|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

খুব কষ্ট করে কথাগুলো লিখছি।  লেখার সময় মনে হচ্ছিলো আমার নিজেরই আপনজনার কথা লিখছি।  বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লো মেসির আর্জেন্টিনা।  এটা যে আমাকে ২০১৮ তে লিখতে হবে তা একদমই ভাবিনি।  আমরা কি তাহলে মেসিকে শেষবারের মতো দেখলাম? এতো বিশ্বসেরা এক খেলোয়াড় অথচ তার হাতের ছোয়া পেলনা বিশ্বকাপ সেটা মানতে বেশ কষ্টই হয়।  মেসি কি তাহলে ইউহান ক্রয়েফ, রবার্তো ব্যাজিও, মার্কো ভ্যান বাস্তেন, গ্যাব্রিয়েল ব্যাতিস্তুতা, মিশেল প্লাতিনি, জিকোদের দলে চলে গেলো? বিশ্বকাপ না পেলেকি মেসি সেরা নয়? এসব প্রশ্ন খালি মাথার চারপাশে ঘুরে।  কিছু কথা বললে মনে হতে পারে আমি অতীতের সব সেরা খেলোয়াড়দের ছোট করছি কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম নয়। এটা মানতেই হবে যে মেসি এসব সব খেলোয়াড়ের চাইতে অন্যরকম সেরা।  জানিনা মেসির সাথে ইউহান ক্রয়েফ, রবার্তো ব্যাজিও, মার্কো ভ্যান বাস্তেন, গ্যাব্রিয়েল ব্যাতিস্তুতা, মিশেল প্লাতিনি, জিকোদের তুলনা করা ঠিক হবে কিনা! 
মেসি খুব চেষ্টা করেছিল তার দলকে টেনে নিয়ে বিশ্বকাপ জিতাতে।  যারা কট্টর মেসি বিদ্বেষী তারা এটাও বলে যে ম্যারাডোনা যেরকম "ওয়ান ম্যান শো" ফুটবল খেলতো মেসিতো সেরকম কিছু দেখাইনি।  তাদের এটা বুঝতে হবে এটা ১৯৮৬ সাল নয়।  ২০১৮ তে ফুটবল খেলায় অনেক পরিবর্তন এসছে।  এখনকার খেলার সিস্টেমে একা একা কাটিয়ে নিয়ে গিয়ে গোল দেওয়া বেশ অনেকটাই কষ্টকর।  
ফুটবল দলীয় গেম।  মেসি বিশ্বকাপ পাইনি কারণ সে ঠিকভাবে তার দলের সাপোর্ট পাইনি।  মেসি বিশ্বসেরা অথচ মেসির সাথে যাদের কোনো মতেই তুলনা করা চলেনা ঠিক তাদের হাতেই বিশ্বকাপ স্পর্শ পেয়েছে।  তাদেরকে মোটেও আমি ছোট করছি না।  এটা সবাই স্বীকার করবে মেসির সাথে ডেল পিয়ারোর তুলনা হয় না, মেসির সাথে ফার্নান্দো টরেসের তুলনা হয় না, মেসির সাথে টমাস মুলারের তুলনা হয় না অথচ ঐসব খেলোয়াড়দের হাতে বিশ্বকাপের স্পর্শ পেয়েছিলো।  কারন একটাই, তা হলো, তারা একা একা খেলেনি, পুরো টীম থেকে সাপোর্ট পেয়েছিল। 
এবারের আর্জেন্টিনা দলটাকে একেবারে যা ইচ্ছে তাই লেগেছে।  ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বকাপ দেখে আসছি তবে এবারের মতো বয়স্ক ও দূর্বল আর্জেন্টাইন ডিফেন্স দল আগে দেখেনি।  মেসি কি একা একা ডিফেন্স থেকে বল নিয়ে গোল দিবে? তারা কি এটাই ভাবছিলো? মেসিকে তো সাহায্য করা লাগবে! আর এবারে দেখলাম আর্জেন্টিনার সাথে যাদেরই খেলা পড়েছিল তারা সবাই ভালোভাবে মেসিকে জব্দ করতে পেরেছিল।  মেসি যাতে জ্বলে উঠতে না পারে সেইভাবেই তারা মেসিকে ট্যাকাল করেছিল।  
মেসির দরকার ছিল বার্সেলোনা দলের মতো কয়েকটি খেলোয়াড় আর্জেন্টাইন দলে।  মেসি একা একা যখন দাঁড়িয়ে ছিল তখন শুধু এটাই মনে হচ্ছিলো যে সে কি ভাবছে নিজেকে নিয়ে।  অনেকতো চেষ্টা করলাম, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আশা করি মেসি থাকবে ২০২২ এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত।         
 ১ টি
    	১ টি    	 +০/-০
    	+০/-০©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮  দুপুর ১২:৫৭
০২ রা জুলাই, ২০১৮  দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মেসি ২০২২ এর বিশ্ব কাপ খেলবে। এবং চাম্পিয়ন হবে।