নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউইয়র্কে নগ্ন দেবযানী এবং কুড়িগ্রামের ফেলানী

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

আমি মনে করি কোন বাংলাদেশীরই ভারতীয় দেবযানীকে নিয়ে কোন সহানুভূতি দেখানোর কিছু আছে। দেবযানীকে নেংটা করা হউক আর যা ইচ্ছে তাই করা হউক তা তে আমাদের কি? আমি মনে করি এই ঘটনা থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। কোন এক দেবযানী, কিনা কি নষ্টামি করেছিল, যার কারণে আমেরিকা তাকে নগ্ন করে তল্লাশি করেছিল, সেটাতে আমরা মন খারাপ না করে বরংচো আমাদের উচিত, দেবযানীর সাথে এই আচরনের কারণে সারা ভারতবাসী যেভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল আমেরিকার ওপর তা থেকে আমাদের শেখার আছে। ভারতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন, বিএসএফ যখন আমাদের নিরীহ বাংলাদেশী ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তখন যদি বাংলাদেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়তো তাহলে হয়তো বেশী ভাল হতো। ভারতীয় সরকার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরা দেবযানীর জন্য যেভাবে আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছে বা বিক্ষোভ করছে সেরকম কিন্তু আমাদেরও করা উচিত ছিল ফেলানীর জন্য। অথচ, আমরা তেমন কিছুই করিনি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: সবাইতো সেটা নিয়েই আফসেস করছে। তারা পারে কিন্তু আমরা পারিনা।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

রাফছানজানি বলেছেন: চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আমেরিকান পুলিশ ভারতীয় 'সোনা' দেখেছে; আপনিও কি দেখতে চান?

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন:

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আমরা কি নির্মোহ ভাবে প্রতিবাদ করতে পারতাম.... দেখতেন যে প্রতিবাদ টা দখল করে নিত জামাত-শিবির তাদের নেতাদের বিচার বন্ধের দাবীতে

