নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাটাহাটি: গুলিস্তান-বংশাল-সদরঘাট-লক্ষীবাজার-ধোলাইখাল-গুলিস্তান-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪০



ঘটনাটি ৬ই জানুয়ারীর। আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম যে বছরের প্রথম জুম্মার নামায পরবো বায়তুল মোকাররমে। উত্তরা থেকে বাসে উঠে গেলাম গুলিস্তান। বাসের একটা ঘটনা বলি। উত্তরা থেকে বাসে উঠার কিছুক্ষণ পরেই এক হিজড়া বাসে উঠলো। গায়ে গুতা মেরে বলে "আই টাকা দে"। আমি টাকা দিলাম, শুধু আমি না সবাই কিছু না কিছু টাকা দিল। টাকা না দিলেতো আবার কথা শুনতে হবে। আর বাসে উঠলে কিছু না কিছু উদ্ভট টাইপের মানুষের দেখা মিলবেই। যতবারই বাসে উঠি ততবারই কোন না কোন অদ্ভুত স্বভাবের লোক দেখতে পাই। দুনিয়াতে কিছু লোকজন আছে এদের জন্মই মনে হয় হয়েছে শুধু গায়ে-পড়ে ঝগড়া করার জন্য। আর বাসে উঠলেই এই ধরনের লোকদের দেখা মিলে। যেমনটি ঠিক এবার দেখলাম। একজন যাত্রী উঠলো বাসে। সে অযথা বাস কন্ডাক্টারের সাথে ঝগড়া করা শুরু করলো। খুব তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে থাকলো। যাত্রীটি তাকে জিজ্ঞেস করলো যে বাসটি পল্টনের কোন জায়গায় থামবে। বাস কন্ডাক্টরটি উত্তরে বললো যে বাসটি গুলিস্তান যাবে। এটা নিয়েই খামাখা তর্ক করা শুরু করলো যাত্রীটি।

আবার আরেকবার দেখলাম এক যাত্রী ইচ্ছেমতো শুয়োরের বাচ্চা, হারামজাদা বলে বাস চালককে গালি দিচ্ছিলো। বাস চালক বিভিন্ন স্টপেজে সময় নিয়ে থামছিল যাত্রী উঠানোর জন্য তাই সে খেপে গিয়ে চালকের ওপর চড়াও হলো। কথায় কথায় মানুষকে গালি দিতে মনে হয় আমরাই পারদর্শী। পৃথিবীর অন্য দেশে এমন হয় না আমি নিশ্চিত।



যাই হউক আমি নামলাম গুলিস্তান। ওখান থেকে হেটে হেটে গেলাম বায়তুল মোকাররম। জুম্মার নামায পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অবশেষে আশাটা পূরণ হলো। বছরের প্রথম জুম্মা পরা হলো বায়তুল মোকাররমে। এরপর আবার হাটা শুরু করলাম। কোন খিদে নাই পেটে তাই হাটতে থাকলাম। সিদ্দিক বাজার হয়ে বংশালের জনসন রোডে আসলাম। জাজ কোর্ট আজকে বন্ধ তাই রাস্তা-ঘাট বেশ ফাকা ছিল। অন্য দিন আসলে এখানে চারপাশে শুধু এ্যাডভোকেটদের দেখা যায়। অন্য দিন এই রোডে এ্যাডভোকেট, বাদী, বিবাদী পক্ষের লোকজনদের সংখ্যাই বেশী থাকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পার হয়ে গেলাম সদরঘাট। অনেক ছবি তুললাম। এই সদর ঘাটে শেষবার এসছিলাম ২০০৭ সালে। তখন যেরকম ময়লা দেখিছিলাম এখনও সেরকম ময়লাই আছে। সদরঘাটের একটি টং-এর দোকানে চা ও কলা খেলাম।





এই সদরঘাটে বিশাল ফলমূলের আরৎ দেখলাম। কতো মালটা, বেদানা, কমলালেবু!



