগোনোটাও একেবারে খারাপ হল না। এলেবেলে ক্লাসটা আস্তে আস্তে পাল্টে গেল মনোযোগী ছাত্রছাত্রীর দঙ্গলে। বাজি ধরে এ যাত্রায় পাশ না করলে যাদের ভবিষ্যৎ কেঁচে গিয়ে ভূত হয়ে যাবে।

তারপর চলে এল মাহেন্দ্রক্ষন। এক মুঠো বলপেন বগলে চেপে ঢুকলাম পরীক্ষার হলে। সময় যে ডানা ঝাঁপটে কই উড়ে গেল, সে হুঁশ আর রইলো না কারো।

বেঢপ হেডফোনটা কানে বসাতেই শুরু হয়ে গেল এ-নাইন্টিন হাইওয়েতে বাস উল্টে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কতগুলো গাড়ি দুমড়েছে। কয় গাড়ি পুলিশ আর অ্যাম্বুলেন্স এসেছে আর ক’জনের ঠ্যাং ভেঙ্গেছে তার বিস্তারিত রেডিও নিউজ শুনে জবাব লিখতে হল শূন্যস্থান পূরণের ফাঁকা জায়গায়।

এরপর লিখিত পরীক্ষার পালা। একটা চাকরির দরখাস্ত করে আর দ্বিতীয়টা বাড়ি ভাড়া চেয়ে চিঠি লিখতে গিয়ে কলম ভেঙ্গে যাবার দশা।

শেষ পর্ব হিসেবে গোটা তিনেক ছবি ছড়িয়ে দেয়া হল টেবিলের উপরে। মিনিটখানেক করে কথা বলতে হবে প্রতিটা ছবি ঘিরে। শপিং ব্যাগ কাঁধে তরুনীর ছবি দেখিয়ে নারী শিক্ষার সাথে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মিলিয়ে ভুংচুং বলে চললাম পাঁচ মিনিট। তারপর জুঁটি বেঁধে দু’জন দু’জন করে বসিয়ে দেয়া হল। জার্মান খাবার দাবারের ভেতর কোনটা কার ভাল লাগে, তা-ই নিয়ে কথা চালাতে হবে। এই কথোপকথনেও নম্বর আছে। কি ভাগ্য, জুঁটি হিসেবে জুটলো কিনা মো। আলাপের ভেতর উন্টারহোজে নিয়ে না এলেই হয়। কিন্তু না, অবাক করে দিয়ে সাবলীল আলাপ চালিয়ে গেল সে।

সবগুলো পাট চুকে গেলে একটা মাত্র কলম বাদে বাকিগুলো হারিয়ে যখন বেরিয়ে এলাম, তখন দেখি বাকিরা প্যাঁচামুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে। পাশ-ফেলের দোলাচল থেকে বেরোতে পারছে না কেউ। আমি নিজেও চেহারা করে রেখেছি আমচু বাংলার পাঁচ।

সপ্তাহখানেক পরের চিত্র। ক্লাস রুমে আবার সবাই। তবে এবার হাতে সার্টিফিকেট। সেখানে সোনালি-সবুজ কালিতে জ্বলজ্বল করছে, ‘বে-আইন্স’। জ্বলজ্বল করছে ক্লাসের পরিচিতি সব মুখগুলোও। একজনও ফেল করি নি আমরা। এরিকা পরম মমতায় একেক জনকে চেপে ধরে দম বন্ধ করে দিচ্ছে। এই ভালবাসার অত্যাচার সবাই উষ্ণ আলিঙ্গনে ফিরিয়ে দিলাম তাকে।

ছোটখাট পার্টির আয়োজন হয়েছে। স্টেরিওতে সিরিয়ান পপ ছেড়ে দিয়েছে জামাল। তাতে পা মিলিয়ে বলকান সুন্দরী মিনার্ভা নাচছে মৃদু তালে। গালে হাত দিয়ে হাঁ করে সেদিকেই তাকিয়ে মো। ওদিকে, পেদ্রো, সারাহ আর আমিনা মিলে এমাথা ওমাথা টেবিল সাজিয়ে ফেলেছে। হরেক দেশী খাবারের ঘ্রানে জার্মান ইশকুলের করিডোর অবধি ভুরভুর করে উঠছে।

সবার অলক্ষ্যে সার্টিফিকেটটাও একবার নাকে টেনে নিলাম। কাগজের মচমচে ঘ্রান। আহ্, বে-আইন্স! (সমাপ্ত)

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

হাবিব বলেছেন: এবারের পর্বও একটানে পড়ে ফেললাম। মসৃণ লেখা। মনে হচ্ছিল কবিতা পড়ছি। লেখার টোনটা অসাধারণ বরাবরের মতোই। আপনারা সবাই ভাষা শিক্ষায় সফলতা পেয়েছেন দেখে আনন্দ হচ্ছে আমারই। মোটের উপর কতদিন লাগলো ভাষা শিক্ষার এই সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করতে?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ভাই হাবিব, অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। ২০১৭-১৮ সালের কথা। ছয়মাস লেগেছিল।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:




সিরিয়ানরা কাজকর্ম করে?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সালাম নেবেন। আমি মাত্র ক'জনাকে কাছ থেকে দেখেছি আর তাতেই কি দুম্ করে তাদের সম্পর্কে ভাল মন্দ বলে দেয়া যায় বলুন ।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৪

জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: বি ওয়ান করতে কত দিন সময় লেগেছে?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৪০

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সালাম জানবেন। বি ওয়ান কোর্সটা প্রায় সারাদিনের ছিল। সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা। টানা ছয় মাসের জন্যে।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নাঈম ০০৯ বলেছেন: B1এক্সাম এ Sprechen Teil 3 এ আমি টপিক সিলেক্ট করেছিলাম Kinder oder Karriere। কর্মজীবী, কর্মহীন মায়েদের দেখা জীবন থেকে যা মনে ছিল সব ভালোই বলতে পেরেছিলাম।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: চমৎকার বিষয়। অনেক কিছুই বলা যায় এমন টপিকে। আপনার জন্যে শুভ কামনা রইল।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: সারাদিন লেসন ডিভিশনটা কেমন ছিল? লিসেনিং, রিডিং, স্পিকিং, রাইটিং- কোন সেকশনটাকে কখন গুরুত্ব দেয়া হয়েছে? আপনি কি এ১ ও এ২ দেশ থেকে করে গিয়েছিলেন?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৮

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খুব ভাগ যোগ ছিল না ক্লাসের। বেশির ভাগ সময়ে কথা বলা আর শোনার চর্চা হত। কারণ ওটাই সবচেয়ে বেশি দরকারি। জার্মানিতেই এ১ করেছিলাম এককালে। কিন্তু নামকাওয়াস্তে। বি১ এ ভর্তি হলে ওরা মোটামুটি বেসিক থেকেই শুরু করে। সামান্য জ্ঞান থাকাটা তাই কিছুটা হলেও কাজে দেয়।

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১০

জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: আমি বি১ টার্গেট করে পড়ছি। অনলাইনে কোর্স বুক গুলো দেখে মনে হল এ১ ও এ২ তে গাদাখানেক বাক্য আর এক্সপ্রেশন মুখস্ত করানো ছাড়া কিছু নাই। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে এটাই বুঝেছি। লিসেনিং চালিয়ে যাচ্ছি সাথে সাথে, স্পিকিং এখনো ভয় লাগে। উত্তর দেবার জন্য ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.