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেপ্তারী ও তারপর তা নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি অসমতার বেশ কয়েকটি নির্মম দিককে আরেকবার আমাদের সামনে তুলে আনল। ভারত সহ উন্নয়নশীল বা পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে মার্কিন কূটনীতিকরা নানা রকম বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বন্ধুত্ব শব্দের আড়ালে এই সুবিধা দেওয়া হলেও ভারতের কূটনীতিক, প্রথম সারির চলচ্চিত্রাভিনেতা, নানা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানদের ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নানা মাত্রার হেনস্থার ঘটনাগুলি থেকে বোঝা যায় বন্ধুত্বের আড়ালে মার্কিন প্রশাসন ভারতকে একটি বশংবদ শক্তি হিসেবেই ভাবতে অভ্যস্ত। অতীতে এ ধরণের হেনস্থার ঘটনাগুলিতে নিয়মতান্ত্রিক কিছু প্রতিক্রিয়ার বাইরে ভারত কখনোই তেমন কড়া অবস্থান গ্রহণ করতে পারে নি। এবারের ঘটনায় অবশ্য এখনো অবধি ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া তুলনায় কড়া এবং ‘ইটের জবাবে পাটকেল’ না হলেও কিছু ব্যবহারিক পদক্ষেপ নেওয়ায় মার্কিন প্রশাসনের কাছে অসন্তোষের বার্তা পৌঁছেছে। আর তাই নিয়ে প্রধান মিডিয়াগুলিতে ‘জাতিয়তাবাদী’ কন্ঠস্বর জোরেশোরে বাজছে। তবে সচেতনভাবেই সেখানে বিদেশনীতি ও জাতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে মার্কিন চাপের কাছে ভারতের নতি স্বীকারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার বাইরের একটি বিচ্ছিন্ন ইস্যু হিসেবেই একে প্রতিবাদের বিষয় করে তোলার চেষ্টা হয়েছে।
সেইসঙ্গে এই গোটা ঘটনায় ভারতীয় কূটনীতিককে হেনস্তার ঘটনাটিকে নিন্দা করতে গিয়ে এক মহিলা গৃহ শ্রমিক, সঙ্গীতার তোলা অভিযোগগুলিকে যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, এবং তাকে ষড়যন্ত্রকারী সাজানো হয়েছে, তাতে ‘শ্রেণি পক্ষপাত’ ভালোভাবেই প্রকাশ পেয়েছে। মার্কিন আধিপত্যবাদী মানসিকতা ও দ্বিচারিতাকে নিন্দা করার অর্থ এই নয়, সঙ্গীতার শ্রম শোষণের অভিযোগগুলিকে উপেক্ষা করতে হবে এবং তাকে ষড়যন্ত্রকারী বানাতে হবে।
মার্কিন পুলিশ ভারতীয় কূটনীতিকের এই গ্রেফতারীর কারণ জানাতে গিয়ে বলেছে এক পরিচারিকাকে আমেরিকায় নিয়ে আসার সময়ে তার ভিসায় তিনি যে প্রাপ্য বেতনের কথা লিখেছিলেন, আদপে তাকে সেই টাকা দিচ্ছিলেন না। মেয়েটিকেও শিখিয়ে দিয়েছিলেন, সে যেন বেতনের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে সত্যগোপন করে। সেই পরিচারিকা অবশ্য গত কয়েক মাস ধরেই নিখোঁজ ছিলেন এবং তা নিয়ে দেবযানী নির্দিষ্ট তথ্যও দিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনার অভিযোগের সূত্রে অতর্কিতে খোলা রাস্তা থেকে দেবযানীর গ্রেপ্তার বিষ্ময়ের সৃষ্টি করে। অন্যান্য দিনের মতোই সেদিনও মেয়েকে স্কুলে পৌঁছতে গিয়েছিলেন দেবযানী। স্কুলের সামনেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। রাস্তায় সর্বসমক্ষে হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীনভাবে তাকে নগ্ন করে তল্লাসী চালানো হয় ও অন্যান্য কয়েদীদের সঙ্গে জেলের গারদে আটকে রাখা হয়।
২০১২-য় নিউ ইয়র্কের দূতাবাসে যোগ দেন বছর উনচল্লিশের দেবযানী। ওই বছরেরই নভেম্বরে সঙ্গীতা রিচার্ড নামে এক ভারতীয়কে পরিচারিকা হিসেবে নিয়ে যান তিনি। ২০১৩-এর জুন পর্যন্ত তাঁর কাছে চাকরি করেছিলেন সঙ্গীতা। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, সঙ্গীতার মজুরি হওয়া উচিত প্রতি ঘণ্টায় ৬০৫ টাকা। অভিযোগ, ভিসার কাগজপত্রে দেবযানী তা লিখলেও আসলে তিনি দিতেন ঘণ্টায় ২০৫ টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘ওই কূটনীতিক একে তো কম মজুরি দিয়েইছেন, তার উপর ভিসার সময় ভুল তথ্য দিয়েও বিভ্রান্ত করেছেন।’ এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গড়ে সাদার্ন ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি, আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীত ভারারা। হাজতবাসের পর শেষপর্যন্ত কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা রেখে জামিন পান দেবযানী।
কূটনীতিকদের ক্ষেত্রে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী যে ছাড় থাকে, তাও দেবযানীর প্রাপ্য নয় বলেই জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারির বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে আইনের আওতায় পড়ে। মজুরী ফাঁকির ক্ষেত্রে কড়া মার্কিন আইনের প্রয়োগ যথাযথ হয়েছে বলেই একাংশ মনে করেছেন। শ্রম শোষণের বিষয়টি কোন ক্ষেত্রেই সমর্থনযোগ্য না হলেও এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন কথা প্রসঙ্গে ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ প্রবাদটিই মনে পড়বে। গোটা দুনিয়ায় পুঁজি রপ্তানী সহ হাজারো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শ্রম শোষণের ক্ষেত্রে এক নম্বর দেশটির শ্রমের মর্যাদা নিয়ে যে কোনও দাবিই দ্বিচারিতার চরম দৃষ্টান্ত। আর অভিযোগের প্রকৃতি ও তার শাস্তির ধরণের ভারসাম্যহীনতার মধ্যেও যে আসলে ‘জাতি ঘৃণা’ বিদ্যামান, তা নিয়েও কোনও সংশয় নেই।