এখান থেকেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ হয় ফল-মূল। এরপর বাবুবাজার হয়ে ইসলামপুর হয়ে গেলাম আহসান মন্জ্ঞিল। ভেতরে আর ঢুকলাম না। বাইরে থেকে দুটা ছবি তুললাম। খুব সুন্দর স্থাপনা এটি। এরপর জনসন রোডে আবার ফেরৎ গিয়ে বাহাদুর শাহ পার্কের পাশ দিয়ে চলে গেলাম লক্ষীবাজার। পুরনো ঢাকার একটি ব্যাপার আমার বেশ ভালো লাগে। এখানে আসলে খুব কম দূরত্বের ভেতরই আপনি মসজিদ, গীর্জা, মন্দির দেখতে পারবেন। শাহ সাহেব বাড়ি জামে মসজিদ দেখলাম, হলো ক্রস গীর্জা থেকে কদমতলা কালি মন্দির, শ্রী শ্রী কালি মন্দির দেখলাম। এরপর ধোলাইখালের রাস্তায় গিয়ে উঠলাম। হাটতে হাটতে আবার বায়তুল মোকাররম গেলাম গুলিস্তান হয়ে। আছরের নামায পড়ে হেটে হেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গেলাম। ওখানে আমার স্ত্রী একটি ট্রেইনিং-এ ছিল। ৩ ঘন্টা ১০ মিনিট হাটা হলো।

ভালই লাগে হাটতে। হাটাহাটি নিয়ে মনে হয় বেশী লেখা হচ্ছে তাই আমার পরবর্তী লেখা সিনেমা রিভিউ নিয়ে হবে ইনশা-আল্লাহ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :> যেভাবে হাটার ফিরিস্তি দিলেন, সন্দেহ করছি কয়দিন পর আপ্নেরে হয়ত লোহার শিকল দিয়ে বেধে রাখতে পারে!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: কেন ভাই মনে হইলো এইটা!!!

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B-) না এমনিতেই ফান করলাম!

হাটা ভালো, তবে আপনি বেশি হাটেন।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: হাঁটাহাটি নিয়ে লিখা ভাল লাগলো। মাঝে মাঝে আমারও ইচ্ছে হয় এমন হাঁটতে। শুভেচ্ছা নিবেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !!!

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এভাবে হেটে হেটে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে থাকুন। শুভ কামনা রইল

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

আসাদুজ্জামান সুমন বলেছেন: অবিরত থাকুক আপনার হাটার গল্প ।
সুস্থ থাকুন

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হাটাহাটির কথা ভালোই লেগেছে।

আমারো এরকম রাস্তায় হাটতে ইচ্ছে করে কিন্তু হয়ে উঠেনা।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর লিখছেন, আমি ব্লগে নতুন, পাশে থাকবেন।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর লিখছেন, আমি ব্লগে নতুন, পাশে থাকবেন।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্মৃতিময় পথ, মনের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠল। কারণ এখন যে অনেক দূরে। আর সেই পথ কি ্র আগের মতো আছে?

১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

টুনটুনি০৪ বলেছেন: ভালো লাগল।

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

মিঃ আতিক বলেছেন: পড়ে মনে হল আপনার মনটা অনেক উদার। কোন স্বার্থপর বেখেয়ালি হাঁটবে বিশ্বাস হয়না।

১৩| ০৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০২

মানবী বলেছেন: "ভালই লাগে হাটতে। হাটাহাটি নিয়ে মনে হয় বেশী লেখা হচ্ছে তাই আমার পরবর্তী লেখা সিনেমা রিভিউ নিয়ে হবে ইনশা-আল্লাহ।"

- আমার মনে হয় মোটেও বেশি হচ্ছেনা। জন সচেতনতা সৃষ্টিকারী লেখা! সরাসরি কাউকে উপদেশ দেয়া নেই তবে এটা পড়ে প্রায় প্রত্যেক পাঠকের মনে ইচ্ছে জাগে হাঁটতে যাবার। অনেকেই হয়তো ভাববেন, এভাবে হাঁটতে বেরিয়ে পরা আসলেই খুব জরুরী- এই বোধ জাগ্রত করাটাও কম নয়।

চমৎকার অভ্যাস আপনার। ঢাকা শহরের ভয়ংকর দুষণ না থাকলে প্রায় যোখ বন্ধ করেই বলা যেতো নিরোগ জীবন হবে আপনার। আশা রি দুষণের ক্ষতিকারক প্রভাব পরাজিত হবে হাঁটাহাটির স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কাছে।

ভালো লেগেছে হাঁটাহাটির বর্ণনা পড়ে, ধন্যবাদ রিনকু১৯৭৭।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমারও মাঝে মাঝে গন্ডগোল করতে ইচ্ছে হয়, তবে বাসে নয়, সাধারণ মানুষের সাথে, বিশেষ করে ছাত্রদের সাথে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.