সেইসঙ্গে কূটনৈতিক নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে মার্কিন অবস্থানের দ্বিচারিতা ইতিহাস ঘাটলেই বেরিয়ে আসবে। ২০১১ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘সি আই এ’ এর রেমণ্ড ডেভিস পাকিস্থানের লাহোরে দুজনকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। কূটনীতিক না হওয়া স্বত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে তার জন্য দ্রুতই কূটনৈতিক নিরাপত্তার দাবী জানানো হয়। খুনের মত মারাত্মক অভিযোগে কূটনীতিক নয় এরকম একজনের জন্য যেখানে এই নিরাপত্তা দাবী করা হয়, সেখানে কয়েক মাস মজুরী কম দেওয়ার মত অভিযোগে কর্মরত এক ভারতীয় কূটনীতিককে কেন খোলা রাস্তায় হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে এবং নগ্ন করে তল্লাসী চালানো হবে, তার জবাব অবশ্যই মার্কিন কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।
অতীতেও ভারতের অনেক বিশিষ্ট নাগরিককে মার্কিন দেশে নানাভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে এবং এই ধরণের ঘটনাগুলিতে নিয়মতান্ত্রিক কিছু প্রতিক্রিয়ার বাইরে ভারত কখনোই তেমন কড়া অবস্থান গ্রহণ করতে পারে নি। এবারের ঘটনায় এখনো অবধি ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া অবশ্য তুলনায় কড়া। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান দুই শাসক দলের ‘জাতিয়তাবাদী’ সাজার প্রতিযোগিতা ও তা থেকে নির্বাচনী লাভ ওঠানোর চেষ্টা এর পেছনে সক্রিয়, এটা অনুমান করা কঠিন নয়। দেশজুড়ে মহিলাদের নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদী আবহের মধ্যে বিদেশের মাটিতে দেশের এক মহিলা কূটনীতিককে খোলা রাস্তায় হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তারী ও তাকে নগ্ন করে তল্লাসী চালানোটা কতটা সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে, সেটাও এক্ষেত্রে বিবেচনার মধ্যে থেকেছে। দেবযানীর গ্রেপ্তারীর ইস্যুতে কড়া অবস্থানকে সমর্থন করার পাশাপাশি এই ঘটনাকে শাসকের ব্যবহার করে নেবার কৌশলকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের নিজস্ব অবস্থান থাকা একান্ত জরুরী। আমাদের অবশ্যই এই ধরণের ইস্যুকে কেন্দ্র করে উঠে আসা জনপ্রিয় মার্কিন বিরোধী আবহের মধ্যে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস বিজেপি সহ ভারতের শাসক শ্রেণির দল ও তাদের পরিচালিত সরকারগুলির লাগাতার মার্কিন ঘনিষ্ঠ আর্থিক ও বিদেশ নীতি কীভাবে দেশের আর্থিক ও অন্যান্য নিরাপত্তাগত স্বার্থকে বিঘ্নিত করছে তা তুলে ধরতে হবে। দেবযানী ইস্যুতে কংগ্রেস, বিজেপির জাতীয়তাবাদী সাজার প্রতিযোগিতার বিপ্রতীপে মার্কিন চাপে দেশের ব্যাঙ্ক, বীমা, টেলিকম, খুচরো ব্যবসা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলির কীরকম বিলগ্নিকরণ ঘটছে বা তাতে ঢালাও প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থের তোয়াক্কা না করে, তা অবশ্যই তুলে ধরতে হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্বাচন, (ইরাণ গ্যাস পাইপ লাইন নিয়ে আগ্রহী মণিশঙ্কর আইয়ারকে সরিয়ে মার্কিন ঘনিষ্ঠ মুরলি মনোহর দেওরাকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকে বসানোর মধ্যে যা প্রকাশ পেয়েছে) বা সংসদে আস্থা ভোটের প্রশ্নেও মার্কিন লবির চাপ বা ভূমিকার পাথুরে প্রমাণ গুলির কথা, যা উইকিলিকস এর ফাঁস করা কেবল বার্তা থেকে উঠে এসেছে, সেসব তুলে ধরে কেবল কূটনৈতিক মর্যাদার প্রশ্নটির চর্চা নয়, মার্কিন আধিপত্যবাদের স্বরূপটিকে উন্মোচিত করতে হবে।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: What USA did to Debjani is wrong. They should not have done that..My point is not that! I was saying that the way Indians reacted to this issue, I was wondering if we, the Bangladeshis, have reacted the same way when our Bangladeshi girl, Felani was killed by BSF.

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: একটা রেপিস্ট এবং জুয়ারী দেশের কুটনীতিক কে নগ্ন করেছে, এতে আমি কিছু দোষের দেখি না, ওরা তো অর্ধ নগ্ন শরীর দেখিয়েই ইনকাম করছে, এটা ওদের পেশা, সো হোয়াট??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.